বিস্ফোরক বৃদ্ধি, বাড়তে থাকা অস্বস্তি
ওপেনএআই এখন শুধু গবেষণাগার নয়; এটি মূলধারার ভোক্তা পণ্য বানানোর মেশিন। তাদের চ্যাটবট ও এআই অ্যাসিস্ট্যান্টকে উপস্থাপন করা হচ্ছে দৈনন্দিন সঙ্গী, ব্যক্তিগত সহকারী, এমনকি মানসিক সাপোর্ট সিস্টেম হিসেবে। সমর্থকেরা বলছেন, এটাই প্রমাণ যে এআই অবশেষে কাজে লাগছে। সমালোচকেরা বলছেন, এই গতি কি নিরাপদ? সাম্প্রতিক অভিযোগে এসেছে যে কিছু চরম ক্ষেত্রে চ্যাটবটের কথোপকথন ব্যবহারকারীদের মানসিকভাবে আঘাত করেছে। এখানেই মূল টেনশন: দ্রুত বাজার দখল নাকি আগে নৈতিক সীমানা পরিষ্কার করা।
অর্থনৈতিক ঝুঁকিও বড়। ওপেনএআই এখন এমন রাজস্ব স্কেলে দাঁড়িয়েছে যা আগে শুধু বড় ক্লাউড কোম্পানির জন্য কল্পনা করা হতো। বিনিয়োগকারীরা চায় কয়েক বছরের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের পরিধি। মানে একের পর এক নতুন ফিচার, নতুন অভ্যাস, নতুন ইন্টিগ্রেশন — স্কুল, অফিস, সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম, এমনকি একাকিত্বের জায়গায়ও। প্রশ্ন হলো, সমাজ এই উপস্থিতি কত দ্রুত হজম করতে পারবে এবং ব্যর্থতার দায় নেবে কে।
নীতি, বয়সসীমা ও রেগুলেশন
ওপেনএআই বলছে, প্রাপ্তবয়স্ক যাচাইকৃত ব্যবহারকারীদের জন্য কনটেন্ট সীমা শিথিল করা হবে, যুক্তি দিয়ে যে একজন প্রাপ্তবয়স্ককে প্রাপ্তবয়স্কের মতোই বিবেচনা করতে হবে। সমালোচনা হলো, এতে এআই-চালিত ঘনিষ্ঠতা ও নির্ভরতা আরও দ্রুত গভীর হবে কি না। ঠিক এই সময়েই সরকারগুলো নতুন সাইবার নিয়ম, ডেটা শেয়ারিং চুক্তি ও এআই স্ট্যান্ডার্ড খসড়া করছে। মানে দাঁড়াচ্ছে, ওপেনএআই এখন শুধু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নয়; এটি নীতিনির্ধারণের টেবিলেও বসে গেছে।
এখন আসল প্রশ্ন আস্থা। যদি ওপেনএআই প্রমাণ করতে পারে যে দ্রুত এগিয়েও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তবে গল্পটা তারাই লিখবে। যদি না পারে, তাহলে আইনপ্রণেতারা সীমা টানবেন আরও কঠোর ভাষায়। এই বিতর্ক আর ল্যাবের দেয়ালের ভেতর নেই; এটা এখন সরাসরি রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ঝুঁকি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















