১২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

ড্রোন যুদ্ধে রুশ সুবিধা বৃদ্ধি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের চতুর্থ বছরে এসে ড্রোন ব্যবহারের লড়াইয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটছে। যুদ্ধে যে অস্ত্রটি আগে ছিল ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শক্তি, সেটিই এখন রাশিয়ার হাতে পরিণত হয়েছে মূল সুবিধায়। সরবরাহলাইন, কমান্ড পোস্ট এবং বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা এখন ক্রমাগত রুশ ড্রোন হামলার মুখে পড়ছে। এই পরিস্থিতি কেবল যুদ্ধক্ষেত্র নয়, কূটনৈতিকভাবেও ইউক্রেনকে দুর্বল করে তুলছে।


ইউক্রেনের পিছনের এলাকাও এখন ঝুঁকিপূর্ণ

খারকিভে একটি সরবরাহ সড়ক দিয়ে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছিলেন চার ইউক্রেনীয় সেনা। ফ্রন্টলাইন থেকে ২০ মাইলেরও বেশি দূরে থাকা এই অঞ্চল আগে তুলনামূলক নিরাপদ ছিল। কিন্তু হঠাৎ একটি রুশ ড্রোন তাদের গাড়ির পিছনে বিস্ফোরণ ঘটায়। ক্যাপ্টেন স্তানিসলাভ দেরকাচ গুরুতর আহত হন এবং কিছুক্ষণ পর আরেকটি মোলনিয়া ড্রোন এসে তাদের গাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে।

দেরকাচ বলেন, “আমরা খুব ভাগ্যবান যে প্রাণে বেঁচেছি।”
ফ্রন্টলাইনে থাকা ইউক্রেনীয় সেনারা বলছেন, ২০২৫ সালে যুদ্ধের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা—বিশেষ করে ইউক্রেনের সরবরাহ লাইনগুলোকে ড্রোন দিয়ে লক্ষ্যবস্তু বানানো।


যুদ্ধের ড্রোন ভারসাম্য রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছে

প্রায় চার বছর ধরে যুদ্ধ চলার সময় ইউক্রেন ব্যাটলফিল্ড ড্রোনে এগিয়ে ছিল। মানব সম্পদের ঘাটতি তারা প্রযুক্তি দিয়ে পূরণ করেছিল।
কিন্তু এ বছরের শরৎ থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়। রাশিয়া প্রথমবারের মতো ট্যাকটিক্যাল ড্রোন যুদ্ধে স্পষ্টভাবে সুবিধা পেতে শুরু করেছে। বহু অঞ্চলে তারা সংখ্যার দিক থেকে ইউক্রেনের ড্রোনকে ছাড়িয়ে গেছে এবং উন্নত কৌশল ব্যবহার করছে।

ইউক্রেনের সাবেক সেনাপ্রধান ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভ্যালেরি জালুঝনি সম্প্রতি সতর্ক করেছেন, “যোগাযোগের লাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে; নিরাপদ পেছনের এলাকা বলে আর কিছু নেই।”
তার মতে, ড্রোনের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে বড় ধরনের সামরিক অগ্রসরতা এখন প্রায় অসম্ভব। কিন্তু ইউক্রেনের জন্য বড় ঝুঁকি হলো—জনবল কম থাকা অবস্থায় সেনারা ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন, যদি ড্রোন যুদ্ধে তারা নিয়ন্ত্রণ ফেরত নিতে না পারে।


রুবিকন ইউনিট: রাশিয়ার নতুন কৌশল

২০২৪ সালে ইউক্রেনের সেনারা যখন রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে প্রবেশ করতে শুরু করে, তখন রাশিয়া তাদের ড্রোন কৌশল পাল্টায়।
‘রুবিকন’ নামে একটি নতুন ইউনিট গঠিত হয়—যারা রাশিয়ার সবচেয়ে দক্ষ ড্রোন চালকদের সংগ্রহ করে ইউক্রেনের সরবরাহ ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে শুরু করে।

রুবিকন ফাইবার-অপটিক ড্রোন ব্যবহার করে, যা কেবলের সঙ্গে যুক্ত থাকায় জ্যাম করা যায় না। এ কারণে ইউক্রেনীয় সরবরাহলাইন ভেঙে পড়ে এবং তাদের কুর্স্ক থেকে রক্তক্ষয়ী পশ্চাদপসরণ করতে হয়।

এই ইউনিট এখন পূর্ব ইউক্রেন জুড়ে কাজ করছে এবং অন্য রুশ ড্রোন দলগুলোকেও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।


ইউক্রেনীয় ক্ষয়ক্ষতি ও সীমাবদ্ধতা

ইউক্রেনীয় লজিস্টিক ও ড্রোন ইউনিট গুলো এখন ফ্রন্ট লাইনের পদাতিক বাহিনীর তুলনায় বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। মানব সম্পদ কমে যাওয়ায় ইউক্রেনের ড্রোন পাইলটরা আরও পেছন থেকে ড্রোন ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন, ফলে আক্রমণের পরিসর কমে যাচ্ছে।

অন্যদিকে রাশিয়ার দীর্ঘ-পাল্লার ড্রোনগুলো ইউক্রেনের আরও গভীরে আঘাত হানছে।
ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার-এর বিশ্লেষক জর্জ ব্যারোস বলেন, “রাশিয়া এখন ফ্রন্টলাইন থেকে ৪০ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরেও হামলা চালাতে সক্ষম।”

FPV ড্রোন দিয়ে ইউক্রেন শেষ ১০–১২ মাইল এলাকায় রুশ সেনাদের কাবু রাখতে পারছে, কিন্তু তারা রুশ সরবরাহ ও কমান্ড পোস্টে আঘাত হানার পর্যাপ্ত অস্ত্র পাচ্ছে না।


পোকরোভস্কের লড়াই: রুশ ড্রোনের অগ্রাধিকার

দোনেৎস্ক অঞ্চলের পোকরোভস্ক শহরের যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখায় যে রাশিয়া ড্রোন ব্যবহারে কতটা অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
ইউক্রেনীয় সৈন্যরা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় রুশ ড্রোনের সংখ্যা এখন ইউক্রেনের ড্রোনের তুলনায় ১০ গুণ পর্যন্ত বেশি। শহরের বড় অংশই এখন ‘গ্রে জোন’—কোনো পক্ষের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেই।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, রাশিয়ান ড্রোনগুলো ৪০ মাইল দূর থেকেও ইউক্রেনের সরবরাহলাইন পিষে ফেলছে। রাস্তা এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে ইউক্রেনীয় সেনাদের শেষ ১০ মাইল পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে।

রাশিয়া ব্যবহার করছে:
• ফাইবার-অপটিক ড্রোন
• ল্যানসেট ড্রোন (২৫ মাইল পাল্লা)
• সস্তা মোলনিয়া ড্রোন, যা নিজের বিস্ফোরক বহন ছাড়াও ২–৩টি FPV ড্রোন নিয়ে যেতে পারে


ইউক্রেনের প্রতিকৌশল: ঘাটতি এবং চীনের ভূমিকা

ইউক্রেনও “মাদার-শিপ” ড্রোন ব্যবহার করছে, কিন্তু তাদের সীমাবদ্ধতা বেশি। অনেক ইউক্রেনীয় অফিসার মনে করেন, তাদের এখন রুশ ড্রোন টিম ও সরবরাহ লাইন কে লক্ষ্য করতে হবে—যেমনটি রুবিকন করছে।

ড্রোন বিভাগের এক কর্মকর্তা ‘ভোল্ট’ বলেন, “তাদের শক্তি প্রযুক্তিতে নয়, পরিসরে।”
অন্যদিকে ইউক্রেন বলছে, তাদের নিজস্ব ফাইবার-অপটিক ড্রোন বাড়াতে চাইলে আরও কেবল দরকার, কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো পর্যাপ্ত দিচ্ছে না।

কমান্ডার ইউরি ফেরেঙ্ক অভিযোগ করেন, “চীন এই ক্ষেত্রে রাশিয়ার কাছে যত সাহায্য দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ মিলে তার কাছাকাছি নয়।”


এই পরিবর্তিত ড্রোন যুদ্ধ এখন শুধু কৌশলগত নয়, যুদ্ধের সামগ্রিক গতিপথ বদলে দিচ্ছে। ইউক্রেনের জন্য বড় প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে—তারা কি ড্রোনক্ষেত্রে আবারও নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবে, নাকি রাশিয়ার প্রযুক্তিগত ও পরিসরগত সুবিধা দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধের ফল নির্ধারণ করবে?


একক, সম্পূর্ণ, চূড়ান্ত সংশোধিত কপি প্রদান করা হলো।
আপনি চাইলে আমি একই লেখার প্রিন্ট-রেডি সংস্করণ বা সংবাদ–ফরম্যাটও তৈরি করে দিতে পারি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ড্রোন যুদ্ধে রুশ সুবিধা বৃদ্ধি

১১:২৭:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের চতুর্থ বছরে এসে ড্রোন ব্যবহারের লড়াইয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটছে। যুদ্ধে যে অস্ত্রটি আগে ছিল ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শক্তি, সেটিই এখন রাশিয়ার হাতে পরিণত হয়েছে মূল সুবিধায়। সরবরাহলাইন, কমান্ড পোস্ট এবং বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা এখন ক্রমাগত রুশ ড্রোন হামলার মুখে পড়ছে। এই পরিস্থিতি কেবল যুদ্ধক্ষেত্র নয়, কূটনৈতিকভাবেও ইউক্রেনকে দুর্বল করে তুলছে।


ইউক্রেনের পিছনের এলাকাও এখন ঝুঁকিপূর্ণ

খারকিভে একটি সরবরাহ সড়ক দিয়ে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছিলেন চার ইউক্রেনীয় সেনা। ফ্রন্টলাইন থেকে ২০ মাইলেরও বেশি দূরে থাকা এই অঞ্চল আগে তুলনামূলক নিরাপদ ছিল। কিন্তু হঠাৎ একটি রুশ ড্রোন তাদের গাড়ির পিছনে বিস্ফোরণ ঘটায়। ক্যাপ্টেন স্তানিসলাভ দেরকাচ গুরুতর আহত হন এবং কিছুক্ষণ পর আরেকটি মোলনিয়া ড্রোন এসে তাদের গাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে।

দেরকাচ বলেন, “আমরা খুব ভাগ্যবান যে প্রাণে বেঁচেছি।”
ফ্রন্টলাইনে থাকা ইউক্রেনীয় সেনারা বলছেন, ২০২৫ সালে যুদ্ধের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা—বিশেষ করে ইউক্রেনের সরবরাহ লাইনগুলোকে ড্রোন দিয়ে লক্ষ্যবস্তু বানানো।


যুদ্ধের ড্রোন ভারসাম্য রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছে

প্রায় চার বছর ধরে যুদ্ধ চলার সময় ইউক্রেন ব্যাটলফিল্ড ড্রোনে এগিয়ে ছিল। মানব সম্পদের ঘাটতি তারা প্রযুক্তি দিয়ে পূরণ করেছিল।
কিন্তু এ বছরের শরৎ থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়। রাশিয়া প্রথমবারের মতো ট্যাকটিক্যাল ড্রোন যুদ্ধে স্পষ্টভাবে সুবিধা পেতে শুরু করেছে। বহু অঞ্চলে তারা সংখ্যার দিক থেকে ইউক্রেনের ড্রোনকে ছাড়িয়ে গেছে এবং উন্নত কৌশল ব্যবহার করছে।

ইউক্রেনের সাবেক সেনাপ্রধান ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভ্যালেরি জালুঝনি সম্প্রতি সতর্ক করেছেন, “যোগাযোগের লাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে; নিরাপদ পেছনের এলাকা বলে আর কিছু নেই।”
তার মতে, ড্রোনের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে বড় ধরনের সামরিক অগ্রসরতা এখন প্রায় অসম্ভব। কিন্তু ইউক্রেনের জন্য বড় ঝুঁকি হলো—জনবল কম থাকা অবস্থায় সেনারা ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন, যদি ড্রোন যুদ্ধে তারা নিয়ন্ত্রণ ফেরত নিতে না পারে।


রুবিকন ইউনিট: রাশিয়ার নতুন কৌশল

২০২৪ সালে ইউক্রেনের সেনারা যখন রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে প্রবেশ করতে শুরু করে, তখন রাশিয়া তাদের ড্রোন কৌশল পাল্টায়।
‘রুবিকন’ নামে একটি নতুন ইউনিট গঠিত হয়—যারা রাশিয়ার সবচেয়ে দক্ষ ড্রোন চালকদের সংগ্রহ করে ইউক্রেনের সরবরাহ ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে শুরু করে।

রুবিকন ফাইবার-অপটিক ড্রোন ব্যবহার করে, যা কেবলের সঙ্গে যুক্ত থাকায় জ্যাম করা যায় না। এ কারণে ইউক্রেনীয় সরবরাহলাইন ভেঙে পড়ে এবং তাদের কুর্স্ক থেকে রক্তক্ষয়ী পশ্চাদপসরণ করতে হয়।

এই ইউনিট এখন পূর্ব ইউক্রেন জুড়ে কাজ করছে এবং অন্য রুশ ড্রোন দলগুলোকেও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।


ইউক্রেনীয় ক্ষয়ক্ষতি ও সীমাবদ্ধতা

ইউক্রেনীয় লজিস্টিক ও ড্রোন ইউনিট গুলো এখন ফ্রন্ট লাইনের পদাতিক বাহিনীর তুলনায় বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। মানব সম্পদ কমে যাওয়ায় ইউক্রেনের ড্রোন পাইলটরা আরও পেছন থেকে ড্রোন ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন, ফলে আক্রমণের পরিসর কমে যাচ্ছে।

অন্যদিকে রাশিয়ার দীর্ঘ-পাল্লার ড্রোনগুলো ইউক্রেনের আরও গভীরে আঘাত হানছে।
ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার-এর বিশ্লেষক জর্জ ব্যারোস বলেন, “রাশিয়া এখন ফ্রন্টলাইন থেকে ৪০ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরেও হামলা চালাতে সক্ষম।”

FPV ড্রোন দিয়ে ইউক্রেন শেষ ১০–১২ মাইল এলাকায় রুশ সেনাদের কাবু রাখতে পারছে, কিন্তু তারা রুশ সরবরাহ ও কমান্ড পোস্টে আঘাত হানার পর্যাপ্ত অস্ত্র পাচ্ছে না।


পোকরোভস্কের লড়াই: রুশ ড্রোনের অগ্রাধিকার

দোনেৎস্ক অঞ্চলের পোকরোভস্ক শহরের যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখায় যে রাশিয়া ড্রোন ব্যবহারে কতটা অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
ইউক্রেনীয় সৈন্যরা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় রুশ ড্রোনের সংখ্যা এখন ইউক্রেনের ড্রোনের তুলনায় ১০ গুণ পর্যন্ত বেশি। শহরের বড় অংশই এখন ‘গ্রে জোন’—কোনো পক্ষের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেই।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, রাশিয়ান ড্রোনগুলো ৪০ মাইল দূর থেকেও ইউক্রেনের সরবরাহলাইন পিষে ফেলছে। রাস্তা এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে ইউক্রেনীয় সেনাদের শেষ ১০ মাইল পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে।

রাশিয়া ব্যবহার করছে:
• ফাইবার-অপটিক ড্রোন
• ল্যানসেট ড্রোন (২৫ মাইল পাল্লা)
• সস্তা মোলনিয়া ড্রোন, যা নিজের বিস্ফোরক বহন ছাড়াও ২–৩টি FPV ড্রোন নিয়ে যেতে পারে


ইউক্রেনের প্রতিকৌশল: ঘাটতি এবং চীনের ভূমিকা

ইউক্রেনও “মাদার-শিপ” ড্রোন ব্যবহার করছে, কিন্তু তাদের সীমাবদ্ধতা বেশি। অনেক ইউক্রেনীয় অফিসার মনে করেন, তাদের এখন রুশ ড্রোন টিম ও সরবরাহ লাইন কে লক্ষ্য করতে হবে—যেমনটি রুবিকন করছে।

ড্রোন বিভাগের এক কর্মকর্তা ‘ভোল্ট’ বলেন, “তাদের শক্তি প্রযুক্তিতে নয়, পরিসরে।”
অন্যদিকে ইউক্রেন বলছে, তাদের নিজস্ব ফাইবার-অপটিক ড্রোন বাড়াতে চাইলে আরও কেবল দরকার, কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো পর্যাপ্ত দিচ্ছে না।

কমান্ডার ইউরি ফেরেঙ্ক অভিযোগ করেন, “চীন এই ক্ষেত্রে রাশিয়ার কাছে যত সাহায্য দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ মিলে তার কাছাকাছি নয়।”


এই পরিবর্তিত ড্রোন যুদ্ধ এখন শুধু কৌশলগত নয়, যুদ্ধের সামগ্রিক গতিপথ বদলে দিচ্ছে। ইউক্রেনের জন্য বড় প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে—তারা কি ড্রোনক্ষেত্রে আবারও নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবে, নাকি রাশিয়ার প্রযুক্তিগত ও পরিসরগত সুবিধা দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধের ফল নির্ধারণ করবে?


একক, সম্পূর্ণ, চূড়ান্ত সংশোধিত কপি প্রদান করা হলো।
আপনি চাইলে আমি একই লেখার প্রিন্ট-রেডি সংস্করণ বা সংবাদ–ফরম্যাটও তৈরি করে দিতে পারি।