স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি বছর নদী শাসন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে গত চার-পাঁচ বছরে তেবাড়িয়া-আগ্রাকুণ্ডা এলাকায় কোনো কাজ হয়নি। ফলে নদীর মাঝে চর জেগে উঠেছে। এর ফলে নদীর পাড়ঘেঁষে স্রোত তীব্র হয়েছে। এ কারণেই দেখা দিয়েছে ভাঙন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তেবাড়িয়া শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু থেকে আগ্রাকুণ্ডা এলাকার কৃষক ছেইমান শেখের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার গড়াই নদীর পাড়। নদী থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূর দিয়ে চলে গেছে সিসিঢালাই সড়ক। সড়ক ঘেঁষে কয়েক শ’ কাঁচাপাকা বাড়ি। বাড়ির পেছনের নদীপাড়ে সরিষা, ভূট্টা, তিল, পেঁয়াজসহ হরেক রকম ফসলের চাষাবাদ করা হয়েছে। শুকনো নদীর মাঝ দিয়ে জেগেছে চর। কিনারা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। আর এসবের মাঝেই থেমে থেমে ভেঙে পড়ছে নদীর পাড়ের মাটি।
আগ্রাকুণ্ডা গ্ৰামের কৃষক সেইমান শেখ বলেন, বহু বছর পর নদীতে ভাঙন লেগেছে। ফসলসহ অন্তত ৩০ বিঘা জমি গত সাত দিনে নদীগর্ভে চলে গেছে। এখন বসতবাড়ি নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। সরকারি লোকজন এসে ঘুরে গেছেন। তবে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

তেবাড়িয়া গ্ৰামের চা বিক্রেতা সমীর চাকী বলেন, নদী শুকিয়ে এবার মাঝে চর পড়েছে। ফলে কূল দিয়ে পানির স্রোত যাচ্ছে আর ভাঙছে। এতে কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি, সড়ক, মসজিদ, মন্দির, ছোটবড় নানা স্থাপনা ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নদীর খেলা বুঝা বড় দায়। পানি কমলেও ভাঙে, বাড়লেও ভাঙে। দ্রুত পাকা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
তেবাড়িয়া শেরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মোশাররফ হোসেন বলেন, নদীপাড়ে ২২ শতাংশ জমিতে হাইব্রিড ঘাসের চাষ রয়েছে আমার। নদী ভাঙতে ভাঙতে প্রায় ঘাসের কাছে চলে এসেছে। স্থায়ী সমাধানের জন্য দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করা দরকার।
খবর পেয়ে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই মূহুর্তে বাঁধ নির্মাণ বা ভাঙন রোধের কোনো সরকারি বরাদ্দ নেই। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আখতার বলেন, ভাঙনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। পাউবোর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















