০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

জনগণের সম্মতি ছাড়া রেল চলালচলের চুক্তি মানিনা – ‘এবি পার্টি’

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • 12

সারাক্ষণ ডেস্ক

জনগণের সম্মতি ছাড়া একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের উপর দিয়ে অন্য একটি দেশের ট্রেন চলাচলের চুক্তিকে সার্বভৌমত্ব বিরোধী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি। আজ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই অভিযোগ করে এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ।

এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন দলের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার ও অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা লে. কর্ণেল (অব.) দিদারুল আলম প্রমূখ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন; বাংলাদেশের জনগনকে অন্ধকারে রেখে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে যে গনবিরোধী চুক্তি সরকার করেছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে ভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে কোনো চুক্তি হলে তা সংসদে তুলে ধরতে হবে কিন্তু আওয়ামিলীগ কখনো তা করেনি। তিনি বলেন; ভারতের সাথে স্পর্শকাতর তথ্য বিনিময়ের যে চুক্তি হয়েছে সে সম্পর্ক জনগনকে অবহিত করতে হবে। ভারতের সাথে স্যাটেলাইট চুক্তির মাধ্যমে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হবার আশংকা প্রকাশ করে তাজুল ইসলাম বলেন; বাংলাদেশ কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা হয়েছে কি না নাগরিক হিসাবে আমরা জানতে চাই।

লে. কর্ণেল (অব.) দিদারুল আলম তার বক্তব্যে বলেন; ভারতকে ট্রানজিট দেয়া ও ট্রেন চলাচলের সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কী লাভ বা স্বার্থ তা পরিস্কার করতে হবে। নদীর পানি প্রবাহের আন্তর্জাতিক আইন কখনোই ভারত মানেনি অভিযোগ করে তিনি বলেন; আমাদের নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আমাদের অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে নিয়ে এবি পার্টি আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সভাপতির বক্তব্যে এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন; অনির্বাচিত সরকার যে অন্যায় চুক্তি করেছে আমরা সেজন্য ধিক্কার জানাই। বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করি, নিজেদের আত্মমর্যাদা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করি। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন; পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন মত সংগঠন বিবৃতি দিয়ে দূর্নীতিবাজদের পক্ষ নেয়ার বিষয়টি অনৈতিক। তিনি বলেন; বর্তমান সরকারের আমলে যারা ক্ষমতার দাপটে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে তদন্তের কারণে তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কথা কিন্তু পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন আতঙ্কিত হচ্ছে জনগণ তা জানতে চায়? প্রজাতন্ত্রের কতিপয় কর্মচারী কিভাবে এতো পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছে এই জবাব জনগণকে দিতে হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি জানান।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ কবির, সদস্যসচিব সেলিম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহীনুর আক্তার শীলা, রুনা হোসাইন, মশিউর রহমান মিলু, শরন চৌধুরী সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে পাশ কাটানোর কৌশল খুঁজছে বিচারকরা, ফেরাতে পারবে কি USAID

জনগণের সম্মতি ছাড়া রেল চলালচলের চুক্তি মানিনা – ‘এবি পার্টি’

০৫:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

জনগণের সম্মতি ছাড়া একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের উপর দিয়ে অন্য একটি দেশের ট্রেন চলাচলের চুক্তিকে সার্বভৌমত্ব বিরোধী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি। আজ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই অভিযোগ করে এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ।

এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন দলের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার ও অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা লে. কর্ণেল (অব.) দিদারুল আলম প্রমূখ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন; বাংলাদেশের জনগনকে অন্ধকারে রেখে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে যে গনবিরোধী চুক্তি সরকার করেছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে ভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে কোনো চুক্তি হলে তা সংসদে তুলে ধরতে হবে কিন্তু আওয়ামিলীগ কখনো তা করেনি। তিনি বলেন; ভারতের সাথে স্পর্শকাতর তথ্য বিনিময়ের যে চুক্তি হয়েছে সে সম্পর্ক জনগনকে অবহিত করতে হবে। ভারতের সাথে স্যাটেলাইট চুক্তির মাধ্যমে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হবার আশংকা প্রকাশ করে তাজুল ইসলাম বলেন; বাংলাদেশ কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা হয়েছে কি না নাগরিক হিসাবে আমরা জানতে চাই।

লে. কর্ণেল (অব.) দিদারুল আলম তার বক্তব্যে বলেন; ভারতকে ট্রানজিট দেয়া ও ট্রেন চলাচলের সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কী লাভ বা স্বার্থ তা পরিস্কার করতে হবে। নদীর পানি প্রবাহের আন্তর্জাতিক আইন কখনোই ভারত মানেনি অভিযোগ করে তিনি বলেন; আমাদের নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আমাদের অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে নিয়ে এবি পার্টি আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সভাপতির বক্তব্যে এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন; অনির্বাচিত সরকার যে অন্যায় চুক্তি করেছে আমরা সেজন্য ধিক্কার জানাই। বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করি, নিজেদের আত্মমর্যাদা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করি। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন; পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন মত সংগঠন বিবৃতি দিয়ে দূর্নীতিবাজদের পক্ষ নেয়ার বিষয়টি অনৈতিক। তিনি বলেন; বর্তমান সরকারের আমলে যারা ক্ষমতার দাপটে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে তদন্তের কারণে তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কথা কিন্তু পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন আতঙ্কিত হচ্ছে জনগণ তা জানতে চায়? প্রজাতন্ত্রের কতিপয় কর্মচারী কিভাবে এতো পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছে এই জবাব জনগণকে দিতে হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি জানান।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ কবির, সদস্যসচিব সেলিম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহীনুর আক্তার শীলা, রুনা হোসাইন, মশিউর রহমান মিলু, শরন চৌধুরী সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।