০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
১৫শ শতকের চিত্রশিল্পী কীভাবে এক সংশয়ীকে বিশ্বাস খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারেন? জাপানে সিচুয়ান ক্লাসিকের উমামি স্বাদ তেরো ভাষায় রোসালিয়ার ‘লাক্স’: নারীত্ব, বিশ্বাস ও প্রেমের নির্মমতার এক সঙ্গীতযাত্রা সিওরাক পর্বতের পাদদেশে ৫০০ বছরের পুরনো সাঙডোমুন গ্রাম , ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যের মিলনস্থল ডোপামিন ডিটক্স: অতিরিক্ত চিন্তা থামানোর এক বিজ্ঞানভিত্তিক উপায় এরি ক্যানাল: একটি মানবসৃষ্ট জলপথ যা আমেরিকাকে রূপান্তরিত করেছে বিএনপি প্রার্থী গুলিবিদ্ধ: নির্বাচন ঘিরে কোন অশনি সংকেত? দুর্যোগ পরবর্তী সহায়তা: একত্রিত হয়ে নতুন জীবন গড়ার সংগ্রাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জকসু নির্বাচন নিয়ে তীব্র বিতর্ক মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬৩)

আমেরিকার তরুণ রিপাবলিকানদের ভেতর দ্বন্দ্ব:ট্রাম্প যুগের পর তরুণ রাজনীতিতে ভাঙনের সুর

ট্রাম্প-পরবর্তী তরুণ ভোটে রিপাবলিকানদের চ্যালেঞ্জ

২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনের ক্ষেত্রে তরুণ ভোটারদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। পিউ রিসার্চের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের প্রতি বিরূপতা ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে কমেছে—ফারাক কমেছে ৩০ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশে। এটি প্রমাণ করে যে তরুণ ভোটারদের মধ্যে রিপাবলিকান দলের প্রভাব কিছুটা বাড়ছে।

কিন্তু টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ড এই অগ্রগতিতে বড় ধাক্কা দিতে পারে। সংগঠনটি মূলত কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল, কিন্তু অনেক তরুণ রক্ষণশীলদের মতে, এটি একক নেতৃত্বনির্ভর ছিল এবং কার্কের ব্যক্তিগত ক্যারিশমাই সংগঠনটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।

অনেক রিপাবলিকান মনে করেন, দলের তরুণ ভোটে সাফল্য টার্নিং পয়েন্টের ওপর নির্ভর না করেও অর্জন করা সম্ভব।

ঐতিহাসিক শিকড় থেকে বিভক্ত বর্তমান

১৮৯২ সালে পেনসিলভানিয়ার ভবিষ্যৎ কংগ্রেস সদস্য জেমস এফ. বার্ক মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করেন আমেরিকান রিপাবলিকান কলেজ লীগ—যা পরে কলেজ রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি (CRNC) নামে পরিচিত হয়।

এই সংগঠন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ থেকে শুরু করে এমনকি সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন—যিনি আইন বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে রিপাবলিকান যুবসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন—সবাই কোনো না কোনো সময় এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সংগঠনের ঐক্য ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে চারটি প্রতিদ্বন্দ্বী কলেজ রিপাবলিকান সংগঠন সক্রিয়—

  1. কলেজ রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি (CRNC)
  2. কলেজ রিপাবলিকানস ইউনাইটেড (CRU)
  3. ন্যাশনাল ফেডারেশন অব কলেজ রিপাবলিকানস
  4. কলেজ রিপাবলিকানস অব আমেরিকা

প্রত্যেকেই দাবি করে, তারা-ই ট্রাম্প-সমর্থিত MAGA আদর্শের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করছে। কিন্তু পরস্পরের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব এবং নেতৃত্বের বিরোধ সংগঠনকে দুর্বল করে তুলেছে।

ডেমোক্র্যাটদের স্থিতিশীলতা ও রিপাবলিকানদের বিভাজন

ডেমোক্র্যাটদের সমপর্যায়ের সংগঠন, যেমন কলেজ ডেমোক্র্যাটস অব আমেরিকা বা ইয়াং রিপাবলিকান ন্যাশনাল ফেডারেশন—তেমন বিভাজনের মুখে পড়েনি। তবে ইয়াং রিপাবলিকানদের নিউইয়র্ক শাখা বর্ণবাদী ও ইহুদিবিদ্বেষী মন্তব্যের অভিযোগে বিলুপ্ত হয়, যা সংগঠনটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।

পতনের শুরু: ২০০২ সালের আইনের প্রভাব

একসময় CRNC সরাসরি রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির (RNC) নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু ২০০২ সালের দ্বিদলীয় নির্বাচন সংস্কার আইন পাসের পর দলীয় অর্থায়নে পরিবর্তন আসে। এই আইন “সফট মানি” অর্থাৎ দলীয় অনুদান বন্ধ করে দেয়, যার ফলে সংগঠনগুলো স্বাধীনভাবে ৫২৭ ধারা অনুযায়ী করমুক্ত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ শুরু করে।

২০০৪ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশের পুনর্নির্বাচনের সময় CRNC তহবিল সংগ্রহে সর্বোচ্চ সাফল্য পায়—২.৭২ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু ২০১৭ সালের পর আর কখনও ১ মিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে পারেনি।

ট্রাম্পের উত্থানের সময়ই এই সংগঠনেও আদর্শগত দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। হার্ভার্ডসহ বেশ কিছু শীর্ষ অধ্যায় ট্রাম্পকে সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

নতুন ভাঙন: কলেজ রিপাবলিকানস ইউনাইটেড (CRU)

২০১৮ সালে অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির কিছু তরুণ রিপাবলিকান CRNC থেকে বেরিয়ে এসে গঠন করে কলেজ রিপাবলিকানস ইউনাইটেড (CRU)। তাদের ভাষায়, “RINO”—অর্থাৎ কেবল নামমাত্র রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে প্রকৃত MAGA সদস্যদের এক সংগঠন এটি।

শুরুর দিকে সংগঠনটি অ্যারিজোনা, আইওয়া ও ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিস্তৃত হয়। কিন্তু ২০২৩ সালের জাতীয় সম্মেলনে ডানপন্থী উগ্র বক্তা নিক ফুয়েন্টেসকে আমন্ত্রণ জানানোয় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। স্থানীয় রিপাবলিকান কমিটিগুলো এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানায়।

এ ছাড়াও ফেসবুক চ্যাটে বর্ণবাদী ও ইহুদিবিদ্বেষী বার্তা শেয়ার করার ঘটনায় সংগঠনের শীর্ষ নেতারা ক্ষমা চান। এমনকি ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তারা সহপাঠীদের ‘আইস’ (ইমিগ্রেশন পুলিশ)-এর কাছে অভিযোগ জানাতে উৎসাহিত করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়।

অন্য তিন সংগঠনের নেতারা CRU-কে ‘অকার্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে চেয়ারম্যান কেভিন ডেকুইপার বলেন, তাদের সংগঠনই “আমেরিকা ফার্স্ট” আদর্শের একমাত্র সঠিক প্রতিনিধি, এবং বিতর্কিত বক্তাদের আমন্ত্রণ জানানো তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রমাণ।

মতাদর্শ ও নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব

CRU যেখানে উগ্র ও বিতর্কিত বক্তাদের জন্য পরিচিত, সেখানে বাকি তিনটি সংগঠন তুলনামূলকভাবে মূলধারার ট্রাম্প-সমর্থক অবস্থান নেয়।

ন্যাশনাল ফেডারেশন অব কলেজ রিপাবলিকানস এবং কলেজ রিপাবলিকানস অব আমেরিকার মধ্যে দ্বন্দ্ব মূলত ব্যক্তিগত সংঘাত ও নেতৃত্বের বিরোধ থেকে তৈরি হয়েছে। কারা দলের ভবিষ্যৎ তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তুলবে—এই প্রশ্নেই এখন চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা।

ভবিষ্যতের প্রশ্ন: ঐক্য না বিভাজন?

চারটি সংগঠনই দাবি করছে, তারা কলেজ পর্যায়ের রিপাবলিকান আন্দোলনের প্রকৃত ধারক। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের কাছে দলীয় বিভক্তি বরং নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।

রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের এখন ভাবতে হবে—ক্ষমতার জন্য অন্তর্দ্বন্দ্ব চালিয়ে যাওয়া কি মূল্যবান, নাকি ঐক্যবদ্ধভাবে তরুণ ভোটারদের কাছে ফিরে যাওয়া সময়ের দাবি?

#যুক্তরাষ্ট্র #রিপাবলিকান #ট্রাম্প #চার্লিকর্ক #কলেজরাজনীতি #তরুণভোট #আমেরিকানরাজনীতি #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

১৫শ শতকের চিত্রশিল্পী কীভাবে এক সংশয়ীকে বিশ্বাস খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারেন?

আমেরিকার তরুণ রিপাবলিকানদের ভেতর দ্বন্দ্ব:ট্রাম্প যুগের পর তরুণ রাজনীতিতে ভাঙনের সুর

১১:৫৪:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

ট্রাম্প-পরবর্তী তরুণ ভোটে রিপাবলিকানদের চ্যালেঞ্জ

২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনের ক্ষেত্রে তরুণ ভোটারদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। পিউ রিসার্চের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের প্রতি বিরূপতা ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে কমেছে—ফারাক কমেছে ৩০ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশে। এটি প্রমাণ করে যে তরুণ ভোটারদের মধ্যে রিপাবলিকান দলের প্রভাব কিছুটা বাড়ছে।

কিন্তু টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ড এই অগ্রগতিতে বড় ধাক্কা দিতে পারে। সংগঠনটি মূলত কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল, কিন্তু অনেক তরুণ রক্ষণশীলদের মতে, এটি একক নেতৃত্বনির্ভর ছিল এবং কার্কের ব্যক্তিগত ক্যারিশমাই সংগঠনটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।

অনেক রিপাবলিকান মনে করেন, দলের তরুণ ভোটে সাফল্য টার্নিং পয়েন্টের ওপর নির্ভর না করেও অর্জন করা সম্ভব।

ঐতিহাসিক শিকড় থেকে বিভক্ত বর্তমান

১৮৯২ সালে পেনসিলভানিয়ার ভবিষ্যৎ কংগ্রেস সদস্য জেমস এফ. বার্ক মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করেন আমেরিকান রিপাবলিকান কলেজ লীগ—যা পরে কলেজ রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি (CRNC) নামে পরিচিত হয়।

এই সংগঠন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ থেকে শুরু করে এমনকি সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন—যিনি আইন বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে রিপাবলিকান যুবসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন—সবাই কোনো না কোনো সময় এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সংগঠনের ঐক্য ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে চারটি প্রতিদ্বন্দ্বী কলেজ রিপাবলিকান সংগঠন সক্রিয়—

  1. কলেজ রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি (CRNC)
  2. কলেজ রিপাবলিকানস ইউনাইটেড (CRU)
  3. ন্যাশনাল ফেডারেশন অব কলেজ রিপাবলিকানস
  4. কলেজ রিপাবলিকানস অব আমেরিকা

প্রত্যেকেই দাবি করে, তারা-ই ট্রাম্প-সমর্থিত MAGA আদর্শের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করছে। কিন্তু পরস্পরের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব এবং নেতৃত্বের বিরোধ সংগঠনকে দুর্বল করে তুলেছে।

ডেমোক্র্যাটদের স্থিতিশীলতা ও রিপাবলিকানদের বিভাজন

ডেমোক্র্যাটদের সমপর্যায়ের সংগঠন, যেমন কলেজ ডেমোক্র্যাটস অব আমেরিকা বা ইয়াং রিপাবলিকান ন্যাশনাল ফেডারেশন—তেমন বিভাজনের মুখে পড়েনি। তবে ইয়াং রিপাবলিকানদের নিউইয়র্ক শাখা বর্ণবাদী ও ইহুদিবিদ্বেষী মন্তব্যের অভিযোগে বিলুপ্ত হয়, যা সংগঠনটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।

পতনের শুরু: ২০০২ সালের আইনের প্রভাব

একসময় CRNC সরাসরি রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির (RNC) নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু ২০০২ সালের দ্বিদলীয় নির্বাচন সংস্কার আইন পাসের পর দলীয় অর্থায়নে পরিবর্তন আসে। এই আইন “সফট মানি” অর্থাৎ দলীয় অনুদান বন্ধ করে দেয়, যার ফলে সংগঠনগুলো স্বাধীনভাবে ৫২৭ ধারা অনুযায়ী করমুক্ত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ শুরু করে।

২০০৪ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশের পুনর্নির্বাচনের সময় CRNC তহবিল সংগ্রহে সর্বোচ্চ সাফল্য পায়—২.৭২ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু ২০১৭ সালের পর আর কখনও ১ মিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে পারেনি।

ট্রাম্পের উত্থানের সময়ই এই সংগঠনেও আদর্শগত দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। হার্ভার্ডসহ বেশ কিছু শীর্ষ অধ্যায় ট্রাম্পকে সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

নতুন ভাঙন: কলেজ রিপাবলিকানস ইউনাইটেড (CRU)

২০১৮ সালে অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির কিছু তরুণ রিপাবলিকান CRNC থেকে বেরিয়ে এসে গঠন করে কলেজ রিপাবলিকানস ইউনাইটেড (CRU)। তাদের ভাষায়, “RINO”—অর্থাৎ কেবল নামমাত্র রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে প্রকৃত MAGA সদস্যদের এক সংগঠন এটি।

শুরুর দিকে সংগঠনটি অ্যারিজোনা, আইওয়া ও ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিস্তৃত হয়। কিন্তু ২০২৩ সালের জাতীয় সম্মেলনে ডানপন্থী উগ্র বক্তা নিক ফুয়েন্টেসকে আমন্ত্রণ জানানোয় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। স্থানীয় রিপাবলিকান কমিটিগুলো এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানায়।

এ ছাড়াও ফেসবুক চ্যাটে বর্ণবাদী ও ইহুদিবিদ্বেষী বার্তা শেয়ার করার ঘটনায় সংগঠনের শীর্ষ নেতারা ক্ষমা চান। এমনকি ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তারা সহপাঠীদের ‘আইস’ (ইমিগ্রেশন পুলিশ)-এর কাছে অভিযোগ জানাতে উৎসাহিত করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়।

অন্য তিন সংগঠনের নেতারা CRU-কে ‘অকার্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে চেয়ারম্যান কেভিন ডেকুইপার বলেন, তাদের সংগঠনই “আমেরিকা ফার্স্ট” আদর্শের একমাত্র সঠিক প্রতিনিধি, এবং বিতর্কিত বক্তাদের আমন্ত্রণ জানানো তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রমাণ।

মতাদর্শ ও নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব

CRU যেখানে উগ্র ও বিতর্কিত বক্তাদের জন্য পরিচিত, সেখানে বাকি তিনটি সংগঠন তুলনামূলকভাবে মূলধারার ট্রাম্প-সমর্থক অবস্থান নেয়।

ন্যাশনাল ফেডারেশন অব কলেজ রিপাবলিকানস এবং কলেজ রিপাবলিকানস অব আমেরিকার মধ্যে দ্বন্দ্ব মূলত ব্যক্তিগত সংঘাত ও নেতৃত্বের বিরোধ থেকে তৈরি হয়েছে। কারা দলের ভবিষ্যৎ তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তুলবে—এই প্রশ্নেই এখন চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা।

ভবিষ্যতের প্রশ্ন: ঐক্য না বিভাজন?

চারটি সংগঠনই দাবি করছে, তারা কলেজ পর্যায়ের রিপাবলিকান আন্দোলনের প্রকৃত ধারক। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের কাছে দলীয় বিভক্তি বরং নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।

রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের এখন ভাবতে হবে—ক্ষমতার জন্য অন্তর্দ্বন্দ্ব চালিয়ে যাওয়া কি মূল্যবান, নাকি ঐক্যবদ্ধভাবে তরুণ ভোটারদের কাছে ফিরে যাওয়া সময়ের দাবি?

#যুক্তরাষ্ট্র #রিপাবলিকান #ট্রাম্প #চার্লিকর্ক #কলেজরাজনীতি #তরুণভোট #আমেরিকানরাজনীতি #সারাক্ষণরিপোর্ট