লাতিন আমেরিকার জলে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী পৌঁছানোয় কারাকাস তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় এবং ‘বৃহৎ মোতায়েন’ ঘোষণায় উত্তেজনা আরও বাড়ে। ওয়াশিংটনের ভাষ্য, এটি রুটিন টহল ও প্রতিরক্ষামূলক উপস্থিতি—সমুদ্রপথের স্বাধীনতা ও জোট প্রতিশ্রুতি রক্ষার অংশ। তবে নৌ-মহড়ার পাল্টাপাল্টি প্রদর্শন ব্যস্ত নৌপথে ভুল বোঝাবুঝির ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলে কূটনীতিকরা সতর্ক। জাহাজ বিমা দাতারা ঝুঁকিপ্রিমিয়াম দেখছেন; একই সঙ্গে রাশিয়া-চীনের সঙ্গে কারাকাসের শক্তিশালী জোট এই টানাপোড়েনে আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।
পরবর্তী কয়েক দিনে ফ্লাইট-ডেক কার্যক্রম, এসকর্ট-প্যাটার্ন ও অংশীদার দেশগুলোর যৌথ মহড়া নজরে থাকবে। কারাকাস উত্তেজনা না বাড়িয়ে সক্ষমতা দেখাতে বিমান-কোস্টাল প্রতিরক্ষা মহড়া করতে পারে; তথ্যযুদ্ধও তীব্র হতে পারে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা মাথায় রেখে ব্রাজিল-কলোম্বিয়া উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতা চাইছে। জ্বালানি বাজারও সতর্ক—প্রতীকী ঝুঁকিও যখন রিজার্ভ কম, তখন ক্রুড-দামে প্রভাব ফেলতে পারে। শেষ পর্যন্ত রুটিন হোক বা না হোক, বিমানবাহী জাহাজের আগমন সমীকরণ বদলে দেয়—কারও কাছে প্রতিরোধ, কারও কাছে বিপদ—যতক্ষণ না আলোচনার টেবিল, ডেস্ট্রয়ার নয়, প্রধান মঞ্চ দখল করে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















