১০:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
পাকিস্তানিদের ভিসা না-দেওয়া নিয়ে সেনেট কমিটিতে তথ্য দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  হংকংয়ের প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ড দীর্ঘমেয়াদে গভীর প্রভাব ফেলবে গাজীপুরে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ওপর সহপাঠীর ছুরি হামলা আহত ৩ জনের অবস্থা খারাপ  নূর মুকাদ্দাম মামলার রায় পাকিস্তানে নারীর নিরাপত্তা প্রশ্নে নতুন আলোচনার জন্ম দিল দুর্নীতি নির্ণয়ে আইএম এফ স্বচ্ছতা ও সুশাসনের ওপর জোর দিলেন  হোয়াইট হাউসের কাছে গুলিবর্ষণ: কে এই আফগান নাগরিক রহমানউল্লাহ লাখানওয়াল? ১৪ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির বিদায়ী অভিভাষণ থাইল্যান্ডে ভয়াবহ বন্যায় উদ্ধার জোরদার, ইন্দোনেশিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬১ ডেঙ্গু সংকট: আরও ৭ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৫৬৭ জন রাজউক প্লট বরাদ্দে অনিয়ম: শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

১৪ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির বিদায়ী অভিভাষণ

আগামী ১৪ ডিসেম্বর দেশের সব জেলা ও মহানগর আদালতের শীর্ষ বিচারকদের উদ্দেশ্যে বিদায়ী অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বিচার বিভাগে দেড় বছরে নেওয়া সংস্কার উদ্যোগ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরবেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর তিনি অবসরে যাচ্ছেন।

পরিচিতি

দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনরত ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আগামী ১৪ ডিসেম্বর বিচার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বিদায়ী বক্তব্য প্রদান করবেন। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

অধিবেশন ও সময়সূচি

সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন,

১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা

স্থান: সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়াম

উপস্থিত থাকবেন:

– সকল জেলা জজ
– মহানগর দায়রা জজ
– চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
– চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট

এটি হবে বিচার বিভাগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন।

বিদায়ী অভিভাষণের মূল বিষয়

প্রধান বিচারপতি তার বক্তৃতায় তিনটি প্রধান দিক তুলে ধরবেন—

১. দেড় বছরে নেওয়া বিচার বিভাগীয় সংস্কার কার্যক্রম

– বিচার বিভাগের প্রযুক্তিনির্ভর সেবা সম্প্রসারণ
– বিচারক ও কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন
– আদালতের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি
– অধস্তন আদালতের বিচারকদের দক্ষতা বাড়ানো
– বিচারপ্রার্থী জনগণের সেবাপ্রাপ্তি সহজীকরণ
– মামলাজট কমাতে কাঠামোগত উদ্যোগ

২. ঘোষিত রোডম্যাপের অগ্রগতি

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব নিয়ে একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তিনি বিচার বিভাগ সংস্কারের ঐতিহাসিক রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। এতে ছিল—

– বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দাবি
– উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন
– বিচার বিভাগের জন্য পৃথক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব
– বিচার বিভাগে দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা

৩. ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও দিকনির্দেশনা

তিনি ভবিষ্যৎ সংস্কারের সম্ভাব্য দিক নির্দেশ করে যাবেন এবং কীভাবে চলমান উদ্যোগ আরও এগিয়ে নেওয়া যায় তা তুলে ধরবেন।

প্রধান বিচারপতির অবসর

ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। দেড় বছরে তার রোডম্যাপ অনুযায়ী বিচার বিভাগে বহুমুখী পরিবর্তন ও সংস্কার কার্যক্রম ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে।

 

#বিচারবিভাগ সংস্কার | প্রধানবিচারপতি | সুপ্রিমকোর্ট | বিদায়ী_অভিভাষণ

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানিদের ভিসা না-দেওয়া নিয়ে সেনেট কমিটিতে তথ্য দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

১৪ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির বিদায়ী অভিভাষণ

০৮:২১:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

আগামী ১৪ ডিসেম্বর দেশের সব জেলা ও মহানগর আদালতের শীর্ষ বিচারকদের উদ্দেশ্যে বিদায়ী অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বিচার বিভাগে দেড় বছরে নেওয়া সংস্কার উদ্যোগ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরবেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর তিনি অবসরে যাচ্ছেন।

পরিচিতি

দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনরত ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আগামী ১৪ ডিসেম্বর বিচার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বিদায়ী বক্তব্য প্রদান করবেন। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

অধিবেশন ও সময়সূচি

সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন,

১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা

স্থান: সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়াম

উপস্থিত থাকবেন:

– সকল জেলা জজ
– মহানগর দায়রা জজ
– চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
– চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট

এটি হবে বিচার বিভাগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন।

বিদায়ী অভিভাষণের মূল বিষয়

প্রধান বিচারপতি তার বক্তৃতায় তিনটি প্রধান দিক তুলে ধরবেন—

১. দেড় বছরে নেওয়া বিচার বিভাগীয় সংস্কার কার্যক্রম

– বিচার বিভাগের প্রযুক্তিনির্ভর সেবা সম্প্রসারণ
– বিচারক ও কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন
– আদালতের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি
– অধস্তন আদালতের বিচারকদের দক্ষতা বাড়ানো
– বিচারপ্রার্থী জনগণের সেবাপ্রাপ্তি সহজীকরণ
– মামলাজট কমাতে কাঠামোগত উদ্যোগ

২. ঘোষিত রোডম্যাপের অগ্রগতি

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব নিয়ে একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তিনি বিচার বিভাগ সংস্কারের ঐতিহাসিক রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। এতে ছিল—

– বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দাবি
– উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন
– বিচার বিভাগের জন্য পৃথক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব
– বিচার বিভাগে দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা

৩. ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও দিকনির্দেশনা

তিনি ভবিষ্যৎ সংস্কারের সম্ভাব্য দিক নির্দেশ করে যাবেন এবং কীভাবে চলমান উদ্যোগ আরও এগিয়ে নেওয়া যায় তা তুলে ধরবেন।

প্রধান বিচারপতির অবসর

ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। দেড় বছরে তার রোডম্যাপ অনুযায়ী বিচার বিভাগে বহুমুখী পরিবর্তন ও সংস্কার কার্যক্রম ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে।

 

#বিচারবিভাগ সংস্কার | প্রধানবিচারপতি | সুপ্রিমকোর্ট | বিদায়ী_অভিভাষণ