ক্যামেরার বদলে শিল্পী নদী তীরের প্রতিটি ঘরবাড়ি আঁকতে চেয়েছেন নদী থেকে….
প্যানোরামা অব ঢাকা
ঢাকার ওপর জলরংয়ের আঁকা একটি দীর্ঘ স্কুল পাই যা ঢাকা শহরকে বোঝার জন্য খুব দরকারি। সেই স্কুল, বিষয়বস্তু নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করব। এই ‘প্যানোরামা’ ধরে গত শতকের শেষ দশকে একটি জরিপ করেছিলাম। সেটিও এখানে উল্লেখ করছি। জরিপটি এখনো প্রাসঙ্গিক এ কারণে যে, নদীর তীরবর্তী বাড়িগুলির অধিকরণ এখনও টিকে আছে। কিছু অবশ্য বিলুপ্ত হয়েছে।
উনিশ শতকে এমনকি বিশ শতকেও ঢাকা আলোচনাকালে বুড়িগঙ্গা প্রসঙ্গ সবসময় এসেছে কিন্তু বুড়িগঙ্গা নিয়ে ছবি আঁকা হয়েছে কম। বুড়িগঙ্গা নিয়ে আছে কয়েকটি, ফেবেকের জলরং আছে তবে এই নদী নিয়ে উল্লেখযোগ্য ছবি ‘প্যানোরমা অব ঢাকা’। জলরংয়ে আঁকা, স্কুলের মতো উল্লেখ করেছি।
জলরংটি দীর্ঘদিন ধরে নৌকোয় বসে আঁকা।

ভাওয়াল জমিদারির সাবেক ম্যানেজার এফ ম্যাককেমেরুনের বাংলো
লালবাগ থেকে মিলব্যারাক পর্যন্ত নদী তীর এর বিষয়। এখানে জলরংয়ের পাওয়া যাবে না। মনে হবে, ক্যামেরার বদলে শিল্পী নদী তীরের প্রতিটি ঘরবাড়ি আঁকতে চেয়েছেন নদী থেকে।
তবে ঢাকা শহরের বা এলিটবর্গ কীভাবে নদীর তীরটি দখল করে নিয়েছিলেন এবং কারা কারা থাকতেন তার একটি বিবরণ দেয়া যেতে পারে। এই আদি ঔপনিবেশিক যুগের ঢাকার স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যটি এখান থেকে আমরা জানতে পারি।
ছবির গুণাগুণ সাধারণ তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ অধিবাসীদের বর্ণনা।

ঢাকা সুগার কোম্পানি ওয়ার্কস (বর্তমান মিল ব্যারাক) ও ম্যানেজারের বাসভবন

ওয়াল্টার সাহেবের সাসপেনশন ব্রিজ ও লক্ষ্যা নদীর দিকে প্রবাহিত নালা
(চলবে)
মুনতাসীর মামুন 


















