০৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে আগুন ভ্রমণপিপাসুদের জন্য ১২ ধরনের উপহার—উদ্দেশ্য একটাই, যাত্রা একটু আরামদায়ক করা কেন্ড্রিকের সঙ্গে এবার স্পিল্ট মিল্কে জেনেসিস ওউসু ও লটে গ্যালাগারও পঞ্চাশের পর হঠাৎ বাড়ছে অটোইমিউন রোগ: ‘স্বাভাবিক বার্ধক্য’ ভেবে ঝুঁকি নিচ্ছেন অনেকে ভিয়েতনাম–থাইল্যান্ডে ভয়াবহ বন্যা: টানা বর্ষণে ডুবে যাচ্ছে গ্রাম–শহর নেক্সপেরিয়া চিপ সংকটে আবার কাঁপছে বিশ্ব গাড়ি শিল্প জার্মানিকে পাশে টেনে বিরল খনিজে নতুন সমীকরণ গড়তে চাইছে চীন রাশিয়ার পুনর্গঠন বদলে দিচ্ছে দখলে নেওয়া মারিউপোল ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে শোক—নিখিল সিদ্ধার্থের আবেগঘন স্মৃতিচারণ ধর্মেন্দ্র: বলিউডের সর্বাধিক সফল অভিনেতা কেন কখনো ‘সুপারস্টার’ বলা হয়নি

গাজা যুদ্ধবিরতিতে ভাঙন: লঙ্ঘনের অভিযোগে মুখোমুখি ইসরায়েল–হামাস

যুদ্ধবিরতির মাঝেও নতুন উত্তেজনা
গাজায় ছয় সপ্তাহ ধরে টিকে থাকা যুদ্ধবিরতিতে সপ্তাহান্তে নতুন করে চাপ তৈরি হয়েছে, যখন ইসরায়েল ও হামাস দুই পক্ষই একে–অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি, গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান বদল করার পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে রকেট ও মর্টার ছোড়ার চেষ্টা করেছে, যা যুদ্ধবিরতির শর্তের পরিপন্থী। অন্যদিকে হামাসসহ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর বক্তব্য, ইসরায়েল সীমান্তবর্তী কিছু এলাকায় সীমিত বিমান হামলা ও স্থল টহল জোরদার করেছে এবং কৃষিকাজে বের হওয়া বা স্থান বদলের সময় সাধারণ মানুষের দিকে গুলি ছুড়েছে। গাজায় কাজ করা ত্রাণ সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, সাম্প্রতিক এই নিরাপত্তা টানাপোড়েনের কারণে কিছু মানবিক করিডর সাময়িকভাবে বন্ধ বা সীমিত হয়ে পড়েছে, ফলে খাদ্য, পানি ও ওষুধের বহর নির্ধারিত সময়মতো পৌঁছাতে পারেনি। পর্যবেক্ষকদের মতে, এখনো পরিস্থিতি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ পুনরায় শুরুর পর্যায়ে যায়নি, তবে অবিশ্বাস ও পাল্টা–অভিযোগের ধারা দ্রুত না থামলে বিদ্যমান যুদ্ধবিরতির ভিত্তি আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

কূটনৈতিক তৎপরতা ও আঞ্চলিক ঝুঁকি
কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা দুই পক্ষের সঙ্গেই নিয়মিত যোগাযোগ রেখে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন এবং সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে “গুরুতর হলেও নিয়ন্ত্রণযোগ্য” বলে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, যেন যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি ভেঙে গেছে—এ ধারণা না ছড়ায়। ইসরায়েলের ভেতরে এখন দুই ধরনের চাপ; একদিকে গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দীদের পরিবার আরও অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ, অন্যদিকে কট্টর ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলো যুদ্ধবিরতি শেষ করে নতুন সামরিক অভিযানের দাবি তুলছে। গাজা শাসনকারী হামাসও চাপে রয়েছে—ধ্বংসস্তূপে পরিণত অঞ্চলে জনসেবা নিশ্চিত করা, ছোট ছোট সশস্ত্র সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং একই সঙ্গে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখা তাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠছে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, সংঘাত আবার তীব্র হলে গাজার ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যসেবা ও আশ্রয়ব্যবস্থা আরও বিপর্যস্ত হবে এবং শীত মৌসুমের আগে লক্ষ লক্ষ বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য পরিস্থিতি জীবন–সংকটে গড়াতে পারে। এ অবস্থায় ঘোষণার ভাষায় কেউই যুদ্ধবিরতিকে মৃত বলতে চাইছে না; কিন্তু মাটির বাস্তবতা ও পারস্পরিক অবিশ্বাস যদি না কমে, তবে স্থানীয় সংঘর্ষ থেকেই বড় আকারের যুদ্ধ ও আঞ্চলিক অস্থিরতার ঝুঁকি আবার মাথাচাড়া দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে আগুন

গাজা যুদ্ধবিরতিতে ভাঙন: লঙ্ঘনের অভিযোগে মুখোমুখি ইসরায়েল–হামাস

০৬:০৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

যুদ্ধবিরতির মাঝেও নতুন উত্তেজনা
গাজায় ছয় সপ্তাহ ধরে টিকে থাকা যুদ্ধবিরতিতে সপ্তাহান্তে নতুন করে চাপ তৈরি হয়েছে, যখন ইসরায়েল ও হামাস দুই পক্ষই একে–অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি, গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান বদল করার পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে রকেট ও মর্টার ছোড়ার চেষ্টা করেছে, যা যুদ্ধবিরতির শর্তের পরিপন্থী। অন্যদিকে হামাসসহ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর বক্তব্য, ইসরায়েল সীমান্তবর্তী কিছু এলাকায় সীমিত বিমান হামলা ও স্থল টহল জোরদার করেছে এবং কৃষিকাজে বের হওয়া বা স্থান বদলের সময় সাধারণ মানুষের দিকে গুলি ছুড়েছে। গাজায় কাজ করা ত্রাণ সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, সাম্প্রতিক এই নিরাপত্তা টানাপোড়েনের কারণে কিছু মানবিক করিডর সাময়িকভাবে বন্ধ বা সীমিত হয়ে পড়েছে, ফলে খাদ্য, পানি ও ওষুধের বহর নির্ধারিত সময়মতো পৌঁছাতে পারেনি। পর্যবেক্ষকদের মতে, এখনো পরিস্থিতি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ পুনরায় শুরুর পর্যায়ে যায়নি, তবে অবিশ্বাস ও পাল্টা–অভিযোগের ধারা দ্রুত না থামলে বিদ্যমান যুদ্ধবিরতির ভিত্তি আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

কূটনৈতিক তৎপরতা ও আঞ্চলিক ঝুঁকি
কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা দুই পক্ষের সঙ্গেই নিয়মিত যোগাযোগ রেখে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন এবং সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে “গুরুতর হলেও নিয়ন্ত্রণযোগ্য” বলে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, যেন যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি ভেঙে গেছে—এ ধারণা না ছড়ায়। ইসরায়েলের ভেতরে এখন দুই ধরনের চাপ; একদিকে গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দীদের পরিবার আরও অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ, অন্যদিকে কট্টর ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলো যুদ্ধবিরতি শেষ করে নতুন সামরিক অভিযানের দাবি তুলছে। গাজা শাসনকারী হামাসও চাপে রয়েছে—ধ্বংসস্তূপে পরিণত অঞ্চলে জনসেবা নিশ্চিত করা, ছোট ছোট সশস্ত্র সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং একই সঙ্গে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখা তাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠছে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, সংঘাত আবার তীব্র হলে গাজার ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যসেবা ও আশ্রয়ব্যবস্থা আরও বিপর্যস্ত হবে এবং শীত মৌসুমের আগে লক্ষ লক্ষ বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য পরিস্থিতি জীবন–সংকটে গড়াতে পারে। এ অবস্থায় ঘোষণার ভাষায় কেউই যুদ্ধবিরতিকে মৃত বলতে চাইছে না; কিন্তু মাটির বাস্তবতা ও পারস্পরিক অবিশ্বাস যদি না কমে, তবে স্থানীয় সংঘর্ষ থেকেই বড় আকারের যুদ্ধ ও আঞ্চলিক অস্থিরতার ঝুঁকি আবার মাথাচাড়া দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।