সমকালের একটি শিরোনাম “প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা”
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধান। সাক্ষাতে আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি ও ভোটের সময়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় রাখা ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট আয়োজনের বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন তিন বাহিনীর প্রধান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গত ১৫ মাসে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছে। আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে সেজন্যও তিন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বতীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।
বৈঠকে আগামী ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান তিন বাহিনীর প্রধান।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার সেনাসদস্য”
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “এলএনজি জোগানের ক্ষেত্রে ব্যয়বহুল পথেই রয়েছে বাংলাদেশ”
দেশে গ্যাসের ঘাটতি মেটাতে ব্যয়বহুল তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরেও ৫৫ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে পেট্রোবাংলার। উচ্চমূল্যের এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে প্রায় ২৯ শতাংশ কার্গো স্পট মার্কেট থেকে কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি ক্রয়চুক্তির চেয়ে স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম বরাবরই বেশি। ফলে বিগত সময়ে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে প্রাধান্য দেয়া হলে সাশ্রয়ী মূল্যে আরো বেশি এলএনজি কেনার সুযোগ ছিল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাতে একদিকে যেমন স্পট মার্কেট থেকে কার্গো আমদানি কম হতো, অন্যদিকে এলএনজি কিনতে পেট্রোবাংলার বিপুল পরিমাণ ব্যয় সাশ্রয় করা যেত।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যমান ও নতুন চুক্তির আওতায় দেশে এলএনজি কার্গো আসবে ৭১টি। অন্যদিকে স্পট মার্কেট থেকে মোট ৩৩টি কার্গো কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দামের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, প্রতি ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজির দাম দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে পড়ছে ৯ থেকে ১১ ডলারের মধ্যে। সেখানে স্পট মার্কেট থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৪ ডলার। যদিও স্পট মার্কেট থেকে এমএস আরামকো ট্রেডিং সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে পেট্রোবাংলার সর্বশেষ কেনা কার্গোটির প্রতি এমএমবিটিইউর দাম পড়েছে ১১ ডলার ৮৮ সেন্ট করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলএনজি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত ব্যয়বহুল জ্বালানি। ক্ষমতাচ্যুত বিগত সরকার এলএনজি কেনার ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী মূল্য ও দীর্ঘ সময়ের নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের বিষয়টি গুরুত্ব দিলে আরো বেশি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির সুযোগ গ্রহণ করা সম্ভব হতো। এতে স্পট মার্কেট এড়িয়ে কম মূল্যে এলএনজি কেনা যেত। বর্তমানে পেট্রোবাংলার এলএনজি আমদানির প্রাক্কলনে স্পট থেকে অনেকগুলো কার্গো কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। এ এলএনজির বড় অংশ দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি থেকে পাওয়া গেলে বিপুল অর্থ সাশ্রয় হতো।
সারাক্ষণ ডেস্ক 



















