১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
ট্রাম্পের ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনায় রাশিয়ারই বড় লাভ, উদ্বেগে কিয়েভ–ইউরোপ অর্ধেক ঔপন্যাসিকের আশঙ্কা—এআই তাদের কাজ দখল করবে, সবচেয়ে ঝুঁকিতে রোম্যান্স লেখকেরা ইউক্রেন যুদ্ধ: যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া শান্তি প্রস্তাবে মিত্রদের আরও সংশোধনের দাবি নেট্রা মান্তেনার উদয়পুর বিবাহে ‘ডোলা রে ডোলা’-এ মুগ্ধতা ছড়ালেন মাধুরী দীক্ষিত জাপানে ভর্তুকি ও তহবিল পর্যালোচনায় নতুন দপ্তর গঠন দিল্লি বিস্ফোরণ: আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্কে পাকিস্তান-যোগ ও ২৬ লাখ টাকার তহবিল ঢাকায় কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জাতীয় পার্টির বৈঠক স্যানিটেশন ব্যবস্থার সুফল উন্মোচন: স্বাস্থ্য, মর্যাদা ও সমৃদ্ধি পাকিস্তানে নতুন ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট নিয়ে তীব্র বিতর্ক: পাঁচ বিচারকের দাবি—শুনানি সুপ্রিম কোর্টেই হোক জি–২০ সম্মেলনে মোদির ছয় দফা এজেন্ডা, জলবায়ু চুক্তি ও যুক্তরাষ্ট্রের বয়কট: দক্ষিণ আফ্রিকা বৈঠকের পাঁচ প্রধান বিষয়

ইউক্রেন যুদ্ধ: যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া শান্তি প্রস্তাবে মিত্রদের আরও সংশোধনের দাবি

ইউক্রেন যুদ্ধের চতুর্থ বছরের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ২৮ দফা শান্তি প্রস্তাব ঘিরে উত্তেজনা চরমে। প্রস্তাবটি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটো সদস্য দেশ এবং ইউক্রেনের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা বলছে—এতে আরও সংশোধন প্রয়োজন। একই সঙ্গে তারা দাবি করছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর সংশ্লিষ্ট অংশগুলোর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই সদস্য দেশগুলোর সম্মতি থাকতে হবে।


জোহানেসবার্গে জরুরি বৈঠকে মিত্র দেশগুলোর অবস্থান

জোহানেসবার্গে জি২০ সম্মেলনের অবসরে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে ইউরোপীয় দেশগুলো, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ ১৪ দেশের নেতা জানান—শান্তি প্রস্তাবের প্রাথমিক খসড়ায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকলেও এটি চূড়ান্ত করতে অতিরিক্ত কাজ প্রয়োজন। তারা বলেন, খসড়ায় এমন কিছু অংশ রয়েছে যার বাস্তবায়নে ইইউ ও ন্যাটোর পূর্ণ সম্মতি ছাড়া অগ্রগতি সম্ভব নয়।


ওয়াশিংটনের চাপ ও ট্রাম্প প্রশাসনের আলটিমেটাম

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইউক্রেনকে আলটিমেটাম দিয়েছে—বৃহস্পতিবারের মধ্যে ২৮ দফা প্রস্তাবে রাজি না হলে আলোচনার সুযোগ সীমিত হয়ে যাবে। ইউরোপীয় নেতারা এই প্রস্তাবকে রাশিয়ার প্রতি “সমর্পণ” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করেছে—ইউক্রেন যদি এই প্রস্তাব না মানে, তবে তারা সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারে।


ইউক্রেনের প্রতিক্রিয়া ও জেলেনস্কির উদ্বেগ

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তাদের সামনে এখন দুটি পথ—
১.  মর্যাদা হারানো, অথবা
২. গুরুত্বপূর্ণ মিত্রকে হারানোর ঝুঁকি নেওয়া।
তিনি এটিকে দেশের ইতিহাসের অন্যতম কঠিন মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করেন।


জেনেভায় আলোচনা ও ইউরোপীয় প্রচেষ্টা

ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সচিব রুস্টেম উমেরভ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভবিষ্যৎ শান্তি চুক্তির সম্ভাব্য কাঠামো নিয়ে সুইজারল্যান্ডে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে। রবিবার জেনেভায় ইউরোপীয় কমিশন ও বিভিন্ন ইউরোপীয় রাজধানীর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা বৈঠকে বসবেন—যাতে তারা আলোচনায় প্রভাব ফেলতে পারেন।

Ukraine’s allies say more work needed on US plan to end Russia’s war

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে পূর্ণ পরামর্শ ছাড়া রাশিয়ার ইনপুট নিয়ে তৈরি এই প্রস্তাব যুদ্ধের মোড় ঘোরাতে পারে। এটি পশ্চিমা ঐক্য ও ইউক্রেনের ভবিষ্যতের জন্য বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।


জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে কূটনৈতিক তৎপরতা

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্চ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাকরোঁ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার যৌথ প্রতিক্রিয়া তৈরিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের লক্ষ্য—ট্রাম্পকে সরাসরি সমালোচনা না করেই একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তৈরি করা।

মিত্র দেশগুলোর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়:
“আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। তবে সীমান্ত বলপ্রয়োগে পরিবর্তন করা যাবে না—এ নীতিতে আমরা অটল। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে সীমিত করার প্রস্তাব ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।”


মিত্র দেশগুলোর সম্মিলিত উদ্বেগ

যে নেতারা যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, তাদের মধ্যে ছিলেন—ইতালি, নরওয়ে, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ইইউ কাউন্সিল ও কমিশনের প্রেসিডেন্ট।

বৈঠক শেষে জার্মান চ্যান্সেলর মার্চ বলেন—“প্রভাবিত দেশকে পাশে রেখে নয়, বরং তাদের সম্মতিতেই যুদ্ধের সমাধান হতে হবে। ইউক্রেন হেরে গেলে এর মারাত্মক প্রভাব পুরো ইউরোপীয় রাজনীতিতে পড়বে।”


ওয়াশিংটনের কড়া বার্তা ও উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকের বিবরণ

শুক্রবার রাতে কিয়েভে এক উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকে মার্কিন আর্মি সেক্রেটারি ড্যানিয়েল ড্রিসকল ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূতদের বলেন—“আমরা কোনো খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করছি না। আমাদের দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে।”
উপস্থিতদের অনেকেই তার বক্তব্যকে “বিরক্তিকর” এবং “অস্বস্তিকর” বলে মন্তব্য করেন।

জেলেনস্কির পক্ষ থেকে জেনেভায় আলোচনার জন্য যে দল পাঠানো হয়েছে, তার নেতৃত্বে রয়েছেন তার প্রধান উপদেষ্টা আন্দ্রি ইয়ারমাক।


জি২০ সম্মেলন ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

শনিবার জোহানেসবার্গে জি২০ সম্মেলনের উদ্বোধনে অংশ নেওয়া ১৯ দেশ যৌথ বিবৃতিতে জানায়—বর্তমান জটিল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে তারা বহুপক্ষীয় সহযোগিতায় বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করছে।
ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন—যুক্তরাষ্ট্র সম্মেলন বয়কট করবে এবং অন্য দেশগুলোকেও যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

বিশ্বের প্রধান শক্তিগুলো যখন ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুত চাপ, ইউরোপের উদ্বেগ এবং ইউক্রেনের অস্তিত্বগত সংকট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এই শান্তি প্রস্তাব গৃহীত হবে কি না—তা এখন ইউক্রেন, ইউরোপ এবং বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্যের জন্য বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।


#UkraineWar #USRussiaProposal #EUConcerns #PeaceTalks

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্পের ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনায় রাশিয়ারই বড় লাভ, উদ্বেগে কিয়েভ–ইউরোপ

ইউক্রেন যুদ্ধ: যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া শান্তি প্রস্তাবে মিত্রদের আরও সংশোধনের দাবি

১১:০০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

ইউক্রেন যুদ্ধের চতুর্থ বছরের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ২৮ দফা শান্তি প্রস্তাব ঘিরে উত্তেজনা চরমে। প্রস্তাবটি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটো সদস্য দেশ এবং ইউক্রেনের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা বলছে—এতে আরও সংশোধন প্রয়োজন। একই সঙ্গে তারা দাবি করছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর সংশ্লিষ্ট অংশগুলোর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই সদস্য দেশগুলোর সম্মতি থাকতে হবে।


জোহানেসবার্গে জরুরি বৈঠকে মিত্র দেশগুলোর অবস্থান

জোহানেসবার্গে জি২০ সম্মেলনের অবসরে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে ইউরোপীয় দেশগুলো, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ ১৪ দেশের নেতা জানান—শান্তি প্রস্তাবের প্রাথমিক খসড়ায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকলেও এটি চূড়ান্ত করতে অতিরিক্ত কাজ প্রয়োজন। তারা বলেন, খসড়ায় এমন কিছু অংশ রয়েছে যার বাস্তবায়নে ইইউ ও ন্যাটোর পূর্ণ সম্মতি ছাড়া অগ্রগতি সম্ভব নয়।


ওয়াশিংটনের চাপ ও ট্রাম্প প্রশাসনের আলটিমেটাম

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইউক্রেনকে আলটিমেটাম দিয়েছে—বৃহস্পতিবারের মধ্যে ২৮ দফা প্রস্তাবে রাজি না হলে আলোচনার সুযোগ সীমিত হয়ে যাবে। ইউরোপীয় নেতারা এই প্রস্তাবকে রাশিয়ার প্রতি “সমর্পণ” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করেছে—ইউক্রেন যদি এই প্রস্তাব না মানে, তবে তারা সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারে।


ইউক্রেনের প্রতিক্রিয়া ও জেলেনস্কির উদ্বেগ

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তাদের সামনে এখন দুটি পথ—
১.  মর্যাদা হারানো, অথবা
২. গুরুত্বপূর্ণ মিত্রকে হারানোর ঝুঁকি নেওয়া।
তিনি এটিকে দেশের ইতিহাসের অন্যতম কঠিন মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করেন।


জেনেভায় আলোচনা ও ইউরোপীয় প্রচেষ্টা

ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সচিব রুস্টেম উমেরভ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভবিষ্যৎ শান্তি চুক্তির সম্ভাব্য কাঠামো নিয়ে সুইজারল্যান্ডে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে। রবিবার জেনেভায় ইউরোপীয় কমিশন ও বিভিন্ন ইউরোপীয় রাজধানীর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা বৈঠকে বসবেন—যাতে তারা আলোচনায় প্রভাব ফেলতে পারেন।

Ukraine’s allies say more work needed on US plan to end Russia’s war

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে পূর্ণ পরামর্শ ছাড়া রাশিয়ার ইনপুট নিয়ে তৈরি এই প্রস্তাব যুদ্ধের মোড় ঘোরাতে পারে। এটি পশ্চিমা ঐক্য ও ইউক্রেনের ভবিষ্যতের জন্য বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।


জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে কূটনৈতিক তৎপরতা

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্চ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাকরোঁ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার যৌথ প্রতিক্রিয়া তৈরিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের লক্ষ্য—ট্রাম্পকে সরাসরি সমালোচনা না করেই একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তৈরি করা।

মিত্র দেশগুলোর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়:
“আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। তবে সীমান্ত বলপ্রয়োগে পরিবর্তন করা যাবে না—এ নীতিতে আমরা অটল। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে সীমিত করার প্রস্তাব ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।”


মিত্র দেশগুলোর সম্মিলিত উদ্বেগ

যে নেতারা যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, তাদের মধ্যে ছিলেন—ইতালি, নরওয়ে, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ইইউ কাউন্সিল ও কমিশনের প্রেসিডেন্ট।

বৈঠক শেষে জার্মান চ্যান্সেলর মার্চ বলেন—“প্রভাবিত দেশকে পাশে রেখে নয়, বরং তাদের সম্মতিতেই যুদ্ধের সমাধান হতে হবে। ইউক্রেন হেরে গেলে এর মারাত্মক প্রভাব পুরো ইউরোপীয় রাজনীতিতে পড়বে।”


ওয়াশিংটনের কড়া বার্তা ও উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকের বিবরণ

শুক্রবার রাতে কিয়েভে এক উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকে মার্কিন আর্মি সেক্রেটারি ড্যানিয়েল ড্রিসকল ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূতদের বলেন—“আমরা কোনো খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করছি না। আমাদের দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে।”
উপস্থিতদের অনেকেই তার বক্তব্যকে “বিরক্তিকর” এবং “অস্বস্তিকর” বলে মন্তব্য করেন।

জেলেনস্কির পক্ষ থেকে জেনেভায় আলোচনার জন্য যে দল পাঠানো হয়েছে, তার নেতৃত্বে রয়েছেন তার প্রধান উপদেষ্টা আন্দ্রি ইয়ারমাক।


জি২০ সম্মেলন ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

শনিবার জোহানেসবার্গে জি২০ সম্মেলনের উদ্বোধনে অংশ নেওয়া ১৯ দেশ যৌথ বিবৃতিতে জানায়—বর্তমান জটিল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে তারা বহুপক্ষীয় সহযোগিতায় বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করছে।
ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন—যুক্তরাষ্ট্র সম্মেলন বয়কট করবে এবং অন্য দেশগুলোকেও যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

বিশ্বের প্রধান শক্তিগুলো যখন ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুত চাপ, ইউরোপের উদ্বেগ এবং ইউক্রেনের অস্তিত্বগত সংকট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এই শান্তি প্রস্তাব গৃহীত হবে কি না—তা এখন ইউক্রেন, ইউরোপ এবং বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্যের জন্য বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।


#UkraineWar #USRussiaProposal #EUConcerns #PeaceTalks