০১:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
ছুটির মৌসুমে রাজনীতির নয়, পরিবারের পাশে দাঁড়ান ট্রাম্পের ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনায় রাশিয়ারই বড় লাভ, উদ্বেগে কিয়েভ–ইউরোপ অর্ধেক ঔপন্যাসিকের আশঙ্কা—এআই তাদের কাজ দখল করবে, সবচেয়ে ঝুঁকিতে রোম্যান্স লেখকেরা ইউক্রেন যুদ্ধ: যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া শান্তি প্রস্তাবে মিত্রদের আরও সংশোধনের দাবি নেট্রা মান্তেনার উদয়পুর বিবাহে ‘ডোলা রে ডোলা’-এ মুগ্ধতা ছড়ালেন মাধুরী দীক্ষিত জাপানে ভর্তুকি ও তহবিল পর্যালোচনায় নতুন দপ্তর গঠন দিল্লি বিস্ফোরণ: আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্কে পাকিস্তান-যোগ ও ২৬ লাখ টাকার তহবিল ঢাকায় কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জাতীয় পার্টির বৈঠক স্যানিটেশন ব্যবস্থার সুফল উন্মোচন: স্বাস্থ্য, মর্যাদা ও সমৃদ্ধি পাকিস্তানে নতুন ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট নিয়ে তীব্র বিতর্ক: পাঁচ বিচারকের দাবি—শুনানি সুপ্রিম কোর্টেই হোক

অর্ধেক ঔপন্যাসিকের আশঙ্কা—এআই তাদের কাজ দখল করবে, সবচেয়ে ঝুঁকিতে রোম্যান্স লেখকেরা

None

এআই নিয়ে ঔপন্যাসিকদের গভীর উদ্বেগ
যুক্তরাজ্যের প্রকাশিত অর্ধেকেরও বেশি ঔপন্যাসিক মনে করছেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভবিষ্যতে তাদের কাজ পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজের মাইন্ডেরু সেন্টার ফর টেকনোলজি অ্যান্ড ডেমোক্রেসির নতুন প্রতিবেদনে সাহিত্য জগতে এআইয়ের দ্রুত অগ্রগতি নিয়ে লেখকদের এই গভীর উদ্বেগ তুলে ধরা হয়েছে। এই গবেষণায় ২৫৮ জন প্রকাশিত ঔপন্যাসিক এবং ৭৪ জন শিল্প–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি—যাদের মধ্যে ছিলেন সম্পাদক ও এজেন্ট—অংশ নেন। এতে দেখা যায়, ৫১ শতাংশ লেখক বিশ্বাস করেন যে এআই একসময় তাদের কাজকে পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হবে। অনেক লেখক অভিযোগ করেন, তাদের লেখা অনুমতি ছাড়াই বৃহৎ ভাষা মডেল প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হয়েছে। জেনারেটিভ এআইয়ের প্রভাবের কারণে ৩৯ শতাংশ লেখক ইতোমধ্যেই আয়ের পতন লক্ষ্য করেছেন এবং তাদের ধারণা ভবিষ্যতে আয়ের এই সংকোচন আরও বাড়বে।

সাহিত্যজগতে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা
গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক ড. ক্লেমেন্টাইন কোলেট বলেন, ঔপন্যাসিকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে যে বিশাল পরিমাণ কল্পকাহিনি দিয়ে প্রশিক্ষিত এআই লেখালেখির মূল্য কমিয়ে দেবে এবং মানব লেখকদের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা তৈরি করবে। তিনি আরও জানান, অনেকে আশঙ্কা করছেন যে ভবিষ্যতে পাঠকেরা দীর্ঘ ও জটিল ধরনের লেখায় আগ্রহ হারাতে পারেন। তাঁর মতে, উপন্যাস শুধু বিনোদন নয়—এটি সমাজ, সংস্কৃতি ও ব্যক্তিজীবনে অনন্যভাবে অবদান রাখে।

এআই সস্তা হলে পাঠকরাও সেদিকে ঝুঁকতে পারে
‘গার্ল উইথ আ পার্ল ইয়াররিং’-এর লেখক ট্রেসি শেভালিয়ের বলেন, তিনি আশঙ্কা করেন যে মুনাফাকেন্দ্রিক প্রকাশনা শিল্প এআই ব্যবহার করে বই তৈরি করতে আরও উৎসাহী হবে। যদি এআই দিয়ে উপন্যাস তৈরি করা সস্তা হয় এবং সেই বইগুলো কম দামে বাজারে আসে, তাহলে পাঠকেরা সেগুলোর দিকেই বেশি ঝুঁকবেন—যেমন আমরা হাতের তৈরি সোয়েটারের বদলে মেশিনে তৈরি তুলনামূলক সস্তা সোয়েটার বেশি কিনি।

সবচেয়ে ঝুঁকিতে রোম্যান্স, থ্রিলার ও ক্রাইম লেখকেরা
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রোম্যান্স লেখকেরা এআই প্রতিস্থাপনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে আছেন। এরপর রয়েছেন থ্রিলার ও ক্রাইম উপন্যাসের লেখকেরা। অনেক লেখক জানান, বাজার ইতোমধ্যেই এআই–নির্মিত বইয়ে ভরে যেতে শুরু করেছে। কেউ কেউ তাদের নামেই এমন বই অনলাইনে বিক্রি হতে দেখেছেন, যা তারা লেখেননি। আবার অনেকে বলেছেন, এআই–নির্মিত রিভিউতে চরিত্র বা তথ্য বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা তাদের বইয়ের বিক্রি ও পাঠকের বিশ্বাসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

Almost half of UK novelists fear AI will replace their work entirely - Yahoo News UK

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিয়ন্ত্রণহীন পরিবেশ
অ্যামাজন মার্কেটপ্লেস এবং অনুরূপ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এআই–নির্মিত বইয়ের বন্যা বইছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব প্ল্যাটফর্মে কোনো নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ম না থাকায় সেগুলো এখন “ওয়াইল্ড ওয়েস্ট”-এ পরিণত হয়েছে। এ কারণেই বহু লেখক তাদের কাজ ও পরিচয়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন।

লেখকেরা এআই ব্যবহার করছেন, কিন্তু সীমা চান
যদিও অনেক উদ্বেগ রয়েছে, তবু প্রায় এক–তৃতীয়াংশ লেখক স্বীকার করেছেন যে তারা তথ্য অনুসন্ধান বা মৌলিক সহায়তামূলক কাজের জন্য ইতোমধ্যেই এআই ব্যবহার করেন। তবে তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এআই যেন উপন্যাস না লেখে, কোনো অংশবিশেষ লিখে না দেয় কিংবা সম্পাদনার কাজও না করে। অধিকাংশ লেখকের মতে, সৃজনশীলতার জায়গায় এআইয়ের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।

কপিরাইট সুরক্ষায় বড় ঘাটতি
লেখকেরা মনে করেন, প্রযুক্তির গতির সঙ্গে কপিরাইট সুরক্ষার আইন তাল মিলাতে পারছে না। তাদের দাবি, কোনো লেখকের লেখা এআই প্রশিক্ষণে ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই লেখকের জ্ঞাত সম্মতি এবং সমানুপাতে পারিশ্রমিক দিতে হবে। এআই কোম্পানির বেশি স্বচ্ছতা, সরকারের সমর্থন এবং ‘রাইটস রিজার্ভেশন’ নীতির সংস্কারের দাবিও তারা তুলেছেন। বর্তমানে এই নীতির কারণে লেখকদের অপ্ট–আউট না করলে তাদের লেখা এআই প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা যায়, যা অনেক লেখকের মতে অগ্রহণযোগ্য এবং অন্যায্য।

Why authors are right to fear AI

পাঠাভ্যাস কমে যাওয়ার মাঝেই নতুন সংকট
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে বর্তমানে শিশু–কিশোরদের পাঠাভ্যাস কমছে। মাত্র এক–তৃতীয়াংশ শিশু অবসরে পড়তে ভালোবাসে—যা গত দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। লেখকেরা মনে করেন, এই সময়েই যদি এআই মানুষের লেখা ও মানবিক অভিজ্ঞতাকে দুর্বল করে দেয়, তাহলে লেখক–পাঠকের সম্পর্ক আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

লেখক বনাম এআই কোম্পানির সংঘাত বাড়ছে
এআই কোম্পানির সঙ্গে লেখকদের দ্বন্দ্বও দিন দিন তীব্র হচ্ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অ্যানথ্রপিক ১.৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয় এমন এক মামলায়, যেখানে অভিযোগ ছিল যে তারা লেখকদের অনুমতি ছাড়াই তাদের বই ব্যবহার করে চ্যাটবট প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এই ঘটনার পর লেখকদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বেড়েছে এবং তারা জোরালোভাবে অধিক সুরক্ষা দাবি করছেন।

# সাহিত্য_সংবাদ #এআই_ও_ লেখালেখি #রোম্যান্স_লেখক #কপিরাইট_বিতর্ক #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

ছুটির মৌসুমে রাজনীতির নয়, পরিবারের পাশে দাঁড়ান

অর্ধেক ঔপন্যাসিকের আশঙ্কা—এআই তাদের কাজ দখল করবে, সবচেয়ে ঝুঁকিতে রোম্যান্স লেখকেরা

১২:০১:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

এআই নিয়ে ঔপন্যাসিকদের গভীর উদ্বেগ
যুক্তরাজ্যের প্রকাশিত অর্ধেকেরও বেশি ঔপন্যাসিক মনে করছেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভবিষ্যতে তাদের কাজ পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজের মাইন্ডেরু সেন্টার ফর টেকনোলজি অ্যান্ড ডেমোক্রেসির নতুন প্রতিবেদনে সাহিত্য জগতে এআইয়ের দ্রুত অগ্রগতি নিয়ে লেখকদের এই গভীর উদ্বেগ তুলে ধরা হয়েছে। এই গবেষণায় ২৫৮ জন প্রকাশিত ঔপন্যাসিক এবং ৭৪ জন শিল্প–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি—যাদের মধ্যে ছিলেন সম্পাদক ও এজেন্ট—অংশ নেন। এতে দেখা যায়, ৫১ শতাংশ লেখক বিশ্বাস করেন যে এআই একসময় তাদের কাজকে পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হবে। অনেক লেখক অভিযোগ করেন, তাদের লেখা অনুমতি ছাড়াই বৃহৎ ভাষা মডেল প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হয়েছে। জেনারেটিভ এআইয়ের প্রভাবের কারণে ৩৯ শতাংশ লেখক ইতোমধ্যেই আয়ের পতন লক্ষ্য করেছেন এবং তাদের ধারণা ভবিষ্যতে আয়ের এই সংকোচন আরও বাড়বে।

সাহিত্যজগতে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা
গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক ড. ক্লেমেন্টাইন কোলেট বলেন, ঔপন্যাসিকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে যে বিশাল পরিমাণ কল্পকাহিনি দিয়ে প্রশিক্ষিত এআই লেখালেখির মূল্য কমিয়ে দেবে এবং মানব লেখকদের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা তৈরি করবে। তিনি আরও জানান, অনেকে আশঙ্কা করছেন যে ভবিষ্যতে পাঠকেরা দীর্ঘ ও জটিল ধরনের লেখায় আগ্রহ হারাতে পারেন। তাঁর মতে, উপন্যাস শুধু বিনোদন নয়—এটি সমাজ, সংস্কৃতি ও ব্যক্তিজীবনে অনন্যভাবে অবদান রাখে।

এআই সস্তা হলে পাঠকরাও সেদিকে ঝুঁকতে পারে
‘গার্ল উইথ আ পার্ল ইয়াররিং’-এর লেখক ট্রেসি শেভালিয়ের বলেন, তিনি আশঙ্কা করেন যে মুনাফাকেন্দ্রিক প্রকাশনা শিল্প এআই ব্যবহার করে বই তৈরি করতে আরও উৎসাহী হবে। যদি এআই দিয়ে উপন্যাস তৈরি করা সস্তা হয় এবং সেই বইগুলো কম দামে বাজারে আসে, তাহলে পাঠকেরা সেগুলোর দিকেই বেশি ঝুঁকবেন—যেমন আমরা হাতের তৈরি সোয়েটারের বদলে মেশিনে তৈরি তুলনামূলক সস্তা সোয়েটার বেশি কিনি।

সবচেয়ে ঝুঁকিতে রোম্যান্স, থ্রিলার ও ক্রাইম লেখকেরা
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রোম্যান্স লেখকেরা এআই প্রতিস্থাপনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে আছেন। এরপর রয়েছেন থ্রিলার ও ক্রাইম উপন্যাসের লেখকেরা। অনেক লেখক জানান, বাজার ইতোমধ্যেই এআই–নির্মিত বইয়ে ভরে যেতে শুরু করেছে। কেউ কেউ তাদের নামেই এমন বই অনলাইনে বিক্রি হতে দেখেছেন, যা তারা লেখেননি। আবার অনেকে বলেছেন, এআই–নির্মিত রিভিউতে চরিত্র বা তথ্য বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা তাদের বইয়ের বিক্রি ও পাঠকের বিশ্বাসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

Almost half of UK novelists fear AI will replace their work entirely - Yahoo News UK

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিয়ন্ত্রণহীন পরিবেশ
অ্যামাজন মার্কেটপ্লেস এবং অনুরূপ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এআই–নির্মিত বইয়ের বন্যা বইছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব প্ল্যাটফর্মে কোনো নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ম না থাকায় সেগুলো এখন “ওয়াইল্ড ওয়েস্ট”-এ পরিণত হয়েছে। এ কারণেই বহু লেখক তাদের কাজ ও পরিচয়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন।

লেখকেরা এআই ব্যবহার করছেন, কিন্তু সীমা চান
যদিও অনেক উদ্বেগ রয়েছে, তবু প্রায় এক–তৃতীয়াংশ লেখক স্বীকার করেছেন যে তারা তথ্য অনুসন্ধান বা মৌলিক সহায়তামূলক কাজের জন্য ইতোমধ্যেই এআই ব্যবহার করেন। তবে তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এআই যেন উপন্যাস না লেখে, কোনো অংশবিশেষ লিখে না দেয় কিংবা সম্পাদনার কাজও না করে। অধিকাংশ লেখকের মতে, সৃজনশীলতার জায়গায় এআইয়ের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।

কপিরাইট সুরক্ষায় বড় ঘাটতি
লেখকেরা মনে করেন, প্রযুক্তির গতির সঙ্গে কপিরাইট সুরক্ষার আইন তাল মিলাতে পারছে না। তাদের দাবি, কোনো লেখকের লেখা এআই প্রশিক্ষণে ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই লেখকের জ্ঞাত সম্মতি এবং সমানুপাতে পারিশ্রমিক দিতে হবে। এআই কোম্পানির বেশি স্বচ্ছতা, সরকারের সমর্থন এবং ‘রাইটস রিজার্ভেশন’ নীতির সংস্কারের দাবিও তারা তুলেছেন। বর্তমানে এই নীতির কারণে লেখকদের অপ্ট–আউট না করলে তাদের লেখা এআই প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা যায়, যা অনেক লেখকের মতে অগ্রহণযোগ্য এবং অন্যায্য।

Why authors are right to fear AI

পাঠাভ্যাস কমে যাওয়ার মাঝেই নতুন সংকট
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে বর্তমানে শিশু–কিশোরদের পাঠাভ্যাস কমছে। মাত্র এক–তৃতীয়াংশ শিশু অবসরে পড়তে ভালোবাসে—যা গত দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। লেখকেরা মনে করেন, এই সময়েই যদি এআই মানুষের লেখা ও মানবিক অভিজ্ঞতাকে দুর্বল করে দেয়, তাহলে লেখক–পাঠকের সম্পর্ক আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

লেখক বনাম এআই কোম্পানির সংঘাত বাড়ছে
এআই কোম্পানির সঙ্গে লেখকদের দ্বন্দ্বও দিন দিন তীব্র হচ্ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অ্যানথ্রপিক ১.৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয় এমন এক মামলায়, যেখানে অভিযোগ ছিল যে তারা লেখকদের অনুমতি ছাড়াই তাদের বই ব্যবহার করে চ্যাটবট প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এই ঘটনার পর লেখকদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বেড়েছে এবং তারা জোরালোভাবে অধিক সুরক্ষা দাবি করছেন।

# সাহিত্য_সংবাদ #এআই_ও_ লেখালেখি #রোম্যান্স_লেখক #কপিরাইট_বিতর্ক #সারাক্ষণ_রিপোর্ট