০৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৭,৯১৭ জন—এখন অপেক্ষা মৌখিক পরীক্ষার ঝড়, অগ্নিকাণ্ড আর বন্যা বদলে দিচ্ছে গৃহঋণের অংক: বাড়ছে বীমার খরচ, কমছে নিশ্চয়তা চট্টগ্রাম বন্দরে ট্যারিফ বৃদ্ধি ও বিদেশিদের কাছে টার্মিনাল ছেড়ে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক কেন? শীন রাজবংশের স্থাপত্যে কাঠ ব্যবহারের নতুন তথ্য—২২০০ বছর আগের নির্মাণ রহস্য উন্মোচন কুয়েতে বিশ্ব জ্বালানি সম্মেলনে তরুণদের ভূমিকা—‘ভবিষ্যৎ গড়বে উদ্ভাবন, সহযোগিতা ও টেকসই শক্তি’ ইউক্রেনে রাশিয়ার ধীরচাপ কৌশল: বড় শহর নয়, ক্লান্তিই এখন আসল অস্ত্র প্রযুক্তিগত বিপর্যয় কাটিয়ে পুনরায় আকাশে আলাস্কা এয়ারলাইন্স—তথ্যপ্রযুক্তি ত্রুটিতে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল রাশিয়ার নারীদের ইতিহাসে আলো ফেলে জুলিয়া ইয়োফে—অগ্রগতির ভঙ্গুরতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্লেষণ অন্ধকার পদার্থের অস্তিত্ব প্রমাণে আরও এক ধাপ এগোলেন বিজ্ঞানীরা সূর্যগ্রহণে বিভ্রান্ত পাখিরা, ভোর ভেবে গাইল গান

ব্ল্যাকআউট ঠেকাতে ছাড়: মেরিল্যান্ড পাওয়ার প্ল্যান্টকে অতিরিক্ত চালাতে বলল যুক্তরাষ্ট্র

জ্বালানি নিরাপত্তা বনাম জলবায়ু অঙ্গীকার

মার্কিন জ্বালানি কর্তৃপক্ষ মেরিল্যান্ডের একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিটকে ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত স্বাভাবিক সীমার চেয়ে বেশি অপারেট করতে বলেছে। যুক্তি হলো গ্রিডের স্থিতিশীলতা। পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়েছে — ডেটা সেন্টার, ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জিং, চরম তাপপ্রবাহ আর শীতের পিক-লোড সব মিলিয়ে। কর্তৃপক্ষ মনে করে, এই প্ল্যান্টকে এখন কমিয়ে দিলে হঠাৎ করে দামে ঝাঁকুনি বা আংশিক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিতে পারে। বাস্তবে এর মানে দাঁড়াচ্ছে: নির্গমন কমানোর যে স্বাভাবিক সীমা ছিল, সেটাকে সাময়িকভাবে ঢিলে করা হচ্ছে শুধু যাতে আলো জ্বলতে থাকে।

হোয়াইট হাউস দীর্ঘদিন ধরে বলছে, তারা একসঙ্গে নির্গমন কমাতে, নবায়নযোগ্য বাড়াতে এবং আলো জ্বালিয়ে রাখতে পারবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত দেখাচ্ছে বাস্তবতা অনেক বেশি অস্বস্তিকর। যতদিন না পর্যন্ত ব্যাটারি স্টোরেজ, নতুন ট্রান্সমিশন লাইন আর দ্রুত বসানো নবায়নযোগ্য সক্ষমতা বাস্তবে দাঁড়িয়ে যায়, ততদিন পুরোনো ফসিল ফুয়েল ইউনিটগুলোকেই “জরুরি সমাধান” হিসেবে টেনে রাখা হবে। প্রতিটি এমন ছাড় জলবায়ু প্রতিশ্রুতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে, কারণ বার্তাটি স্পষ্ট — ব্ল্যাকআউট রাজনৈতিকভাবে বেশি ঝুঁকির, ধোঁয়া নয়।

স্থানীয় ছাড়, বৈশ্বিক বার্তা

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই পদক্ষেপ শুধু মেরিল্যান্ডের গল্প নয়; এটা শক্তি রূপান্তরের অস্বস্তিকর সারসংক্ষেপ। ইউরোপ উপকূলের বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প টিকিয়ে রাখতে সংগ্রাম করছে, কিন্তু রাজনৈতিক টানাপোড়েন বাড়ছে। দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়া কয়লা নির্ভরতা কমাতে চায়, কিন্তু দ্রুত সস্তা বিকল্পও দরকার যাতে শিল্প ও কর্মসংস্থান না কাঁপে. বাস্তবতা হলো, ‘সবুজে যাত্রা’ মানে সরল সোজা রাস্তা নয়; মাঝপথে নোংরা সমঝোতা থাকবে।

মার্কিন বার্তাটাও পরিষ্কার: ব্ল্যাকআউট কেউ মেনে নেবে না। তাই প্রয়োজনে পুরোনো ফসিল জেনারেশনকেও সাময়িকভাবে বাঁচিয়ে রাখা হবে, এমনকি সেটা কার্বন প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সংঘাত করলেও।

জনপ্রিয় সংবাদ

বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৭,৯১৭ জন—এখন অপেক্ষা মৌখিক পরীক্ষার

ব্ল্যাকআউট ঠেকাতে ছাড়: মেরিল্যান্ড পাওয়ার প্ল্যান্টকে অতিরিক্ত চালাতে বলল যুক্তরাষ্ট্র

০৩:০২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

জ্বালানি নিরাপত্তা বনাম জলবায়ু অঙ্গীকার

মার্কিন জ্বালানি কর্তৃপক্ষ মেরিল্যান্ডের একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিটকে ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত স্বাভাবিক সীমার চেয়ে বেশি অপারেট করতে বলেছে। যুক্তি হলো গ্রিডের স্থিতিশীলতা। পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়েছে — ডেটা সেন্টার, ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জিং, চরম তাপপ্রবাহ আর শীতের পিক-লোড সব মিলিয়ে। কর্তৃপক্ষ মনে করে, এই প্ল্যান্টকে এখন কমিয়ে দিলে হঠাৎ করে দামে ঝাঁকুনি বা আংশিক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিতে পারে। বাস্তবে এর মানে দাঁড়াচ্ছে: নির্গমন কমানোর যে স্বাভাবিক সীমা ছিল, সেটাকে সাময়িকভাবে ঢিলে করা হচ্ছে শুধু যাতে আলো জ্বলতে থাকে।

হোয়াইট হাউস দীর্ঘদিন ধরে বলছে, তারা একসঙ্গে নির্গমন কমাতে, নবায়নযোগ্য বাড়াতে এবং আলো জ্বালিয়ে রাখতে পারবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত দেখাচ্ছে বাস্তবতা অনেক বেশি অস্বস্তিকর। যতদিন না পর্যন্ত ব্যাটারি স্টোরেজ, নতুন ট্রান্সমিশন লাইন আর দ্রুত বসানো নবায়নযোগ্য সক্ষমতা বাস্তবে দাঁড়িয়ে যায়, ততদিন পুরোনো ফসিল ফুয়েল ইউনিটগুলোকেই “জরুরি সমাধান” হিসেবে টেনে রাখা হবে। প্রতিটি এমন ছাড় জলবায়ু প্রতিশ্রুতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে, কারণ বার্তাটি স্পষ্ট — ব্ল্যাকআউট রাজনৈতিকভাবে বেশি ঝুঁকির, ধোঁয়া নয়।

স্থানীয় ছাড়, বৈশ্বিক বার্তা

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই পদক্ষেপ শুধু মেরিল্যান্ডের গল্প নয়; এটা শক্তি রূপান্তরের অস্বস্তিকর সারসংক্ষেপ। ইউরোপ উপকূলের বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প টিকিয়ে রাখতে সংগ্রাম করছে, কিন্তু রাজনৈতিক টানাপোড়েন বাড়ছে। দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়া কয়লা নির্ভরতা কমাতে চায়, কিন্তু দ্রুত সস্তা বিকল্পও দরকার যাতে শিল্প ও কর্মসংস্থান না কাঁপে. বাস্তবতা হলো, ‘সবুজে যাত্রা’ মানে সরল সোজা রাস্তা নয়; মাঝপথে নোংরা সমঝোতা থাকবে।

মার্কিন বার্তাটাও পরিষ্কার: ব্ল্যাকআউট কেউ মেনে নেবে না। তাই প্রয়োজনে পুরোনো ফসিল জেনারেশনকেও সাময়িকভাবে বাঁচিয়ে রাখা হবে, এমনকি সেটা কার্বন প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সংঘাত করলেও।