০২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
কিউবার পথে সর্বনাশের ছায়া ভেনিজুয়েলার তেলে মার্কিন অবরোধে দ্বীপ রাষ্ট্রে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা সৌদি সম্মানে ভূষিত পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির, দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্কে নতুন বার্তা ভ্যান্সকে ঘিরে ডানপন্থীদের নতুন সমীকরণ, ২০২৮ দৌড়ে আগাম প্রস্তুতি শুরু স্বাস্থ্য উপহারই এবার উৎসবের নতুন ট্রেন্ড চীনা প্রযুক্তিতে মার্কিন বিনিয়োগে কড়াকড়ি, নতুন আইনে নজরদারি ও প্রতিরক্ষা খাতে বড় বাঁক ক্ষমতার সীমা ভাঙার বছর ট্রাম্পের, বিতর্ক আর দ্রুত সিদ্ধান্তে কাঁপল হোয়াইট হাউস শহরের স্পন্দনে কুপ্রা: সিটি গ্যারেজে বদলে যাচ্ছে নগর সংস্কৃতির মানচিত্র ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত, ঋণের চাপ আর সংস্কারের চ্যালেঞ্জ: শ্রীলঙ্কা এক সংকটে আটকে পড়েছে জিএমের বৈশ্বিক দৌড় ফর্মুলা ওয়ানকে হাতিয়ার করে নতুন বাজারে আমেরিকার অটো জায়ান্ট মাদুরো পতনের ছক কি যুদ্ধ ডেকে আনবে ক্যারিবিয়ানে

শি–ট্রাম্প শীর্ষ বৈঠকঃ পশ্চিমা থিঙ্ক ট্যাংকের মতে অস্থায়ী যুদ্ধ বিরতি

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সাম্প্রতিক শীর্ষ বৈঠকে শুল্ক শিথিলকরণ, কৃষিপণ্য কেনা পুনরায় শুরু এবং রেয়ার আর্থস রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ স্থগিতের মতো পদক্ষেপে উত্তেজনা সাময়িকভাবে কমেছে। তবে প্রযুক্তি, শিল্পনীতির অতিরিক্ত সক্ষমতা, নিরাপত্তা ঝুঁকি ও তাইওয়ান প্রশ্নে মৌলিক মতপার্থক্য অমীমাংসিত থাকায় বিশ্লেষকদের চোখে এটি আপাতত একটি ‘অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি’।

• শুল্ক শিথিলকরণ: যুক্তরাষ্ট্র ফেন্টানিল–সম্পর্কিত চীনা পণ্যে শুল্ক ১০ শতাংশ পয়েন্ট কমাবে; সামগ্রিক গড় শুল্ক ৫৭% থেকে ৪৭%।
• বেইজিংয়ের প্রতিশ্রুতি: যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিনসহ কৃষিপণ্য কেনা পুনরায় শুরু; রেয়ার আর্থস–এ কঠোর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এক বছর স্থগিত।
• ভূরাজনীতি: ইউক্রেন ইস্যুতে শান্তির পথ নিয়ে কথা হলেও তাইওয়ান প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়া—দীর্ঘমেয়াদে অনিশ্চয়তা বজায়।

মূল রাজনৈতিক–অর্থনৈতিক সংকেত

• শুল্ক শিথিলকরণে বাজারে স্বস্তির ইঙ্গিত, তবে স্থায়িত্ব বাস্তবায়নের গতির ওপর নির্ভরশীল।
• কৃষিপণ্য কেনা পুনরায় শুরু হলেও পরিমাণ ‘সীমিত’ থাকলে মার্কিন সয়াবিন খাত চীনা চাপের ঝুঁকিতে থাকবে।
• রেয়ার আর্থস–এ এক বছরের স্থগিত নিয়ন্ত্রণ সরবরাহ শৃঙ্খলে তাৎক্ষণিক চাপ কমালেও কৌশলগত নির্ভরতা রয়ে যায়।

China agrees to purchase 25 million metric tons of U.S. soybeans annually, treasury secretary says - Newsday

সিএসআইএস–এর মূল্যায়ন

ফিলিপ লাক ও হিউ গ্রান্ট-চ্যাপম্যান মনে করেন, সমঝোতা হলেও চীনের সয়াবিন কেনা সীমিত থাকার আশঙ্কা আছে। ওয়াশিংটনের হিসেবে ২০২৫ সালের বাকি সময়ে চীন ১ কোটি ২০ লাখ টন আমেরিকান সয়াবিন কেনার কথা বললেও বেইজিং আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি। তাদের পরামর্শ—বাজার বহুমুখীকরণ জরুরি, নইলে ঝুঁকি অটুট।

সিএফআর–এর মত

ডেভিড স্যাক্স এই ফলাফলকে “অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি” বলেন; মৌলিক মতভেদ রয়ে গেছে। ট্রাম্প বিস্তৃত বাণিজ্যচুক্তি ও যুক্তরাষ্ট্রে চীনা বিনিয়োগের ইঙ্গিত দিলেও স্যাক্সের মতে, বর্তমান পর্বে চীন আপেক্ষিকভাবে শক্ত অবস্থানে।

কার্নেগি এনডাউমেন্ট–এর দৃষ্টিভঙ্গি

জেমস অ্যাকটন মনে করেন, “চাপ দিয়ে চীনকে আলোচনায় টানা” কৌশল কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কম; কৌশলগত ছাড় আদায় কঠিন হবে।

Trump cuts tariffs on China, hails rare earth deal after meeting Xi | Daily Sabah

ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন–এর পাঠ

মাইকেল ও’হ্যানলন বৈঠককে “ছোট কিন্তু ইতিবাচক সাফল্য” আখ্যা দেন—যুদ্ধঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সামান্য অগ্রগতিও মূল্যবান। তবে কাঠামোগত পরিবর্তন হয়নি।

এএসপিআই–এর বিশ্লেষণ

ওয়েন্ডি কাটলার মনে করেন, উত্তেজনা প্রশমনে বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও চীনের উদ্বৃত্ত উৎপাদনক্ষমতা ও কিছু নির্দিষ্ট বাণিজ্যচর্চার মতো “ঢাঁচাগত” প্রশ্ন যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে তোলে না—ফলে অস্ত্রবিরতি স্বল্পস্থায়ী হতে পারে। ররি ড্যানিয়েলসের মতে, বুসানে তাইওয়ান প্রসঙ্গ না ওঠায় তাৎক্ষণিক স্বস্তি মিললেও এর অনুপস্থিতি দীর্ঘমেয়াদে কী বার্তা দেয়, তা নিয়ে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

পিআইইই–এর মন্তব্য

মার্কাস নোল্যান্ড ফেন্টানিল–সংশ্লিষ্ট শুল্কছাড়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ ফেন্টানিল–নির্ভর আসক্তি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সংকট।

চ্যাথাম হাউস–এর দৃষ্টিভঙ্গি

লরেল র‌্যাপ ও ম্যাক্স ইয়োয়েলি মনে করেন, শীর্ষ বৈঠক মিত্রদের জন্য বার্তা—শুধু “ঝুঁকি কমানো” নয়, বাস্তবায়নযোগ্য স্থিতিস্থাপকতা–পরিকল্পনা নিতে হবে; একদিকে চীনের দৃঢ়তা, অন্যদিকে আমেরিকার নীতির অনিশ্চয়তা—দুটিই মাথায় রেখে।

Trump, Xi, and Europe's de-risking dilemma. A conversation with Noah Barkin - Decode39

রোডিয়াম গ্রুপ–এর সতর্কতা

নোয়া বারকিনের মতে, রেয়ার আর্থস–এ যুক্তরাষ্ট্র–চীন দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা হলে ইউরোপ উপেক্ষিত হতে পারে; এতে জি–সেভেন বা আন্তঃআটলান্টিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা–সমন্বয় দুর্বল হবে। আগামী ৫–১০ বছরে ইউরোপের করণীয়—“ঝুঁকি–হ্রাস” কথার বাইরে গিয়ে সরবরাহ শৃঙ্খলকে চীনের বাইরে বাস্তবে বহুমুখী করা, বিশেষত রেয়ার আর্থস–এ দুর্বলতা কাটানো।

মার্টেন্স সেন্টার–এর বিশ্লেষণ

জসুজা আন্না ফেরেন্‌চি মনে করেন, সমঝোতা মূলত দু’পক্ষের জন্য সময় কেনা—দীর্ঘমেয়াদি প্রতিযোগিতা ম্যানেজ করার অবকাশ। ইউক্রেনের মতো জটিলতা এড়িয়ে বাণিজ্য–কেন্দ্রিক ফোকাসের ইঙ্গিত মিলেছে। তার মতে, রেয়ার আর্থস–এ চীন বেশি চাপ দেখিয়েছে; ইউরোপে প্রায়–একচেটিয়াত্ব নিয়ে উদ্বেগ থাকায় “সমষ্টিগত পদক্ষেপ” নেওয়ার আগ্রহ বাড়বে—চীনের এই পণ্যকে “অস্ত্র” হিসেবে ব্যবহারের পাল্টা জবাব গড়তে।

 ট্রুস—কিন্তু পরীক্ষার বাকি

বৈঠক তাৎক্ষণিক উত্তেজনা প্রশমিত করেছে—শুল্কে শিথিলতা, কৃষিপণ্য কেনা, রেয়ার আর্থস–এ স্থগিত নিয়ন্ত্রণ—সব মিলিয়ে বাজারে স্বস্তি। কিন্তু প্রযুক্তি, শিল্প–নীতির উদ্বৃত্ত সক্ষমতা, নিরাপত্তা–ঝুঁকি ও তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বন্দ্ব অমীমাংসিত। তাই এটি অনেকের চোখে “অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি”; স্থায়িত্ব পেতে হলে বাস্তবায়নের গতি, স্বচ্ছতা এবং পরবর্তী পর্যায়ের গভীর সমঝোতাই নির্ণায়ক।

#যুক্তরাষ্ট্র_চীন #শি_ট্রাম্প_বৈঠক #শুল্ক #সয়াবিন #রেয়ার_আর্থস #ভূরাজনীতি #থিঙ্ক_ট্যাংক #ইউক্রেন #তাইওয়ান #বাণিজ্যনীতি

জনপ্রিয় সংবাদ

কিউবার পথে সর্বনাশের ছায়া ভেনিজুয়েলার তেলে মার্কিন অবরোধে দ্বীপ রাষ্ট্রে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা

শি–ট্রাম্প শীর্ষ বৈঠকঃ পশ্চিমা থিঙ্ক ট্যাংকের মতে অস্থায়ী যুদ্ধ বিরতি

০৭:১৬:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সাম্প্রতিক শীর্ষ বৈঠকে শুল্ক শিথিলকরণ, কৃষিপণ্য কেনা পুনরায় শুরু এবং রেয়ার আর্থস রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ স্থগিতের মতো পদক্ষেপে উত্তেজনা সাময়িকভাবে কমেছে। তবে প্রযুক্তি, শিল্পনীতির অতিরিক্ত সক্ষমতা, নিরাপত্তা ঝুঁকি ও তাইওয়ান প্রশ্নে মৌলিক মতপার্থক্য অমীমাংসিত থাকায় বিশ্লেষকদের চোখে এটি আপাতত একটি ‘অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি’।

• শুল্ক শিথিলকরণ: যুক্তরাষ্ট্র ফেন্টানিল–সম্পর্কিত চীনা পণ্যে শুল্ক ১০ শতাংশ পয়েন্ট কমাবে; সামগ্রিক গড় শুল্ক ৫৭% থেকে ৪৭%।
• বেইজিংয়ের প্রতিশ্রুতি: যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিনসহ কৃষিপণ্য কেনা পুনরায় শুরু; রেয়ার আর্থস–এ কঠোর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এক বছর স্থগিত।
• ভূরাজনীতি: ইউক্রেন ইস্যুতে শান্তির পথ নিয়ে কথা হলেও তাইওয়ান প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়া—দীর্ঘমেয়াদে অনিশ্চয়তা বজায়।

মূল রাজনৈতিক–অর্থনৈতিক সংকেত

• শুল্ক শিথিলকরণে বাজারে স্বস্তির ইঙ্গিত, তবে স্থায়িত্ব বাস্তবায়নের গতির ওপর নির্ভরশীল।
• কৃষিপণ্য কেনা পুনরায় শুরু হলেও পরিমাণ ‘সীমিত’ থাকলে মার্কিন সয়াবিন খাত চীনা চাপের ঝুঁকিতে থাকবে।
• রেয়ার আর্থস–এ এক বছরের স্থগিত নিয়ন্ত্রণ সরবরাহ শৃঙ্খলে তাৎক্ষণিক চাপ কমালেও কৌশলগত নির্ভরতা রয়ে যায়।

China agrees to purchase 25 million metric tons of U.S. soybeans annually, treasury secretary says - Newsday

সিএসআইএস–এর মূল্যায়ন

ফিলিপ লাক ও হিউ গ্রান্ট-চ্যাপম্যান মনে করেন, সমঝোতা হলেও চীনের সয়াবিন কেনা সীমিত থাকার আশঙ্কা আছে। ওয়াশিংটনের হিসেবে ২০২৫ সালের বাকি সময়ে চীন ১ কোটি ২০ লাখ টন আমেরিকান সয়াবিন কেনার কথা বললেও বেইজিং আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি। তাদের পরামর্শ—বাজার বহুমুখীকরণ জরুরি, নইলে ঝুঁকি অটুট।

সিএফআর–এর মত

ডেভিড স্যাক্স এই ফলাফলকে “অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি” বলেন; মৌলিক মতভেদ রয়ে গেছে। ট্রাম্প বিস্তৃত বাণিজ্যচুক্তি ও যুক্তরাষ্ট্রে চীনা বিনিয়োগের ইঙ্গিত দিলেও স্যাক্সের মতে, বর্তমান পর্বে চীন আপেক্ষিকভাবে শক্ত অবস্থানে।

কার্নেগি এনডাউমেন্ট–এর দৃষ্টিভঙ্গি

জেমস অ্যাকটন মনে করেন, “চাপ দিয়ে চীনকে আলোচনায় টানা” কৌশল কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কম; কৌশলগত ছাড় আদায় কঠিন হবে।

Trump cuts tariffs on China, hails rare earth deal after meeting Xi | Daily Sabah

ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন–এর পাঠ

মাইকেল ও’হ্যানলন বৈঠককে “ছোট কিন্তু ইতিবাচক সাফল্য” আখ্যা দেন—যুদ্ধঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সামান্য অগ্রগতিও মূল্যবান। তবে কাঠামোগত পরিবর্তন হয়নি।

এএসপিআই–এর বিশ্লেষণ

ওয়েন্ডি কাটলার মনে করেন, উত্তেজনা প্রশমনে বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও চীনের উদ্বৃত্ত উৎপাদনক্ষমতা ও কিছু নির্দিষ্ট বাণিজ্যচর্চার মতো “ঢাঁচাগত” প্রশ্ন যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে তোলে না—ফলে অস্ত্রবিরতি স্বল্পস্থায়ী হতে পারে। ররি ড্যানিয়েলসের মতে, বুসানে তাইওয়ান প্রসঙ্গ না ওঠায় তাৎক্ষণিক স্বস্তি মিললেও এর অনুপস্থিতি দীর্ঘমেয়াদে কী বার্তা দেয়, তা নিয়ে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

পিআইইই–এর মন্তব্য

মার্কাস নোল্যান্ড ফেন্টানিল–সংশ্লিষ্ট শুল্কছাড়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ ফেন্টানিল–নির্ভর আসক্তি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সংকট।

চ্যাথাম হাউস–এর দৃষ্টিভঙ্গি

লরেল র‌্যাপ ও ম্যাক্স ইয়োয়েলি মনে করেন, শীর্ষ বৈঠক মিত্রদের জন্য বার্তা—শুধু “ঝুঁকি কমানো” নয়, বাস্তবায়নযোগ্য স্থিতিস্থাপকতা–পরিকল্পনা নিতে হবে; একদিকে চীনের দৃঢ়তা, অন্যদিকে আমেরিকার নীতির অনিশ্চয়তা—দুটিই মাথায় রেখে।

Trump, Xi, and Europe's de-risking dilemma. A conversation with Noah Barkin - Decode39

রোডিয়াম গ্রুপ–এর সতর্কতা

নোয়া বারকিনের মতে, রেয়ার আর্থস–এ যুক্তরাষ্ট্র–চীন দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা হলে ইউরোপ উপেক্ষিত হতে পারে; এতে জি–সেভেন বা আন্তঃআটলান্টিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা–সমন্বয় দুর্বল হবে। আগামী ৫–১০ বছরে ইউরোপের করণীয়—“ঝুঁকি–হ্রাস” কথার বাইরে গিয়ে সরবরাহ শৃঙ্খলকে চীনের বাইরে বাস্তবে বহুমুখী করা, বিশেষত রেয়ার আর্থস–এ দুর্বলতা কাটানো।

মার্টেন্স সেন্টার–এর বিশ্লেষণ

জসুজা আন্না ফেরেন্‌চি মনে করেন, সমঝোতা মূলত দু’পক্ষের জন্য সময় কেনা—দীর্ঘমেয়াদি প্রতিযোগিতা ম্যানেজ করার অবকাশ। ইউক্রেনের মতো জটিলতা এড়িয়ে বাণিজ্য–কেন্দ্রিক ফোকাসের ইঙ্গিত মিলেছে। তার মতে, রেয়ার আর্থস–এ চীন বেশি চাপ দেখিয়েছে; ইউরোপে প্রায়–একচেটিয়াত্ব নিয়ে উদ্বেগ থাকায় “সমষ্টিগত পদক্ষেপ” নেওয়ার আগ্রহ বাড়বে—চীনের এই পণ্যকে “অস্ত্র” হিসেবে ব্যবহারের পাল্টা জবাব গড়তে।

 ট্রুস—কিন্তু পরীক্ষার বাকি

বৈঠক তাৎক্ষণিক উত্তেজনা প্রশমিত করেছে—শুল্কে শিথিলতা, কৃষিপণ্য কেনা, রেয়ার আর্থস–এ স্থগিত নিয়ন্ত্রণ—সব মিলিয়ে বাজারে স্বস্তি। কিন্তু প্রযুক্তি, শিল্প–নীতির উদ্বৃত্ত সক্ষমতা, নিরাপত্তা–ঝুঁকি ও তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বন্দ্ব অমীমাংসিত। তাই এটি অনেকের চোখে “অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি”; স্থায়িত্ব পেতে হলে বাস্তবায়নের গতি, স্বচ্ছতা এবং পরবর্তী পর্যায়ের গভীর সমঝোতাই নির্ণায়ক।

#যুক্তরাষ্ট্র_চীন #শি_ট্রাম্প_বৈঠক #শুল্ক #সয়াবিন #রেয়ার_আর্থস #ভূরাজনীতি #থিঙ্ক_ট্যাংক #ইউক্রেন #তাইওয়ান #বাণিজ্যনীতি