১৮ বছর পর অনরাজনৈতিক সরকারের অধীনে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও সংস্কার সনদ নিয়ে গণভোট একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচনসূচি ঘোষণা করেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন ও বেতারে সন্ধ্যা ৬টায় প্রচারিত রেকর্ড করা ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন নির্বাচনসূচি ঘোষণা করেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ জানুয়ারি। প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। ভোট গ্রহণ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টা ৩০ থেকে বিকেল ৪টা ৩০ পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে।

ভোটার সংখ্যা ও কেন্দ্র
২০২৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে দেশের ৩০০ আসনে ৪২ হাজারের বেশি কেন্দ্রে মোট ১২ কোটি ৭৬ লাখ ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। নির্বাচন কমিশনার আশা প্রকাশ করেন, উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
একসঙ্গে নির্বাচন ও গণভোট
বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে এবারই প্রথম সাধারণ নির্বাচন ও গণভোট একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রচারণায় পোস্টার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ডিজিটাল প্রচারণা ও বিলবোর্ড ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যা নির্বাচনী পরিবেশকে নতুনভাবে উপস্থাপন করছে।

নতুন ডাক ভোট ব্যবস্থা
আইনে থাকা সত্ত্বেও ডাক ভোট আগে কখনও বাস্তবে ব্যবহৃত হয়নি। এবার নির্বাচন কমিশন আইটি-সমর্থিত হাইব্রিড ডাক ভোট পদ্ধতি চালু করছে। এর মাধ্যমে প্রবাসী, সরকারি কর্মচারী, নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মী এবং হেফাজতে থাকা ব্যক্তিরা ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন ও ম্যানুয়াল ভোটিংয়ের সমন্বয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
অনরাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন
২০০৮ সালের পর আর কোনও সাধারণ নির্বাচন অনরাজনৈতিক প্রশাসনের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। পরবর্তী তিনটি নির্বাচন—২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৮—আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















