১২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নতুন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ঘোষণা করেছে, এখন থেকে কোম্পানিগুলোকে প্রতিটি এইচ-১বি কর্মী ভিসার জন্য বছরে ১ লাখ ডলার করে দিতে হবে। প্রযুক্তি খাতে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি বড় ধাক্কা হতে পারে। অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি এ বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন আইনি অভিবাসনেও নানা সীমাবদ্ধতা আরোপ করছে। এবার এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিকে নতুনভাবে সাজানোই হচ্ছে সবচেয়ে আলোচিত পদক্ষেপ। ট্রাম্পের বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস বলেছেন, “আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের প্রশিক্ষণ দিন। আমাদের চাকরি বিদেশিদের দেবেন না।” সমালোচনা ও সমর্থন প্রযুক্তি খাতের অনেক প্রতিষ্ঠান ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে বড় অঙ্কের অর্থ দিয়েছে, অথচ এই পদক্ষেপ নিয়ে তারা এখন সমস্যায় পড়তে পারে। সমালোচকদের দাবি, এই কর্মসূচির মাধ্যমে কোম্পানিগুলো কম মজুরিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ করে স্থানীয়দের বঞ্চিত করছে। অন্যদিকে সমর্থকরা, যেমন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক, মনে করেন এই ভিসা বিশ্বমানের দক্ষ কর্মী নিয়ে আসে, যা প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অপরিহার্য। মাস্ক নিজেও আগে এইচ-১বি ভিসাধারী ছিলেন। তথ্য ও পরিসংখ্যান সরকারি তথ্যে বলা হয়েছে, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ লাখে, যদিও এ সময় স্থানীয় এসটিইএম চাকরির প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৪৪.৫%। বিশ্ব প্রতিভা হারানোর ঝুঁকি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম মেনলো ভেঞ্চার্সের পার্টনার ডেভিড স্যাক্স সতর্ক করে বলেছেন, এত বেশি ফি দিলে বিশ্বের সেরা প্রতিভাবানরা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে নিরুৎসাহিত হবেন। এতে উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সক্ষমতা হ্রাস পাবে। এতে ছোট ও নতুন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ফি অনেক প্রতিষ্ঠানকে কাজ বিদেশে সরিয়ে নিতে বাধ্য করতে পারে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রকে পিছিয়ে দেবে। ভারত ও চীনের প্রভাব ২০২৪ সালে অনুমোদিত সব এইচ-১বি ভিসার মধ্যে ৭১% গিয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের কাছে। চীনের শেয়ার ছিল মাত্র ১১.৭%। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে অ্যামাজন ও তার ক্লাউড শাখা এডব্লিউএস একাই ১২ হাজারের বেশি এইচ-১বি অনুমোদন পেয়েছে। মাইক্রোসফট ও মেটাও ৫ হাজারের বেশি অনুমোদন পেয়েছে। বড় কোম্পানিগুলোর অবস্থান উইলবার রস দাবি করেছেন, বড় বড় কোম্পানিগুলো বছরে ১ লাখ ডলারের প্রস্তাবে সম্মত। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান ও ভারত-চীনের কূটনৈতিক মিশন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এরই মধ্যে মার্কিন শেয়ারবাজারে আইটি সেবাদাতা কগনিজ্যান্টের শেয়ার প্রায় ৫% এবং ভারতীয় আইটি কোম্পানি ইনফোসিস ও উইপ্রোর শেয়ার ২–৫% পর্যন্ত কমে গেছে। আইনগত প্রশ্ন ও নতুন পদক্ষেপ অভিবাসন নীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, কংগ্রেস শুধুমাত্র প্রশাসনিক খরচ মেটানোর জন্য ফি ধার্য করার অনুমতি দিয়েছে, তাই এভাবে বিশাল ফি আরোপের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বর্তমানে বছরে ৬৫ হাজার সাধারণ ও ২০ হাজার উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের জন্য এইচ-১বি ভিসা অনুমোদিত হয়। লটারিতে অংশ নিতে তুলনামূলক কম ফি লাগে, আর অনুমোদনের পর কয়েক হাজার ডলার খরচ হয়। সাধারণত তিন থেকে ছয় বছরের জন্য এই ভিসা অনুমোদিত হয়। এছাড়া, ট্রাম্প শুক্রবার আরেকটি নির্বাহী আদেশে ঘোষণা করেছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বসবাসের জন্য ১০ লাখ ডলার দিতে পারবেন, তাদের জন্য তৈরি হবে নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ ব্যবস্থা। নতুন নীতি প্রযুক্তি খাত, বিশেষ করে ভারত ও চীন থেকে আসা দক্ষ কর্মীদের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। স্বল্পমেয়াদে সরকার রাজস্ব পেতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র উদ্ভাবনী শক্তি হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ট্রাম্পের নতুন ভিসা নীতি: ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ভবিষ্যৎ ভাত না রুটি, কী খাওয়া উচিত? বাংলাদেশি শ্রমিকের ভাগ্য বদলাল আবুধাবি বিগ টিকিটে ফিলিস্তিন স্বীকৃতি নিয়ে বিশ্বশক্তির টানাপোড়েন হয়রানি ও বৈষম্যে বিপন্ন ব্যবসায়ীরা: অর্থনীতির মেরুদণ্ডে চাপ নেপালে ‘জেন জেড’ আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারীরা গুলি চালিয়েছে গর্ভবতী নারী ও সন্তানকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল ফরিদপুরে খুলনার দিঘলিয়ায় বিএনপি দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে ১৪৪ ধারা জারি বাংলাদেশে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের সব কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনবে অন্তর্বর্তী সরকার: যুক্তরাষ্ট্র

সাউথ চায়না সী তে কূটনৈতিক সমাধান চায় ফিলিপাইন

  • Sarakhon Report
  • ০২:১৭:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
  • 25

ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র বিষয়ক সচিব এনরিখ মানালো

সারাক্ষণ ডেস্ক

ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র বিষয়ক সচিব এনরিখ মানালো বিরোধপূর্ন সাউথ চায়না সীতে সার্বভৌমত্ব ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপর জোর দিয়ে বলেন, ফিলিপাইন চায়নার সাথে সামুদ্রিক উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক সমাধানের উপর জোর দিতে বিশ্বাসী।

মানালো বলেন, ফিলিপাইন এবং চায়নার মধ্যে গত কয়েকবছর ধরে চলমান সামুদ্রিক বিরোধের মধ্যেও আলোচনা অবশ্যই অব্যহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, চায়নার সাথে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো ও টেবিলে আলোচনার জন্যে ফিলিপাইন সবসময় তার সর্বোচ্চ সততা দেখিয়ে আসছে।

   বিরোধপূর্ণ সাউথ চায়না সী তে  গত মার্চ ৫, ২০২৪ ফিলিপাইন কোস্টগার্ড ওচায়নিজ কোস্টগার্ড এর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।

দুই পক্ষ গত মঙ্গলবার নবম বারের মতো সাউথ চায়না সী নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনায় মিলিত হয়েছিল। ফিলিপাইন বলছে,  তারা তাদের বিরোধপূর্ণ জলে অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল উত্তেজনা হ্রাস করা যেহেতু বেইজিং ম্যানিলার সামুদ্রিক অঞ্চলের দাবী বরাবর উপেক্ষা করে আসছে।

এক লিখিত জবাবে মানালো পূনরাবৃত্তি করেন যে, ফিলিপাইনের কূটনৈতিক কৌশল জাতিসংঘের সামুদ্রিক কনভেনশন আইনের আওতায় আছে যা ২০১৬ সহযোগিতা এ্যাওয়ার্ড এর অন্তর্ভূক্ত। আটবছর আগে ফিলিপাইন ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ডিসিশন এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছিল কারন চায়নাকে তখন ফিলিপাইনের সামুদ্রিক এলাকায় বেআইনি কর্মকান্ড চালাতে দেখা গিয়েছিল।

মানালো বলেন, “কূটনৈতিক তৎপরতা আমাদেরকে যথেষ্ঠ কাজ করার সুযোগ দেবে। আমরা যখনই কথা বলা বন্ধ করবো তখনই আমরা কূটনীতিক হিসেবে ব্যর্থ হবো।”

সাম্প্রতিক মাসগুলিতে চায়না ওয়েস্ট ফিলিপাইনের কতিপয় ঘাঁটিতে তাদের নিয়মিত সরবরাহ কাজে বাধা দিয়েছে। ফলে দুদেশের মধ্যে সামুদ্রিক উত্তেজনা বেড়ে গিয়েছিল। এসব জায়গা সাধারনত ফিলিপাইনের এক্সক্লুসিভ  ইকোনোমিক জোন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

জুনের ১৭ তারিখে একজন চায়নিজ কোস্টগার্ড সদস্য ফিলিপাইনের একটি বোটে উঠে পড়ে এবং ছুঁড়ি ও ,চাকু ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। ফলে একজন ফিলিপাইনের একজন নৌসদস্য একটি আঙ্গুল হারায়।

 

এই বিষয়টিকে উল্লেখ করে মানালো বলেন এটি ছিল,“বেআইনি, শত্রুতা এবং অনৈতিক কাজ যা তাদের দিক থেকে সত্যিকারেইিএকটি উস্কানীমূলক কর্মকান্ড।”  মানালো বলেন, “আমরা আমাদের পক্ষ থেকে চায়নিজ কর্তৃপক্ষের বিরদ্ধে দৃঢ় অভিযোগ ও উদ্বেগ জানিয়েছি।”

ফিলিপাইনের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারনে গত কয়েকবছরে সামুদ্রিক উত্তেজনা বেড়ে গেছে। একই ধরনের উত্তেজনা প্রেসিডেন্ট রডরিগোর দুতের্তের সময়ও ঘটেছিল কিন্তু তিনি চায়নার সাথে দ্বন্দ্বে যেতে চাননি কারন তার সরকার চায়নার কাছ থেকে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতওিয়ার উপরে জোর দিয়েছিলেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র সামুদিক অঞ্চলে  চায়নার কর্মকান্ডে বিরক্ত হয়ে ওয়াশিংটনের দিকে ঝূঁকেছেন।

মানালো বলেন, ফিলিপাইন কূটনীতি এবং শান্তি বজায় রাখার জন্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

 

নতুন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ঘোষণা করেছে, এখন থেকে কোম্পানিগুলোকে প্রতিটি এইচ-১বি কর্মী ভিসার জন্য বছরে ১ লাখ ডলার করে দিতে হবে। প্রযুক্তি খাতে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি বড় ধাক্কা হতে পারে। অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি এ বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন আইনি অভিবাসনেও নানা সীমাবদ্ধতা আরোপ করছে। এবার এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিকে নতুনভাবে সাজানোই হচ্ছে সবচেয়ে আলোচিত পদক্ষেপ। ট্রাম্পের বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস বলেছেন, “আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের প্রশিক্ষণ দিন। আমাদের চাকরি বিদেশিদের দেবেন না।” সমালোচনা ও সমর্থন প্রযুক্তি খাতের অনেক প্রতিষ্ঠান ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে বড় অঙ্কের অর্থ দিয়েছে, অথচ এই পদক্ষেপ নিয়ে তারা এখন সমস্যায় পড়তে পারে। সমালোচকদের দাবি, এই কর্মসূচির মাধ্যমে কোম্পানিগুলো কম মজুরিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ করে স্থানীয়দের বঞ্চিত করছে। অন্যদিকে সমর্থকরা, যেমন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক, মনে করেন এই ভিসা বিশ্বমানের দক্ষ কর্মী নিয়ে আসে, যা প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অপরিহার্য। মাস্ক নিজেও আগে এইচ-১বি ভিসাধারী ছিলেন। তথ্য ও পরিসংখ্যান সরকারি তথ্যে বলা হয়েছে, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ লাখে, যদিও এ সময় স্থানীয় এসটিইএম চাকরির প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৪৪.৫%। বিশ্ব প্রতিভা হারানোর ঝুঁকি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম মেনলো ভেঞ্চার্সের পার্টনার ডেভিড স্যাক্স সতর্ক করে বলেছেন, এত বেশি ফি দিলে বিশ্বের সেরা প্রতিভাবানরা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে নিরুৎসাহিত হবেন। এতে উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সক্ষমতা হ্রাস পাবে। এতে ছোট ও নতুন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ফি অনেক প্রতিষ্ঠানকে কাজ বিদেশে সরিয়ে নিতে বাধ্য করতে পারে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রকে পিছিয়ে দেবে। ভারত ও চীনের প্রভাব ২০২৪ সালে অনুমোদিত সব এইচ-১বি ভিসার মধ্যে ৭১% গিয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের কাছে। চীনের শেয়ার ছিল মাত্র ১১.৭%। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে অ্যামাজন ও তার ক্লাউড শাখা এডব্লিউএস একাই ১২ হাজারের বেশি এইচ-১বি অনুমোদন পেয়েছে। মাইক্রোসফট ও মেটাও ৫ হাজারের বেশি অনুমোদন পেয়েছে। বড় কোম্পানিগুলোর অবস্থান উইলবার রস দাবি করেছেন, বড় বড় কোম্পানিগুলো বছরে ১ লাখ ডলারের প্রস্তাবে সম্মত। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান ও ভারত-চীনের কূটনৈতিক মিশন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এরই মধ্যে মার্কিন শেয়ারবাজারে আইটি সেবাদাতা কগনিজ্যান্টের শেয়ার প্রায় ৫% এবং ভারতীয় আইটি কোম্পানি ইনফোসিস ও উইপ্রোর শেয়ার ২–৫% পর্যন্ত কমে গেছে। আইনগত প্রশ্ন ও নতুন পদক্ষেপ অভিবাসন নীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, কংগ্রেস শুধুমাত্র প্রশাসনিক খরচ মেটানোর জন্য ফি ধার্য করার অনুমতি দিয়েছে, তাই এভাবে বিশাল ফি আরোপের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বর্তমানে বছরে ৬৫ হাজার সাধারণ ও ২০ হাজার উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের জন্য এইচ-১বি ভিসা অনুমোদিত হয়। লটারিতে অংশ নিতে তুলনামূলক কম ফি লাগে, আর অনুমোদনের পর কয়েক হাজার ডলার খরচ হয়। সাধারণত তিন থেকে ছয় বছরের জন্য এই ভিসা অনুমোদিত হয়। এছাড়া, ট্রাম্প শুক্রবার আরেকটি নির্বাহী আদেশে ঘোষণা করেছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বসবাসের জন্য ১০ লাখ ডলার দিতে পারবেন, তাদের জন্য তৈরি হবে নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ ব্যবস্থা। নতুন নীতি প্রযুক্তি খাত, বিশেষ করে ভারত ও চীন থেকে আসা দক্ষ কর্মীদের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। স্বল্পমেয়াদে সরকার রাজস্ব পেতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র উদ্ভাবনী শক্তি হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

সাউথ চায়না সী তে কূটনৈতিক সমাধান চায় ফিলিপাইন

০২:১৭:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র বিষয়ক সচিব এনরিখ মানালো বিরোধপূর্ন সাউথ চায়না সীতে সার্বভৌমত্ব ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপর জোর দিয়ে বলেন, ফিলিপাইন চায়নার সাথে সামুদ্রিক উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক সমাধানের উপর জোর দিতে বিশ্বাসী।

মানালো বলেন, ফিলিপাইন এবং চায়নার মধ্যে গত কয়েকবছর ধরে চলমান সামুদ্রিক বিরোধের মধ্যেও আলোচনা অবশ্যই অব্যহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, চায়নার সাথে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো ও টেবিলে আলোচনার জন্যে ফিলিপাইন সবসময় তার সর্বোচ্চ সততা দেখিয়ে আসছে।

   বিরোধপূর্ণ সাউথ চায়না সী তে  গত মার্চ ৫, ২০২৪ ফিলিপাইন কোস্টগার্ড ওচায়নিজ কোস্টগার্ড এর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।

দুই পক্ষ গত মঙ্গলবার নবম বারের মতো সাউথ চায়না সী নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনায় মিলিত হয়েছিল। ফিলিপাইন বলছে,  তারা তাদের বিরোধপূর্ণ জলে অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল উত্তেজনা হ্রাস করা যেহেতু বেইজিং ম্যানিলার সামুদ্রিক অঞ্চলের দাবী বরাবর উপেক্ষা করে আসছে।

এক লিখিত জবাবে মানালো পূনরাবৃত্তি করেন যে, ফিলিপাইনের কূটনৈতিক কৌশল জাতিসংঘের সামুদ্রিক কনভেনশন আইনের আওতায় আছে যা ২০১৬ সহযোগিতা এ্যাওয়ার্ড এর অন্তর্ভূক্ত। আটবছর আগে ফিলিপাইন ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ডিসিশন এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছিল কারন চায়নাকে তখন ফিলিপাইনের সামুদ্রিক এলাকায় বেআইনি কর্মকান্ড চালাতে দেখা গিয়েছিল।

মানালো বলেন, “কূটনৈতিক তৎপরতা আমাদেরকে যথেষ্ঠ কাজ করার সুযোগ দেবে। আমরা যখনই কথা বলা বন্ধ করবো তখনই আমরা কূটনীতিক হিসেবে ব্যর্থ হবো।”

সাম্প্রতিক মাসগুলিতে চায়না ওয়েস্ট ফিলিপাইনের কতিপয় ঘাঁটিতে তাদের নিয়মিত সরবরাহ কাজে বাধা দিয়েছে। ফলে দুদেশের মধ্যে সামুদ্রিক উত্তেজনা বেড়ে গিয়েছিল। এসব জায়গা সাধারনত ফিলিপাইনের এক্সক্লুসিভ  ইকোনোমিক জোন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

জুনের ১৭ তারিখে একজন চায়নিজ কোস্টগার্ড সদস্য ফিলিপাইনের একটি বোটে উঠে পড়ে এবং ছুঁড়ি ও ,চাকু ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। ফলে একজন ফিলিপাইনের একজন নৌসদস্য একটি আঙ্গুল হারায়।

 

এই বিষয়টিকে উল্লেখ করে মানালো বলেন এটি ছিল,“বেআইনি, শত্রুতা এবং অনৈতিক কাজ যা তাদের দিক থেকে সত্যিকারেইিএকটি উস্কানীমূলক কর্মকান্ড।”  মানালো বলেন, “আমরা আমাদের পক্ষ থেকে চায়নিজ কর্তৃপক্ষের বিরদ্ধে দৃঢ় অভিযোগ ও উদ্বেগ জানিয়েছি।”

ফিলিপাইনের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারনে গত কয়েকবছরে সামুদ্রিক উত্তেজনা বেড়ে গেছে। একই ধরনের উত্তেজনা প্রেসিডেন্ট রডরিগোর দুতের্তের সময়ও ঘটেছিল কিন্তু তিনি চায়নার সাথে দ্বন্দ্বে যেতে চাননি কারন তার সরকার চায়নার কাছ থেকে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতওিয়ার উপরে জোর দিয়েছিলেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র সামুদিক অঞ্চলে  চায়নার কর্মকান্ডে বিরক্ত হয়ে ওয়াশিংটনের দিকে ঝূঁকেছেন।

মানালো বলেন, ফিলিপাইন কূটনীতি এবং শান্তি বজায় রাখার জন্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।