বাংলাদেশ চট্টগ্রামে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২–১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে। দুর্দান্ত বোলিং আর ওপেনার তানজিদ হাসানের ধীরস্থির অর্ধশতকে গড়া হয়েছে এই জয়।
বাংলাদেশের রান তাড়া: তানজিদের দায়িত্বশীল ইনিংস
১১৮ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ১৩.৪ ওভারেই দুই উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয়।
তানজিদ, যিনি সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে ছন্দে ছিলেন না, এ ম্যাচে ৩৫ বলে দ্রুতগতির হাফ-সেঞ্চুরি করেন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ১১তম অর্ধশতক।
সাইফ হাসান ও লিটন দাস দ্রুত আউট হলেও পারভেজ হোসেন অপরাজিত ৩৩ রানে ইনিংস শেষ করে দলকে জয়ের পথে রাখেন। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল দুই উইকেটে ৭৯, যা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই এনে দেয়। শেষ ৬০ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩৯ রান।
আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং ব্যর্থতা
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ডের পুরো ইনিংসে ছিল ছন্দহীনতা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে তারা ১১৭ রানে অলআউট হয়।
ক্যাপ্টেন পল স্টার্লিং দলীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করলেও ব্যাটসম্যানরা লম্বা সময় বাউন্ডারি ছাড়া কাটান। শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ে গতি আনতে ব্যর্থ হয় তারা।
বাংলাদেশের বোলিং: রিশাদের জাদু, মোস্তাফিজ–শরিফুলের সহায়তা
দারুণ শৃঙ্খলাপূর্ণ বোলিংয়ে পুরো ইনিংস নিয়ন্ত্রণ করে রাখে বাংলাদেশ।
- মোস্তাফিজুর রহমান: ৩ উইকেট
- রিশাদ হোসেন: ৩ উইকেট
- শরিফুল ইসলাম: ২ উইকেট
বিশেষ করে রিশাদের স্পেল ছিল চোখে পড়ার মতো। লেগ-স্পিনের.flight, টার্ন ও ভ্যারিয়েশন দিয়ে প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করেন তিনি। কার্টিস ক্যাম্পফারকে যে গুগলিতে আউট করেন, সেটি ছিল ইনিংসের অন্যতম সেরা ডেলিভারি।
ক্ষেত্রে তানজিদের ইতিহাস
ব্যাট হাতে আলো ছড়ানোর পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও ইতিহাস গড়েন তানজিদ। এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি পাঁচটি ক্যাচ নেন—ফুল মেম্বার কোনো দেশের ক্রিকেটারের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি।
আগামী সময়ের প্রস্তুতিতে স্থিরতা
সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে চাপের মধ্যে পড়লেও পরের দুই ম্যাচে জিতে টাইগাররা সিরিজ নিজেদের করে নেয়।
এই জয় বাংলাদেশ দলকে মানসিকভাবে আরও দৃঢ় করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে দল গঠনে খেলোয়াড়দের মধ্যে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে, তাতে এই পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















