রায়টার্স/আইপসস জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে বিচারবহির্ভূতভাবে সন্দেহভাজন মাদকবিক্রেতা হত্যা সমর্থন করেন মাত্র ২৯% নাগরিক; অধিকাংশই এ নীতিকে অনৈতিক ও ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন।
অনলাইন ভিত্তিক এ জরিপে যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র ২৯% প্রাপ্তবয়স্ক বিচারবহির্ভূত হত্যায় সমর্থন করেছেন। ৫১% সরাসরি বিরোধিতা করেছেন, বাকিরা দ্বিধায় থেকেছেন। ভেনিজুয়েলাকে কেন্দ্র করে সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়েও জনমত বিভক্ত—মাদুরোকে সরাতে সামরিক শক্তির পক্ষে মাত্র ২১%।
- বিচারবহির্ভূত হত্যায় সমর্থন ২৯%, বিরোধিতা ৫১%
- রিপাবলিকান সমর্থকদের ৫৮% পক্ষে, ডেমোক্র্যাটদের বড় অংশ বিপক্ষে
- ক্যারিবিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরে সাম্প্রতিক হামলায় নিহত অন্তত ৭৯
- ভেনিজুয়েলায় সামরিক চাপ বাড়ানোর পক্ষে ৩৫%
- মাদুরোকে উৎখাতে সামরিক সমর্থন মাত্র ২১%
- ১,২০০ জন অংশগ্রহণকারী; ত্রুটিসীমা ±৩%
পটভূমি
ট্রাম্প প্রশাসন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ড্রাগবাহী সন্দেহভাজন জাহাজে বিমান ও নৌবাহিনী দিয়ে হামলা চালিয়েছে। প্রশাসনের দাবি—‘মাদক কার্টেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আদালতের অনুমতি বাধ্যতামূলক নয়।’
মানবাধিকার সংস্থাগুলো, বিশেষ করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এসব অভিযানকে বেআইনি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
রাজনৈতিক অবস্থান
মাদকবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে রিপাবলিকান ভোটারদের সমর্থন তুলনামূলক বেশি হলেও সর্বসম্মত নয়। ডেমোক্র্যাটদের বড় অংশই এই নীতির বিরুদ্ধে।
ভেনিজুয়েলাকে ঘিরে প্রশাসনের মধ্যেও সামরিক বিকল্প নিয়ে মতভেদ রয়েছে।

বিশ্লেষণ
- যুক্তরাষ্ট্রে বিচারবহির্ভূত হত্যার প্রশ্নে জনমত ব্যাপকভাবে বিভক্ত
- মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন এবং রাজনৈতিক স্বার্থ—তিনটি মিলেই তৈরি হয়েছে জটিল পরিস্থিতি
- সামরিক পথে বিদেশি রাষ্ট্রে চাপ প্রয়োগ জনসমর্থনের ঘাটতির কারণে প্রশাসনের সামনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে
ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি
ভেনিজুয়ेलায় সামরিক পদক্ষেপ বাড়ালে আন্তর্জাতিক উত্তেজনা তীব্র হতে পারে। ‘অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধ এড়ানো’র প্রতিশ্রুতি ও চলমান সামরিক কার্যক্রম—এই দুই অবস্থান প্রশাসনের নীতি-দ্বন্দ্বকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে।

জরিপের বিবরণ
ছয় দিনব্যাপী অনলাইন পোলটিতে অংশ নেন ১,২০০ জন মার্কিন প্রাপ্তবয়স্ক। ত্রুটিসীমা প্রায় ±৩%।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















