০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
পিরোজপুরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়ে পুড়িয়েে দিয়েছে ঢাকায় কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার বিশ্ব এগোচ্ছে, বাংলাদেশ ফিরছে পেছনে—সঙ্গীত শিক্ষায় এই ইউ-টার্নের কারণ কী? প্রকাশক ব্যারি কানিংহামের নতুন অধ্যায় ওয়ালমার্টের নতুন যুগ: এআই বিস্তারে নেতৃত্ব দেবেন জন ফার্নার যুক্তরাষ্ট্রে মাদকবিক্রেতাদের বিচার বর্হিভূত হত্যা সমর্থন করে মাত্র ২৯% আমেরিকান দুই বিচারকের পদত্যাগে পাকিস্তানে সাংবিধানিক সংকট তীব্রতর গভীর অতলে দেশের অর্থনীতি: ইনক্লুসিভ ইলেকশান ছাড়া বের হবার কোন পথ নেই বিশ্বজুড়ে স‍‍ংকট দেখা দিয়েছে রেয়ার আর্থের মূল ধাতু ইয়ট্রিয়ামের গাজীপুরে গৃহবধূর গলা-কাটা লাশ উদ্ধার; স্বামী আশঙ্কাজনক

ভারতের বিহার রাজ্যে মোদির জোটের ঐতিহাসিক জয়, বিপর্যস্ত বিরোধীরা

রেকর্ড সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এনডিএ
বিহারে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) এবার এক ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে। রাজ্যের তৃতীয়বারের মতো জনসমর্থনের ঢেউয়ে তারা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে। এই বিজয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তাকে আরও দৃঢ় করেছে এবং আগামীর গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য নির্বাচনগুলোতে এনডিএকে শক্ত অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে।


এনডিএ বিজয়ের মূল কারণ
• নারীদের জন্য নগদ সহায়তা এবং কল্যাণ কর্মসূচি
• স্মার্ট ও লক্ষ্যভিত্তিক প্রচারণা
• মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দীর্ঘমেয়াদি সুশাসনের ভাবমূর্তি
• প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে জেডিইউ–র ভিত্তি
এগুলো মিলিয়ে এনডিএ ২০১০ সালের পর সর্বোত্তম ফল অর্জন করেছে।


বিজেপির রেকর্ড ফল
রাজ্যে কখনো মুখ্যমন্ত্রী না পাওয়া বিজেপি এবার তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ভোটশেয়ার এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে। একই সঙ্গে নীতীশ কুমার দশমবারের মতো শপথ নিতে যাচ্ছেন—এবার টানা পঞ্চমবার।


জেডিইউ, এলজেপি ও অন্যান্য শরিকদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স
জেডিইউ নারীদের ভোটভিত্তি ও সুশাসনের ভাবমূর্তির ওপর ভর করে গত ১৫ বছরের সেরা ফল পেয়েছে।
লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (সেক্যুলার) ও রাষ্ট্রীয় লোক মরচাও অসাধারণ পারফরম্যান্স করে এনডিএকে ২০০–এর ওপরে নিয়ে গেছে—বিহারের ইতিহাসে এটি মাত্র দ্বিতীয়বার।


মোদির প্রতিক্রিয়া
মোদির ভাষায়,
“সুশাসন জিতেছে, উন্নয়ন জিতেছে, মানুষের প্রতি অঙ্গীকার জিতেছে। বিহারের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা।”


মহাগঠবন্ধনের ভয়াবহ ভরাডুবি
• সাত দলের জোট মাত্র ৩৫টি আসন পেয়েছে—১৫ বছরে সবচেয়ে খারাপ ফল
• আরজেডির মুসলিম–যাদব (এম-ওয়াই) ভোটভিত্তিতে বড় ক্ষয়
• কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৬টি আসন
• অন্য কোনো শরিক দুই অঙ্কেও পৌঁছাতে পারেনি
• মুখেশ সাহানির বিকাশশীল ইন্সান পার্টি শূন্য হাতে ফিরেছে

আরজেডির দুর্বল প্রচার, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং জনগণের মনোভাব বোঝার ব্যর্থতা এই বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।


রাহুল গান্ধীর প্রতিক্রিয়া
রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন নির্বাচন শুরু থেকেই “অন্যায্য” ছিল এবং বলেছেন সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই অব্যাহত থাকবে।


প্রশান্ত কিশোরের দল ব্যর্থ
প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ ২৪৩টির মধ্যে ২৩৮টি আসনে লড়েও একটি আসনও জিততে পারেনি। মাঠে জনসমর্থনের ঘাটতি ও বাস্তবতার সঙ্গে প্রচারণার অমিল স্পষ্ট হয়েছে।


২০২৫ সালে বিজেপির জয়ের ধারাবাহিকতা
• প্রায় তিন দশক পর দিল্লিতে জয়
• ২০২৪ সালে লোকসভায় ধাক্কার পর আবারো ঘুরে দাঁড়ানো
• হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বড় জয়
• এবার বিহারে রেকর্ড–বুক ভাঙা ফল

এই জয় মোদির নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং মিত্রদল–নির্ভর কেন্দ্রীয় সরকারকে স্থিতিশীলতা দিয়েছে।


২০২৬ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপির প্রস্তুতি
বিজেপির নজর এখন পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরালা, অসম ও পুদুচেরিতে। মোদি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন,
“গঙ্গা বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গে যায়—এবং এই ধারাই বিজেপির জয়ের পথ তৈরি করছে।”


নীতীশ কুমারের রাজনৈতিক অবস্থান আরও শক্ত
গত নির্বাচনে মাত্র ৪৩ আসনে সীমাবদ্ধ থাকা জেডিইউ এবার শক্তভাবে ফিরেছে। কুমারের সর্বজনগ্রাহ্যতা—বর্ণ, ধর্ম, অঞ্চল ও লিঙ্গ–সীমা পেরিয়ে—তাকে আবারও শক্তিশালী আঞ্চলিক নেতৃত্বে পরিণত করেছে।

চিরাগ পাসওয়ানের সাফল্যও জাতীয় রাজনীতিতে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে।


উদযাপন বনাম হতাশা
• পাটনা ও দিল্লিতে এনডিএ ক্যাম্পে ঢোল, নাচ, রঙ, মিষ্টি বিতরণ
• বিপরীতে, আরজেডি ও কংগ্রেস কার্যালয়ে শোক এবং নীরবতা
• গঠনমূলক প্রচার না করে আসন ভাগাভাগি নিয়ে বেশি সময় ব্যয় করাই মহাগঠবন্ধনের সর্বনাশ ডেকে এনেছে


তেজস্বী যাদবকে ঘিরে ক্ষোভ
• রাঘোপুর আসন ধরে রাখতেই বিপাকে পড়েছেন
• আরজেডির ভোটসমীকরণ বাড়াতে ব্যর্থ
• মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে পারেননি
• এদিকে এআইএমআইএম এবার মুসলিম বিধায়কের দিক থেকে আরজেডিকে ছাড়িয়ে গেছে—যা একসময় অকল্পনীয় ছিল


এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওওয়াইসির মন্তব্য
“নিজেকে রাজা ভাবলে চলবে না। জনগণকে সম্মান করতে হয়। সেই যুগ শেষ।”


কংগ্রেসের খারাপ ফলের প্রভাব
• ৬১টি আসনে লড়ে মাত্র ৬টিতে জয়
• এতে ইন্ডিয়া ব্লকে কংগ্রেসের দরকষাকষির ক্ষমতা দুর্বল হবে
• রাহুল গান্ধীর প্রচারহীনতা ও ইস্যু বাছাই নিয়ে প্রশ্ন উঠবে
• পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা কঠিন হতে পারে


বিহারের রাজনৈতিক গুরুত্ব
সামাজিক ন্যায় আন্দোলন ও মণ্ডল রাজনীতির কেন্দ্র হওয়ায় দেশীয় রাজনীতিতে বিহারের গুরুত্ব বরাবরই বেশি।
২০১৫ ও ২০২০ সালের প্রতিকূল অভিজ্ঞতার পর এবার বিজেপি কৌশলগত প্রচারণায় সাফল্য পেয়েছে।
আরজেডির ‘জঙ্গল রাজ’–বিরোধী প্রচারণাকে তারা কার্যকর ভোট–বার্তায় পরিণত করতে সক্ষম হয়েছে।


বিতর্কিত SIR ইস্যু ও ভোটার তালিকা
২০২৫ সালের নির্বাচন ঘিরে সবচেয়ে উত্তপ্ত ছিল SIR (স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন)–কে কেন্দ্র করে বিতর্ক।
• ৬৯ লাখ নাম বাদ
• ২১.৫ লাখ নাম যুক্ত
বিরোধীরা অভিযোগ তোলে—এটি ভোটারদের বঞ্চিত করার পরিকল্পিত চেষ্টা।
তবে চূড়ান্ত ফল বলছে—বিহারের ৭ কোটি ৪২ লাখ ভোটার দৈনন্দিন জীবনের বাস্তব সমস্যাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।


বিহারে এনডিএর এ বিজয় শুধু একটি নির্বাচন নয়—এটি ভারতে কেন্দ্রীয় রাজনীতির সমীকরণ নতুন করে সাজিয়ে দিয়েছে। বিরোধীদের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটারদের বাস্তব চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের পুনর্গঠন করা।

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়ে পুড়িয়েে দিয়েছে

ভারতের বিহার রাজ্যে মোদির জোটের ঐতিহাসিক জয়, বিপর্যস্ত বিরোধীরা

১১:৪৩:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

রেকর্ড সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এনডিএ
বিহারে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) এবার এক ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে। রাজ্যের তৃতীয়বারের মতো জনসমর্থনের ঢেউয়ে তারা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে। এই বিজয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তাকে আরও দৃঢ় করেছে এবং আগামীর গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য নির্বাচনগুলোতে এনডিএকে শক্ত অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে।


এনডিএ বিজয়ের মূল কারণ
• নারীদের জন্য নগদ সহায়তা এবং কল্যাণ কর্মসূচি
• স্মার্ট ও লক্ষ্যভিত্তিক প্রচারণা
• মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দীর্ঘমেয়াদি সুশাসনের ভাবমূর্তি
• প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে জেডিইউ–র ভিত্তি
এগুলো মিলিয়ে এনডিএ ২০১০ সালের পর সর্বোত্তম ফল অর্জন করেছে।


বিজেপির রেকর্ড ফল
রাজ্যে কখনো মুখ্যমন্ত্রী না পাওয়া বিজেপি এবার তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ভোটশেয়ার এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে। একই সঙ্গে নীতীশ কুমার দশমবারের মতো শপথ নিতে যাচ্ছেন—এবার টানা পঞ্চমবার।


জেডিইউ, এলজেপি ও অন্যান্য শরিকদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স
জেডিইউ নারীদের ভোটভিত্তি ও সুশাসনের ভাবমূর্তির ওপর ভর করে গত ১৫ বছরের সেরা ফল পেয়েছে।
লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (সেক্যুলার) ও রাষ্ট্রীয় লোক মরচাও অসাধারণ পারফরম্যান্স করে এনডিএকে ২০০–এর ওপরে নিয়ে গেছে—বিহারের ইতিহাসে এটি মাত্র দ্বিতীয়বার।


মোদির প্রতিক্রিয়া
মোদির ভাষায়,
“সুশাসন জিতেছে, উন্নয়ন জিতেছে, মানুষের প্রতি অঙ্গীকার জিতেছে। বিহারের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা।”


মহাগঠবন্ধনের ভয়াবহ ভরাডুবি
• সাত দলের জোট মাত্র ৩৫টি আসন পেয়েছে—১৫ বছরে সবচেয়ে খারাপ ফল
• আরজেডির মুসলিম–যাদব (এম-ওয়াই) ভোটভিত্তিতে বড় ক্ষয়
• কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৬টি আসন
• অন্য কোনো শরিক দুই অঙ্কেও পৌঁছাতে পারেনি
• মুখেশ সাহানির বিকাশশীল ইন্সান পার্টি শূন্য হাতে ফিরেছে

আরজেডির দুর্বল প্রচার, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং জনগণের মনোভাব বোঝার ব্যর্থতা এই বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।


রাহুল গান্ধীর প্রতিক্রিয়া
রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন নির্বাচন শুরু থেকেই “অন্যায্য” ছিল এবং বলেছেন সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই অব্যাহত থাকবে।


প্রশান্ত কিশোরের দল ব্যর্থ
প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ ২৪৩টির মধ্যে ২৩৮টি আসনে লড়েও একটি আসনও জিততে পারেনি। মাঠে জনসমর্থনের ঘাটতি ও বাস্তবতার সঙ্গে প্রচারণার অমিল স্পষ্ট হয়েছে।


২০২৫ সালে বিজেপির জয়ের ধারাবাহিকতা
• প্রায় তিন দশক পর দিল্লিতে জয়
• ২০২৪ সালে লোকসভায় ধাক্কার পর আবারো ঘুরে দাঁড়ানো
• হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বড় জয়
• এবার বিহারে রেকর্ড–বুক ভাঙা ফল

এই জয় মোদির নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং মিত্রদল–নির্ভর কেন্দ্রীয় সরকারকে স্থিতিশীলতা দিয়েছে।


২০২৬ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপির প্রস্তুতি
বিজেপির নজর এখন পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরালা, অসম ও পুদুচেরিতে। মোদি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন,
“গঙ্গা বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গে যায়—এবং এই ধারাই বিজেপির জয়ের পথ তৈরি করছে।”


নীতীশ কুমারের রাজনৈতিক অবস্থান আরও শক্ত
গত নির্বাচনে মাত্র ৪৩ আসনে সীমাবদ্ধ থাকা জেডিইউ এবার শক্তভাবে ফিরেছে। কুমারের সর্বজনগ্রাহ্যতা—বর্ণ, ধর্ম, অঞ্চল ও লিঙ্গ–সীমা পেরিয়ে—তাকে আবারও শক্তিশালী আঞ্চলিক নেতৃত্বে পরিণত করেছে।

চিরাগ পাসওয়ানের সাফল্যও জাতীয় রাজনীতিতে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে।


উদযাপন বনাম হতাশা
• পাটনা ও দিল্লিতে এনডিএ ক্যাম্পে ঢোল, নাচ, রঙ, মিষ্টি বিতরণ
• বিপরীতে, আরজেডি ও কংগ্রেস কার্যালয়ে শোক এবং নীরবতা
• গঠনমূলক প্রচার না করে আসন ভাগাভাগি নিয়ে বেশি সময় ব্যয় করাই মহাগঠবন্ধনের সর্বনাশ ডেকে এনেছে


তেজস্বী যাদবকে ঘিরে ক্ষোভ
• রাঘোপুর আসন ধরে রাখতেই বিপাকে পড়েছেন
• আরজেডির ভোটসমীকরণ বাড়াতে ব্যর্থ
• মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে পারেননি
• এদিকে এআইএমআইএম এবার মুসলিম বিধায়কের দিক থেকে আরজেডিকে ছাড়িয়ে গেছে—যা একসময় অকল্পনীয় ছিল


এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওওয়াইসির মন্তব্য
“নিজেকে রাজা ভাবলে চলবে না। জনগণকে সম্মান করতে হয়। সেই যুগ শেষ।”


কংগ্রেসের খারাপ ফলের প্রভাব
• ৬১টি আসনে লড়ে মাত্র ৬টিতে জয়
• এতে ইন্ডিয়া ব্লকে কংগ্রেসের দরকষাকষির ক্ষমতা দুর্বল হবে
• রাহুল গান্ধীর প্রচারহীনতা ও ইস্যু বাছাই নিয়ে প্রশ্ন উঠবে
• পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা কঠিন হতে পারে


বিহারের রাজনৈতিক গুরুত্ব
সামাজিক ন্যায় আন্দোলন ও মণ্ডল রাজনীতির কেন্দ্র হওয়ায় দেশীয় রাজনীতিতে বিহারের গুরুত্ব বরাবরই বেশি।
২০১৫ ও ২০২০ সালের প্রতিকূল অভিজ্ঞতার পর এবার বিজেপি কৌশলগত প্রচারণায় সাফল্য পেয়েছে।
আরজেডির ‘জঙ্গল রাজ’–বিরোধী প্রচারণাকে তারা কার্যকর ভোট–বার্তায় পরিণত করতে সক্ষম হয়েছে।


বিতর্কিত SIR ইস্যু ও ভোটার তালিকা
২০২৫ সালের নির্বাচন ঘিরে সবচেয়ে উত্তপ্ত ছিল SIR (স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন)–কে কেন্দ্র করে বিতর্ক।
• ৬৯ লাখ নাম বাদ
• ২১.৫ লাখ নাম যুক্ত
বিরোধীরা অভিযোগ তোলে—এটি ভোটারদের বঞ্চিত করার পরিকল্পিত চেষ্টা।
তবে চূড়ান্ত ফল বলছে—বিহারের ৭ কোটি ৪২ লাখ ভোটার দৈনন্দিন জীবনের বাস্তব সমস্যাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।


বিহারে এনডিএর এ বিজয় শুধু একটি নির্বাচন নয়—এটি ভারতে কেন্দ্রীয় রাজনীতির সমীকরণ নতুন করে সাজিয়ে দিয়েছে। বিরোধীদের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটারদের বাস্তব চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের পুনর্গঠন করা।