০৮:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
সমান সুযোগের অভাব নিয়ে এনসিপির উদ্বেগ সার উৎপাদনকারী কারখানার জন্য গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ঘনমিটারপ্রতি ২৯ টাকা ২৫ পয়সা পঞ্চবটি-মুক্তারপুর এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন গতি সিলেট সীমান্তে খাসিয়াদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত বাংলাদেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা: আরও ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৭৮ বাংলাদেশে স্থিতিশীল সরকার ছাড়া মানুষের জীবনের ও অর্থনীতির নিরাপত্তা সম্ভব নয় আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা এক মাস বাড়ল চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মিয়ানমারের উপকূল

ফ্যাসিস্ট বনাম জিহাদিস্ট: পুরোনো মন্তব্যের পরও ট্রাম্প–মামদানির উষ্ণ সাক্ষাৎ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার দেখা করলেন নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান ক্বামে মামদানির সঙ্গে—যাকে নিয়ে ট্রাম্প বহুবার প্রকাশ্যে কড়া মন্তব্য করেছিলেন। অতীতে মামদানিকে তিনি “কমিউনিস্ট পাগল” ও “পুরোপুরি অদ্ভুত লোক” বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। অন্যদিকে মামদানি বলেছিলেন, তিনি ট্রাম্পের “সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্ন”।

তবুও হোয়াইট হাউসের এই আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ ছিল আশ্চর্যভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ ও উষ্ণ।


সাক্ষাৎকার: ট্রাম্পের প্রশংসা ও সহযোগিতার আশ্বাস
সাক্ষাতের পর ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, মামদানি রক্ষণশীলদেরও চমকে দিতে পারেন। তিনি আরও জানান, নিউইয়র্ককে “শক্তিশালী ও নিরাপদ” করতে তিনি মেয়রকে সহযোগিতা করবেন।

মামদানি বলেন, মতবিরোধের ওপর নয়, বরং নিউইয়র্কবাসীদের সেবা করার অভিন্ন উদ্দেশ্যের ওপর বুধবারের আলোচনাটি গুরুত্ব দিয়েছিল বলে তিনি প্রশংসা করেন।


মূল মুহূর্ত ১
ট্রাম্প ‘জিহাদিস্ট’ মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করলেন
এক প্রতিবেদক রিপাবলিকান নেত্রী এলিস স্টেফানিকের মন্তব্য তুলে ধরেন—যেখানে তিনি মামদানিকে “জিহাদিস্ট” বলেছিলেন। প্রশ্নটি শুনেই ট্রাম্প মন্তব্যটি নাকচ করেন।

ট্রাম্প বলেন, “নির্বাচনী প্রচারে কখনো কখনো এমন কথা বলা হয়,” তবে তিনি মামদানিকে ‘অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত’ ব্যক্তি হিসেবে দেখেছেন। তিনি জানান, মেয়র হিসেবে মামদানি নিউইয়র্ককে আবার মহান করার প্রচেষ্টা চালাতে চান—এমনটাই তিনি উপলব্ধি করেছেন।


মূল মুহূর্ত ২
“গণমাধ্যম তো বিষয়টি গিলে ফেলেছে”—ট্রাম্প
মামদানির সঙ্গে বৈঠক নিয়ে মিডিয়ার বাড়তি আগ্রহের কথাও বলেন ট্রাম্প। তিনি জানান, বড় বড় রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে তার বহু বৈঠক হলেও সেগুলিতে এত মনোযোগ দেখা যায়নি। কিন্তু মামদানিকে ঘিরে সাংবাদিকদের ভিড় ছিল অসাধারণ।

ট্রাম্প বলেন, “গণমাধ্যম এই বৈঠককে খুবই ‘ইন্টারেস্টিং’ হিসেবে দেখেছে।” তিনি বৈঠকটিকে “দারুণ” বলে অভিহিত করেন।


মূল মুহূর্ত ৩
মামদানির ‘ফ্যাসিস্ট’ মন্তব্যে ট্রাম্প: “সমস্যা নেই”
মামদানি অতীতে ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলেছিলেন—এই প্রশ্নে ট্রাম্প সহজ ভঙ্গিতে বলেন, চাইলে মামদানি আবারও তা বলতে পারেন। মামদানিও মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানান।

ট্রাম্প বলেন, “এতে আমার আপত্তি নেই,” এবং হাসতে হাসতেই মামদানির হাতে আলতো চাপ দেন।


মূল মুহূর্ত ৪
“শ্রমজীবী মানুষকে রাজনীতির কেন্দ্রে ফেরাতে চাই”—মামদানি
নিউইয়র্কের কর্মজীবী মানুষদের “পেছনে ফেলে রাখা হয়েছে” উল্লেখ করে মামদানি বলেন, তারা সেই মানুষদের রাজনীতির কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনতে চান। তিনি আবারও নগরীর ব্যয়সাধ্য জীবনের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি জানান, “বিশ্বের সবচেয়ে ধনী শহরে প্রতি পাঁচজনের একজন মাত্র ২.৯০ ডলারের বাস/ট্রেন ভাড়া দিতে পারেন না।”
ট্রাম্প বলেন, এ বিষয়ে মামদানির অনেক ধারণাই তার নিজের ধারণার সঙ্গে মিলে যায়।


মূল মুহূর্ত ৫
মামদানি মেয়র হলে নিউইয়র্কে থাকা নিয়ে ট্রাম্পের উত্তর
এক সাংবাদিক জানতে চান, মামদানি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিলে ট্রাম্প নিজ শহর নিউইয়র্কে বসবাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন কি না।
ট্রাম্প সাথে সাথে বলেন, “হ্যাঁ, অবশ্যই।” এবং যোগ করেন, “বিশেষ করে আজকের এই বৈঠকের পর তো অবশ্যই।”


শেখার মতো বিষয়
● অতীতের কড়া মন্তব্য সত্ত্বেও দুই নেতার সাক্ষাৎ ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ।
● ট্রাম্প একাধিকবার মামদানির লক্ষ্য ও শহর পরিচালনার ধারণার প্রশংসা করেন।
● মিডিয়া এই সাক্ষাৎকে উচ্চমাত্রার আগ্রহ নিয়ে অনুসরণ করেছে।
● সামাজিক ন্যায়, কর্মজীবী মানুষের সমস্যা ও শহরের নিরাপত্তা—এগুলোই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল।

জনপ্রিয় সংবাদ

সমান সুযোগের অভাব নিয়ে এনসিপির উদ্বেগ

ফ্যাসিস্ট বনাম জিহাদিস্ট: পুরোনো মন্তব্যের পরও ট্রাম্প–মামদানির উষ্ণ সাক্ষাৎ

০৬:০৬:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার দেখা করলেন নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান ক্বামে মামদানির সঙ্গে—যাকে নিয়ে ট্রাম্প বহুবার প্রকাশ্যে কড়া মন্তব্য করেছিলেন। অতীতে মামদানিকে তিনি “কমিউনিস্ট পাগল” ও “পুরোপুরি অদ্ভুত লোক” বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। অন্যদিকে মামদানি বলেছিলেন, তিনি ট্রাম্পের “সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্ন”।

তবুও হোয়াইট হাউসের এই আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ ছিল আশ্চর্যভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ ও উষ্ণ।


সাক্ষাৎকার: ট্রাম্পের প্রশংসা ও সহযোগিতার আশ্বাস
সাক্ষাতের পর ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, মামদানি রক্ষণশীলদেরও চমকে দিতে পারেন। তিনি আরও জানান, নিউইয়র্ককে “শক্তিশালী ও নিরাপদ” করতে তিনি মেয়রকে সহযোগিতা করবেন।

মামদানি বলেন, মতবিরোধের ওপর নয়, বরং নিউইয়র্কবাসীদের সেবা করার অভিন্ন উদ্দেশ্যের ওপর বুধবারের আলোচনাটি গুরুত্ব দিয়েছিল বলে তিনি প্রশংসা করেন।


মূল মুহূর্ত ১
ট্রাম্প ‘জিহাদিস্ট’ মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করলেন
এক প্রতিবেদক রিপাবলিকান নেত্রী এলিস স্টেফানিকের মন্তব্য তুলে ধরেন—যেখানে তিনি মামদানিকে “জিহাদিস্ট” বলেছিলেন। প্রশ্নটি শুনেই ট্রাম্প মন্তব্যটি নাকচ করেন।

ট্রাম্প বলেন, “নির্বাচনী প্রচারে কখনো কখনো এমন কথা বলা হয়,” তবে তিনি মামদানিকে ‘অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত’ ব্যক্তি হিসেবে দেখেছেন। তিনি জানান, মেয়র হিসেবে মামদানি নিউইয়র্ককে আবার মহান করার প্রচেষ্টা চালাতে চান—এমনটাই তিনি উপলব্ধি করেছেন।


মূল মুহূর্ত ২
“গণমাধ্যম তো বিষয়টি গিলে ফেলেছে”—ট্রাম্প
মামদানির সঙ্গে বৈঠক নিয়ে মিডিয়ার বাড়তি আগ্রহের কথাও বলেন ট্রাম্প। তিনি জানান, বড় বড় রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে তার বহু বৈঠক হলেও সেগুলিতে এত মনোযোগ দেখা যায়নি। কিন্তু মামদানিকে ঘিরে সাংবাদিকদের ভিড় ছিল অসাধারণ।

ট্রাম্প বলেন, “গণমাধ্যম এই বৈঠককে খুবই ‘ইন্টারেস্টিং’ হিসেবে দেখেছে।” তিনি বৈঠকটিকে “দারুণ” বলে অভিহিত করেন।


মূল মুহূর্ত ৩
মামদানির ‘ফ্যাসিস্ট’ মন্তব্যে ট্রাম্প: “সমস্যা নেই”
মামদানি অতীতে ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলেছিলেন—এই প্রশ্নে ট্রাম্প সহজ ভঙ্গিতে বলেন, চাইলে মামদানি আবারও তা বলতে পারেন। মামদানিও মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানান।

ট্রাম্প বলেন, “এতে আমার আপত্তি নেই,” এবং হাসতে হাসতেই মামদানির হাতে আলতো চাপ দেন।


মূল মুহূর্ত ৪
“শ্রমজীবী মানুষকে রাজনীতির কেন্দ্রে ফেরাতে চাই”—মামদানি
নিউইয়র্কের কর্মজীবী মানুষদের “পেছনে ফেলে রাখা হয়েছে” উল্লেখ করে মামদানি বলেন, তারা সেই মানুষদের রাজনীতির কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনতে চান। তিনি আবারও নগরীর ব্যয়সাধ্য জীবনের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি জানান, “বিশ্বের সবচেয়ে ধনী শহরে প্রতি পাঁচজনের একজন মাত্র ২.৯০ ডলারের বাস/ট্রেন ভাড়া দিতে পারেন না।”
ট্রাম্প বলেন, এ বিষয়ে মামদানির অনেক ধারণাই তার নিজের ধারণার সঙ্গে মিলে যায়।


মূল মুহূর্ত ৫
মামদানি মেয়র হলে নিউইয়র্কে থাকা নিয়ে ট্রাম্পের উত্তর
এক সাংবাদিক জানতে চান, মামদানি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিলে ট্রাম্প নিজ শহর নিউইয়র্কে বসবাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন কি না।
ট্রাম্প সাথে সাথে বলেন, “হ্যাঁ, অবশ্যই।” এবং যোগ করেন, “বিশেষ করে আজকের এই বৈঠকের পর তো অবশ্যই।”


শেখার মতো বিষয়
● অতীতের কড়া মন্তব্য সত্ত্বেও দুই নেতার সাক্ষাৎ ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ।
● ট্রাম্প একাধিকবার মামদানির লক্ষ্য ও শহর পরিচালনার ধারণার প্রশংসা করেন।
● মিডিয়া এই সাক্ষাৎকে উচ্চমাত্রার আগ্রহ নিয়ে অনুসরণ করেছে।
● সামাজিক ন্যায়, কর্মজীবী মানুষের সমস্যা ও শহরের নিরাপত্তা—এগুলোই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল।