দক্ষিণ এশিয়ায় আবারও উত্তেজনার মাত্রা দ্রুত বাড়ছে। সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তান পরস্পরকে দায়ী করে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের প্রক্সি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তান ও ভারতে সাম্প্রতিক হামলার পর দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। বিশেষ করে আফগানিস্তানকে ঘিরে প্রক্সি যুদ্ধ চালানোর অভিযোগ নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের প্রাণঘাতী সংঘর্ষ এবং অক্টোবরে পাকিস্তান ও আফগান তালেবানের মধ্যে সীমানায় গোলাগুলির পর আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে। যদিও আন্তর্জাতিক চাপ ও সংযম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, ইসলামাবাদ, কাবুল ও নয়া দিল্লির কঠোর অবস্থান উদ্বেগ কমাতে পারছে না।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি
এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের সাউথ এশিয়া ইনিশিয়েটিভস পরিচালক ফারওয়া আমের জানান, দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি বর্তমানে অত্যন্ত অস্থিতিশীল।
তিনি বলেন, সীমান্তসংঘর্ষ, নাজুক যুদ্ধবিরতি, সন্ত্রাসী হামলা ও জঙ্গি তৎপরতা—সব মিলিয়ে দ্রুত নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে।
পাকিস্তানে হামলা ও সরকারের প্রতিক্রিয়া
ইসলামাবাদের একটি আদালতে আত্মঘাতী হামলায় ১২ জন নিহত হওয়ার পরের দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সংসদে বক্তব্য দেন। রাজধানীতে ২০২২ সালের পর এ ধরনের শক্তিশালী হামলা এটিই প্রথম। একই সময়ে আফগান সীমান্তের কাছে একটি ক্যাডেট কলেজে হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়।
শরিফ অভিযোগ করেন, কাবুল ও দিল্লি উভয়েই তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর জঙ্গিদের সঙ্গে সমন্বয় করছে।
তিনি সংসদে বলেন, “এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও পাকিস্তানের শত্রুরা কী করছে, আমরা খুব ভালো করেই জানি। এর আগে জবাব দিয়েছি, আবারও দেব।”
#দক্ষিণ_এশিয়া | ভারত_পাকিস্তান | সন্ত্রাসবাদ | আঞ্চলিক_নিরাপত্তা
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















