০৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
ঈশ্বরদীতে ৮টি কুকুরছানা পানিতে ডুবিয়ে হত্যা, প্রাণিজ কল্যাণ আইনে গ্রেপ্তার ১ জয়পুরহাটে বাড়িতে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আহত ভাতিজি ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে ট্রাক–পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২ ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে বাস–ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩ গাজীপুরের শ্রীপুরে অটোরিকশা গ্যারেজে আগুন, পুড়েছে ১৫ যানবাহন “‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’-এ ‘টাইটানিক’–ধরনের হৃদয়ভাঙা, বলছেন সমালোচকেরা” “আরও গভীর পরিসংখ্যান নিয়ে ফিরলো অ্যাপল মিউজিক ‘রিপ্লে ২০২৫’” “মিইয়ে যাওয়া জিডিপি সংখ্যার আড়ালে অস্ট্রেলিয়ার চাহিদা এখনো ‘গরম’” “নতুন নোভা এআই মডেল উন্মোচনে করপোরেট গ্রাহকদের মন জয়ে ঝুঁকল এডব্লিউএস” “মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডের আঘাতে বিধ্বস্ত হংকং, তবু সামনে ‘দেশপ্রেমিকদের’ নির্বাচন”

“আরও গভীর পরিসংখ্যান নিয়ে ফিরলো অ্যাপল মিউজিক ‘রিপ্লে ২০২৫’”

শ্রোতার বছরের সঙ্গীত ডায়েরি এখন আরও বিস্তারিত
অ্যাপল মিউজিক তাদের বার্ষিক রিভিউ অভিজ্ঞতা ‘রিপ্লে ২০২৫’ নতুন আঙ্গিকে চালু করেছে, যেখানে আগের মতো শুধু প্লে–লিস্ট নয়, পুরো বছরের শোনার অভ্যাসের ওপর অনেক বেশি তথ্য দেওয়া হচ্ছে। ব্যবহারকারীরা এখন দেখতে পাচ্ছেন বছরে কতজন নতুন শিল্পীকে শুনেছেন, কোন গান বারবার ফিরে এসেছে, আর কোন পুরনো ট্র্যাক হঠাৎ আবার প্লেলিস্টে জায়গা করে নিয়েছে। পাশাপাশি মোট কত ঘণ্টা সঙ্গীত শুনেছেন, কোন জঁরা সবচেয়ে বেশি বাজিয়েছেন এবং বছরের কোন সময়ে কোন গানগুলো বেশি শোনা হয়েছে—এসবও এখন এক জায়গায় দেখা সম্ভব।

স্ট্রিমিং প্রতিযোগিতায় রিপ্লে এখন সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী স্পটিফাইয়ের ‘র‍্যাপড’–এর জবাব হিসেবে দাঁড়িয়েছে। বহু বছর ধরে রঙিন কার্ড আর ভাগ করে নেওয়ার সহজ ফরম্যাট দিয়ে র‍্যাপড সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সাড়া পেলেও, এবার অ্যাপল কিছুটা ভিন্ন পথে হাঁটছে। ইউটিউব মিউজিক এবং অ্যামাজন মিউজিক ইতিমধ্যে নিজেদের ২০২৫ রিক্যাপ প্রকাশ করেছে; অ্যামাজন যেখানে ভার্চুয়াল ফেস্টিভ্যাল পোস্টারের আকারে শীর্ষ শিল্পীদের সাজিয়ে দেখাচ্ছে, সেখানে অ্যাপল পুরো অভিজ্ঞতাকে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন ডিজাইনে রাখার চেষ্টা করেছে। নতুন রিপ্লেতে আছে সংক্ষিপ্ত হাইলাইট ভিডিও, যা ইনস্টাগ্রাম, টিকটক বা মেসেঞ্জারে শেয়ার করার জন্য আলাদা করে বানানো।

শিল্পীদের জন্যও বাড়তি অ্যানালিটিক্স
শুধু শ্রোতাই নয়, শিল্পীদের জন্যও রিপ্লে এখন একটু বেশি শক্তিশালী টুল। তারা দেখতে পাচ্ছেন কোন অঞ্চলে শ্রোতা বেড়েছে, কোন গান সবচেয়ে বেশি রিপিট প্লে পাচ্ছে এবং নতুন অ্যালবাম বা সিঙ্গেলের পারফরম্যান্স পুরনো গানের তুলনায় কেমন। স্বাধীন শিল্পীদের জন্য এই তথ্যগুলো ট্যুর প্ল্যান, প্রোমোশনাল বাজেট বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন গানকে সামনে আনতে হবে—এসব সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে। একই সঙ্গে বোঝা যায়, তাঁরা কি সত্যিকারের ভক্ত তৈরি করতে পারছেন, নাকি কেবল অ্যালগরিদমিক প্লে–লিস্টে হঠাৎ উঠে আসা কয়েকটি গানের ওপর নির্ভর করছেন।

ব্যবহারকারীর দিক থেকে এই রিক্যাপের আকর্ষণ নস্টালজিয়া আর আত্মপরিচয়ের মিশেলে। অনেকেই মনে করেন, বছরের বিভিন্ন সময়ে কোন গান তাঁরা শুনেছেন, তা যেন এক ধরনের ব্যক্তিগত ডায়েরি—স্ট্রেসের সময় কোন গান, আনন্দের সময় কোন প্লে–লিস্ট, কিংবা বড় কোনও পরিবর্তনের সময় কোন শিল্পী পাশে ছিল। রিপ্লে সেই ডায়েরিটাকে গোছানোভাবে সামনে আনে, অনেক ভুলে যাওয়া গানও আবার ফিরিয়ে দেয়। একই সঙ্গে, পরিসংখ্যান দেখে অনেকে বুঝতে পারছেন কোন শিল্পীকে তারা আসলে কতটা শুনেছেন, যা ভবিষ্যতে কনসার্ট, মের্চেন্ডাইজ বা অনুসরণ করার সিদ্ধান্তেও প্রভাব ফেলতে পারে।

ধরা হচ্ছে, এসব ফিচার গ্রাহক ধরে রাখার বড় হাতিয়ার। যখন মানুষ সাবস্ক্রিপশন কমাতে চাচ্ছে, তখন একটি সুন্দরভাবে উপস্থাপিত, ব্যক্তিগত বছর–শেষ পর্যালোচনা অনেককে প্ল্যাটফর্মে টিকিয়ে রাখতে পারে। শেয়ারযোগ্য কার্ড আর ভিডিও আবার প্ল্যাটফর্মের জন্য বিনা খরচে বিজ্ঞাপনের কাজ করে, কারণ ব্যবহারকারীরা নিজেরাই ফলাফল তুলনা করে পোস্ট করেন। অ্যাপল রিপ্লেকে সরাসরি অ্যাপের ভেতরে রাখায় ব্যবহারকারীকে আলাদা ওয়েব লিংকে যেতে হচ্ছে না; ফলে পুরো অভিজ্ঞতাই আইওএস ইকোসিস্টেমের ভেতরে থেকে যায়।

তবে গোপনীয়তার প্রশ্ন পুরোপুরি হারিয়ে যায়নি। এই পরিসংখ্যান তৈরি করতে যে ডেটা ব্যবহার করা হচ্ছে, তা আসলে প্ল্যাটফর্মের স্বাভাবিক ব্যবহারেই সংগ্রহ করা তথ্য। এখন মানুষ আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি সচেতন, তাদের আচরণ কীভাবে ট্র্যাক হয় তা নিয়ে। অ্যাপল রিপ্লেকে এমনভাবে বানিয়েছে, যাতে সব শেয়ারিংই ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণে থাকে; স্বয়ংক্রিয় পাবলিক পোস্ট বা লিডারবোর্ড নেই। আপাতত বেশির ভাগ গ্রাহক এই ডেটা ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন, কারণ এর বিনিময়ে তারা একটি ব্যক্তিগত সঙ্গীত–বর্ষপঞ্জি পেয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্ন শুধু একটাই—যখন সব প্ল্যাটফর্মই একই ধরনের বছর–শেষ অভিজ্ঞতা দিচ্ছে, তখন কতদিন পর্যন্ত এই ফরম্যাট নতুন আর আকর্ষণীয় থাকবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈশ্বরদীতে ৮টি কুকুরছানা পানিতে ডুবিয়ে হত্যা, প্রাণিজ কল্যাণ আইনে গ্রেপ্তার ১

“আরও গভীর পরিসংখ্যান নিয়ে ফিরলো অ্যাপল মিউজিক ‘রিপ্লে ২০২৫’”

০৩:১৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

শ্রোতার বছরের সঙ্গীত ডায়েরি এখন আরও বিস্তারিত
অ্যাপল মিউজিক তাদের বার্ষিক রিভিউ অভিজ্ঞতা ‘রিপ্লে ২০২৫’ নতুন আঙ্গিকে চালু করেছে, যেখানে আগের মতো শুধু প্লে–লিস্ট নয়, পুরো বছরের শোনার অভ্যাসের ওপর অনেক বেশি তথ্য দেওয়া হচ্ছে। ব্যবহারকারীরা এখন দেখতে পাচ্ছেন বছরে কতজন নতুন শিল্পীকে শুনেছেন, কোন গান বারবার ফিরে এসেছে, আর কোন পুরনো ট্র্যাক হঠাৎ আবার প্লেলিস্টে জায়গা করে নিয়েছে। পাশাপাশি মোট কত ঘণ্টা সঙ্গীত শুনেছেন, কোন জঁরা সবচেয়ে বেশি বাজিয়েছেন এবং বছরের কোন সময়ে কোন গানগুলো বেশি শোনা হয়েছে—এসবও এখন এক জায়গায় দেখা সম্ভব।

স্ট্রিমিং প্রতিযোগিতায় রিপ্লে এখন সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী স্পটিফাইয়ের ‘র‍্যাপড’–এর জবাব হিসেবে দাঁড়িয়েছে। বহু বছর ধরে রঙিন কার্ড আর ভাগ করে নেওয়ার সহজ ফরম্যাট দিয়ে র‍্যাপড সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সাড়া পেলেও, এবার অ্যাপল কিছুটা ভিন্ন পথে হাঁটছে। ইউটিউব মিউজিক এবং অ্যামাজন মিউজিক ইতিমধ্যে নিজেদের ২০২৫ রিক্যাপ প্রকাশ করেছে; অ্যামাজন যেখানে ভার্চুয়াল ফেস্টিভ্যাল পোস্টারের আকারে শীর্ষ শিল্পীদের সাজিয়ে দেখাচ্ছে, সেখানে অ্যাপল পুরো অভিজ্ঞতাকে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন ডিজাইনে রাখার চেষ্টা করেছে। নতুন রিপ্লেতে আছে সংক্ষিপ্ত হাইলাইট ভিডিও, যা ইনস্টাগ্রাম, টিকটক বা মেসেঞ্জারে শেয়ার করার জন্য আলাদা করে বানানো।

শিল্পীদের জন্যও বাড়তি অ্যানালিটিক্স
শুধু শ্রোতাই নয়, শিল্পীদের জন্যও রিপ্লে এখন একটু বেশি শক্তিশালী টুল। তারা দেখতে পাচ্ছেন কোন অঞ্চলে শ্রোতা বেড়েছে, কোন গান সবচেয়ে বেশি রিপিট প্লে পাচ্ছে এবং নতুন অ্যালবাম বা সিঙ্গেলের পারফরম্যান্স পুরনো গানের তুলনায় কেমন। স্বাধীন শিল্পীদের জন্য এই তথ্যগুলো ট্যুর প্ল্যান, প্রোমোশনাল বাজেট বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন গানকে সামনে আনতে হবে—এসব সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে। একই সঙ্গে বোঝা যায়, তাঁরা কি সত্যিকারের ভক্ত তৈরি করতে পারছেন, নাকি কেবল অ্যালগরিদমিক প্লে–লিস্টে হঠাৎ উঠে আসা কয়েকটি গানের ওপর নির্ভর করছেন।

ব্যবহারকারীর দিক থেকে এই রিক্যাপের আকর্ষণ নস্টালজিয়া আর আত্মপরিচয়ের মিশেলে। অনেকেই মনে করেন, বছরের বিভিন্ন সময়ে কোন গান তাঁরা শুনেছেন, তা যেন এক ধরনের ব্যক্তিগত ডায়েরি—স্ট্রেসের সময় কোন গান, আনন্দের সময় কোন প্লে–লিস্ট, কিংবা বড় কোনও পরিবর্তনের সময় কোন শিল্পী পাশে ছিল। রিপ্লে সেই ডায়েরিটাকে গোছানোভাবে সামনে আনে, অনেক ভুলে যাওয়া গানও আবার ফিরিয়ে দেয়। একই সঙ্গে, পরিসংখ্যান দেখে অনেকে বুঝতে পারছেন কোন শিল্পীকে তারা আসলে কতটা শুনেছেন, যা ভবিষ্যতে কনসার্ট, মের্চেন্ডাইজ বা অনুসরণ করার সিদ্ধান্তেও প্রভাব ফেলতে পারে।

ধরা হচ্ছে, এসব ফিচার গ্রাহক ধরে রাখার বড় হাতিয়ার। যখন মানুষ সাবস্ক্রিপশন কমাতে চাচ্ছে, তখন একটি সুন্দরভাবে উপস্থাপিত, ব্যক্তিগত বছর–শেষ পর্যালোচনা অনেককে প্ল্যাটফর্মে টিকিয়ে রাখতে পারে। শেয়ারযোগ্য কার্ড আর ভিডিও আবার প্ল্যাটফর্মের জন্য বিনা খরচে বিজ্ঞাপনের কাজ করে, কারণ ব্যবহারকারীরা নিজেরাই ফলাফল তুলনা করে পোস্ট করেন। অ্যাপল রিপ্লেকে সরাসরি অ্যাপের ভেতরে রাখায় ব্যবহারকারীকে আলাদা ওয়েব লিংকে যেতে হচ্ছে না; ফলে পুরো অভিজ্ঞতাই আইওএস ইকোসিস্টেমের ভেতরে থেকে যায়।

তবে গোপনীয়তার প্রশ্ন পুরোপুরি হারিয়ে যায়নি। এই পরিসংখ্যান তৈরি করতে যে ডেটা ব্যবহার করা হচ্ছে, তা আসলে প্ল্যাটফর্মের স্বাভাবিক ব্যবহারেই সংগ্রহ করা তথ্য। এখন মানুষ আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি সচেতন, তাদের আচরণ কীভাবে ট্র্যাক হয় তা নিয়ে। অ্যাপল রিপ্লেকে এমনভাবে বানিয়েছে, যাতে সব শেয়ারিংই ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণে থাকে; স্বয়ংক্রিয় পাবলিক পোস্ট বা লিডারবোর্ড নেই। আপাতত বেশির ভাগ গ্রাহক এই ডেটা ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন, কারণ এর বিনিময়ে তারা একটি ব্যক্তিগত সঙ্গীত–বর্ষপঞ্জি পেয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্ন শুধু একটাই—যখন সব প্ল্যাটফর্মই একই ধরনের বছর–শেষ অভিজ্ঞতা দিচ্ছে, তখন কতদিন পর্যন্ত এই ফরম্যাট নতুন আর আকর্ষণীয় থাকবে।