কানাডার আলবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহরে সন্দেহভাজন ‘টার্গেটেড’ বন্দুক হামলায় পাঞ্জাবের দুই যুবক নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে এডমন্টন পুলিশ সার্ভিস।
নিহতদের পরিচয় ও পটভূমি
নিহত দুই যুবক হলেন পাঞ্জাবের মানসা জেলার বার্রে গ্রামের ২৭ বছর বয়সী গুরদীপ সিং এবং উদ্দত সাইদেওয়ালা গ্রামের ১৯ বছর বয়সী রণবীর সিং। গত দুই বছরের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তারা কানাডায় যান। গুরদীপ পড়াশোনা শেষ করে কাজের অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন, আর রণবীর পড়াশোনার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির সুযোগের আশায় ছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানান।
ঘটনার বিবরণ
এডমন্টন পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোরে শহরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে গুলির শব্দের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পায়। জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। পরে হত্যাকাণ্ড তদন্ত শাখা তদন্তের দায়িত্ব নেয় এবং ময়নাতদন্তের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়।
পুলিশের তদন্ত ও সন্দেহ
পুলিশের ধারণা, এটি একটি পরিকল্পিত বা ‘টার্গেটেড’ হামলা। ঘটনার সময় ওই এলাকায় একটি এসইউভি গাড়ির উপস্থিতির তথ্য মিলেছে। পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত ওই এলাকার ড্যাশক্যাম ফুটেজ সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে।
পরিবারের দাবি ও সন্দেহ
গুরদীপের পরিবার মনে করছে, এটি ভুল পরিচয়ের কারণে ঘটে থাকতে পারে। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, যে গাড়িতে তারা ছিলেন সেটি অন্য এক পাঞ্জাবি যুবকের মালিকানাধীন ছিল এবং গাড়িতে উঠতেই হামলাকারীরা গুলি চালায়। রণবীরের চাচা মনপ্রীত সিং জানান, রণবীর সম্প্রতি ব্র্যাম্পটন থেকে ক্যালগেরিতে গিয়েছিলেন চাকরি–সংক্রান্ত কাউন্সেলিংয়ে অংশ নিতে। সেখান থেকে এক বন্ধুর আমন্ত্রণে এডমন্টনে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এই মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হন।
গ্রামে শোকের ছায়া
খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মানসা জেলার বুঢলাদা উপবিভাগের দুই গ্রামেই নেমে আসে শোকের ছায়া। পরিবারগুলোর দাবি, নিহত দুই যুবক আগে কখনো প্রাণনাশের কোনো হুমকির কথা জানাননি। গুরদীপের চাচা দরশন সিং বলেন, পরিবারের সবাই ভেঙে পড়েছেন এবং এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তাদের জীবনে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















