১০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
তাইওয়ানের স্যাটেলাইট যুগের সূচনা: স্পেসএক্স উৎক্ষেপণে বড় অগ্রগতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৯) শেয়ারবাজারে টানা উত্থান, বিনিয়োগকারীদের মনোভাব আরও ইতিবাচক সিরাজগঞ্জে ব্র্যাক–ফিলিপস ফাউন্ডেশনের নতুন চার হেলথ সেন্টার প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমলেও আস্থার লড়াইয়ে এগোচ্ছে চীন কাশ্মীরি মানেই সন্ত্রাসী নন- ওমর আব্দুল্লাহ গোপন সস রক্ষায় কঠোর নজরদারি: রেইজিং কেইনসের রহস্যময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সিআইএ–এর মূল্যায়নকে অস্বীকার করলেন ট্রাম্প ট্রাম্পের কৃষিপণ্য শুল্ক ছাড়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তে পারে ভারতের রপ্তানি ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৭৮৮ রোগী

দিল্লি–ঢাকা অংশীদারত্বে ওষুধ শিল্পের গুরুত্ব

দিল্লিতে আয়োজিত এক নেটওয়ার্কিং ও জ্ঞান–বিনিময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ও ভারতের অর্থনৈতিক অংশীদারত্বে ওষুধ শিল্পের কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেছেন, ফার্মা–সহযোগিতা বাড়লে দুই দেশের শিল্পায়ন দ্রুত এগোবে এবং সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবার সুযোগও আরও বিস্তৃত হবে।

বাংলাদেশ–ভারত ফার্মা অংশীদারত্বের দিগন্ত

ভারতের হাইকমিশনার জানান, এপিআই (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট) সংগ্রহ, প্রসেস প্রযুক্তি এবং ফার্মাসিউটিক্যাল যন্ত্রপাতি সরবরাহে বাংলাদেশ বরাবরই ভারতের ওপর আস্থাশীল। তাঁর মতে, ‘ফার্মাকনেক্ট’ প্ল্যাটফর্ম ভবিষ্যতমুখী ও উদ্ভাবন–নির্ভর কাঠামোর মাধ্যমে দুই দেশের নতুন ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি করবে এবং বিদ্যমান সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে।


‘ফার্মাকনেক্ট’ অনুষ্ঠানের মূল দিক

ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ–উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এটি ছিল সিপিএইচআই–পিএমইসি ইন্ডিয়া ২০২৫—বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ফার্মাসিউটিক্যাল প্রদর্শনী—এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণের পূর্ব–প্রস্তুতি ও যোগাযোগ বৃদ্ধির একটি উদ্যোগ।

এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বাপি)-এর সভাপতি আবদুল মুখতাদির। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রুত বিস্তৃতি পাচ্ছে এবং প্রযুক্তি বিনিময়, গবেষণা–উন্নয়ন সহযোগিতা ও সাপ্লাই–চেইন সংযুক্তিকরণে ভারতের সঙ্গে আরও গভীরভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।


বাংলাদেশি শিল্প–প্রতিনিধিদের মতামত

বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারীরা জানান, এমন উদ্যোগ সীমান্ত–পার সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করবে, প্রযুক্তি–অভিগম সহজ করবে, সাপ্লাই–চেইনের স্থিতিশীলতা বাড়াবে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন সুযোগ তৈরি করবে।


দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার

হাইকমিশনের মতে, স্বাস্থ্য ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা গভীর করার বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। আগামী ২৫–২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সিপিএইচআই–পিএমইসি ইন্ডিয়া ২০২৫–এ বহু বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এটি বৈশ্বিক নির্মাতা, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক ও বিনিয়োগকারীদের অন্যতম বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত।


ফার্মা খাতে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

‘ফার্মাকনেক্ট’ প্রদর্শনে উঠে আসে ভারত ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরিপূরক সক্ষমতা। ভারতের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বমানের ফার্মা শিল্প এবং বাংলাদেশের দ্রুতবর্ধনশীল উৎপাদন–ক্ষমতা একসঙ্গে কাজ করলে প্রযুক্তি অর্জন, সাপ্লাই–চেইন শক্তিশালীকরণ এবং বাণিজ্যিক সংযোগ আরও বিস্তৃত হতে পারে।


#বাংলাদেশ | ভারত | ফার্মা | অর্থনীতি | শিল্পায়ন | PharmaConnect | CPHI_PMEC_2025

জনপ্রিয় সংবাদ

তাইওয়ানের স্যাটেলাইট যুগের সূচনা: স্পেসএক্স উৎক্ষেপণে বড় অগ্রগতি

দিল্লি–ঢাকা অংশীদারত্বে ওষুধ শিল্পের গুরুত্ব

০৭:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

দিল্লিতে আয়োজিত এক নেটওয়ার্কিং ও জ্ঞান–বিনিময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ও ভারতের অর্থনৈতিক অংশীদারত্বে ওষুধ শিল্পের কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেছেন, ফার্মা–সহযোগিতা বাড়লে দুই দেশের শিল্পায়ন দ্রুত এগোবে এবং সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবার সুযোগও আরও বিস্তৃত হবে।

বাংলাদেশ–ভারত ফার্মা অংশীদারত্বের দিগন্ত

ভারতের হাইকমিশনার জানান, এপিআই (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট) সংগ্রহ, প্রসেস প্রযুক্তি এবং ফার্মাসিউটিক্যাল যন্ত্রপাতি সরবরাহে বাংলাদেশ বরাবরই ভারতের ওপর আস্থাশীল। তাঁর মতে, ‘ফার্মাকনেক্ট’ প্ল্যাটফর্ম ভবিষ্যতমুখী ও উদ্ভাবন–নির্ভর কাঠামোর মাধ্যমে দুই দেশের নতুন ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি করবে এবং বিদ্যমান সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে।


‘ফার্মাকনেক্ট’ অনুষ্ঠানের মূল দিক

ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ–উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এটি ছিল সিপিএইচআই–পিএমইসি ইন্ডিয়া ২০২৫—বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ফার্মাসিউটিক্যাল প্রদর্শনী—এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণের পূর্ব–প্রস্তুতি ও যোগাযোগ বৃদ্ধির একটি উদ্যোগ।

এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বাপি)-এর সভাপতি আবদুল মুখতাদির। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রুত বিস্তৃতি পাচ্ছে এবং প্রযুক্তি বিনিময়, গবেষণা–উন্নয়ন সহযোগিতা ও সাপ্লাই–চেইন সংযুক্তিকরণে ভারতের সঙ্গে আরও গভীরভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।


বাংলাদেশি শিল্প–প্রতিনিধিদের মতামত

বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারীরা জানান, এমন উদ্যোগ সীমান্ত–পার সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করবে, প্রযুক্তি–অভিগম সহজ করবে, সাপ্লাই–চেইনের স্থিতিশীলতা বাড়াবে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন সুযোগ তৈরি করবে।


দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার

হাইকমিশনের মতে, স্বাস্থ্য ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা গভীর করার বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। আগামী ২৫–২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সিপিএইচআই–পিএমইসি ইন্ডিয়া ২০২৫–এ বহু বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এটি বৈশ্বিক নির্মাতা, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক ও বিনিয়োগকারীদের অন্যতম বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত।


ফার্মা খাতে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

‘ফার্মাকনেক্ট’ প্রদর্শনে উঠে আসে ভারত ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরিপূরক সক্ষমতা। ভারতের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বমানের ফার্মা শিল্প এবং বাংলাদেশের দ্রুতবর্ধনশীল উৎপাদন–ক্ষমতা একসঙ্গে কাজ করলে প্রযুক্তি অর্জন, সাপ্লাই–চেইন শক্তিশালীকরণ এবং বাণিজ্যিক সংযোগ আরও বিস্তৃত হতে পারে।


#বাংলাদেশ | ভারত | ফার্মা | অর্থনীতি | শিল্পায়ন | PharmaConnect | CPHI_PMEC_2025