০৪:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
কেনিয়ার মাসাই মারায় একা বেঁচে থাকা চিতা শাবককে ঘিরে তর্ক: বাঁচানো নাকি বশ মানানো? অ্যাপলের আইওএস ফাঁসকাণ্ডে লিকার প্রসরের বিরুদ্ধে ডিফল্ট অর্ডার, এখন ঝুঁকিতে পুরো ‘লিক কালচার রুশ ড্রোন হামলায় কিয়েভে মা-মেয়ে নিহত, অন্তত ২৯ জন আহত আসিয়ানে থাই-কাম্বোডিয়া সীমান্ত যুদ্ধবিরতি, ট্রাম্পের সামনে চুক্তি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সহযোগিতায় নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত চলন্ত অবস্থায় জামালপুর এক্সপ্রেসের বগি আলাদা হয়ে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত পাবনায় ট্রাক উল্টে স্কুলছাত্রীসহ তিনজনের মৃত্যু সিঁড়িতে গলায় তার প্যাঁচানো অবস্থায় যুবকের মরদেহ, আতঙ্ক ছড়িয়েছে পুরান ঢাকায় গাইবান্ধায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত স্ত্রী মারা গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্ছেদ অভিযানের পর বাম ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ

বিশ্বের সর্বাধিক বননিধন সত্ত্বেও ব্রাজিল দেখাচ্ছে আশার আলো

বননিধনের ভয়াবহতা

বৃষ্টি-অরণ্য ধ্বংস করা এক গভীর অজ্ঞতার প্রমাণ। ২০২৩ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, ব্রাজিলের আমাজন অঞ্চলের একটি বনভূমি কেটে গবাদি পশু পালনের জন্য ব্যবহারের অর্থনৈতিক লাভের তুলনায় সামাজিক ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ৩০ গুণ বেশি। কারণ, বন ধ্বংসের ক্ষতি—যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব—পুরো বিশ্বের জনগণ বহন করে, অথচ এর মুনাফা পায় কেবল চেইনসো মালিকরাই।

বিশ্বকে এখন এমন একটি উপায় খুঁজতে হবে যাতে বন সংরক্ষণও লাভজনক হয়। তা না পারার ফল দৃশ্যমান—২০২৪ সালে ৬৭ হাজার বর্গকিলোমিটার প্রাচীন অরণ্য ধ্বংস হয়েছে, যা আয়ারল্যান্ডের আকারের সমান এবং ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ২০২১ সালের জলবায়ু সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে বননিধন বন্ধের যে প্রতিশ্রুতি বিশ্বনেতারা দিয়েছিলেন, তা পূরণে এখনো কোনো অগ্রগতি নেই।


জলবায়ু ও আগুনের দুষ্টচক্র

গত বছর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশগুলোর বননিধনের ফলে প্রায় ৩.১ বিলিয়ন টন গ্রিনহাউস গ্যাস বায়ুমণ্ডলে যুক্ত হয়েছে—যা ভারতের জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোয় নির্গত গ্যাসের চেয়েও বেশি। বননিধন এক ভয়ানক প্রতিক্রিয়াশীল চক্র সৃষ্টি করে: গ্যাস নিঃসরণে তাপমাত্রা বাড়ে, এতে উদ্ভিদ শুকিয়ে যায়, অগ্নিকাণ্ড ঘটে—আর তাতেই আরও বেশি গ্যাস নির্গত হয়।

বৃষ্টি-অরণ্যের প্রভাব স্থানীয় আবহাওয়ার উপরও গভীর। গাছের পাতায় জলীয় বাষ্প থেকে তৈরি হয় ‘উড়ন্ত নদী’, যা হাজার কিলোমিটার দূরের কৃষিজমিকে সেচ দেয়। গবেষকেরা আশঙ্কা করছেন, আমাজন এখন এমন এক ‘টিপিং পয়েন্টে’ পৌঁছাতে চলেছে, যেখানে এই জলচক্র ভেঙে গেলে পুরো অরণ্যই ধ্বংসের মুখে পড়বে।

আগামী মাসে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া COP২০২৫ জলবায়ু সম্মেলনে এই বিষয়গুলোই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।


ব্রাজিলের ইতিবাচক দৃষ্টান্ত

যদিও ২০২৪ সালে ব্রাজিলেই সবচেয়ে বেশি বন ধ্বংস হয়েছে, তবে এর কারণ মূলত ভয়াবহ দাবানল। তবু দেশটি দেখাচ্ছে, সঠিক নীতিমালা কীভাবে পরিবর্তন আনতে পারে।

ডানপন্থী নেতা জাইর বলসোনারোর (২০১৯–২০২৩) আমলে বন সংরক্ষণের তেমন প্রচেষ্টা ছিল না। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এবং পরিবেশমন্ত্রী মারিনা সিলভা ‘প্রণোদনা ও শাস্তি’র সমন্বিত নীতি গ্রহণ করেছেন। অবৈধ কাঠচোরদের গ্রেপ্তার এবং অননুমোদিত খনি ধ্বংসের পাশাপাশি, অবৈধভাবে কাটা বনভূমিগুলোকে সরকারি ঋণ সুবিধা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।

লুলার প্রথম মেয়াদে (২০০৩–২০১১) বননিধন ৮০ শতাংশ হ্রাস পায়। ২০২৩ সালে ক্ষমতায় ফিরে তিনি সেই সাফল্য পুনরুদ্ধার করলেও দাবানল পরিস্থিতি আবার কিছুটা উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেয়।


স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও সম্পত্তির অধিকার

রাজনৈতিকভাবে এখনো ইতিবাচক দিক রয়েছে। বলসোনারো যেখানে পরিবেশবাদকে উন্নয়নের অন্তরায় ভাবতেন, সেখানে লুলা সরকার বুঝতে পারছে—বৃষ্টি-অরণ্য ধ্বংস মানে কৃষি অর্থনীতির ক্ষতি।

সরকার এখন আরও গুরুত্ব দিচ্ছে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংরক্ষিত এলাকা রক্ষায়, কারণ তারা বন রক্ষায় প্রমাণিতভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে আমাজন অঞ্চলে জমির মালিকানার জটিলতা নিরসনে কাজ চলছে। স্পষ্ট মালিকানা নির্ধারিত হলে আইন ভঙ্গকারীদের শাস্তি, বা সংরক্ষণকারীদের পুরস্কার দেওয়া সহজ হয়।

ডিজিটাল ইমেজিং প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন কয়েক দিনের মধ্যেই বননিধনের ঘটনা শনাক্ত ও রিপোর্ট করা যায়, যা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করছে।


বিশ্বের জন্য শিক্ষণীয় বার্তা

ব্রাজিলের এই অভিজ্ঞতা অন্য সব বৃষ্টি-অরণ্যসমৃদ্ধ দেশের জন্য উদাহরণ হতে পারে। তবে আফ্রিকার অনেক দেশ, বিশেষত গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, এখনো দুর্বল প্রশাসনের কারণে পিছিয়ে। কঙ্গো সম্প্রতি ভূমি ব্যবহারের নতুন আইন প্রণয়ন করেছে আদিবাসীদের সুরক্ষায়, তবে সরকার এখনো নিজ ভূখণ্ডের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে পৌঁছাতে পারেনি। কিছু স্থানীয় “বন সংরক্ষণে অর্থ প্রণোদনা” প্রকল্পে আশার ইঙ্গিত মিলছে, তবে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো অবকাঠামোর ঘাটতি। রাস্তা তৈরি হলে কাঠচোররা আরও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।

বৃষ্টি-অরণ্য সংরক্ষণ এক বৈশ্বিক দায়িত্ব। তাই বিশ্বের ধনী দেশগুলোকে এর ব্যয়ভার বহন করতে হবে। কিন্তু বিষয়টি এত সহজ নয়। বিদেশি সহায়তার আগ্রহ কমছে, কার্বন ক্রেডিট বাজারও তেমনভাবে এগোয়নি—কারণ অর্থের বিনিময়ে প্রকৃত সংরক্ষণ হচ্ছে কি না, তা যাচাই করা কঠিন।

সবচেয়ে কার্যকর উপায় হতে পারে এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে স্যাটেলাইট চিত্রের মাধ্যমে যাচাই করা হবে—যে দেশ বা অঞ্চল বননিধন ঠেকাতে পেরেছে, তাদের সরাসরি অর্থ প্রদান করা হবে। ব্রাজিল এই ধারণার প্রতি আন্তর্জাতিক আগ্রহ জাগাতে চেষ্টা করছে। তবে দুর্নীতিগ্রস্ত বা দমনমূলক সরকারের ক্ষেত্রে দাতারা আশঙ্কিত থাকে।


বিশ্বের ফুসফুস রক্ষা করতে হলে প্রয়োজন হবে সৃজনশীলতা, কূটনৈতিক বুদ্ধি এবং দূরদৃষ্টির সমন্বয়। ব্রাজিল হয়তো সেই দীর্ঘ সংগ্রামের এক আশাব্যঞ্জক সূচনা দেখাচ্ছে।

#পরিবেশ #বননিধন #ব্রাজিল #আমাজন #জলবায়ুপরিবর্তন #COP2025
জনপ্রিয় সংবাদ

কেনিয়ার মাসাই মারায় একা বেঁচে থাকা চিতা শাবককে ঘিরে তর্ক: বাঁচানো নাকি বশ মানানো?

বিশ্বের সর্বাধিক বননিধন সত্ত্বেও ব্রাজিল দেখাচ্ছে আশার আলো

১২:১৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

বননিধনের ভয়াবহতা

বৃষ্টি-অরণ্য ধ্বংস করা এক গভীর অজ্ঞতার প্রমাণ। ২০২৩ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, ব্রাজিলের আমাজন অঞ্চলের একটি বনভূমি কেটে গবাদি পশু পালনের জন্য ব্যবহারের অর্থনৈতিক লাভের তুলনায় সামাজিক ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ৩০ গুণ বেশি। কারণ, বন ধ্বংসের ক্ষতি—যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব—পুরো বিশ্বের জনগণ বহন করে, অথচ এর মুনাফা পায় কেবল চেইনসো মালিকরাই।

বিশ্বকে এখন এমন একটি উপায় খুঁজতে হবে যাতে বন সংরক্ষণও লাভজনক হয়। তা না পারার ফল দৃশ্যমান—২০২৪ সালে ৬৭ হাজার বর্গকিলোমিটার প্রাচীন অরণ্য ধ্বংস হয়েছে, যা আয়ারল্যান্ডের আকারের সমান এবং ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ২০২১ সালের জলবায়ু সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে বননিধন বন্ধের যে প্রতিশ্রুতি বিশ্বনেতারা দিয়েছিলেন, তা পূরণে এখনো কোনো অগ্রগতি নেই।


জলবায়ু ও আগুনের দুষ্টচক্র

গত বছর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশগুলোর বননিধনের ফলে প্রায় ৩.১ বিলিয়ন টন গ্রিনহাউস গ্যাস বায়ুমণ্ডলে যুক্ত হয়েছে—যা ভারতের জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোয় নির্গত গ্যাসের চেয়েও বেশি। বননিধন এক ভয়ানক প্রতিক্রিয়াশীল চক্র সৃষ্টি করে: গ্যাস নিঃসরণে তাপমাত্রা বাড়ে, এতে উদ্ভিদ শুকিয়ে যায়, অগ্নিকাণ্ড ঘটে—আর তাতেই আরও বেশি গ্যাস নির্গত হয়।

বৃষ্টি-অরণ্যের প্রভাব স্থানীয় আবহাওয়ার উপরও গভীর। গাছের পাতায় জলীয় বাষ্প থেকে তৈরি হয় ‘উড়ন্ত নদী’, যা হাজার কিলোমিটার দূরের কৃষিজমিকে সেচ দেয়। গবেষকেরা আশঙ্কা করছেন, আমাজন এখন এমন এক ‘টিপিং পয়েন্টে’ পৌঁছাতে চলেছে, যেখানে এই জলচক্র ভেঙে গেলে পুরো অরণ্যই ধ্বংসের মুখে পড়বে।

আগামী মাসে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া COP২০২৫ জলবায়ু সম্মেলনে এই বিষয়গুলোই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।


ব্রাজিলের ইতিবাচক দৃষ্টান্ত

যদিও ২০২৪ সালে ব্রাজিলেই সবচেয়ে বেশি বন ধ্বংস হয়েছে, তবে এর কারণ মূলত ভয়াবহ দাবানল। তবু দেশটি দেখাচ্ছে, সঠিক নীতিমালা কীভাবে পরিবর্তন আনতে পারে।

ডানপন্থী নেতা জাইর বলসোনারোর (২০১৯–২০২৩) আমলে বন সংরক্ষণের তেমন প্রচেষ্টা ছিল না। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এবং পরিবেশমন্ত্রী মারিনা সিলভা ‘প্রণোদনা ও শাস্তি’র সমন্বিত নীতি গ্রহণ করেছেন। অবৈধ কাঠচোরদের গ্রেপ্তার এবং অননুমোদিত খনি ধ্বংসের পাশাপাশি, অবৈধভাবে কাটা বনভূমিগুলোকে সরকারি ঋণ সুবিধা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।

লুলার প্রথম মেয়াদে (২০০৩–২০১১) বননিধন ৮০ শতাংশ হ্রাস পায়। ২০২৩ সালে ক্ষমতায় ফিরে তিনি সেই সাফল্য পুনরুদ্ধার করলেও দাবানল পরিস্থিতি আবার কিছুটা উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেয়।


স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও সম্পত্তির অধিকার

রাজনৈতিকভাবে এখনো ইতিবাচক দিক রয়েছে। বলসোনারো যেখানে পরিবেশবাদকে উন্নয়নের অন্তরায় ভাবতেন, সেখানে লুলা সরকার বুঝতে পারছে—বৃষ্টি-অরণ্য ধ্বংস মানে কৃষি অর্থনীতির ক্ষতি।

সরকার এখন আরও গুরুত্ব দিচ্ছে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংরক্ষিত এলাকা রক্ষায়, কারণ তারা বন রক্ষায় প্রমাণিতভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে আমাজন অঞ্চলে জমির মালিকানার জটিলতা নিরসনে কাজ চলছে। স্পষ্ট মালিকানা নির্ধারিত হলে আইন ভঙ্গকারীদের শাস্তি, বা সংরক্ষণকারীদের পুরস্কার দেওয়া সহজ হয়।

ডিজিটাল ইমেজিং প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন কয়েক দিনের মধ্যেই বননিধনের ঘটনা শনাক্ত ও রিপোর্ট করা যায়, যা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করছে।


বিশ্বের জন্য শিক্ষণীয় বার্তা

ব্রাজিলের এই অভিজ্ঞতা অন্য সব বৃষ্টি-অরণ্যসমৃদ্ধ দেশের জন্য উদাহরণ হতে পারে। তবে আফ্রিকার অনেক দেশ, বিশেষত গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, এখনো দুর্বল প্রশাসনের কারণে পিছিয়ে। কঙ্গো সম্প্রতি ভূমি ব্যবহারের নতুন আইন প্রণয়ন করেছে আদিবাসীদের সুরক্ষায়, তবে সরকার এখনো নিজ ভূখণ্ডের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে পৌঁছাতে পারেনি। কিছু স্থানীয় “বন সংরক্ষণে অর্থ প্রণোদনা” প্রকল্পে আশার ইঙ্গিত মিলছে, তবে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো অবকাঠামোর ঘাটতি। রাস্তা তৈরি হলে কাঠচোররা আরও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।

বৃষ্টি-অরণ্য সংরক্ষণ এক বৈশ্বিক দায়িত্ব। তাই বিশ্বের ধনী দেশগুলোকে এর ব্যয়ভার বহন করতে হবে। কিন্তু বিষয়টি এত সহজ নয়। বিদেশি সহায়তার আগ্রহ কমছে, কার্বন ক্রেডিট বাজারও তেমনভাবে এগোয়নি—কারণ অর্থের বিনিময়ে প্রকৃত সংরক্ষণ হচ্ছে কি না, তা যাচাই করা কঠিন।

সবচেয়ে কার্যকর উপায় হতে পারে এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে স্যাটেলাইট চিত্রের মাধ্যমে যাচাই করা হবে—যে দেশ বা অঞ্চল বননিধন ঠেকাতে পেরেছে, তাদের সরাসরি অর্থ প্রদান করা হবে। ব্রাজিল এই ধারণার প্রতি আন্তর্জাতিক আগ্রহ জাগাতে চেষ্টা করছে। তবে দুর্নীতিগ্রস্ত বা দমনমূলক সরকারের ক্ষেত্রে দাতারা আশঙ্কিত থাকে।


বিশ্বের ফুসফুস রক্ষা করতে হলে প্রয়োজন হবে সৃজনশীলতা, কূটনৈতিক বুদ্ধি এবং দূরদৃষ্টির সমন্বয়। ব্রাজিল হয়তো সেই দীর্ঘ সংগ্রামের এক আশাব্যঞ্জক সূচনা দেখাচ্ছে।

#পরিবেশ #বননিধন #ব্রাজিল #আমাজন #জলবায়ুপরিবর্তন #COP2025