সমকালের একটি শিরোনাম “এবার রাউজানে বিএনপির ৫ নেতাকর্মীকে গুলি, আশঙ্কাজনক একজন”
চট্টগ্রামের রাউজানে দুর্বৃত্তের গুলিতে বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহতদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ১৪ বাগোয়ান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোয়েপাড়া গ্রামের চৌধুরী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে এদিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর হামজারবাগ এলাকায় বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে গুলিতে এরশাদ উল্লাহসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ একজন মারা যান।
আহত নেতাকর্মীরা হলেন- রাউজান উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ সুমন, বাগোয়ান ইউনিয়ন কৃষক দলের সহ-সভাপতি মো. ইসমাইল, ওই ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ সোহেল। আহত সবাই বাগোয়ান ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আহত পাঁচজনের মধ্যে উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সুমনের বুকে গুলি লাগায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা সবাই বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, কিছু দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল ও একটি গাড়িতে করে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। পরে তারা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে- তা জানা যায়নি। রাতের এ গুলির ঘটনায় পুরো কোয়েপাড়া এলাকা এখন আতঙ্কে।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংকের ৭৫ লাখ গ্রাহকের আমানত কী নিরাপদ, যা জানালেন গভর্নর”
সংকটাপন্ন পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করে একটি বৃহৎ ইসলামি ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর বোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংকগুলো পরিচালনা করবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিয়োগ দেওয়া প্রশাসক। তাঁদের কাজ হবে ব্যবসা পরিচালনা, আইটি নিরাপত্তা, মানবসম্পদ বিভাগ নিয়ন্ত্রণ ও শাখার দায়িত্ব বণ্টন। মার্জারের পুরো প্রক্রিয়া শেষে নতুন ব্যাংকের নামে নতুন কার্যক্রম শুরু হবে। ব্যাংক অকার্যকর হলেও আগের নামেই এলসি, আমানত ও চেক নিষ্পত্তি হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান, জাকির হোসেন চৌধুরী, মো. কবির আহাম্মদসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংকের বোর্ড বাতিল হলেও গ্রাহকসেবায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। ব্যাংকগুলোর পেমেন্ট, রেমিট্যান্স, এলসিসহ সব ধরনের কার্যক্রম আগের মতোই চলবে। পাঁচটি ব্যাংকের মোট ৭৫০টি শাখা ও ৭৫ লাখ আমানতকারী রয়েছে। আমরা তাদের নিরাপত্তা দিতে চাই। ব্যাংকগুলো যেহেতু সরকারের অধীনে যাচ্ছে, তাই আমানতকারীদের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ। ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হলেও যাঁদের প্রয়োজন আছে, তাঁরাই শুধু অর্থ উত্তোলন করবেন। অযথা ব্যাংকে টাকা তোলার জন্য ভিড় করবেন না।’
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিষয়ে জানতে চাইলে গভর্নর জানান, বড় ও প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের আমানতের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক শিগগির একটি নির্দেশনা জারি করবে। ইসলামি ব্যাংক তার টাকার জন্য মুনাফা পাবে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব সরকার নিলেও বেসরকারি নিয়মেই চলবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনকাঠামোতে কোনো ধরনের পরিবর্তন হবে না। বিদ্যমান বেতনকাঠামো অনুযায়ী কর্মকর্তারা বেতন-ভাতা পাবেন।
গভর্নর আরও বলেন, পাঁচ ইসলামি ব্যাংক মিলেই দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামি ব্যাংক হবে। নতুন এ সমন্বিত ব্যাংকের পেইড-আপ ক্যাপিটাল হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা; যা বর্তমানে দেশের যেকোনো ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “মাইলস্টোনের দগ্ধ শিশুদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আর্থিক সংকটে পরিবার”
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রুপি বড়ুয়া রয়া। গত ২১ জুলাই ওই স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলে তার হাত, পা, মুখ ও পিঠসহ শরীরের প্রায় ২০ শতাংশ পুড়ে যায়। তিন মাসেরও অধিক সময় ধরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা চলছে তার। এদিকে চোখের সামনে এত বড় দুর্ঘটনায় মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে। যার প্রভাবে পড়ালেখায় পূর্ণ মনোযোগী হতে পারছে না। স্বজনদের ভাষ্যমতে, দীর্ঘ সময় কাজ না করে পরিবারের সবাই মিলে রুপিকে সময় দেয়ায় এবং অতিরিক্ত খরচ হওয়ায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
শুধু রুপি বড়ুয়া রয়া নয়, রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ ও আহত অধিকাংশ শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের একই চিত্র। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ দগ্ধ শিশু এখনো ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে। হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিলেও তাদের নিয়মিত চেকআপ করাতে হচ্ছে। অনেকের ক্ষত শুকালেও নিয়মিত ফিজিওথেরাপি নিতে হচ্ছে। তবে মানসিকভাবে কম-বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে আহতদের প্রায় সবাই। তাদের দরকার বিশেষজ্ঞ মানসিক চিকিৎসকের অধীন উন্নত কাউন্সেলিং। এদিকে পরিবারের আদরের ছোট্ট সদস্যের চিকিৎসায় দু-হাতে অর্থ ব্যয় করে এখন আর্থিক সংকটে পড়েছেন স্বজনরা। বিনামূল্যে চিকিৎসা পেলেও আর্থিক কোনো সহযোগিতা পাননি তারা। এছাড়া পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা না পাওয়াসহ চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনেছেন স্বজনরা।
এদিকে এ দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে। ঘটনার সাড়ে তিন মাস পর গতকাল দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির প্রধান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল এসএম কামরুল হাসান।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পরে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবদনের কিছু তথ্য ও কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় তিনি যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তার আয়ত্তের বাইরে চলে যায়।’ তিনি জানান, তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে; এর মধ্যে এক্সপার্ট, ভুক্তভোগী আছেন। সবার সঙ্গে কথা বলে তারা ১৬৮টি তথ্য উদ্ঘাটন করেন। এর মধ্যে ৩৩টি সুপারিশ করেছেন। প্রধান যে সুপারিশ করা হয়েছে তা হলো জননিরাপত্তার স্বার্থে এখন থেকে বিমান বাহিনীর সব প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ঢাকার বাইরে পরিচালিত হবে। তিনি জানান, তদন্তে আরো পাওয়া গেছে, মাইলস্টোন স্কুলের ভবন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিল্ডিং কোডের অনুমোদন নিয়ে হয়নি। এ ভবনে ন্যূনতম তিনটি সিঁড়ি থাকার কথা ছিল, সেখানে ছিল একটা সিঁড়ি মাঝ বরাবর। বিশেষজ্ঞ কমিটি বলছে, তিনটি সিঁড়ি থাকলে হতাহতের সংখ্যা আরো কম হতো। এছাড়া আরো সুপারিশের মধ্যে আছে, বরিশাল ও বগুড়ায় রানওয়ে আছে, সেটাকে সম্প্রসারণ করার। মিটিংয়ে সেই নির্দেশনা দেয়া হয়। রাজউকের বিল্ডিং কোড যাতে নতুন সম্প্রসারিত এলাকায় পালিত হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মানবজমিনের একটি শিরোন “৬৩ আসন নিয়ে কৌতূহল”
সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৬টি আসনে দলীয় প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে বিএনপি। এর মধ্যে নেতিবাচক তথ্য পাওয়ায় মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থী স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ৬৩টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এই আসনগুলোতে এখন চোখ প্রথম দফায় মনোনয়ন না পাওয়া দলের নেতা ও সমমনা দল এবং জোট নেতাদের। ফাঁকা রাখা এই আসনগুলো ঘিরে আছে নানা হিসাবনিকাশ। সম্ভাব্য নির্বাচনী জোট, রাজনৈতিক সমঝোতার উপর নির্ভর করবে এসব আসনে কারা মনোনয়ন পাচ্ছেন। তবে ফাঁকা আসনে বিএনপি’র দলীয় অনেকে মনোনয়ন পাবেন। বাকিগুলো থাকবে জোটসঙ্গীদের জন্য।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দুই-একদিনের মধ্যে বিএনপি’র নির্বাচন সংক্রান্ত লিয়াজোঁ কমিটির নেতারা সমমনাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক করে আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি ঘোষিত আসনগুলোর মধ্যে কয়েকটি আসনে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করেছেন সমমনা দলগুলোর কয়েকজন নেতা। তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই ওই আসনগুলোতে প্রার্থী দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যদিও তারা এখন আলোচনার মাধ্যমে অন্য আসনেও নির্বাচন করতে আগ্রহী বলে মিত্র দলগুলোর মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মানবজমিনকে জানিয়েছেন।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর গত মঙ্গল ও বুধবার সমমনাদলগুলোর নেতারা অনানুষ্ঠানিক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। মির্জা ফখরুল মিত্রদলগুলোর নেতাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, তাদের জন্য আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। সমঝোতার মধ্যদিয়ে ওই সব আসন তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। যেসব আসনে সমমনা দলগুলো মনোনয়নপ্রত্যাশীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন। এরমধ্যে বেশ কিছু আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। যদিও ঘোষিত কিছু কিছু আসনও পরিবর্তনের সুযোগ আছে বলেও জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। শিগগিরই জোটের প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
সমমনা দল ও বিএনপি’র নেতারা জানিয়েছেন, জোটের তালিকা চূড়ান্ত করতে দুই-একদিনের মধ্যে তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে দলের লিয়াজোঁ কমিটির নেতাদের সঙ্গে মিত্রদের বৈঠক হবে। এরপরে তারেক রহমানের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের দলগুলোর বৈঠক হবে। এসব বৈঠকে জোটের প্রার্থী তালিকা ও আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সারাক্ষণ ডেস্ক 



















