যুক্তরাষ্ট্র–চীন প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় নতুন কড়াকড়ি
হোয়াইট হাউস ঘোষণা করেছে—নিভিডিয়ার পরবর্তী প্রজন্মের ব্ল্যাকওয়েল সিরিজের এআই প্রসেসর কেবল ঘরোয়া ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত থাকবে; চীনসহ কয়েকটি দেশে রপ্তানি নিষিদ্ধ। নিরাপত্তা ঝুঁকির যুক্তিতে এটি “কৌশলগত সম্পদ” সুরক্ষার পদক্ষেপ বলে জানানো হয়। ২০২২ সাল থেকে যে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন জিপিইউ ও চিপমেকিং টুলে সীমাবদ্ধতা চলছে, নতুন নির্দেশনা সেটিকে আরও শক্ত করে। কোন কোন মিত্র দেশে ছাড় মিলবে—এ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় বিদেশে স্থাপিত মার্কিন ক্লাউড অংশীদারদেরও তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা বদলাতে হচ্ছে।
সরবরাহ শৃঙ্খলে ধাক্কা, আঞ্চলিক পাল্টা কৌশল
এআই প্রশিক্ষণ গ্রেড অ্যাকসেলারেটর বাজারে নিভিডিয়ার প্রাধান্য থাকায় নিয়ন্ত্রণের অভিঘাত সরাসরি পড়ছে ক্লাউড সম্প্রসারণ, মডেল-বিল্ডিং টাইমলাইন ও সার্বভৌম এআই পরিকল্পনায়। এশিয়ার অনেক গ্রাহক এখন স্থানীয় বিকল্পে ঝুঁকছে—চীন নিজস্ব জিপিইউ প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে; দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান প্রণোদনা দিচ্ছে; ভারত নিরপেক্ষ কম্পিউট হাবের প্রস্তাব তুলে ধরেছে। সরবরাহ পুনর্বিন্যাসে স্বল্পমেয়াদে নিভিডিয়ার আয়চাপে পড়লেও যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা এতটাই তীব্র যে সামগ্রিক ব্যালান্স স্থির থাকতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকি হলো “টেক-ব্লক” বিভাজন—ভিন্ন ভিন্ন চিপ ইকোসিস্টেম, অসামঞ্জস্যপূর্ণ ইন্টারকনেক্ট, এবং ব্যয়বহুল অতিরিক্ততা। কূটনীতিকদের আশঙ্কা, পাল্টা নিয়ন্ত্রণ ক্লাউড সার্ভিস ও মডেল এক্সপোর্টেও গড়িয়ে যাবে। গবেষণা জগতে বড় প্রশ্ন—সর্বাধুনিক কম্পিউট একচেটিয়াভাবে যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীভূত হবে, নাকি চাপে পড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী ইকোসিস্টেম দ্রুত ব্যবধান কমিয়ে দেবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















