খাইবার পাখতুনখোয়ার লাক্কি মারওয়াত ও ডেরা ইসমাইল খান জেলায় দুটি পৃথক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী মোট ১৩ জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।
অভিযান: লাক্কি মারওয়াতের পাহার খেল এলাকায় যৌথ আইবিও
আইএসপিআর জানায়, লাক্কি মারওয়াত জেলার পাহার খেল এলাকায় সেনাবাহিনী ও সিটিডি যৌথভাবে একটি গোয়েন্দা-সংগৃহীত অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গিদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালায়। তীব্র গোলাগুলির পর ১০ জন খারিজি (রাষ্ট্রীয় পরিভাষায় নিষিদ্ধ টিটিপি সদস্য) নিহত হয়।
সিটিডি জানায়, সকাল সাড়ে সাতটায় শুরু হওয়া এই অভিযানে নিহতদের মধ্যে টিপু গুল গ্রুপের দুই শীর্ষ কমান্ডার—নিয়াজ আলী ওরফে আকাশা ও আবদুল্লাহ ওরফে শিপুনকোই—অন্তর্ভুক্ত। অভিযানে পাঁচ জঙ্গি আহত হয় এবং একজন সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।
ডেরা ইসমাইল খানে পৃথক আইবিও: আরও তিন জঙ্গি নিহত
আইএসপিআর জানায়, ডেরা ইসমাইল খান জেলায় পরিচালিত আরেকটি অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী তিনজন জঙ্গিকে হত্যা করে। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। আইএসপিআর দাবি করে, এরা ভারত-সমর্থিত খারিজি, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হত্যা এবং বেসামরিক মানুষের টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল।

শুদ্ধিকরণ অভিযান অব্যাহত
আইএসপিআর জানায়, এলাকায় আর কোনো সন্ত্রাসী লুকিয়ে আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে শুদ্ধিকরণ অভিযান চলছে। ‘আজম-ই-ইস্তেহকম’–এর অধীনে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম পুরো গতিতে চালিয়ে যাওয়া হবে, যাতে বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা যায়।
তিন দিনে চার অভিযানে নিহত ৩৮ জঙ্গি
এর আগে চলতি সপ্তাহেই আইএসপিআর জানিয়েছিল, খাইবার পাখতুনখোয়ায় তিন দিনের ব্যবধানে চারটি পৃথক অভিযানে ৩৮ জঙ্গি নিহত হয়েছে।
দেশে সন্ত্রাসবাদের উত্থান
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে খাইবার পাখতুনখোয়া ও বলুচিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভেঙে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়।
ইসলামাবাদভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ’ জানিয়েছে, গত তিন মাসে জঙ্গি হামলা ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের বৃদ্ধি সহিংসতার মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















