০৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

বিএইরএ’র মানববন্ধন: জটিলতা দূর ও শ্রমবাজার রক্ষায় ১০ দফা দাবি

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) নতুন করে মানববন্ধন করে তাদের ১০ দফা দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিদেশে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় জটিলতা, লাইসেন্স নবায়ন, ক্লিয়ারেন্স ব্যবস্থা এবং শ্রমবাজার নিরাপত্তা নিয়ে তাদের উদ্বেগ বাড়ছে। সংগঠনটির অভিযোগ—দাবি জানানো সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

মানববন্ধন ও পূর্বের কর্মসূচি
সোমবার বায়রার সদস্যরা বিএমইটি ভবনের সামনে মানববন্ধন গড়ে তোলেন। তারা জানান, এর আগেও ১০ নভেম্বর একই দাবিতে মানববন্ধন হয়েছিল; কিন্তু দুই সপ্তাহেও কোনো সমাধান আসেনি।

রেমিট্যান্সের গুরুত্ব ও বর্তমান সংকট
বায়রা নেতারা বলেন, প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি কর্মী বায়রা-সংযুক্ত এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে যান। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশে বছরে গড়ে ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যোগ করে। গত অর্থবছরে এই অঙ্ক ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা ভবিষ্যতে রেমিট্যান্স প্রবাহের জন্য বড় হুমকি হতে পারে।

আইন-সংক্রান্ত জটিলতা ও সৌদি আরবের নীতি
মো. মহিউদ্দিন, কম্বাইন্ড অ্যালায়েন্স ফর প্রোটেক্টিং লেবার মার্কেট অ্যান্ড এনশিউরিং বায়রা মেম্বার্স’ রাইটস-এর সদস্য সচিব, বলেন—বৈধ শ্রম অভিবাসনকে মানবপাচার প্রতিরোধ আইনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। একইভাবে অভিবাসন আইনের কয়েকটি ধারা নিয়মিত অভিবাসনকে মানবপাচারের সঙ্গে তুলনা করছে, যা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর লাইসেন্স নবায়ন ও এক্সিট-ক্লিয়ারেন্সে বারবার জটিলতা তৈরি করছে।
তিনি আরও জানান, সৌদি আরবের অভিবাসন নীতির কিছু বিধান বাংলাদেশের শ্রমবাজারের স্বার্থের বিপরীতে যাচ্ছে। তার মতে, সৌদি আরবে কর্মীদের ব্যক্তিগত এক্সিট-ক্লিয়ারেন্সের পূর্বের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা ছাড়া বিকল্প নেই।

লাইসেন্স বাতিল ও জামানত সংক্রান্ত অভিযোগ
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয় যে, কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই ৪৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে লাইসেন্স অনুমোদনে ৫০ লাখ টাকার নিরাপত্তা জামানত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বক্তাদের দাবি—এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে পুরো রিক্রুটিং খাতই ভেঙে পড়তে পারে।

দাবিগুলো ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
বায়রার দাবি—সৌদি আরবসহ সব দূতাবাসে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে একক লাইসেন্স ব্যবস্থাও বাতিল করতে হবে।
তারা আরও সতর্ক করে বলেন, দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

#tags বায়রা#  বিদেশগমন#  রেমিট্যান্স#  শ্রমবাজার #বাংলাদেশ

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্প বললেন, ইউক্রেন শান্তি–পরিকল্পনা এখনো ‘চূড়ান্ত প্রস্তাব’ নয়

বিএইরএ’র মানববন্ধন: জটিলতা দূর ও শ্রমবাজার রক্ষায় ১০ দফা দাবি

০৪:১৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) নতুন করে মানববন্ধন করে তাদের ১০ দফা দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিদেশে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় জটিলতা, লাইসেন্স নবায়ন, ক্লিয়ারেন্স ব্যবস্থা এবং শ্রমবাজার নিরাপত্তা নিয়ে তাদের উদ্বেগ বাড়ছে। সংগঠনটির অভিযোগ—দাবি জানানো সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

মানববন্ধন ও পূর্বের কর্মসূচি
সোমবার বায়রার সদস্যরা বিএমইটি ভবনের সামনে মানববন্ধন গড়ে তোলেন। তারা জানান, এর আগেও ১০ নভেম্বর একই দাবিতে মানববন্ধন হয়েছিল; কিন্তু দুই সপ্তাহেও কোনো সমাধান আসেনি।

রেমিট্যান্সের গুরুত্ব ও বর্তমান সংকট
বায়রা নেতারা বলেন, প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি কর্মী বায়রা-সংযুক্ত এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে যান। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশে বছরে গড়ে ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যোগ করে। গত অর্থবছরে এই অঙ্ক ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা ভবিষ্যতে রেমিট্যান্স প্রবাহের জন্য বড় হুমকি হতে পারে।

আইন-সংক্রান্ত জটিলতা ও সৌদি আরবের নীতি
মো. মহিউদ্দিন, কম্বাইন্ড অ্যালায়েন্স ফর প্রোটেক্টিং লেবার মার্কেট অ্যান্ড এনশিউরিং বায়রা মেম্বার্স’ রাইটস-এর সদস্য সচিব, বলেন—বৈধ শ্রম অভিবাসনকে মানবপাচার প্রতিরোধ আইনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। একইভাবে অভিবাসন আইনের কয়েকটি ধারা নিয়মিত অভিবাসনকে মানবপাচারের সঙ্গে তুলনা করছে, যা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর লাইসেন্স নবায়ন ও এক্সিট-ক্লিয়ারেন্সে বারবার জটিলতা তৈরি করছে।
তিনি আরও জানান, সৌদি আরবের অভিবাসন নীতির কিছু বিধান বাংলাদেশের শ্রমবাজারের স্বার্থের বিপরীতে যাচ্ছে। তার মতে, সৌদি আরবে কর্মীদের ব্যক্তিগত এক্সিট-ক্লিয়ারেন্সের পূর্বের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা ছাড়া বিকল্প নেই।

লাইসেন্স বাতিল ও জামানত সংক্রান্ত অভিযোগ
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয় যে, কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই ৪৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে লাইসেন্স অনুমোদনে ৫০ লাখ টাকার নিরাপত্তা জামানত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বক্তাদের দাবি—এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে পুরো রিক্রুটিং খাতই ভেঙে পড়তে পারে।

দাবিগুলো ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
বায়রার দাবি—সৌদি আরবসহ সব দূতাবাসে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে একক লাইসেন্স ব্যবস্থাও বাতিল করতে হবে।
তারা আরও সতর্ক করে বলেন, দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

#tags বায়রা#  বিদেশগমন#  রেমিট্যান্স#  শ্রমবাজার #বাংলাদেশ