চীন তাদের সামুদ্রিক সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করেছে। ভূমি পুনর্গঠন থেকে গভীর সমুদ্রের খনি কার্যক্রম ও পাইপলাইন স্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন সুবিধা যোগ হলো এশিয়ার বৃহত্তম ট্রেইলিং সাকশন হপার ড্রেজার (TSHD) এর সফল সমুদ্র পরীক্ষার মাধ্যমে।
টংজুন: চীনের নিজস্ব নকশার প্রথম সুপার ড্রেজার
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার তথ্যমতে, টংজুন নামের এই সুপার ড্রেজারটি তিন মাস আগে উদ্বোধনের পর পাঁচ দিনব্যাপী পরীক্ষামূলক যাত্রা সম্পন্ন করেছে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলের ইয়েলো সাগরে।
জাহাজটির হপার ধারণক্ষমতা ৩৮ হাজার ঘনমিটারের বেশি (প্রায় ১৩ লাখ ঘনফুট) এবং এতে রয়েছে দুটি ৯,০০০ কিলোওয়াট শক্তির মাড পাম্প।
দুটি সমান ক্ষমতার জাহাজ
টংজুন এবং এর বোন জাহাজ জুংগুয়াং—উভয়টিই গত আগস্টে দুই ভিন্ন শিপইয়ার্ড থেকে পানিতে নামানো হয়। টংজুন তৈরি হয়েছে উত্তরাঞ্চলের তিয়ানজিনে, আর জুংগুয়াং তৈরি হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াংজুতে।
উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (CCCC) এখনো জুংগুয়াংের পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করেনি। দুটি জাহাজই সমান নকশার—দৈর্ঘ্য ১৯৮ মিটার, প্রস্থ ৩৮.৫ মিটার এবং গভীরতা ১৮ মিটার।
গভীর সাগর থেকে দ্রুত উপকরণ সংগ্রহ
সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ড্রেজারগুলো সর্বোচ্চ ১২০ মিটার গভীরতা থেকে উপকরণ সংগ্রহ করতে পারে। উন্নত সাকশন প্রযুক্তির কারণে মাত্র ৯০ মিনিটেই তাদের বৃহৎ হপার পূর্ণ করতে সক্ষম।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















