গাড়ি থেকে নামার সময় খেয়াল করেন যে এক ক্রুদ্ধ জনতার দল ক্যাথিড্রাল আক্রমণ করেছে।
তিনি তখন জিআই-এর কাউকে টাওয়ারে উঠে বাঁদরটিকে জলাধার থেকে টেনে বের করার জন্য হুমকিধামকি করতে থাকেন, কিন্তু কেউ তো তার আদেশ শোনে না। সৌভাগ্যক্রমে ঘটনাস্থলে এক ক্যাপ্টেন এসে হাজির, তিনি তখন বলেন যে “লেফটেন্যান্ট সাহেব সিও (কমান্ডিং অফিসার) জ্ঞাত হওয়ার পূর্বেই, ভালোয় ভালোয় তোমার কি করণীয় হবে ভেবে স্থির করে নাও, নয়তো তোমাকে পস্তাতে হবে।
এখানে আমরা কেউ ধেড়ে বাঁদরকে গুলি করে হত্যা করি না, অন্য কোনো প্রাণিকেও হত্যা করি না। ইত্যবসরে সিও-র কানে ঘটনাটি যায় এবং তিনি হন্তদন্ত হয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেই লেফটেন্যান্টকে টাওয়ারে উঠে জলের ট্যাঙ্ক থেকে মৃত বাঁদরটিকে টেনে বের করার আদেশ দেন।
আরেকটি মজার গল্প বলেন ইভো। হ্যান্ড বল খেলতে ইভো ঢাকার নটর ডেম “ক্যাথিড্রালে” যেতেন, সেখানে তাঁর খেলার সঙ্গিরা ছিলেন ‘ব্রাদার’ ও পাদরির দল। একবার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ইভো সেখানে যান, গাড়ি থেকে নামার সময় খেয়াল করেন যে এক ক্রুদ্ধ জনতার দল ক্যাথিড্রাল আক্রমণ করেছে। তাঁরা তখন পিস্তল হাতে নিয়ে ধীরে ধীরে “ক্যাথিড্রালের” দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। ইভো ও তার বন্ধুর হাতে পিস্তল দেখামাত্রই জনতার দল দৌড়ে পালিয়ে যায়।
নটর ডেম ক্যাথিড্রালে ইভোর সঙ্গে স্থানীয় এক ভদ্রলোকের পরিচয় হয়: ভদ্রলোক ঢাকার জল সরবরাহ সংস্থার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ইভো ও তাঁর ভদ্রলোকের বাড়িতে যান, সেখানে ভদ্রলোকের স্ত্রী, কন্যা ও পুত্রের সঙ্গে ইভোর বন্ধুকে নিজের বাড়িতে দুপুরের খাবার খাওয়ার দাওয়াত করেন। তাঁরা পরিচয় হয়। কন্যা ও পুত্র সমেত ইভো জল সরবরাহ সংস্থার জলাধারে সাঁতার কন্যাসহ ইভোর একটি ছবি তোলেন। ইভোের ধারণা যে ভদ্রলোক তাঁর সঙ্গে কাটতে যান। গরমের দিন, সাঁতার কেটে খুব ভালো লাগে তাঁর। ভদ্রলোক নিজের কন্যাটিকে বিয়ে দিতে আগ্রহী ছিলেন!
(চলবে)
নাঈম হক 


















