০৭:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
থাই–কম্বোডিয়া সীমান্তে যুদ্ধের আগুন, যুদ্ধবিরতির দাবি নাকচ করে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ব্যাংককের আসাদ পতনের এক বছর: ন্যায় ও সহাবস্থানের নতুন ভোরের প্রতিশ্রুতি থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে ফের যুদ্ধের উত্তাপ, ভেঙে পড়ার মুখে ট্রাম্প-সমঝোতা দীর্ঘ কম্পনে কেঁপে উঠল পূর্ব জাপান, উঁচু ভবনে আতঙ্ক বাড়াল ধীর ভূকম্পন পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা ঝাঁকুনি: এসআইআর পুনর্গণনায় বাদ পড়তে পারে প্রায় ৫৮ লক্ষ নাম, কলকাতায় সর্বাধিক প্রভাব একাত্তরের গণহত্যার বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি: ফিরে দেখা বিজয় ’৭১ আলোচনায় বক্তারা লাইফ সাপোর্টেই চলছে হাদির মস্তিষ্ক ও ফুসফুস, অবস্থা এখনও সংকটজনক আমেরিকার মাদকযুদ্ধের গোপন কেন্দ্র: নৌকা হামলায় নিহতদের পরিচয় কি সত্যিই জানা ছিল মায়ামির মোড় ঘোরানো নির্বাচন: নতুন মেয়র,পুরোনো ক্ষমতার পতন, আর শহর বাঁচানোর লড়াই টঙ্গীতে প্রকাশ্য রাস্তায় বিকাশ এজেন্টকে গুলি করে প্রায় ১৬ লাখ টাকা ছিনতাই

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে চীনের ভূমিকা বাড়ছে বলে আশঙ্কা ইউরোপীয় ইউনিয়নের

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন চতুর্থ বছরে গড়ানোর পথে থাকতেই যুদ্ধে চীনের সম্পৃক্ততা বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। একাধিক ইউরোপীয় সূত্রের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার প্রতি চীনের সহায়তা আগের তুলনায় আরও দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।

চীনের সহায়তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ

ইইউ কর্মকর্তারা বলছেন, চীন থেকে রাশিয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী অস্ত্র পাঠানোর প্রমাণ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বেসামরিক ও সামরিক—উভয় কাজে ব্যবহারযোগ্য পণ্যের প্রবাহও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা আগেই ইউরোপের নজরে এসেছে।

Ukrainian recruits rest as they complete basic military training. Photo: 65th Mechanized Brigade of Ukrainian Armed Forces via AP

এক জ্যেষ্ঠ ইউরোপীয় কর্মকর্তা জানান, রাশিয়ায় পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য পণ্যের প্রায় ৮০ শতাংশই চীন হয়ে বা সরাসরি চীন থেকে আসে। তাঁর ভাষায়, চীন দাবি করে তারা নিরপেক্ষ এবং কোনো অস্ত্র সরবরাহ করে না, কিন্তু বাস্তবে এই দাবি পুরোপুরি সত্য নয়।

চীনের অবস্থান ও ইউরোপের দৃষ্টিভঙ্গি

চীন বরাবরই বলে আসছে, তারা এই সংঘাতে কোনো পক্ষ নেয়নি এবং রাশিয়ার সঙ্গে স্বাভাবিক বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে। তবে ইউরোপের বড় অংশে এই অবস্থানকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করা হচ্ছে না। সেখানে চীনকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষেই দাঁড়ানো বলে দেখা হচ্ছে।

এই ধারণার ফলেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্কের দ্রুত অবনতি ঘটেছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।

In July, Chinese Foreign Minister Wang Yi stated that Beijing did not want to see a Russian loss in Ukraine, but denied that China was materially supporting Russia’s war effort. Photo: AP

কূটনৈতিক চাপ সত্ত্বেও পরিবর্তন নেই

একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, চীনের প্রতি ইইউ সদস্যদেশগুলোর কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো সত্ত্বেও ইউরোপ চীনের সমর্থন কমতে দেখছে না। ইউরোপীয় নেতারা ও মন্ত্রীরা বিভিন্ন আলোচনায় বেইজিংকে রাশিয়ার প্রতি সহায়তা কমানোর আহ্বান জানালেও বাস্তবে তার উল্টো চিত্রই ফুটে উঠছে।

সব মিলিয়ে, ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে চীনের ভূমিকা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য নতুন করে কৌশলগত উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

থাই–কম্বোডিয়া সীমান্তে যুদ্ধের আগুন, যুদ্ধবিরতির দাবি নাকচ করে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ব্যাংককের

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে চীনের ভূমিকা বাড়ছে বলে আশঙ্কা ইউরোপীয় ইউনিয়নের

০১:২২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন চতুর্থ বছরে গড়ানোর পথে থাকতেই যুদ্ধে চীনের সম্পৃক্ততা বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। একাধিক ইউরোপীয় সূত্রের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার প্রতি চীনের সহায়তা আগের তুলনায় আরও দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।

চীনের সহায়তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ

ইইউ কর্মকর্তারা বলছেন, চীন থেকে রাশিয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী অস্ত্র পাঠানোর প্রমাণ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বেসামরিক ও সামরিক—উভয় কাজে ব্যবহারযোগ্য পণ্যের প্রবাহও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা আগেই ইউরোপের নজরে এসেছে।

Ukrainian recruits rest as they complete basic military training. Photo: 65th Mechanized Brigade of Ukrainian Armed Forces via AP

এক জ্যেষ্ঠ ইউরোপীয় কর্মকর্তা জানান, রাশিয়ায় পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য পণ্যের প্রায় ৮০ শতাংশই চীন হয়ে বা সরাসরি চীন থেকে আসে। তাঁর ভাষায়, চীন দাবি করে তারা নিরপেক্ষ এবং কোনো অস্ত্র সরবরাহ করে না, কিন্তু বাস্তবে এই দাবি পুরোপুরি সত্য নয়।

চীনের অবস্থান ও ইউরোপের দৃষ্টিভঙ্গি

চীন বরাবরই বলে আসছে, তারা এই সংঘাতে কোনো পক্ষ নেয়নি এবং রাশিয়ার সঙ্গে স্বাভাবিক বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে। তবে ইউরোপের বড় অংশে এই অবস্থানকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করা হচ্ছে না। সেখানে চীনকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষেই দাঁড়ানো বলে দেখা হচ্ছে।

এই ধারণার ফলেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্কের দ্রুত অবনতি ঘটেছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।

In July, Chinese Foreign Minister Wang Yi stated that Beijing did not want to see a Russian loss in Ukraine, but denied that China was materially supporting Russia’s war effort. Photo: AP

কূটনৈতিক চাপ সত্ত্বেও পরিবর্তন নেই

একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, চীনের প্রতি ইইউ সদস্যদেশগুলোর কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো সত্ত্বেও ইউরোপ চীনের সমর্থন কমতে দেখছে না। ইউরোপীয় নেতারা ও মন্ত্রীরা বিভিন্ন আলোচনায় বেইজিংকে রাশিয়ার প্রতি সহায়তা কমানোর আহ্বান জানালেও বাস্তবে তার উল্টো চিত্রই ফুটে উঠছে।

সব মিলিয়ে, ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে চীনের ভূমিকা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য নতুন করে কৌশলগত উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে।