০১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের দুর্নীতি মোকাবিলার বিষয়ে যে বার্তা দিলেন ডোনাল্ড লু

  • Sarakhon Report
  • ১০:২৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
  • 11

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ঋণখেলাপি-অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানোর দাবি সংসদে”

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দুজন সংসদ সদস্য বলেছেন, বাংলাদেশ এখন কঠিন সংকটকাল পার করছে। এক দিনে এ সংকট হয়নি। এর অন্যতম কারণ লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থ পাচার। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ওই দুজন সংসদ সদস্য। তাঁদের একজন ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানোর দাবিও জানান।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ওই দুজন সংসদ সদস্য এ দাবি জানান।

ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানোর দাবি জানান জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম। বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, করোনাকালে কঠিন সংকট প্রধানমন্ত্রী সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারলেও এখন তাঁকে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর জন্য দায়ী একশ্রেণির দুর্নীতিগ্রস্ত ও অর্থ পাচারকারী ব্যাংক লুটেরা। যাঁরা বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। যদিও সরকার এখন এই রাঘববোয়ালদের শক্ত হাতে ধরা শুরু করেছে।

 

 

যুগান্তরের একটি শিরোনাম “বাংলাদেশের দুর্নীতি মোকাবিলার বিষয়ে যে বার্তা দিলেন ডোনাল্ড লু “

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সম্প্রতি বাংলাদেশে সফর নিয়ে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

জোনাল্ড লু বলেন, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত মে মাসে আমরা ৭০৩১ (সি) ধারার অধীনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ‘পাবলিক ডেজিগনেশন’ (এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা) ঘোষণা করি। দুর্নীতির এ অভিযোগগুলোর ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে বলে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীরা বিবৃতি দিয়েছেন, আমরা এ ব্যাপারটি স্বাগত জানাই।

অদূর ভবিষ্যতে অন্যান্য উচ্চ-প্রোফাইলের বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপরও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র আরোপ করবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যখন আমাদের কাছে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকে, তখন আমরা সারা বিশ্বেই নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা বিধিনিষেধের আকারে প্রকাশ্যে পদক্ষেপ নিই। আমাদের আইনগুলো আমাদেরকে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা তাদের দুর্নীতির অর্থের গন্তব্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে সচেষ্ট। আমি আশা করি, আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে মিলে সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করে যাব।

বিরোধী দলের সঙ্গে দেখা না করার প্রসঙ্গে ডোনাল্ড লু বলেন, এটা প্রাক-নির্বাচনের সময় নয়, তাই এবারের সফরে আমি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দেখা করিনি। তবে এটা সত্য যে, গত বছর নির্বাচনের আগে আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকের সুযোগ পেয়েছিলাম।

মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কিছু অংশ নিয়ে খ্রিস্টান জাতি রাষ্ট্র গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিযোগ এবং বিমানঘাঁটি নির্মাণের বিষয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি। নির্বাচনের সময় আমাদের অগ্রাধিকার ছিল শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সফর করেন। এ সফরে তিনি বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। এ সফরে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সম্পর্কের মাঝে আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনা ও অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “লোডশেডিং বাড়ছে গ্রামাঞ্চলে ভোগান্তি চরমে”

তীব্র গরমে রাতে ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি উঠছে বিদ্যুতের চাহিদা। যদিও এ চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে হচ্ছে না বিদ্যুৎ উৎপাদন। সারা দেশে এখন লোডশেডিং বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকাগুলোয় ভোগান্তির মাত্রা এখন চরমে। এর বিপরীতে রাজধানী ঢাকাসহ শহরাঞ্চলে লোডশেডিং তুলনামূলক কম বলে গ্রাহক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসন কোনো সমাধান নয়: ম্যাকেঞ্জি”

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ হয়ে এ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩ হাজার রোহিঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসিত হয়েছেন। মানবিক কারণে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুর্নবাসন করা হলেও তৃতীয় কোনো দেশে রোহিঙ্গাদের পাঠানো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়। যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক শরণার্থীবিষয়ক সমন্বয়কারী ম্যাকেঞ্জি রো বুধবার (১২ জুন) দুপুরে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

 

The Daily Star বাংলার একটি শিরোনাম “এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের কথা জানলেও চুপ ছিলেন আ. লীগ নেতা মিন্টু”

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার আগেই ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু এ খবর জানতেন বলে প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

গত ১৬ মে মিন্টু এমপি আনার হত্যার বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন, এমনকি ছবিও পেয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা নিহতের পরিবারকে তিনি জানাননি।

ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার মোবাইল ফোনের রেকর্ড বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দারা এসব তথ্য পান।

এমনকি সাত দিনের রিমান্ডে থাকা বাবু ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে বলেছেন, তিনি তার ফোন মিন্টুকে দিয়েছিলেন এবং হত্যার তথ্য তার সঙ্গে শেয়ার করেছেন।

হত্যাকাণ্ডের সমন্বয়ক আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে ফোনে বাবুর যোগাযোগ হয়। আমানুল্লাহ ও বাবু জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছিলেন, তারা হোয়াটসঅ্যাপে হত্যার ছবি বিনিময় করেছিলেন এবং ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে দেখা করেছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনারের সঙ্গে মিন্টুর বিরোধ ছিল।

গতকাল ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিবি প্রধান বলেন, বাবুর মোবাইল ফোন কেন মিন্টুর কাছে ছিল এবং কেন তিনি হত্যার তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা নিহতের পরিবারকে জানাননি এসব বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, মিন্টু ঠিকঠাক জবাব দিতে পারলে তদন্ত কর্মকর্তা তাকে ছেড়ে দেবেন, নইলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবু রিমান্ডে রয়েছেন এবং সাধারণ সম্পাদক মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

‘আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যারা নির্দেশনা দিয়েছেন এবং যারা আজিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন তাদেরসহ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না,’ বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমি এটাও বলতে চাই কারো প্ররোচনায় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না।

এদিকে এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করে তার বাবার হত্যার বিচার দাবি করেন।

পরে ডরিন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি শুনেছেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্ত করার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, কোনো চাপে যেন তদন্ত বন্ধ না হয় সেজন্য তিনি মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন।

ডরিন বলেন, তিনি শুনেছেন গ্রেপ্তার বাবু ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে টাকাপয়সার লেনদেন নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, যারা টাকা দিয়েছে তাদের নাম জানতে চাই। কেন তারা এটা করল?’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে এবং তিনি বিচার চাইবেন এটাই স্বাভাবিক।

কোনো চাপ আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ওপর কে চাপ দেবে? কোনো চাপ নেই। তদন্ত সঠিকভাবে চলছে।’

এদিকে এমপি আনারের খুনিদের শাস্তির দাবিতে ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন হয়েছে। মিন্টুকে আটকের প্রতিবাদে বিক্ষোভও হয়েছে।

গত ১২ মে কলকাতায় গিয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন এমপি আনার। পরের দিন তিনি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বলে বের হন। ২২ মে ভারত ও বাংলাদেশের পুলিশ জানায়, এমপি আনার খুন হয়েছেন।

 

বাংলাদেশের দুর্নীতি মোকাবিলার বিষয়ে যে বার্তা দিলেন ডোনাল্ড লু

১০:২৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ঋণখেলাপি-অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানোর দাবি সংসদে”

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দুজন সংসদ সদস্য বলেছেন, বাংলাদেশ এখন কঠিন সংকটকাল পার করছে। এক দিনে এ সংকট হয়নি। এর অন্যতম কারণ লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থ পাচার। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ওই দুজন সংসদ সদস্য। তাঁদের একজন ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানোর দাবিও জানান।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ওই দুজন সংসদ সদস্য এ দাবি জানান।

ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানোর দাবি জানান জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম। বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, করোনাকালে কঠিন সংকট প্রধানমন্ত্রী সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারলেও এখন তাঁকে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর জন্য দায়ী একশ্রেণির দুর্নীতিগ্রস্ত ও অর্থ পাচারকারী ব্যাংক লুটেরা। যাঁরা বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। যদিও সরকার এখন এই রাঘববোয়ালদের শক্ত হাতে ধরা শুরু করেছে।

 

 

যুগান্তরের একটি শিরোনাম “বাংলাদেশের দুর্নীতি মোকাবিলার বিষয়ে যে বার্তা দিলেন ডোনাল্ড লু “

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সম্প্রতি বাংলাদেশে সফর নিয়ে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

জোনাল্ড লু বলেন, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত মে মাসে আমরা ৭০৩১ (সি) ধারার অধীনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ‘পাবলিক ডেজিগনেশন’ (এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা) ঘোষণা করি। দুর্নীতির এ অভিযোগগুলোর ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে বলে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীরা বিবৃতি দিয়েছেন, আমরা এ ব্যাপারটি স্বাগত জানাই।

অদূর ভবিষ্যতে অন্যান্য উচ্চ-প্রোফাইলের বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপরও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র আরোপ করবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যখন আমাদের কাছে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকে, তখন আমরা সারা বিশ্বেই নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা বিধিনিষেধের আকারে প্রকাশ্যে পদক্ষেপ নিই। আমাদের আইনগুলো আমাদেরকে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা তাদের দুর্নীতির অর্থের গন্তব্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে সচেষ্ট। আমি আশা করি, আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে মিলে সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করে যাব।

বিরোধী দলের সঙ্গে দেখা না করার প্রসঙ্গে ডোনাল্ড লু বলেন, এটা প্রাক-নির্বাচনের সময় নয়, তাই এবারের সফরে আমি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দেখা করিনি। তবে এটা সত্য যে, গত বছর নির্বাচনের আগে আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকের সুযোগ পেয়েছিলাম।

মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কিছু অংশ নিয়ে খ্রিস্টান জাতি রাষ্ট্র গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিযোগ এবং বিমানঘাঁটি নির্মাণের বিষয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি। নির্বাচনের সময় আমাদের অগ্রাধিকার ছিল শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সফর করেন। এ সফরে তিনি বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। এ সফরে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সম্পর্কের মাঝে আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনা ও অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “লোডশেডিং বাড়ছে গ্রামাঞ্চলে ভোগান্তি চরমে”

তীব্র গরমে রাতে ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি উঠছে বিদ্যুতের চাহিদা। যদিও এ চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে হচ্ছে না বিদ্যুৎ উৎপাদন। সারা দেশে এখন লোডশেডিং বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকাগুলোয় ভোগান্তির মাত্রা এখন চরমে। এর বিপরীতে রাজধানী ঢাকাসহ শহরাঞ্চলে লোডশেডিং তুলনামূলক কম বলে গ্রাহক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসন কোনো সমাধান নয়: ম্যাকেঞ্জি”

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ হয়ে এ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩ হাজার রোহিঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসিত হয়েছেন। মানবিক কারণে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুর্নবাসন করা হলেও তৃতীয় কোনো দেশে রোহিঙ্গাদের পাঠানো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়। যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক শরণার্থীবিষয়ক সমন্বয়কারী ম্যাকেঞ্জি রো বুধবার (১২ জুন) দুপুরে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

 

The Daily Star বাংলার একটি শিরোনাম “এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের কথা জানলেও চুপ ছিলেন আ. লীগ নেতা মিন্টু”

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার আগেই ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু এ খবর জানতেন বলে প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

গত ১৬ মে মিন্টু এমপি আনার হত্যার বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন, এমনকি ছবিও পেয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা নিহতের পরিবারকে তিনি জানাননি।

ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার মোবাইল ফোনের রেকর্ড বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দারা এসব তথ্য পান।

এমনকি সাত দিনের রিমান্ডে থাকা বাবু ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে বলেছেন, তিনি তার ফোন মিন্টুকে দিয়েছিলেন এবং হত্যার তথ্য তার সঙ্গে শেয়ার করেছেন।

হত্যাকাণ্ডের সমন্বয়ক আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে ফোনে বাবুর যোগাযোগ হয়। আমানুল্লাহ ও বাবু জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছিলেন, তারা হোয়াটসঅ্যাপে হত্যার ছবি বিনিময় করেছিলেন এবং ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে দেখা করেছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনারের সঙ্গে মিন্টুর বিরোধ ছিল।

গতকাল ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিবি প্রধান বলেন, বাবুর মোবাইল ফোন কেন মিন্টুর কাছে ছিল এবং কেন তিনি হত্যার তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা নিহতের পরিবারকে জানাননি এসব বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, মিন্টু ঠিকঠাক জবাব দিতে পারলে তদন্ত কর্মকর্তা তাকে ছেড়ে দেবেন, নইলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবু রিমান্ডে রয়েছেন এবং সাধারণ সম্পাদক মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

‘আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যারা নির্দেশনা দিয়েছেন এবং যারা আজিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন তাদেরসহ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না,’ বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমি এটাও বলতে চাই কারো প্ররোচনায় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না।

এদিকে এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করে তার বাবার হত্যার বিচার দাবি করেন।

পরে ডরিন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি শুনেছেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্ত করার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, কোনো চাপে যেন তদন্ত বন্ধ না হয় সেজন্য তিনি মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন।

ডরিন বলেন, তিনি শুনেছেন গ্রেপ্তার বাবু ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে টাকাপয়সার লেনদেন নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, যারা টাকা দিয়েছে তাদের নাম জানতে চাই। কেন তারা এটা করল?’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে এবং তিনি বিচার চাইবেন এটাই স্বাভাবিক।

কোনো চাপ আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ওপর কে চাপ দেবে? কোনো চাপ নেই। তদন্ত সঠিকভাবে চলছে।’

এদিকে এমপি আনারের খুনিদের শাস্তির দাবিতে ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন হয়েছে। মিন্টুকে আটকের প্রতিবাদে বিক্ষোভও হয়েছে।

গত ১২ মে কলকাতায় গিয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন এমপি আনার। পরের দিন তিনি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বলে বের হন। ২২ মে ভারত ও বাংলাদেশের পুলিশ জানায়, এমপি আনার খুন হয়েছেন।