ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো আইনি বাধা থাকছে না।
হাইকোর্টের আদেশ
সোমবার বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা এবং বিচারপতি রেজাউল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই জামিন মঞ্জুর করেন।
গত রোববার অধ্যাপক হাফিজুর রহমান জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।
আদালতে তার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ আলী আহমেদ খোকন, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আকতার রুবি।
অ্যাডভোকেট শেখ আলী জানান, হাইকোর্টের আদেশের পর তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।
একই মামলায় পূর্ববর্তী আদেশ
এর আগে ১০ নভেম্বর, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমকে একই মামলায় দেওয়া হাইকোর্টের জামিনাদেশ আপিল বিভাগ বহাল রাখে।
ঘটনার পটভূমি
গত ২৮ আগস্ট রাজধানীতে ‘মঞ্চ ৭১’-এর আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ অধ্যাপক হাফিজুরসহ কয়েকজনকে আটক করে।
অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন অধ্যাপক হাফিজুর রহমান।
একদল যুবক নিজেদের ‘জুলাই ফাইটারস’ পরিচয় দিয়ে অভিযোগ করেন যে অনুষ্ঠানটি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছিল—এরপর তারা দুপুরে হাফিজুরসহ অন্যদের পুলিশে সোপর্দ করেন।
অনুষ্ঠান ও মামলার বিবরণ
‘মঞ্চ ৭১’ রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (DRU)-তে “আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সংবিধান” শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছিল। এতে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সাবেক আমলা।
পরে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
শেষ কথা
হাইকোর্টের ছয় মাসের জামিনাদেশে অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের মুক্তির পথ সুস্পষ্ট হয়েছে। মামলার পরবর্তী ধাপগুলো এখন আদালতের বিচারকার্য অনুযায়ী অগ্রসর হবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















