০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
এআই ব্যবহারে স্বচ্ছতা চাইছে অ্যাপল—অ্যাপ স্টোর নীতিমালায় নতুন কড়াকড়ি নেটফ্লিক্সে কে-ড্রামা ও অ্যানিমের বিশ্বজয় জিওহটস্টার দক্ষিণ ভারতীয় কনটেন্টে $৪৪৪ মিলিয়ন বিনিয়োগের ঘোষণা চ্যাটবট চাপে গুগলের নতুন এআই সার্চ উন্মোচন আইডোলাদের সঙ্গে ডোলার আবেগী পুনর্মিলন, সানওয়ে পিরামিডে স্মরণীয় বিকেল সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষতিকর কনটেন্ট: নেতিবাচক আচরণ কীভাবে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে ৯৫ শতাংশ টাকা ফেরতের ফাঁদ: আইন পেশার ছদ্মবেশে নতুন প্রতারণা সীমান্ত পেরোনো লেনদেনে এক ছাতার মানদণ্ড: জর্জ টাউন অ্যাকর্ডের নতুন দিগন্ত শেয়ারবাজারে পতন থামছে না, ডিএসই ও সিএসই সূচক আবারও নিম্নমুখী ২০২৬ সালের নির্বাচনে ২০২৪ সালের প্রার্থীদের নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক: আমানতকারীদের সুরক্ষায় রেজল্যুশন প্রক্রিয়া দ্রুত করার কড়া নির্দেশ

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি–এর ক্ষেত্রে আমানতকারীদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রেজল্যুশন কার্যক্রম দ্রুত, কার্যকর ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এ প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের গাফিলতি বা শৈথিল্য গ্রহণযোগ্য নয়।

প্রথম সভায় গভর্নরের বক্তব্য
বুধবার ১৭ ডিসেম্বর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকটির নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আমন্ত্রণে উপস্থিত থেকে গভর্নর বলেন, ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং আমানতকারীদের আস্থা ফেরাতে রেজল্যুশনের আওতায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি।

রেজল্যুশনের গুরুত্ব ও ঝুঁকি
গভর্নর জানান, রেজল্যুশন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এতে অযথা বিলম্ব হলে আমানতকারীদের পাশাপাশি পুরো আর্থিক ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই সময়ক্ষেপণ না করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মাধ্যমে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সভায় উপস্থিতি ও নেতৃত্ব
সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সভাপতিত্ব না করলেও বিশেষ আমন্ত্রণে সভায় অংশ নেন। এতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও যুগ্ম সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. কবির আহাম্মদ, ব্যাংক রেজল্যুশন ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট পরিচালক ও কর্মকর্তারা অংশ নেন। এছাড়া রেজল্যুশনের আওতায় থাকা পাঁচটি ব্যাংকের প্রশাসকরাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

গৃহীত পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ করণীয়
সভায় এখন পর্যন্ত রেজল্যুশনের আওতায় নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ পরিচালনা পর্ষদকে জানানো হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে সর্বসম্মতভাবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

পরিচালনা পর্ষদের অঙ্গীকার
পরিচালনা পর্ষদ গভর্নরের বক্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। একই সঙ্গে রেজল্যুশন কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং জনস্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের তদারকি ও নীতিগত দিকনির্দেশনা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

এআই ব্যবহারে স্বচ্ছতা চাইছে অ্যাপল—অ্যাপ স্টোর নীতিমালায় নতুন কড়াকড়ি

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক: আমানতকারীদের সুরক্ষায় রেজল্যুশন প্রক্রিয়া দ্রুত করার কড়া নির্দেশ

০৮:১০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি–এর ক্ষেত্রে আমানতকারীদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রেজল্যুশন কার্যক্রম দ্রুত, কার্যকর ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এ প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের গাফিলতি বা শৈথিল্য গ্রহণযোগ্য নয়।

প্রথম সভায় গভর্নরের বক্তব্য
বুধবার ১৭ ডিসেম্বর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকটির নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আমন্ত্রণে উপস্থিত থেকে গভর্নর বলেন, ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং আমানতকারীদের আস্থা ফেরাতে রেজল্যুশনের আওতায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি।

রেজল্যুশনের গুরুত্ব ও ঝুঁকি
গভর্নর জানান, রেজল্যুশন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এতে অযথা বিলম্ব হলে আমানতকারীদের পাশাপাশি পুরো আর্থিক ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই সময়ক্ষেপণ না করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মাধ্যমে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সভায় উপস্থিতি ও নেতৃত্ব
সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সভাপতিত্ব না করলেও বিশেষ আমন্ত্রণে সভায় অংশ নেন। এতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও যুগ্ম সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. কবির আহাম্মদ, ব্যাংক রেজল্যুশন ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট পরিচালক ও কর্মকর্তারা অংশ নেন। এছাড়া রেজল্যুশনের আওতায় থাকা পাঁচটি ব্যাংকের প্রশাসকরাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

গৃহীত পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ করণীয়
সভায় এখন পর্যন্ত রেজল্যুশনের আওতায় নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ পরিচালনা পর্ষদকে জানানো হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে সর্বসম্মতভাবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

পরিচালনা পর্ষদের অঙ্গীকার
পরিচালনা পর্ষদ গভর্নরের বক্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। একই সঙ্গে রেজল্যুশন কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং জনস্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের তদারকি ও নীতিগত দিকনির্দেশনা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।