শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন

এম আর আকতার মুকুলের হাত সব সময় ওপরেই ছিলো

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪, ৮.০০ এএম

স্বদেশ রায়

এই লেখা যখন লিখছি তার মাত্র একদিন আগে  অর্থাৎ ২৫ জুন চরমপত্র খ্যাত এম আর আকতার মুকুলের মৃত্যু দিবস ছিলো। না কোথাও তাকে নিয়ে কোন স্মরণসভা এমনকি কোন লেখাও দেখিনি।

বাস্তবে যে জাতিতে বা দেশে জীবিতের মূল্য নেই সেখানে মৃতের মূল্যায়ন আশা করা যায় না। আর যদি তিনি ধনী না হয়ে শুধু গুনি হন। কারণ, বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালি কখনও তার গুনি মানুষকে মূল্যায়ন করেনি। এমনকি বাঙালির ভেতর বিশ্বমাপের যে দুজন গুনি জম্মেছেন, রবীন্দ্রনাথ ও রামমোহন তাদেরকেও বাঙালি মূল্যায়ন তো দূরে থাকুক, জীবদ্মাশয় কম যন্ত্রনা দেয়নি। আর সেই বাঙালি এম আর আখতার মুকুলকে মনে রাখবে এমনটি আশা না করাই ভালো। তাছাড়া এম আর আখতার মুকুল তো তাদেরই একজন ছিলেন, যারা দেশ ও মানুষকে শুধু দিয়েছেন। নেননি কিছুই।


স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারতি দুটি অনুষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিপাগল বাঙালির শরীরে শিহরণ তুলতো, তার একটি ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষনের একটি অংশ প্রচার, যার শিরোনাম ছিলো বজ্রকন্ঠ, অন্যটি এম আর আকতার মুকুলের চরমপত্র।

সাধারনত এম আর আকতার মুকুলকে চরমপত্র খ্যাত বলেই বলা হয়। বাস্তবে তিনি ছিলেন প্রচার জগতের এক ক্ষনজম্মা মানুষ শুধু নন, অনন্য প্রতিভার অধিকারী। চরমপত্র তার এক অনন্য সৃষ্টি প্রচার জগতে তবে শুধু চরমপত্র নয়, প্রচারের সব শাখা থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এক অনন্য প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তার লেখার ভাষা ছিলো সাধারণ মানুষের ভাষা। অন্যদিকে সত্যি অর্থে ডগনোজ রিপোর্টার যা বলে, তিনি তাই-ই ছিলেন। যেমন একটা উদাহরণ, ইত্তেফাকের রিপোর্টার হিসেবে তিনি ৯২-এর (ক) জারি করার পরে একদিন শেরে বাংলার বাসায় গেছেন, শেরে বাংলা তাকে শুধু দুটো কথা বলেছিলেন, বোঝ রাজনীতি কিছু বোঝ। খাও নাস্তা খাও। তার সেই বলার ভঙ্গির ভেতর দিয়েই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন সরকারের অংশ হতে যাচ্ছেন শেরেবাংলা। আর সেটাই ঘটেছিলো।

যাহোক, নিজের প্রতিভার জোরে তিনি সারাটা জীবন পথ চলেছেন বলে কখনও কারো কাছে তিনি কোন সাহায্যর জন্য হাত বাড়াননি। যে কারণে সাধারণ মধ্যবিত্ত জীবন যাপন করে গেছেন। মৃত্যু হয়েছিলো তার একটি ভাড়া বাড়িতেই। আর চাকুরি জীবন শেষে তিনি লেখালেখির পাশাপাশি একটি বইয়ের দোকান চালাতেন।


তার সেই বইয়ের দোকান সাগর পাবলিশার্স বাস্তবে হয়ে উঠেছিলো ঢাকার বুদ্ধিজীবী মহলের একটি আড্ডার জন্যে মিলন কেন্দ্র। যা নিয়ে বাস্তবে কোন একটা কলামে লেখা সম্ভব নয়। কখনও কখনও পুরানো ডায়েরিগুলোর দিকে বা কম্পিউটার এসে যাবার পরে কম্পিউটারের পুরানো ডায়েরি ফাইলের দিকে চোখ পড়লে মনে করি, একটা বই লিখি সাগর পাবলিশার্সের বিশ বছরের আড্ডা শিরোনামে। আবার মনে করি কী হবে লিখে? যাদের কথা আসবে কাউকে তো এ জাতি মনে রাখেনি। তাই সবই যেমন বাতাসে মিলিয়ে গেছে, আমার কাছে যে স্মৃতিটুকু আছে সেটাও যাক না বাতাসে মিলিয়ে। রবীন্দ্রনাথও লালনকে দেখে ও জেনে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন- সেখানে আমাদের মতো ক্ষুদ্র মানুষ তদুপরি এই গাঙ্গেয় বঙ্গের মানুষ আমরা যদি লালনের মতো সবকিছুকে হালকা সুরে ভাসিয়ে দেই অসুবিধা কোথায়?

যেমন আজকাল অনেক দুর্নীতি হচ্ছে। অনেক দুর্নীতিবাজ অনেক বেশি সম্মান পাচ্ছে। বড় বড় জায়গায় বসছে। এই নিয়ে অনেক তরুণ তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারুণ্যর এ ক্ষোভের রঙ অচেনা নয়। তারপরেও মনে মনে ভাবি হয়তো একটা দুর্নীতিবাজ জাতিতে পরিনত হওয়া ভালো। কারন, দুর্নীতি তো অন্তত বাউল বাঙালিকে অর্থ চেনাবে। সে হয়তো এখন ঠগবাজ আছে একদিন সত্যি অর্থে অর্থ উপার্জন করতেও পারে। এই যে প্রজম্মের পর প্রজম্ম বাউল হিসেবে ভেসে গেলো,  পদ্মা- মেঘনার বাতাসের সঙ্গে আসলে কী এতে কোন লাভ হয়েছে? কত জীবন বোধ তো লিখে গেছেন রবীন্দ্রনাথ, গানের সুরে ভাসিয়ে দিয়েছেন অনেক জীবন বোধ রামপ্রসাদ থেকে লালন সাই অবধি। সেই কোন আমলে রামপ্রসাদ বলে গেছেন, এমন মানব জমিন রইল পতিত, আবাদ করলে ফলতো সোনা। আবাদ তো রামমোহন, রবীন্দ্রনাথ, ক্ষীতিমোহন সেন, নজরুল, অর্মত্য সেন করলেন- লাভ হলো কি তাতে! সে আবাদের ফসল কে চিনলো? সেই আবাদের ফসল যদি বাঙালি চিনতো, ঘরে তুলতো তাহলে ঠিকই এম আর আকতার মুকুলের মৃত্যুদিন মনে রাখতো। ব্রিটিশ বারবনিতাও “ফাক শেকসপিয়র” বললে, কাস্টমারকে রুম থেকে বের করে দেয়।  আর সেখানে বাঙালি রবীন্দ্রনাথ নিয়ে যে কুকথা বলে তা শোনা বন্ধ করার জন্য কানে তুলো দিতে হয়। দুই একজন তরুণ যে তাতেও বিরক্ত হয় না তা নয়।মাঝে মাঝে ওই যেমন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তেমনি এই বুদ্ধিবৃত্তির দুর্নীতিবাজদের নিয়েও তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে। বলে, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একথা বলবে আর কাকে আমরা বুদ্ধিজীবি বলবো!

তরুণের ক্ষোভের আগুন সব সময়ই মানুষকে উষ্ণতা দেয়। ভালো লাগে অন্তত এই ভেবে, এরা আছে বলেই এখনও চন্দ্র সূর্য উঠছে।

আবার ভাবি এই চন্দ্র সূর্যকে ওঠাতে গিয়ে এই তরুণরাও শেষ অবধি বাউলের সুরের মতো না ভেসে যায়? মনে পড়ে নব্বইয়ের দশকের এক কাস্টমস অফিসারের কথা। তার স্বার্থে একটা নিজউ করানোর জন্যে অনেকদিন ধরে আমার পিছে পিছে ঘুরছে। সন্ধ্যায় এম আর আকতার মুকুল ভাইয়ের বইয়ের দোকানের আড্ডায় থাকি তা সে জানতো। তাই সন্ধ্যা থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে বাইরে। আড্ডা শেষে মুকুল ভাই ও শওকত ওসমান স্যার একসঙ্গে বের হওয়াতে এবং তাদের সঙ্গে থাকাতে সে বেচারা কাছে আসতে পারছে না। পরে যখন শওকত ওসমান স্যার শান্তিনগর থেকে মোমিনবাগের বাসার পথে রওনা দিয়েছেন আর আমি ডান দিকে রাস্তা নিয়েছি পুরানো ঢাকার পথে-  তখন সে দৌঁড়ে এসে আমাকে ধরে। ধরেই প্রথম বিরক্তির সুরে বলে, আচ্ছা যে মানুষটি জয়েন্ট সেক্রেটারীর পদ মর্যাদায় রিটার্য়াড করে এখন বই বিক্রি করে আর ভাড়া বাড়িতে থাকে-তার ওখানে সময় নষ্ট করেন কেন বলুন তো?  তার ওই কথার কোন উত্তর দেইনি। কারণ, আর যাই হোক গুরুমুখী বিদ্যাশিক্ষার বাড়ির ছেলে হওয়াতে অন্তত এটুকুই ছোটবেলা থেকে জেনেছি, লক্ষ্মী আর সরস্বতী একসঙ্গে বাস করে না কখনও যতই বোন হোক না কেন? তাই সরস্বতীর বীনা একে শুনিয়ে লাভ নেই। বরং আপদ বিদায় করার পথ খুঁজতে হবে।

অনর্গল কথা বলতেন মুকুল ভাই। একটি কথাও তার অপ্রয়োজনীয় নয়। বাস্তবে তিনি ছিলেন একজন ন্যাচারাল টকার। যা পৃথিবীতে দুই একজন জম্মায়। এ মানুষ শেষ জীবনে একটা বইয়ের দোকান চালাতেন। জীবন জীবিকার জন্যে চালের ব্যবসা থেকে বাসের ব্যবসা অবধি করেছেন। বঙ্গবন্ধু মারা যাবার পরে লন্ডনে মাংস কেটে জীবন চালিয়েছেন। হাসিনা আপা’র নির্বাসন জীবনের সময়  তিনি দিল্লির পান্ডা রোড়ের বাড়িতে গিয়ে আপন বড় ভাইয়ের মতো তার সঙ্গে দেখা করেছেন। শেখ হাসিনাও তার বড় ভাইয়ের মতো মুকুল ভাইকে শেষ দেখতে এসেছিলেন বারডেমে মৃত্যু শয্যায়। অনেকটা অচেতন এম আর আকতার মুকুল ভাইকে যখন তিনি মুকুল ভাই, মুকুল ভাই বলে ডাক দেন, এম আর আকতার মুকুল খুব আস্তে চোখ মেললেন। আস্তে আস্তে তার চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। তখন মনে পড়েছিলো তার আরেকদিনের চোখের পানির কথা, তিনি প্রায় একজনের কথা বলতেন, যিনি বঙ্গবন্ধু মারা যাবার পরে তারই চোখের সামনে বঙ্গবন্ধুর ছবি মাড়িয়ে ভেঙ্গে ছিলেন। যে মুহূর্তে সাগর পাবলিশার্সে বসে তিনি খবর পেলেন তাকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা করা হয়েছে। শুনে এম আর আকতার মুকুল একটু চোখের চশমা খুলে চোখ মুছে আবার স্বাভাবিক গলায় কথা বলতে শুরু করেন।

যাহোক, আওয়ামী লীগ তখন লতিফুর রহমানের ধাক্কা খেয়ে বিরোধী দলে। আওয়ামী লীগের এই বিরোধী দলে যাওয়াটাও অনেক শরীর খারাপ করে দেয় এম আর আকতার মুকুলের। আসলে ১৯৯৬ এ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ইতিহাসে সব থেকে ভালো গণতান্ত্রিক সরকার চালানোর পরেও এভাবে হেরে যাবে এটা অনেক আওয়ামী লীগ সমর্থকের মতো তিনিও মেনে নিতে পারছিলেন না।

লতিফুর রহমানের ধাক্কার সময় অর্থাৎ ২০০১ এর নির্বাচনের মাস দেড়েক আগে ড. এস. এ মালেক এর চেম্বারে এম আর আকতার মুকুল ও ড. এস এ মালেকের সঙ্গে একটা বিষয় নিয়ে দ্বিমত হয়। এবং সেদিন ওনাদের সামনে কোনরূপ প্রতিক্রিয়া না দেখালেও মনে করেছিলাম ওনারা ভুল আমি ঠিক। আজ বুঝতে পারি ওনারা ঠিক ছিলেন আমি ভুল ছিলাম।

সেদিন তাদেরকে তথ্য দেই যে, আওয়ামী লীগকে লতিফুর রহমান সরকার ৫৪ থেকে ৫৫টি সিট দেবে। তাই আওয়ামী লীগের উচিত হবে ইলেকশান বয়কট করার। ড. এস এ মালেক বেশ শক্ত কন্ঠে বললেন, দেখ আওয়ামী লীগকে যদি শত শত বছর গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূল দল হিসেবে রাখার পক্ষে হও তাহলে পরিস্থিতি সামনে যাই আসুক না কেন আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে যেতে হবে। তখন এম আর আকতার মুকুল বললেন, শোন, জিয়াউর রহমান ৭৯-র পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে উদ্বিগ্ন ছিলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে কি যাবে না? কারণ, আওয়ামী লীগের ইয়াং ফোর্স নির্বাচনে না যাবার পক্ষে। তাই নির্বাচনে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়ে যখন আওয়ামী লীগের ওয়াকিং কমিটির মিটিং চলছিলো ওই মিটিংয়ের খবরের জন্যে এক পর্যায়ে তিনি চেয়ার ছেড়ে পায়চারি করছিলেন। যখন জানতে পারেন আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ট অংশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা নির্বাচনে যাবে এ খবর পাওয়ার পরে তিনি শান্ত হয়ে বসেন। কারণ, কি জানো? কারণ কি শুধু নির্বাচনের বৈধতা? শুধু বৈধতা নয়। কারণ, তিনি তো সামরিক শাসক হিসেবেই বৈধতা পেয়ে গেছেন। তার নতুন করে বৈধতা নিয়ে অত মাথাব্যাথা ছিলো না। তিনি চাচ্ছিলেন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে তার সঙ্গে প্রতিযোগীতা করুক। যে প্রতিযোগীতার মাধ্যমে তিনি তার নতুন দলকে দাঁড় করাবেন। আসলে ফাঁকা মাঠে গোল দিলে নিজের দল যেমন দাঁড়ায় না তেমনি গোল করাও ভুলে যায়।

সেদিন এম আর আকতার মুকুলের কথার সঙ্গে একমত হইনি। আজ বিএনপি একের পর এক নির্বাচন না করার ফলে এবং শেখ হাসিনা যে কোনভাবেই হোক তার দলকে বৈতরনী পার করিয়ে দেবার ফলে আওয়ামী লীগের অবস্থা দেখে বুঝতে পারি, এম আর আকতার মুকুল কত গভীরতা দিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতি বুঝতেন। কারণ, এখন যখন দেখি কোন ভিন্ন দলের প্রতিদ্বন্ধী নেই তারপরেও এসপি বা ডিসি বা ওসি একটু বিরাগ হলেই একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভয়ে যেভাবে অধিকাংশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাঁপতে থাকে- তখন বুঝি এম আর আকতার মুকুল কতটা সঠিক ছিলেন। কারণ, বিএনপি এই বার বার নির্বাচন বয়কট করে তাদের নিজ দলের কী ক্ষতি করেছে তা তারা যতক্ষন নির্বাচনে না যাবে ততক্ষন বোঝা যাবে না। তবে আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ নির্বাচন ভুলে গেছে। তারা যে এখন নিজেরা সাংগঠনিক শক্তিতে জিততে পারে- এই আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান নয়, তা স্পষ্ট।

শুরুতেই লিখেছি, এম আর আকতার মুকুলকে ঘিরে বিশ বছরের আড্ডার একটা বই লিখলে সেটা কম বড় বই হবে না। তাই তাকে স্মরণ করে একটি লেখায় কতটুকুই বা লেখা যেতে পারে!

তবে একথা তার সম্পর্কে প্রতিটি লেখায় স্মরণ করতে হবে সকলকে। তিনি দেশ, জাতি এবং রাজনৈতিক দল অর্থাৎ আওয়ামী লীগকে তিনি সমর্থন করতেন, এদেরকে শুধু তিনি দিয়ে গেছেন। তার বদলে তিনি কিছুই নেননি। আর সে আকাঙ্খাও তার ছিলো না। কারণ পৃথিবীতে এক শ্রেনীর মানুষ থাকে তারা দেনেওয়ালা হয়ে জম্মায়, তাদের হাত সব সময় ওপরে থাকে। তারা শুধু দেয়। তারা কখনও নেয়ার জন্যে হাত পাতে না। এম আর আকতার মুকুলের হাত আমৃত্যু ওপরেই ছিলো।

লেখক: রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও সম্পাদক সারাক্ষণ ও The present world.

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024