চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ব্যাংকক যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এ এন এম ইহসানুল হক মিলন। তিনি সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন, কেন তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো এবং এর পেছনে কোনো বিভ্রান্তি বা ভুল তথ্য আছে কি না, তা পরিষ্কার করতে বলেছেন।
চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না পারার অভিযোগ
বিএনপি নেতা এ এন এম ইহসানুল হক মিলন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক যাওয়ার উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে তাকে বাধা দেওয়া হয়। সেখানে জানতে পারেন, তার নামে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “কেন আমার বিদেশ যাত্রায় এই নিষেধাজ্ঞা?”
প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মিলন বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চাইলেও কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা তিনি পাননি। “আমি সরকারের কাছে জানতে চাই, কেন আমাকে বিদেশ যেতে দেওয়া হয়নি,” তিনি বলেন।
২০২৪ সালের গণআন্দোলনের পরবর্তী সরকার প্রসঙ্গে মন্তব্য
মিলন বলেন, “এই সরকার ২০২৪ সালের মহান গণআন্দোলনের পর গঠিত। আমাদের দল বিএনপি শুরু থেকেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এবং তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, বর্তমান সরকার কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার ভুল তথ্য বা ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হবে না। আমি আশা করি, সরকার আমারসহ দেশের সব নাগরিকের সাংবিধানিক, নাগরিক ও মানবাধিকার রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।”
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ও আইনের প্রতি অঙ্গীকার
সাবেক প্রতিমন্ত্রী জানান, তিনি সব সময় রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থেকেছেন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। “দেশ ও জনগণের কল্যাণে আমি সরকারের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত,” তিনি বলেন।
দেশপ্রেমে নাগরিকত্ব ত্যাগের সিদ্ধান্ত
মিলন বলেন, দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট ত্যাগ করে রাজনীতিতে যুক্ত হন। “আমি দেশের মানুষকে ভালোবাসি, তাই তাদের পাশে থাকতে চাই,” বলেন তিনি।
অতীতের অভিজ্ঞতা ও অভিযোগ
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ অনেক বিরোধী নেতা-নেত্রীকে বিদেশ যেতে দেওয়া হয়নি।
মিলন আরও জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনিও একাধিকবার বিদেশে যেতে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। পরে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন, এবং দেশের সর্বোচ্চ আদালত সরকারকে নির্দেশ দেয় যেন তাকে বিদেশ যাত্রায় কোনো বাধা না দেওয়া হয় এবং তিনি ফিরে আসতে পারেন।
বিএনপি নেতা এ এন এম ইহসানুল হক মিলন সরকারের কাছে তার বিদেশ যাত্রা নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চেয়ে স্বচ্ছ ব্যাখ্যা দাবি করেছেন এবং একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন।
#বিএনপি #মিলন #সরকার #ভ্রমণ_নিষেধাজ্ঞা #চিকিৎসা #রাজনীতি #ইহসানুল_হক_মিলন #ড_মুহাম্মদ_ইউনুস #প্রেস_ক্লাব #গণআন্দোলন
সারাক্ষণ রিপোর্ট 

























