রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে মঙ্গলবারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হাজারো মানুষের ঘরবাড়ি ও জীবিকা মুহূর্তেই ধোঁয়ায় মিলিয়ে গেছে। বেঁচে ফেরা বাসিন্দারা এখন খোলা আকাশের নিচে অনিশ্চয়তা আর আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির চিত্র
অগ্নিকাণ্ডে শত শত ঘর, দোকান ও ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। আগুনে সব হারিয়ে অনেক পরিবার এখন খাবার, আশ্রয় ও ন্যূনতম প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে ভুগছে। অনেকে নিরাপদ স্থানে যেতে না পেরে রাতে খোলা জায়গায় কাটাচ্ছেন।
ধ্বংসস্তূপে বেঁচে থাকার চেষ্টা
আগুন নেভানোর পরদিন থেকেই বাসিন্দারা ধ্বংসস্তূপে ফিরে আসতে শুরু করেছেন—হয়তো কিছু ব্যবহারযোগ্য জিনিস খুঁজে পাওয়া যাবে এই আশায়।
একজন মানুষ ভেঙে পড়া কাঠামোর প্লাস্টারের অংশ আলাদা করে দেখছিলেন, আশা করছেন কিছু কাজে লাগাতে পারবেন।
আরও একজন নারী পোড়া দেয়ালের ভাঙা ইট-পাথর সরিয়ে নিজের ঘরের যা অবশিষ্ট আছে তা সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন।
কেউ কেউ আগুনে পুড়ে যাওয়া টিনের চাল চিহ্নিত করে সেগুলো আলাদা করে রাখছেন—যে উপকরণ ভবিষ্যতে পুনর্গঠনের কাজে লাগতে পারে।

বাসিন্দাদের অনিশ্চয়তা ও ভয়
আগুনের তীব্রতা এমন ছিল যে অনেকে কিছুই সঙ্গে নিতে পারেননি। হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়ায় অনেক পরিবার শুধুই শুকনো কাপড় পরে বাড়ি থেকে প্রাণ নিয়ে বের হতে পেরেছে।
এখন তাদের সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—কোথায় থাকবে? কীভাবে নতুন করে শুরু করবে?
খোলা আকাশের নিচে রাত কাটানো মানুষদের মুখে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে আতঙ্ক, দুঃখ আর ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ।
জনদুর্ভোগ আরও বাড়াচ্ছে পানি সংকট
অগ্নিকাণ্ডের পর কড়াইল এলাকায় তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। পানির লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেকেই পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছেন না। ফলে আগুন থেকে বাঁচার পরও নতুন ভোগান্তির মুখোমুখি হচ্ছেন তারা।
সমাপনী মন্তব্য
কড়াইল বস্তির আগুন আবারও মনে করিয়ে দিলো—একটি অগ্নিকাণ্ড পুরো একটি সম্প্রদায়কে মুহূর্তে বিপর্যস্ত করতে পারে। যারা ঘর, ব্যবসা, সঞ্চয় সবকিছু হারিয়েছেন, তাদের পুনর্বাসন ও জীবন পুনর্গঠনে দ্রুত সহায়তা এখন সবচেয়ে জরুরি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















