০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ধর্মীয় নেতাদের প্রতিবাদের জোয়ার — মানবাধিকারের পক্ষে নতুন নৈতিক জাগরণ ওবামাকেয়ার স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় বড় পরিবর্তন: খরচ বাড়ছে, সতর্কতার সঙ্গে বেছে নেওয়ার আহ্বান শেখ হাসিনা : ভারত কি অবশেষে তাকে ‘আনলক’ করছে? গাজায় সহিংসতা ও মানবিক সংকটের মাঝে ইসরায়েলে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান সুদানে দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ বিস্তার আরও দুই অঞ্চলে – বিপর্যয়ের মুখে লাখো মানুষ আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ জন নিহত, ক্ষতিগ্রস্ত ঐতিহাসিক নীল মসজিদ মানবতার পরীক্ষায় বিশ্বব্যাপী আহ্বান ৯০ বছরের পুরানো জ্যাজ রেকর্ডের রাজত্ব ভিডিও গেমস এবং যুব সমাজ: আধুনিক প্রযুক্তি ও খেলাধুলার প্রভাব জাপানে বিমানযাত্রার খাবার: আকাশে এয়ারলাইন্সগুলো খাবারের মান উন্নত করেছে

কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে খাদ্যতালিকায় কিউইফল ও রাই রুটি যুক্ত করার পরামর্শ

দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য: এক সাধারণ কিন্তু জটিল সমস্যা

কানাডার প্রায় ১৫–২৫ শতাংশ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন। নতুন গবেষণা বলছে, সাপ্তাহিক খাদ্যতালিকায় কিউইফল ও রাই রুটি যুক্ত করলে এই সমস্যার উপশম হতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য সাধারণত তখন বলা হয়, যখন কেউ অন্তত তিন মাস ধরে সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ করেন। এর ফলে জীবনের মানের ওপর বড় প্রভাব পড়ে। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে—মলত্যাগে অতিরিক্ত চাপ, শক্ত ও দানাদার মল, অসম্পূর্ণ নির্গমনের অনুভূতি, পেটব্যথা, ফাঁপা ভাব ও বমিভাব।

এর পেছনে বিভিন্ন কারণ কাজ করে—যেমন, শারীরিক অনিয়ম, পর্যাপ্ত পানি না পান করা, ভ্রমণ বা দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কিংবা পারকিনসন’স, ডায়াবেটিস ও হাইপোথাইরয়েডিজমের মতো শারীরিক সমস্যা।


প্রথম বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত খাদ্য নির্দেশিকা

এই প্রথমবারের মতো সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য মোকাবিলায় প্রমাণভিত্তিক খাদ্য নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এই নির্দেশিকা ২০২৫ সালের ১৩ অক্টোবর প্রকাশিত হয়, Neurogastroenterology & Motility এবং Journal of Human Nutrition and Dietetics—এই দুটি আন্তর্জাতিক জার্নালে। নির্দেশিকাটি ব্রিটিশ ডায়েটেটিক অ্যাসোসিয়েশনও অনুমোদন করেছে।

লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা ৭৫টি র‌্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল্ড ট্রায়ালসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই নির্দেশিকা তৈরি করেন। তারা মলত্যাগের পরিমাণ, মলের গঠন, চাপের মাত্রা, অসম্পূর্ণ নির্গমনের অনুভূতি, জীবনের মান এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া—সবকিছু বিবেচনায় নেন।

ফলাফল হিসেবে ৫৯টি প্রমাণভিত্তিক সুপারিশ দেওয়া হয়েছে, যা চিকিৎসকদের রোগীর জন্য আরও নির্দিষ্ট খাদ্য পরামর্শ দিতে সাহায্য করবে।


ফাইবার সাপ্লিমেন্ট

প্রতিদিন ১০ গ্রামের বেশি ফাইবার সাপ্লিমেন্ট (যেমন সাইলিয়াম) মলত্যাগের সংখ্যা ও গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে। চার সপ্তাহ ধরে, এটি গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুরুতে অল্প পরিমাণে নিয়ে ধীরে ধীরে বাড়ানো উচিত, যাতে গ্যাস ও ফাঁপা ভাবের সমস্যা না হয়।


কিউইফল

সবুজ বা স্বর্ণ রঙের দুই বা তিনটি কিউইফল প্রতিদিন খেলে অন্তত চার সপ্তাহের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে আসে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সাইলিয়ামের তুলনায় কিউই মলত্যাগের সংখ্যা বাড়াতে বেশি কার্যকর। কিউইফলের ফাইবার ও পানির পরিমাণ মলকে নরম ও বৃহৎ করে, যা সহজে বেরিয়ে আসে।

এছাড়া কিউইতে থাকা “রাফাইড” নামক যৌগ অন্ত্রে মিউসিন উৎপাদন বাড়ায়, যা মিউকাসের অংশ এবং মলত্যাগ সহজ করে। যাদের ফাইবার সাপ্লিমেন্টে গ্যাস, বা অস্বস্তি হয়, তাদের জন্য কিউই একটি ভালো বিকল্প।


সম্পূর্ণ শস্যের রাই রুটি

প্রতিদিন ছয় থেকে আট টুকরো সম্পূর্ণ শস্যের রাই রুটি তিন সপ্তাহ ধরে খেলে মলত্যাগের সংখ্যা বাড়ে। তবে অনেকের জন্য এত পরিমাণ রুটি খাওয়া বাস্তবসম্মত নয়। এজন্য ঘন রাই রুটি বেছে নেওয়া উচিত, যেখানে প্রথম উপাদান হিসেবে ‘হোল-গ্রেইন রাই ফ্লাওয়ার’ বা ‘হোল রাই মিল’ উল্লেখ থাকে।


ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড সাপ্লিমেন্ট

প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১৫০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড চার সপ্তাহ ধরে খেলে মল নরম হয় এবং মলত্যাগ সহজ হয়। ম্যাগনেসিয়াম অন্ত্রে পানি টেনে এনে মলকে নরম করে।

শুরুতে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম থেকে শুরু করে সহনশীলতা অনুযায়ী ধীরে ধীরে বাড়ানো উচিত।
তবে যাদের দীর্ঘস্থায়ী কিডনি সমস্যা রয়েছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি গ্রহণ করবেন না।


খনিজসমৃদ্ধ পানি

প্রতিদিন ০.৫ থেকে ১.৫ লিটার পর্যন্ত উচ্চ খনিজসমৃদ্ধ পানি দুই থেকে ছয় সপ্তাহ ধরে পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য উপশমে সাহায্য করে।
এই পানিগুলোর প্রতি লিটারে থাকে: ৩৭০ থেকে ৫৭৩ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম, ১০৫ থেকে ১,০০০ মি.গ্রা. ম্যাগনেসিয়াম, ১,৫৩০ থেকে ২,০০০ মি.গ্রা. সালফেট ও ২৯০ থেকে ১,৬০০ মি.গ্রা. সোডিয়াম।


প্রোবায়োটিক কি কার্যকর?

যদিও কিছু প্রজাতির প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া কোষ্ঠকাঠিন্যে সহায়ক হতে পারে, পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় গবেষকরা এটি সুপারিশ করেননি। কেউ চেষ্টা করতে চাইলে অন্তত চার সপ্তাহ ধরে, প্রস্তুতকারকের নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত।


উচ্চ-ফাইবারযুক্ত খাদ্য: পুরনো ধারণা প্রশ্নের মুখে

বহুদিন ধরে বলা হচ্ছে ‘ফাইবার বেশি খান’—তবে নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, এটি সবসময় কার্যকর নয়। একমাত্র একটি ট্রায়ালে দেখা গেছে, দিনে ২৫–৩০ গ্রাম ফাইবার খাওয়া বনাম ১৫–২০ গ্রাম ফাইবার খাওয়ার মধ্যে মলত্যাগের পার্থক্য ছিল না।

তবে, হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে উচ্চ-ফাইবারযুক্ত খাদ্যের উপকারিতা এখনও বহুল স্বীকৃত।

জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ধর্মীয় নেতাদের প্রতিবাদের জোয়ার — মানবাধিকারের পক্ষে নতুন নৈতিক জাগরণ

কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে খাদ্যতালিকায় কিউইফল ও রাই রুটি যুক্ত করার পরামর্শ

১২:৩৪:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য: এক সাধারণ কিন্তু জটিল সমস্যা

কানাডার প্রায় ১৫–২৫ শতাংশ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন। নতুন গবেষণা বলছে, সাপ্তাহিক খাদ্যতালিকায় কিউইফল ও রাই রুটি যুক্ত করলে এই সমস্যার উপশম হতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য সাধারণত তখন বলা হয়, যখন কেউ অন্তত তিন মাস ধরে সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ করেন। এর ফলে জীবনের মানের ওপর বড় প্রভাব পড়ে। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে—মলত্যাগে অতিরিক্ত চাপ, শক্ত ও দানাদার মল, অসম্পূর্ণ নির্গমনের অনুভূতি, পেটব্যথা, ফাঁপা ভাব ও বমিভাব।

এর পেছনে বিভিন্ন কারণ কাজ করে—যেমন, শারীরিক অনিয়ম, পর্যাপ্ত পানি না পান করা, ভ্রমণ বা দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কিংবা পারকিনসন’স, ডায়াবেটিস ও হাইপোথাইরয়েডিজমের মতো শারীরিক সমস্যা।


প্রথম বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত খাদ্য নির্দেশিকা

এই প্রথমবারের মতো সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য মোকাবিলায় প্রমাণভিত্তিক খাদ্য নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এই নির্দেশিকা ২০২৫ সালের ১৩ অক্টোবর প্রকাশিত হয়, Neurogastroenterology & Motility এবং Journal of Human Nutrition and Dietetics—এই দুটি আন্তর্জাতিক জার্নালে। নির্দেশিকাটি ব্রিটিশ ডায়েটেটিক অ্যাসোসিয়েশনও অনুমোদন করেছে।

লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা ৭৫টি র‌্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল্ড ট্রায়ালসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই নির্দেশিকা তৈরি করেন। তারা মলত্যাগের পরিমাণ, মলের গঠন, চাপের মাত্রা, অসম্পূর্ণ নির্গমনের অনুভূতি, জীবনের মান এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া—সবকিছু বিবেচনায় নেন।

ফলাফল হিসেবে ৫৯টি প্রমাণভিত্তিক সুপারিশ দেওয়া হয়েছে, যা চিকিৎসকদের রোগীর জন্য আরও নির্দিষ্ট খাদ্য পরামর্শ দিতে সাহায্য করবে।


ফাইবার সাপ্লিমেন্ট

প্রতিদিন ১০ গ্রামের বেশি ফাইবার সাপ্লিমেন্ট (যেমন সাইলিয়াম) মলত্যাগের সংখ্যা ও গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে। চার সপ্তাহ ধরে, এটি গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুরুতে অল্প পরিমাণে নিয়ে ধীরে ধীরে বাড়ানো উচিত, যাতে গ্যাস ও ফাঁপা ভাবের সমস্যা না হয়।


কিউইফল

সবুজ বা স্বর্ণ রঙের দুই বা তিনটি কিউইফল প্রতিদিন খেলে অন্তত চার সপ্তাহের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে আসে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সাইলিয়ামের তুলনায় কিউই মলত্যাগের সংখ্যা বাড়াতে বেশি কার্যকর। কিউইফলের ফাইবার ও পানির পরিমাণ মলকে নরম ও বৃহৎ করে, যা সহজে বেরিয়ে আসে।

এছাড়া কিউইতে থাকা “রাফাইড” নামক যৌগ অন্ত্রে মিউসিন উৎপাদন বাড়ায়, যা মিউকাসের অংশ এবং মলত্যাগ সহজ করে। যাদের ফাইবার সাপ্লিমেন্টে গ্যাস, বা অস্বস্তি হয়, তাদের জন্য কিউই একটি ভালো বিকল্প।


সম্পূর্ণ শস্যের রাই রুটি

প্রতিদিন ছয় থেকে আট টুকরো সম্পূর্ণ শস্যের রাই রুটি তিন সপ্তাহ ধরে খেলে মলত্যাগের সংখ্যা বাড়ে। তবে অনেকের জন্য এত পরিমাণ রুটি খাওয়া বাস্তবসম্মত নয়। এজন্য ঘন রাই রুটি বেছে নেওয়া উচিত, যেখানে প্রথম উপাদান হিসেবে ‘হোল-গ্রেইন রাই ফ্লাওয়ার’ বা ‘হোল রাই মিল’ উল্লেখ থাকে।


ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড সাপ্লিমেন্ট

প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১৫০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড চার সপ্তাহ ধরে খেলে মল নরম হয় এবং মলত্যাগ সহজ হয়। ম্যাগনেসিয়াম অন্ত্রে পানি টেনে এনে মলকে নরম করে।

শুরুতে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম থেকে শুরু করে সহনশীলতা অনুযায়ী ধীরে ধীরে বাড়ানো উচিত।
তবে যাদের দীর্ঘস্থায়ী কিডনি সমস্যা রয়েছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি গ্রহণ করবেন না।


খনিজসমৃদ্ধ পানি

প্রতিদিন ০.৫ থেকে ১.৫ লিটার পর্যন্ত উচ্চ খনিজসমৃদ্ধ পানি দুই থেকে ছয় সপ্তাহ ধরে পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য উপশমে সাহায্য করে।
এই পানিগুলোর প্রতি লিটারে থাকে: ৩৭০ থেকে ৫৭৩ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম, ১০৫ থেকে ১,০০০ মি.গ্রা. ম্যাগনেসিয়াম, ১,৫৩০ থেকে ২,০০০ মি.গ্রা. সালফেট ও ২৯০ থেকে ১,৬০০ মি.গ্রা. সোডিয়াম।


প্রোবায়োটিক কি কার্যকর?

যদিও কিছু প্রজাতির প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া কোষ্ঠকাঠিন্যে সহায়ক হতে পারে, পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় গবেষকরা এটি সুপারিশ করেননি। কেউ চেষ্টা করতে চাইলে অন্তত চার সপ্তাহ ধরে, প্রস্তুতকারকের নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত।


উচ্চ-ফাইবারযুক্ত খাদ্য: পুরনো ধারণা প্রশ্নের মুখে

বহুদিন ধরে বলা হচ্ছে ‘ফাইবার বেশি খান’—তবে নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, এটি সবসময় কার্যকর নয়। একমাত্র একটি ট্রায়ালে দেখা গেছে, দিনে ২৫–৩০ গ্রাম ফাইবার খাওয়া বনাম ১৫–২০ গ্রাম ফাইবার খাওয়ার মধ্যে মলত্যাগের পার্থক্য ছিল না।

তবে, হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে উচ্চ-ফাইবারযুক্ত খাদ্যের উপকারিতা এখনও বহুল স্বীকৃত।