মালয়েশিয়ায় বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে। তবু ঝুঁকি কাটেনি পুরোপুরি। ভারী বৃষ্টি, ভূমিধস আর একটি বড় অগ্নিকাণ্ডের পর এখনো দেশের বিভিন্ন ত্রাণকেন্দ্রে আশ্রয়ে আছেন শত শত মানুষ।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা নাদমার তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেল চারটা পর্যন্ত ৭টি রাজ্যের ১৫টি জেলায় দুর্যোগের প্রভাব রয়েছে। মোট ৬৯৭ জন, ১৭৮টি পরিবারের সদস্য, এখনো ১৫টি অস্থায়ী ত্রাণকেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তবে বেশিরভাগ এলাকায় আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা কমছে।
তেরেঙ্গানুতে সবচেয়ে বেশি আশ্রয়প্রার্থী
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তেরেঙ্গানু। সেখানে ৮টি ত্রাণকেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৩২৬ জন, ১০১টি পরিবারের সদস্য। সাবাহর তাওয়াউয়ে বড় অগ্নিকাণ্ডের কারণে ৩৬টি পরিবারের ২২১ জনকে সরিয়ে নিতে হয়েছে।
কেলান্তান, সেলাঙ্গর, পাহাং ও সারাওয়াকে ভূমিধস–সংক্রান্ত সরিয়ে নেওয়ার কাজ এখনো চলছে। নাদমা জানিয়েছে, ১৩ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত বন্যায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাগুলো ঘটেছে কেলান্তান ও সেলাঙ্গরে।
বৃষ্টি কমলেও আবহাওয়া এখনো ঝুঁকিপূর্ণ
পরিস্থিতি কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও আবহাওয়া দপ্তর মেটমালয়েশিয়া সতর্কতা জারি রেখেছে। কেলান্তান, তেরেঙ্গানু, পাহাং ও জোহরে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সতর্কতার মাত্রা—ওয়াসপাদা, বুরুক ও বাহায়া।
উপকূলীয় ও সমুদ্রাঞ্চলে বজ্রঝড়, দমকা হাওয়া আর উত্তাল সাগরের সম্ভাবনাও আছে। এতে ছোট নৌযান ও নিচু এলাকার বাসিন্দারা ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। কেলান্তান ও তেরেঙ্গানুর কয়েকটি নদী এখনো সতর্ক ও সতর্কীকরণ স্তরে রয়েছে।
পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ভূমিধস, ধস ও বন্যার কারণে কেলান্তান, পেরলিস, পেরাক, কেদাহ ও সেলাঙ্গরের বেশ কয়েকটি সড়ক আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ।
কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সতর্ক থাকতে, সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ মানতে এবং সরকারি ঘোষণার ওপর নজর রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















