০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৭,৯১৭ জন—এখন অপেক্ষা মৌখিক পরীক্ষার ঝড়, অগ্নিকাণ্ড আর বন্যা বদলে দিচ্ছে গৃহঋণের অংক: বাড়ছে বীমার খরচ, কমছে নিশ্চয়তা চট্টগ্রাম বন্দরে ট্যারিফ বৃদ্ধি ও বিদেশিদের কাছে টার্মিনাল ছেড়ে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক কেন? শীন রাজবংশের স্থাপত্যে কাঠ ব্যবহারের নতুন তথ্য—২২০০ বছর আগের নির্মাণ রহস্য উন্মোচন কুয়েতে বিশ্ব জ্বালানি সম্মেলনে তরুণদের ভূমিকা—‘ভবিষ্যৎ গড়বে উদ্ভাবন, সহযোগিতা ও টেকসই শক্তি’ ইউক্রেনে রাশিয়ার ধীরচাপ কৌশল: বড় শহর নয়, ক্লান্তিই এখন আসল অস্ত্র প্রযুক্তিগত বিপর্যয় কাটিয়ে পুনরায় আকাশে আলাস্কা এয়ারলাইন্স—তথ্যপ্রযুক্তি ত্রুটিতে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল রাশিয়ার নারীদের ইতিহাসে আলো ফেলে জুলিয়া ইয়োফে—অগ্রগতির ভঙ্গুরতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্লেষণ অন্ধকার পদার্থের অস্তিত্ব প্রমাণে আরও এক ধাপ এগোলেন বিজ্ঞানীরা সূর্যগ্রহণে বিভ্রান্ত পাখিরা, ভোর ভেবে গাইল গান

গাজা যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে চাপ দিন, আঙ্কারার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রকে

তুরস্কের দাবি: যুদ্ধবিরতি ভাঙছে ইসরায়েল

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ান অভিযোগ তুলেছেন যে গাজায় ঘোষিত যুদ্ধবিরতি ইসরায়েল নিজের মতো লঙ্ঘন করছে। তিনি বলেছেন, হামাস চুক্তির শর্ত মানছে, কিন্তু ইসরায়েল এখনো হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি নষ্ট করছে। এরদোয়ান সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, শুধু বিবৃতি দিয়ে হবে না; যদি যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে হয়, তবে অস্ত্রচুক্তি স্থগিত করা বা নিষেধাজ্ঞা ধরার মতো বাস্তব চাপ দিতে হবে। এই অবস্থান তুরস্ককে আলোচনার প্রান্ত থেকে কেন্দ্রের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিনি নিজেকে তুলে ধরছেন এমন এক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে, যিনি একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলছেন আর অন্যদিকে ইসরায়েলকেও প্রকাশ্যে সমালোচনা করছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র নতুন এক স্থিতিশীলতা বাহিনীর কথা বলছে, যা গাজায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করবে এবং ধ্বংসস্তূপে পুনর্গঠনের প্রথম ধাপ তদারক করবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্পষ্ট বলেছেন, সেই আন্তর্জাতিক বাহিনীতে শুধু “ইসরায়েল যে দেশগুলোকে আরামদায়ক মনে করে” তারাই থাকবে। ইসরায়েলের অবস্থান দেখে অনেকেই ধরে নিচ্ছে তুরস্ক কার্যত তালিকার বাইরে। এরদোয়ান প্রথমে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তুরস্ক মাটিতে লোক পাঠাতে রাজি, কিন্তু পরে সুর নরম করে জানালেন, কাঠামো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। একই সঙ্গে তিনি উপসাগরীয় দেশগুলোকে গাজা পুনর্গঠনে আর্থিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

গাজার পরবর্তী মানচিত্র কে আঁকবে

পাশাপাশি চলছে আরেকটি টানাপোড়েন: গাজা কে শাসন করবে। ওয়াশিংটন চাইছে এমন এক অন্তর্বর্তী প্রশাসন, যেখানে হামাস নেই। ইসরায়েল বলছে নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। তুরস্ক বলছে, গাজা পুনর্গঠনে তাকে বাইরে রাখা অন্যায় হবে, বিশেষত যখন মানবিক সঙ্কট এখনো ভয়াবহ। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার ভেতরে ত্রাণের প্রবেশ ও বণ্টন এখনো সীমিত, আর লাখো মানুষ এখনো টিকে থাকার মতো সহায়তা পাচ্ছে না। পরিস্থিতি এমন যে যুদ্ধবিরতি টিকে থাকলেও মানবিক চাপ ভাঙলে সংঘাত হঠাৎ আবার জ্বলে উঠতে পারে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, গাজার নিরাপত্তা কাঠামোয় আঙ্কারার কোনো নেতৃত্ব তিনি চান না। রুবিওও বলছেন, যে কোনো আন্তর্জাতিক বাহিনীকে আগে ইসরায়েলের “কমফোর্ট লেভেল” পেরোতে হবে। এতে স্পষ্ট হয়ে গেছে, গাজার পরবর্তী নিরাপত্তা আর্কিটেকচার — যদি তা গড়েই ওঠে — তা মূলত ওয়াশিংটন ও জেরুজালেমের সমন্বয়ে তৈরি হবে, আঙ্কারার শর্তে নয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৭,৯১৭ জন—এখন অপেক্ষা মৌখিক পরীক্ষার

গাজা যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে চাপ দিন, আঙ্কারার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রকে

০২:৫১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

তুরস্কের দাবি: যুদ্ধবিরতি ভাঙছে ইসরায়েল

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ান অভিযোগ তুলেছেন যে গাজায় ঘোষিত যুদ্ধবিরতি ইসরায়েল নিজের মতো লঙ্ঘন করছে। তিনি বলেছেন, হামাস চুক্তির শর্ত মানছে, কিন্তু ইসরায়েল এখনো হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি নষ্ট করছে। এরদোয়ান সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, শুধু বিবৃতি দিয়ে হবে না; যদি যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে হয়, তবে অস্ত্রচুক্তি স্থগিত করা বা নিষেধাজ্ঞা ধরার মতো বাস্তব চাপ দিতে হবে। এই অবস্থান তুরস্ককে আলোচনার প্রান্ত থেকে কেন্দ্রের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিনি নিজেকে তুলে ধরছেন এমন এক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে, যিনি একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলছেন আর অন্যদিকে ইসরায়েলকেও প্রকাশ্যে সমালোচনা করছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র নতুন এক স্থিতিশীলতা বাহিনীর কথা বলছে, যা গাজায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করবে এবং ধ্বংসস্তূপে পুনর্গঠনের প্রথম ধাপ তদারক করবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্পষ্ট বলেছেন, সেই আন্তর্জাতিক বাহিনীতে শুধু “ইসরায়েল যে দেশগুলোকে আরামদায়ক মনে করে” তারাই থাকবে। ইসরায়েলের অবস্থান দেখে অনেকেই ধরে নিচ্ছে তুরস্ক কার্যত তালিকার বাইরে। এরদোয়ান প্রথমে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তুরস্ক মাটিতে লোক পাঠাতে রাজি, কিন্তু পরে সুর নরম করে জানালেন, কাঠামো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। একই সঙ্গে তিনি উপসাগরীয় দেশগুলোকে গাজা পুনর্গঠনে আর্থিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

গাজার পরবর্তী মানচিত্র কে আঁকবে

পাশাপাশি চলছে আরেকটি টানাপোড়েন: গাজা কে শাসন করবে। ওয়াশিংটন চাইছে এমন এক অন্তর্বর্তী প্রশাসন, যেখানে হামাস নেই। ইসরায়েল বলছে নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। তুরস্ক বলছে, গাজা পুনর্গঠনে তাকে বাইরে রাখা অন্যায় হবে, বিশেষত যখন মানবিক সঙ্কট এখনো ভয়াবহ। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার ভেতরে ত্রাণের প্রবেশ ও বণ্টন এখনো সীমিত, আর লাখো মানুষ এখনো টিকে থাকার মতো সহায়তা পাচ্ছে না। পরিস্থিতি এমন যে যুদ্ধবিরতি টিকে থাকলেও মানবিক চাপ ভাঙলে সংঘাত হঠাৎ আবার জ্বলে উঠতে পারে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, গাজার নিরাপত্তা কাঠামোয় আঙ্কারার কোনো নেতৃত্ব তিনি চান না। রুবিওও বলছেন, যে কোনো আন্তর্জাতিক বাহিনীকে আগে ইসরায়েলের “কমফোর্ট লেভেল” পেরোতে হবে। এতে স্পষ্ট হয়ে গেছে, গাজার পরবর্তী নিরাপত্তা আর্কিটেকচার — যদি তা গড়েই ওঠে — তা মূলত ওয়াশিংটন ও জেরুজালেমের সমন্বয়ে তৈরি হবে, আঙ্কারার শর্তে নয়।