১০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
উপসাগরে নতুন নিরাপত্তা পরিস্থিতি: যুক্তরাষ্ট্র কী বদল আনছে একীভূত হওয়া ব্যাংকগুলোর আর্থিক ধস: দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা আসছে ঢাবির স্নাতক ভর্তি আবেদন ও ফি প্রদানের সময়সীমা বাড়ল যে চারটি বিষয়ের ওপর জাতীয় নির্বাচনের দিনে হবে গণভোট যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজের আগমন: ভেনেজুয়েলার উপর আক্রমণের শঙ্কা ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩৩  বিচারকের বাসায় হামলা: ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী হাসপাতালে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামে মিলল খণ্ডিত মরদেহ: রাজধানীতে চাঞ্চল্য চার্টার ভাঙলে দায় নেবে না বিএনপি: প্রধান উপদেষ্টাকে খসরুর কড়া সতর্কবার্তা সিলেট টেস্টে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানে জয়ের দোরগোড়ায়

যে চারটি বিষয়ের ওপর জাতীয় নির্বাচনের দিনে হবে গণভোট

  • Sarakhon Report
  • ০৮:২৮:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • 16

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই জুলাই সনদের ওপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি জানিয়েছেন, চারটি বিষয়ের ওপর করা একটি প্রশ্নেই ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দেবেন ভোটাররা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নাকি নির্বাচনের দিন, গণভোট কখন অনুষ্ঠিত হবে, এই প্রশ্ন নিয়ে দেশে রাজনৈতিক বিভাজন গত কদিন ধরেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল; যা নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করার কথা বললেও কোনো ফল আসেনি।

অবশেষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের কাছ থেকেই এলো সেই সিদ্ধান্ত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে চারটি বিষয়ের ওপর একটি প্রশ্নে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠিত হলে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না, বরং নির্বাচন আরও “উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী” হবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

আজ উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ অনুমোদন হয়েছে যা প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর শেষে গেজেট নোটিফিকেশনের পর্যায়ে পৌঁছেছে বলেও জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার সাথে কমিশন সদস্যরা

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ধারাবাহিক বৈঠকের পর জুলাই সনদ প্রণয়নের কাজ শেষ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন (ফাইল ছবি)

যে প্রশ্নে গণভোট হবে

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই গণভোট দিতে মাঠে সক্রিয় ছিল জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি রাজনৈতিক দল। এমনকি দাবি না মানলে ১৬ই নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণাও দিয়ে রেখেছে দলগুলো।

অন্যদিকে নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজন করতে হবে, এই দাবিতে অনড় বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।

এমন প্রেক্ষাপটে সবার নজর ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দিকে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সেই প্রশ্নেরই উত্তর জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে যেখানে চারটি বিষয়ের ওপর একটি ভোট দেবেন সাধারণ মানুষ। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

গণভোটের ব্যালটে যে চারটি বিষয়ের ওপর প্রশ্নটি করা হবে সেগুলোও পড়ে শোনান প্রধান উপদেষ্টা।

প্রশ্নটি হলো, “আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনের প্রচ্ছদ

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী

চারটি বিষয়ের ওপর প্রশ্নটি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।

১. নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।

২. আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।

৩. সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকার-সহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।

৪. জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণভোটের দিন এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে আপনি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে সাধারণ মানুষ তাদের মতামত জানাবেন।

তিনি জানান, গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিগণ একইসাথে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া, পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হতে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। যার মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।

“জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে” বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।

বিবিসি নিউজ বাংলা

জনপ্রিয় সংবাদ

উপসাগরে নতুন নিরাপত্তা পরিস্থিতি: যুক্তরাষ্ট্র কী বদল আনছে

যে চারটি বিষয়ের ওপর জাতীয় নির্বাচনের দিনে হবে গণভোট

০৮:২৮:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই জুলাই সনদের ওপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি জানিয়েছেন, চারটি বিষয়ের ওপর করা একটি প্রশ্নেই ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দেবেন ভোটাররা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নাকি নির্বাচনের দিন, গণভোট কখন অনুষ্ঠিত হবে, এই প্রশ্ন নিয়ে দেশে রাজনৈতিক বিভাজন গত কদিন ধরেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল; যা নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করার কথা বললেও কোনো ফল আসেনি।

অবশেষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের কাছ থেকেই এলো সেই সিদ্ধান্ত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে চারটি বিষয়ের ওপর একটি প্রশ্নে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠিত হলে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না, বরং নির্বাচন আরও “উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী” হবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

আজ উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ অনুমোদন হয়েছে যা প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর শেষে গেজেট নোটিফিকেশনের পর্যায়ে পৌঁছেছে বলেও জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার সাথে কমিশন সদস্যরা

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ধারাবাহিক বৈঠকের পর জুলাই সনদ প্রণয়নের কাজ শেষ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন (ফাইল ছবি)

যে প্রশ্নে গণভোট হবে

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই গণভোট দিতে মাঠে সক্রিয় ছিল জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি রাজনৈতিক দল। এমনকি দাবি না মানলে ১৬ই নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণাও দিয়ে রেখেছে দলগুলো।

অন্যদিকে নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজন করতে হবে, এই দাবিতে অনড় বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।

এমন প্রেক্ষাপটে সবার নজর ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দিকে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সেই প্রশ্নেরই উত্তর জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে যেখানে চারটি বিষয়ের ওপর একটি ভোট দেবেন সাধারণ মানুষ। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

গণভোটের ব্যালটে যে চারটি বিষয়ের ওপর প্রশ্নটি করা হবে সেগুলোও পড়ে শোনান প্রধান উপদেষ্টা।

প্রশ্নটি হলো, “আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনের প্রচ্ছদ

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী

চারটি বিষয়ের ওপর প্রশ্নটি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।

১. নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।

২. আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।

৩. সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকার-সহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।

৪. জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণভোটের দিন এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে আপনি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে সাধারণ মানুষ তাদের মতামত জানাবেন।

তিনি জানান, গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিগণ একইসাথে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া, পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হতে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। যার মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।

“জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে” বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।

বিবিসি নিউজ বাংলা