০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৩০) প্রোটিন নির্মাণ: ন্যানোটেকনোলজির নতুন যুগ ‘একই কাঠামো গড়ে ভিন্ন ফল আশা করা উন্মাদনা’: লস অ্যাঞ্জেলেস কি নিজেকে দাবানল-নিরাপদ করতে পারবে? কীভাবে সিঙ্গাপুরকে ‘তৃতীয় চীন’ হওয়া থেকে রক্ষা করেছিলেন—লি কুয়ান স্বৈরাচারের কবলে যখনই দেশ, তখনই ফিরে আসে নূরুলদীন সন্ত্রাসবিরোধে দ্বৈত মানদণ্ড নেই: ব্রিকসের দৃঢ় ঘোষণায় পহালগাম হামলার তীব্র নিন্দা হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪১) প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) এর ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ঢাকায় ৭৩ সালে বস্তিবাসী ছিলো ৮ শতাংশ এখন ৪০ শতাংশ হোলি আর্টিজান হামলায় নিহত ভারতীয় নাগরিক: সন্ত্রাসের আতঙ্ক ও ভারতের গণমাধ্যম

প্রধানমন্ত্রীর সফর: রেল ও সড়কের ৯ প্রকল্পে চীনা ঋণ পেতে আগ্রহ

  • Sarakhon Report
  • ১০:০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • 21

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “প্রধানমন্ত্রীর সফর: রেল ও সড়কের ৯ প্রকল্পে চীনা ঋণ পেতে আগ্রহ”

সড়ক ও রেল যোগাযোগ খাতের নয়টি প্রকল্পে চীনা ঋণের বিষয়ে আগ্রহী বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ইতিমধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেল মন্ত্রণালয় এসব প্রকল্পের তালিকা পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

সড়ক পরিবহন ও রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, তালিকায় রেলের প্রকল্প রয়েছে ছয়টি। এর বাইরে ঢাকায় গাবতলী থেকে নারায়ণগঞ্জ পথে মেট্রোরেলের একটি লাইন নির্মাণ, পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর নতুন একটি সেতু নির্মাণ এবং মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতুর মেরামত প্রকল্প রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ থেকে ১১ জুলাই চীন সফর করতে পারেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ওই সফরে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় রেল ও সড়ক যোগাযোগের প্রকল্পগুলোতে চীনা ঋণের বিষয়টি প্রাধান্য পেতে পারে।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারটি ইউনিট সচল, ১৬৪ মেগাওয়াট উৎপাদন”

টানা কয়েক দিন বৃষ্টির ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে।

এদিকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা জানান, বছরের এই সময় কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ রুলকার্ভ অনুযায়ী ৮৪ দশমিক ১৬ ফুট এমএসএল থাকার কথা থাকলেও মঙ্গলবার কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ রয়েছে রুলকার্ভ অনুযায়ী ৮৩ দশমিক ৬৯ ফুট মিন সি লেভেল। যা গত কয়েক দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ পানির লেভেল। তবে কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট মিন সি লেভেল।

উল্লেখ, রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বমোট ২৩০ থেকে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। তবে কাপ্তাইয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হ্রদের পানি না কমাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ। কারণ পানি বাড়লেও পরিকল্পিতভাবে কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিং না হওয়াতে হ্রদের ভেতর পলি জমেছে। ফলে এর ড্রেজিং করা জরুরি বলে দাবি করে এলাকাবাসী।

 

 

যুগান্তরের একটি শিরোনাম “ধেয়ে আসছে বন্যা, বিপৎসীমার ওপরে ৫ নদীর পানি”

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে বন্যাপ্রবণ প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে। সারা দেশে ধেয়ে আসছে বন্যা। ইতোমধ্যে পাঁচ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে সিলেটে তৃতীয় দফার বন্যায় ফের প্লাবিত হয়েছে জেলার ৯৭ ইউনিয়নের এক হাজার ১৭৬ গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৭ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। এছাড়া সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোণা ও শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিডব্লিউডিবির কেন্দ্রীয় নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মুহরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

প্রথম দফা বানের জল না শুকাতেই আবার বন্যার কবলে পড়ছে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। ভারতের চেরাপুঞ্জি অঞ্চল থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আবার বাড়ছে সুনামগঞ্জের সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটাসহ সকল নদনদীর পানি। ডুবেছে সুনামগঞ্জ শহরসহ জেলার নিম্নাঞ্চল। সেইসঙ্গে ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক। আবার বন্যার মুখে পড়েছেন জেলার ২৫ লাখ মানুষ। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দূর্গাপুর সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে আবার তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও টানা বর্ষণে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সার্বিক বন্যা অবনতি দেখা দেয়। সোমবার সকাল হতে পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকলে উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার রাস্তাঘাট সহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করে।

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে পাহাড়ি ঢলের পানিতে মহারশী নদীর খৈলকুড়া বাঁধ ভেঙে ও বাঁধের দুই কূল উপচে উপজেলার ১৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ সময় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওইসব এলাকার শতাধিক মানুষ।

বন্যা কবলিত এলাকা ও উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ি ও বড়লেখা উপজেলায় আবারও বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কুড়াউড়া থেকে তোলা ছবি। ছবি: স্টার মেইল

নেত্রকোণায় টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নতুন করে আবারও বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলার প্রধান নদী উব্ধাখালির পানি বেড়ে বিপৎসীমা ওপর দিয়ে বইছে। বেড়েছে সোমেশ্বরী, কংশ ও ধনু নদীর পানিও। জেলার সবকটি নদীর পানি বাড়ায় কলমাকান্দা উপজেলার নিচু এলাকার লোকালয়ে পানি ঢুকছে। এসব এলাকার গ্রামীণ সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে। সংকট দেখা দিয়ে গোখাদ্যের।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বন বিভাগের ২ লাখ ৫৭ হাজার একর ভূমি অবৈধ দখলে”

বন বিভাগের দুই লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর বনভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে। আর গত মে মাস পর্যন্ত ৩০ হাজার ১৬২ একর বনভূমির জবরদখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বন বিভাগের দুই লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর বনভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে। তার মধ্যে চলতি বছর মে মাস পর্যন্ত ৩০ হাজার ১৬২ একর বনভূমির জবরদখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া ‘১০০ কর্মদিবস অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনার’ মাধ্যমে পাঁচ হাজার একর জবরদখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য উচ্ছেদ প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।

৬১১টি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারা দেশে মোট ৬ হাজার ৮৭৬টি ইটভাটা রয়েছে। পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, এনফোর্সমেন্ট অভিযান ও নিয়মিত মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ দূষণ নিয়ন্ত্রণে নানাবিধ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ওই কর্মপরিকল্পনার আওতায় ১০০ কর্মদিবসের মধ্যে ন্যূনতম ৫০০টি বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি হতে দেশব্যাপী ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় ২৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১৭০টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬১১টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১৫ দশমিক ০৮ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ২৫০টি ইটভাটা ভেঙে ফেলা হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯)’ এর আলোকে সরকার বায়ুদূষণ রোধ ও কৃষি জমির মাটি ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস করার উদ্দেশে সড়ক ও মহাসড়ক ছাড়া সকল সরকারি নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার কাজে ইটের বিকল্প হিসাবে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ ক্ষেত্রে ব্লকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তর বা সংস্থাসমূহ ও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ভিক্টর অরবান ইউক্রেন সফরে এবং কূটনৈতিক হিসাব”

হাঙ্গেরির কর্তৃত্ববাদী শাসক ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ভিক্টর অরবান ইউক্রেন সফরে গিয়েছেন মঙ্গলবার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন চালানোর পর এটাই হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের প্রথম ইউক্রেন সফর। হাঙ্গেরি সরকারের মুখপাত্র জোলটান কোভাকস মঙ্গলবার এক্সে দেয়া পোস্টে বলেছেন, মঙ্গলবার সকালে কিয়েভ পৌঁছেছেন ভিক্টর অরবান। সেখানে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ইউরোপিয়ান শান্তি নিয়ে আলোচনা করবেন। এই দুই নেতার মধ্যে শান্তি অর্জনের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। পাশাপাশি হাঙ্গেরি ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয় তো আছেই। ইউক্রেনকে সমর্থন করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। কিন্তু সেক্ষেত্রে ভিক্টর অরবান একজন বিভাজন সৃষ্টিকারী।

যুদ্ধকালে কিয়েভকে আরও সামরিক ও আর্থিক সমর্থন দেয়ার যে উদ্যোগ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নিয়েছে, তাতে নিয়মিত বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছেন কর্তৃত্ববাদী ভিক্টর। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার আছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।

আর্থিক এবং অভিন্ন মূল্যবোধের দিক দিয়ে তাদের বন্ধন জোরালো। দুই নেতাই তাদের দেশে এলজিবিটিকিউ নীতির বিরুদ্ধে নীতি গ্রহণ করেছেন। নিজ নিজ দেশে মুক্ত মত প্রকাশের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালিয়েছেন। ২০১৪ সালে রাশিয়া অন্যায়ভাবে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়াকে দখল করে। তখন পুতিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা উপেক্ষা করে হাঙ্গেরি। জেলেনস্কির সঙ্গে এমন এক সময়ে মঙ্গলবার ভিক্টর অরবানের বৈঠক হলো যখন ভিক্টর অরবান ও হাঙ্গেরি ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্সি নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রতি ৬ মাস পর পর এই দায়িত্ব পরিবর্তিত হয়।৬ মাস পর যে দেশ  প্রেসিডেন্সির দায়িত্বে আসে তারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সার্বিক এজেন্ডাকে নিয়ন্ত্রণ করে না। কিন্তু এই প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে তাদের অগ্রাধিকারকে সামনে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করে। গত সোমবার এই দায়িত্বে এসেছেন ভিক্টর অরবান। এ সময় তার মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক স্লোগানের মতো স্লোগান তিনি উচ্চারণ করেছেন। তা হলো- মেক ইউরোপ গ্রেট এগেইন। এতে ইউরোপের অনেক নেতাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যারা মনে করছেন হোয়াইট হাউসে ফিরতে পারেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি ক্ষমতায় এলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ভাগ্যে কী ঘটবে তা নিয়েও তারা চিন্তিত। ইউরোপিয়ান কূটনীতিকদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং জুলাইয়ে হওয়ার পরিকল্পনা আছে। ৯ থেকে ১১ই জুলাই ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাটো পালন করবে ৭৫তম বার্ষিকী। সেখানে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা নেয়া হবে তার মধ্যে ইউক্রেনকে দীর্ঘমেয়াদে সমর্থন দেয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার পেতে পারে।

 

 

ওদিকে ১৮ই জুলাই বৃটেনে হবে ইউরোপিয়ান পলিটিক্যাল কমিউনিটি (ইপিসি)-এর বৈঠক। ইপিসি হলো ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ভেতরের এবং বাইরের ৪৭টি দেশের একটি ফোরাম। এই ফোরামের সদস্য ইউক্রেন এবং হাঙ্গেরিও। এতে কৌশলগত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। ধারণা করা হয় যে, সেখানে এজেন্ডায় অগ্রাধিকার পাবে ইউক্রেন।
সশরীরে তাতে যোগ দিতে পারেন জেলেনস্কি।

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৩০)

প্রধানমন্ত্রীর সফর: রেল ও সড়কের ৯ প্রকল্পে চীনা ঋণ পেতে আগ্রহ

১০:০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “প্রধানমন্ত্রীর সফর: রেল ও সড়কের ৯ প্রকল্পে চীনা ঋণ পেতে আগ্রহ”

সড়ক ও রেল যোগাযোগ খাতের নয়টি প্রকল্পে চীনা ঋণের বিষয়ে আগ্রহী বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ইতিমধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেল মন্ত্রণালয় এসব প্রকল্পের তালিকা পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

সড়ক পরিবহন ও রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, তালিকায় রেলের প্রকল্প রয়েছে ছয়টি। এর বাইরে ঢাকায় গাবতলী থেকে নারায়ণগঞ্জ পথে মেট্রোরেলের একটি লাইন নির্মাণ, পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর নতুন একটি সেতু নির্মাণ এবং মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতুর মেরামত প্রকল্প রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ থেকে ১১ জুলাই চীন সফর করতে পারেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ওই সফরে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় রেল ও সড়ক যোগাযোগের প্রকল্পগুলোতে চীনা ঋণের বিষয়টি প্রাধান্য পেতে পারে।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারটি ইউনিট সচল, ১৬৪ মেগাওয়াট উৎপাদন”

টানা কয়েক দিন বৃষ্টির ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে।

এদিকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা জানান, বছরের এই সময় কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ রুলকার্ভ অনুযায়ী ৮৪ দশমিক ১৬ ফুট এমএসএল থাকার কথা থাকলেও মঙ্গলবার কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ রয়েছে রুলকার্ভ অনুযায়ী ৮৩ দশমিক ৬৯ ফুট মিন সি লেভেল। যা গত কয়েক দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ পানির লেভেল। তবে কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট মিন সি লেভেল।

উল্লেখ, রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বমোট ২৩০ থেকে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। তবে কাপ্তাইয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হ্রদের পানি না কমাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ। কারণ পানি বাড়লেও পরিকল্পিতভাবে কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিং না হওয়াতে হ্রদের ভেতর পলি জমেছে। ফলে এর ড্রেজিং করা জরুরি বলে দাবি করে এলাকাবাসী।

 

 

যুগান্তরের একটি শিরোনাম “ধেয়ে আসছে বন্যা, বিপৎসীমার ওপরে ৫ নদীর পানি”

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে বন্যাপ্রবণ প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে। সারা দেশে ধেয়ে আসছে বন্যা। ইতোমধ্যে পাঁচ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে সিলেটে তৃতীয় দফার বন্যায় ফের প্লাবিত হয়েছে জেলার ৯৭ ইউনিয়নের এক হাজার ১৭৬ গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৭ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। এছাড়া সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোণা ও শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিডব্লিউডিবির কেন্দ্রীয় নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মুহরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

প্রথম দফা বানের জল না শুকাতেই আবার বন্যার কবলে পড়ছে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। ভারতের চেরাপুঞ্জি অঞ্চল থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আবার বাড়ছে সুনামগঞ্জের সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটাসহ সকল নদনদীর পানি। ডুবেছে সুনামগঞ্জ শহরসহ জেলার নিম্নাঞ্চল। সেইসঙ্গে ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক। আবার বন্যার মুখে পড়েছেন জেলার ২৫ লাখ মানুষ। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দূর্গাপুর সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে আবার তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও টানা বর্ষণে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সার্বিক বন্যা অবনতি দেখা দেয়। সোমবার সকাল হতে পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকলে উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার রাস্তাঘাট সহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করে।

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে পাহাড়ি ঢলের পানিতে মহারশী নদীর খৈলকুড়া বাঁধ ভেঙে ও বাঁধের দুই কূল উপচে উপজেলার ১৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ সময় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওইসব এলাকার শতাধিক মানুষ।

বন্যা কবলিত এলাকা ও উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ি ও বড়লেখা উপজেলায় আবারও বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কুড়াউড়া থেকে তোলা ছবি। ছবি: স্টার মেইল

নেত্রকোণায় টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নতুন করে আবারও বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলার প্রধান নদী উব্ধাখালির পানি বেড়ে বিপৎসীমা ওপর দিয়ে বইছে। বেড়েছে সোমেশ্বরী, কংশ ও ধনু নদীর পানিও। জেলার সবকটি নদীর পানি বাড়ায় কলমাকান্দা উপজেলার নিচু এলাকার লোকালয়ে পানি ঢুকছে। এসব এলাকার গ্রামীণ সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে। সংকট দেখা দিয়ে গোখাদ্যের।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বন বিভাগের ২ লাখ ৫৭ হাজার একর ভূমি অবৈধ দখলে”

বন বিভাগের দুই লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর বনভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে। আর গত মে মাস পর্যন্ত ৩০ হাজার ১৬২ একর বনভূমির জবরদখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বন বিভাগের দুই লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর বনভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে। তার মধ্যে চলতি বছর মে মাস পর্যন্ত ৩০ হাজার ১৬২ একর বনভূমির জবরদখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া ‘১০০ কর্মদিবস অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনার’ মাধ্যমে পাঁচ হাজার একর জবরদখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য উচ্ছেদ প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।

৬১১টি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারা দেশে মোট ৬ হাজার ৮৭৬টি ইটভাটা রয়েছে। পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, এনফোর্সমেন্ট অভিযান ও নিয়মিত মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ দূষণ নিয়ন্ত্রণে নানাবিধ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ওই কর্মপরিকল্পনার আওতায় ১০০ কর্মদিবসের মধ্যে ন্যূনতম ৫০০টি বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি হতে দেশব্যাপী ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় ২৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১৭০টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬১১টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১৫ দশমিক ০৮ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ২৫০টি ইটভাটা ভেঙে ফেলা হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯)’ এর আলোকে সরকার বায়ুদূষণ রোধ ও কৃষি জমির মাটি ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস করার উদ্দেশে সড়ক ও মহাসড়ক ছাড়া সকল সরকারি নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার কাজে ইটের বিকল্প হিসাবে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ ক্ষেত্রে ব্লকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তর বা সংস্থাসমূহ ও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ভিক্টর অরবান ইউক্রেন সফরে এবং কূটনৈতিক হিসাব”

হাঙ্গেরির কর্তৃত্ববাদী শাসক ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ভিক্টর অরবান ইউক্রেন সফরে গিয়েছেন মঙ্গলবার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন চালানোর পর এটাই হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের প্রথম ইউক্রেন সফর। হাঙ্গেরি সরকারের মুখপাত্র জোলটান কোভাকস মঙ্গলবার এক্সে দেয়া পোস্টে বলেছেন, মঙ্গলবার সকালে কিয়েভ পৌঁছেছেন ভিক্টর অরবান। সেখানে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ইউরোপিয়ান শান্তি নিয়ে আলোচনা করবেন। এই দুই নেতার মধ্যে শান্তি অর্জনের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। পাশাপাশি হাঙ্গেরি ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয় তো আছেই। ইউক্রেনকে সমর্থন করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। কিন্তু সেক্ষেত্রে ভিক্টর অরবান একজন বিভাজন সৃষ্টিকারী।

যুদ্ধকালে কিয়েভকে আরও সামরিক ও আর্থিক সমর্থন দেয়ার যে উদ্যোগ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নিয়েছে, তাতে নিয়মিত বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছেন কর্তৃত্ববাদী ভিক্টর। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার আছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।

আর্থিক এবং অভিন্ন মূল্যবোধের দিক দিয়ে তাদের বন্ধন জোরালো। দুই নেতাই তাদের দেশে এলজিবিটিকিউ নীতির বিরুদ্ধে নীতি গ্রহণ করেছেন। নিজ নিজ দেশে মুক্ত মত প্রকাশের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালিয়েছেন। ২০১৪ সালে রাশিয়া অন্যায়ভাবে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়াকে দখল করে। তখন পুতিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা উপেক্ষা করে হাঙ্গেরি। জেলেনস্কির সঙ্গে এমন এক সময়ে মঙ্গলবার ভিক্টর অরবানের বৈঠক হলো যখন ভিক্টর অরবান ও হাঙ্গেরি ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্সি নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রতি ৬ মাস পর পর এই দায়িত্ব পরিবর্তিত হয়।৬ মাস পর যে দেশ  প্রেসিডেন্সির দায়িত্বে আসে তারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সার্বিক এজেন্ডাকে নিয়ন্ত্রণ করে না। কিন্তু এই প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে তাদের অগ্রাধিকারকে সামনে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করে। গত সোমবার এই দায়িত্বে এসেছেন ভিক্টর অরবান। এ সময় তার মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক স্লোগানের মতো স্লোগান তিনি উচ্চারণ করেছেন। তা হলো- মেক ইউরোপ গ্রেট এগেইন। এতে ইউরোপের অনেক নেতাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যারা মনে করছেন হোয়াইট হাউসে ফিরতে পারেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি ক্ষমতায় এলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ভাগ্যে কী ঘটবে তা নিয়েও তারা চিন্তিত। ইউরোপিয়ান কূটনীতিকদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং জুলাইয়ে হওয়ার পরিকল্পনা আছে। ৯ থেকে ১১ই জুলাই ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাটো পালন করবে ৭৫তম বার্ষিকী। সেখানে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা নেয়া হবে তার মধ্যে ইউক্রেনকে দীর্ঘমেয়াদে সমর্থন দেয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার পেতে পারে।

 

 

ওদিকে ১৮ই জুলাই বৃটেনে হবে ইউরোপিয়ান পলিটিক্যাল কমিউনিটি (ইপিসি)-এর বৈঠক। ইপিসি হলো ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ভেতরের এবং বাইরের ৪৭টি দেশের একটি ফোরাম। এই ফোরামের সদস্য ইউক্রেন এবং হাঙ্গেরিও। এতে কৌশলগত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। ধারণা করা হয় যে, সেখানে এজেন্ডায় অগ্রাধিকার পাবে ইউক্রেন।
সশরীরে তাতে যোগ দিতে পারেন জেলেনস্কি।