টাকার নোটের অন্তত ৯০ শতাংশ অংশ অক্ষত থাকলে গ্রাহকরা ওই নোটের পুরো মূল্য ফেরত পাবেন। এ ধরনের নোট যেকোনো ব্যাংকের যেকোনো শাখা থেকেই তাৎক্ষণিকভাবে বদলে নেওয়া যাবে। তবে কোনো নোটের ৯০ শতাংশ বা তার কম অংশ যদি ঠিক থাকে, সে ক্ষেত্রে ব্যাংক শাখা থেকে সঙ্গে সঙ্গে বিনিময় মূল্য দেওয়া হবে না। এমন নোট জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ আট সপ্তাহের মধ্যে বিনিময় মূল্য ফেরত দেওয়া হবে।
নতুন নীতিমালা জারি
বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে অপ্রচলনযোগ্য, ছেঁড়া, ফাটা বা ত্রুটিযুক্ত নোট বিনিময় সহজ করতে নতুন নীতিমালা জারি করেছে। গত ৯ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোট রিফান্ড সংক্রান্ত বিধিমালা জারি করে, যার আলোকে সম্প্রতি এ নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক নিজস্বভাবে টাকা বদলের সেবা বন্ধ করলেও সব তফসিলি ব্যাংকের শাখাগুলোকে এ সেবায় আরও সক্রিয় করা হয়েছে।
সব ব্যাংক শাখায় নোট বদলের নির্দেশ
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যাংকের প্রতিটি শাখা থেকেই অপ্রচলনযোগ্য, ছেঁড়া, ফাটা বা ত্রুটিযুক্ত নোট বদলের সেবা দিতে হবে। যেসব নোটের বিনিময় মূল্য তাৎক্ষণিকভাবে দেওয়া সম্ভব নয়, সেগুলোর জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে আবেদন নিয়ে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে। কোনো শাখা এ সেবা দিতে গড়িমসি করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
নোটের শ্রেণিবিভাগ
প্রজ্ঞাপনে নোটের ব্যবহারযোগ্যতা ও অবস্থা অনুযায়ী প্রচলিত নোটকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো পুনঃপ্রচলনযোগ্য, অপ্রচলনযোগ্য, ছেঁড়া-ফাটা বা ত্রুটিযুক্ত, দাবিযোগ্য এবং আগুনে পোড়া নোট। এর মধ্যে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট বাজারে চলবে। অপ্রচলনযোগ্য এবং ছেঁড়া-ফাটা বা ত্রুটিযুক্ত নোট যেকোনো ব্যাংক শাখা থেকে বিনিময় করা যাবে।
ছেঁড়া-ফাটা নোটের মানদণ্ড
নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো নোটের ৯০ শতাংশের বেশি অংশ বিদ্যমান থাকলে গ্রাহককে সঙ্গে সঙ্গে পুরো বিনিময় মূল্য দিতে হবে। আর নোটের ৯০ শতাংশ বা তার কম অংশ থাকলে, কিংবা অতিরিক্ত ময়লাযুক্ত হলে সেটিকে দাবিযোগ্য নোট হিসেবে গণ্য করা হবে। এসব নোটের মূল্য ব্যাংক সরাসরি দিতে পারবে না। আবেদন পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক যাচাই করে বিনিময়যোগ্য অর্থ কতটা দেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত সর্বোচ্চ আট সপ্তাহের মধ্যে জানাবে।
আগুনে পোড়া নোটের ক্ষেত্রে নিয়ম
আগুনে পোড়া নোটের জন্য কোনো ব্যাংক শাখা সরাসরি বিনিময় মূল্য দিতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে গ্রাহককে বাংলাদেশ ব্যাংকের যেকোনো শাখা অফিসে আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় যাচাই শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।
এ ছাড়া প্রতিটি ব্যাংক শাখার দৃশ্যমান স্থানে ছেঁড়া-ফাটা বা ত্রুটিপূর্ণ নোট বিনিময় এবং দাবিযোগ্য নোটসংক্রান্ত সেবা দেওয়া হয়—এমন নোটিশ টানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি জাল নোট বা ভিন্ন নোটের অংশ জোড়া দিয়ে উপস্থাপন করেন, তাহলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















