এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসার স্লট বাতিল হওয়ায় বাড়ছে জল্পনা—বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা কি ধীরে ধীরে থেমে যাচ্ছে? বিএনপি ও পরিবারের পক্ষ থেকেও সাম্প্রতিক কোনো তৎপরতা দেখা না যাওয়ায় পুরো বিষয়টি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্স স্লট বাতিল—হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত কেন?
মঙ্গলবার ঢাকায় আসার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়েছে জার্মান এভিয়েশন কোম্পানি এফএআই এভিয়েশন গ্রুপের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের স্লট। প্রতিষ্ঠানটি স্লট বাতিলের আবেদন করার পরই রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন প্রশ্ন—বেগম জিয়াকে বিদেশে নিতে পরিবার ও দল কি আগের মতো আর উদ্যোগী নয়?
বেবিচক সূত্র জানায়, কাতার সরকারের সহায়তায় জর্জিয়ার তিবিলিসি থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি মঙ্গলবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। একইদিন রাতে ফিরে যাওয়ার শিডিউলও নির্ধারিত ছিল।
বিএনপি ও পরিবারের নীরবতা—উদ্যোগ কি থেমে গেছে?
বেগম জিয়ার শারীরিক জটিলতার কথা তুলে ধরে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশ চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছিলেন পরিবার ও বিএনপি নেতারা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দল বা পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো নতুন পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

এই নীরবতা এবং স্লট বাতিলের সিদ্ধান্ত মিলিয়ে এখন মূল প্রশ্ন—বিদেশযাত্রার উদ্যোগ কি ধীরে ধীরে থেমে যাচ্ছে?
মেডিকেল বোর্ডও দেয়নি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
বেবিচক জানায়, কাতার সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া করেছিল এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ থেকে। তবে বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড এখনও কোনো চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি।
এর ফলে বিদেশযাত্রার সম্ভাবনা আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
স্বাস্থ্যজটিলতা বাড়ছে, তবে সমাধান এখনো দূরে
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া জটিল স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হাসপাতালে নেওয়া হলে তার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং পরে তাকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।
সরকার তাকে ভিভিআইপি ঘোষণা করে এসএসএফ নিরাপত্তা দিয়েছে। চিকিৎসায় যুক্তরাজ্য ও চীনের বিশেষজ্ঞরাও যুক্ত রয়েছেন।
সবশেষ পরিস্থিতিতে প্রশ্ন এখন আরও জোরালো—
বেগম জিয়ার বিদেশযাত্রা কি শেষ পর্যন্ত আর এগোচ্ছে না?
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















