পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
নেতৃত্ব কর্ম ক্ষমতার থেকে উদ্ভাবনীতে বেশি
পৃথিবীতে সব সময় সেই নেতৃত্বই সেরা ও স্মার্ট নেতৃত্ব হিসেবে বিবেচিত হয়েছে যে নেতৃত্ব যত বেশি উদ্ভাবনী ক্ষমতা দেখাতে পেরেছে।
কারণ, আর্থিক পুঁজির থেকে উদ্ভাবিত বিষয়ের মূল্য অনেক বেশি।
যেমন যে সকল কোম্পানির বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পুঁজি ছিলো তারা দ্রুত পিছে পড়ে গেছে গুগল সার্চইঞ্জিন বা ফেসবুক সোস্যাল মিডিয়া উদ্ভানকারীর কাছে।
ঠিক তেমনি বিলিয়ন ডলারের হোটেল ব্যবসা ধাক্কা খেয়েছে এ্রআরবিনবির উদ্ভাবনীর কাছে।
একইভাবে বড় বড় পরিবহন কোম্পানিও ছোট হয়ে গেছে উবের এর কাছে।
তবে সব সময় যে নেতা নিজে এই উদ্ভাবন করতে পারবেন তা নয়। তবে নেতাকে অবশ্যই উদ্ভাবনের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে এবং সে কাজে বিনিয়োগ করতে হবে।
এই বিনিয়োগ কীভাবে হতে পারে
১.দক্ষ লোকের পিছনে বিনিয়োগ করে।
২.বিভিন্ন পরিবেশে ও পরিস্থিতিকে জেনে।
৩. সমস্যাকে জেনে।
একটা বিষয় সব সময় মনে রাখতে হয়, সমস্যা সব সময়ই উদ্ভাবনীর জরায়ু।
যে কোন সমস্যার ভেতর দিয়েই নতুন কিছু উদ্ভাবন হয়।
*পৃথিবীতে যুদ্ধ অন্যতম বড় সমস্যা। অথচ হিসেব করলে দেখা যাবে টেকনোলজির একটি বড় অংশ উদ্ভাবিত হয়েছে যুদ্ধের ফলে।
* খাদ্য অন্যতম সমস্য। পৃথিবীর সভ্যতার শুরু থেকে আজ অবধি খাদ্য উত্পাদন ও সংগ্রহকে ঘিরে মিলিয়ন মিলিয়ন আবিস্কার হয়েছে।
* পৃথিবীতে স্বাস্থ্য একটি বড় সমস্য। স্বাস্থ্যকে ঘিরেও মিলিয়ন মিলিয়ন উদ্ভাবন ঘটেছে।
যেমন কোভিড- ১৯ ছিলো স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা। এই কোভিড-১৯কে ঘিরে শুধু ওষুধ শিল্পে নয়, টেকনোলজি’র সকল খাতের মাধ্যমে ব্যবসার চরিত্র বদলে গেছে।
কোভিড ও লকডাউনের মধ্যে যারা ব্যবসার চরিত্র বদল করতে পেরেছন তারা সকলেই সফল নেতা।
এমনকি যে রাষ্ট্রের নেতা তার রাষ্ট্র পরিচালনা পদ্ধতি ওই সময় ও পরিস্থিতির সঙ্গে মিল রেখে পরিবর্তন করতে পেরেছেন তিনি স্মার্ট লিডার। আর যারা অনুকরণ করছেন তারা মিডিওকার বা গতানুগতিক।
Leave a Reply