ইথিওপিয়ার হেইলি গুব্বি আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে তৈরি বিশাল ছাই–মেঘ ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছে গেছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যেই এটি ভারতের আকাশ ছেড়ে চীনের দিকে সরে যাবে।
উদ্ভব ও ছাই–মেঘের গতিপথ
মঙ্গলবার ইথিওপিয়ার আফার অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে নিস্ক্রিয় থাকা হেইলি গুব্বি আগ্নেয়গিরিটি হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের পর ছাই, সালফার ডাই–অক্সাইড ও সূক্ষ্ম শিলাখণ্ড ছড়িয়ে লোহিত সাগর পেরিয়ে ইয়েমেন–ওমানের আকাশ অতিক্রম করে আরব সাগরে প্রবেশ করে।
সোমবার রাত ১১টার দিকে মেঘটি দিল্লির আকাশে পৌঁছায়।
ভারতের কোন কোন এলাকায় ছাইয়ের প্রভাব
আবহাওয়ার মডেল অনুযায়ী ছাই–মেঘের প্রভাব দেখা যাচ্ছে:
গুজরাট
রাজস্থান
দিল্লি–এনসিআর

মহারাষ্ট্র
পাঞ্জাব
হরিয়ানা
এছাড়া পরবর্তী সময়ে হিমালয় অঞ্চল ও উত্তরপ্রদেশের তরাই এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মেঘের গতি ও উচ্চতার বিবরণ
বিশেষজ্ঞদের মতে,
ছাই–মেঘের গতি: ঘণ্টায় ১০০–১২০ কিলোমিটার
উচ্চতা: ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ ফুট
সর্বোচ্চ উচ্চতা: ৪৫,০০০ ফুট পর্যন্ত যেতে পারে
ছাই–মেঘ কবে ভারতের আকাশ ছাড়বে

আইএমডি মহাপরিচালক মৃণাল কান্তি মহাপাত্র জানিয়েছেন,
মেঘটি পূর্বদিকে সরে চীনের দিকে যাচ্ছে।
ভারত ছাড়ার সম্ভাব্য সময়: মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে (১৪:০০ GMT)।
আইএমডির পর্যবেক্ষণ ও সতর্কতা
আইএমডি স্যাটেলাইট চিত্র, আগ্নেয়ছাই পরামর্শ কেন্দ্রের সতর্কতা এবং ছড়িয়ে–পড়া মডেল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
আগেই DGCA বিমান সংস্থাগুলোকে সতর্ক করেছে, কারণ উচ্চ–উড়ন্ত বিমানের ইঞ্জিনে ছাই ঢোকার ঝুঁকি থাকে।
ফ্লাইট বাতিলের প্রভাব
আকাশা এয়ার ২৪ ও ২৫ নভেম্বর জেদ্দা, কুয়েত ও আবুধাবি রুটের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। ছাই–মেঘের ঝুঁকি এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

ব্যাকগ্রাউন্ড: আগ্নেয় ছাইয়ের ঝুঁকি
আগ্নেয় ছাই সাধারণ ধুলো নয়—এতে থাকে:
অতি ক্ষুদ্র শিলাখণ্ড
সালফার ডাই–অক্সাইড
বিভিন্ন ক্ষতিকর খনিজ কণা
এগুলো বিমান ইঞ্জিন, আবহাওয়া, দৃশ্যমানতা এবং শ্বাসযন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
ইথিওপিয়ার বিস্ফোরণের পর ছাই–মেঘ দ্রুতগতিতে ভারত অতিক্রম করলেও আবহাওয়া দপ্তর নিশ্চিত করেছে—প্রভাব খুব বেশি সময় স্থায়ী হবে না। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যেই ভারতের আকাশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার কথা রয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















