০৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
মালয়েশিয়ায় ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে জাতীয় নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হলো ব্যাচেলর অব মাদ্রাসা এডুকেশন প্রোগ্রাম ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে বলিউডে শোকের ছায়া মেটা কি সত্যিই একচেটিয়া শক্তি নয়? বাংলাদেশের অর্থনীতি চরম সংকটে, বেঁচে থাকার পথ খুঁজে পাচ্ছে না মানুষ ইসলামী ব্যাংকের বোর্ডের জোর: নিরবচ্ছিন্ন সেবা ও ঋণ পুনরুদ্ধার পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু ডিএসই–তে ঘুরে দাঁড়ানো: ২০ দিন পর সূচক ৫ হাজারের ওপরে প্রায় ভুলে যাওয়া এক দেয়াল জীবনরক্ষাকারী সব ওষুধের দাম নির্ধারণে সরকারের পূর্ণ ক্ষমতা ফিরিয়ে দিল হাইকোর্ট

ডিইউ অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের ছয় মাসের জামিন, মুক্তিতে আর বাধা নেই

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো আইনি বাধা থাকছে না।

হাইকোর্টের আদেশ
সোমবার বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা এবং বিচারপতি রেজাউল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই জামিন মঞ্জুর করেন।
গত রোববার অধ্যাপক হাফিজুর রহমান জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।

আদালতে তার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ আলী আহমেদ খোকন, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আকতার রুবি।
অ্যাডভোকেট শেখ আলী জানান, হাইকোর্টের আদেশের পর তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।

একই মামলায় পূর্ববর্তী আদেশ
এর আগে ১০ নভেম্বর, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমকে একই মামলায় দেওয়া হাইকোর্টের জামিনাদেশ আপিল বিভাগ বহাল রাখে।

ঘটনার পটভূমি
গত ২৮ আগস্ট রাজধানীতে ‘মঞ্চ ৭১’-এর আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ অধ্যাপক হাফিজুরসহ কয়েকজনকে আটক করে।
অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন অধ্যাপক হাফিজুর রহমান।

একদল যুবক নিজেদের ‘জুলাই ফাইটারস’ পরিচয় দিয়ে অভিযোগ করেন যে অনুষ্ঠানটি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছিল—এরপর তারা দুপুরে হাফিজুরসহ অন্যদের পুলিশে সোপর্দ করেন।

অনুষ্ঠান ও মামলার বিবরণ
‘মঞ্চ ৭১’ রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (DRU)-তে “আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সংবিধান” শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছিল। এতে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সাবেক আমলা।

পরে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

শেষ কথা
হাইকোর্টের ছয় মাসের জামিনাদেশে অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের মুক্তির পথ সুস্পষ্ট হয়েছে। মামলার পরবর্তী ধাপগুলো এখন আদালতের বিচারকার্য অনুযায়ী অগ্রসর হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মালয়েশিয়ায় ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে জাতীয় নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা

ডিইউ অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের ছয় মাসের জামিন, মুক্তিতে আর বাধা নেই

০৮:০৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো আইনি বাধা থাকছে না।

হাইকোর্টের আদেশ
সোমবার বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা এবং বিচারপতি রেজাউল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই জামিন মঞ্জুর করেন।
গত রোববার অধ্যাপক হাফিজুর রহমান জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।

আদালতে তার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ আলী আহমেদ খোকন, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আকতার রুবি।
অ্যাডভোকেট শেখ আলী জানান, হাইকোর্টের আদেশের পর তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।

একই মামলায় পূর্ববর্তী আদেশ
এর আগে ১০ নভেম্বর, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমকে একই মামলায় দেওয়া হাইকোর্টের জামিনাদেশ আপিল বিভাগ বহাল রাখে।

ঘটনার পটভূমি
গত ২৮ আগস্ট রাজধানীতে ‘মঞ্চ ৭১’-এর আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ অধ্যাপক হাফিজুরসহ কয়েকজনকে আটক করে।
অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন অধ্যাপক হাফিজুর রহমান।

একদল যুবক নিজেদের ‘জুলাই ফাইটারস’ পরিচয় দিয়ে অভিযোগ করেন যে অনুষ্ঠানটি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছিল—এরপর তারা দুপুরে হাফিজুরসহ অন্যদের পুলিশে সোপর্দ করেন।

অনুষ্ঠান ও মামলার বিবরণ
‘মঞ্চ ৭১’ রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (DRU)-তে “আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সংবিধান” শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছিল। এতে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সাবেক আমলা।

পরে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

শেষ কথা
হাইকোর্টের ছয় মাসের জামিনাদেশে অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের মুক্তির পথ সুস্পষ্ট হয়েছে। মামলার পরবর্তী ধাপগুলো এখন আদালতের বিচারকার্য অনুযায়ী অগ্রসর হবে।