সারাক্ষণ ডেস্ক
ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র বিষয়ক সচিব এনরিখ মানালো বিরোধপূর্ন সাউথ চায়না সীতে সার্বভৌমত্ব ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপর জোর দিয়ে বলেন, ফিলিপাইন চায়নার সাথে সামুদ্রিক উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক সমাধানের উপর জোর দিতে বিশ্বাসী।
মানালো বলেন, ফিলিপাইন এবং চায়নার মধ্যে গত কয়েকবছর ধরে চলমান সামুদ্রিক বিরোধের মধ্যেও আলোচনা অবশ্যই অব্যহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, চায়নার সাথে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো ও টেবিলে আলোচনার জন্যে ফিলিপাইন সবসময় তার সর্বোচ্চ সততা দেখিয়ে আসছে।

দুই পক্ষ গত মঙ্গলবার নবম বারের মতো সাউথ চায়না সী নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনায় মিলিত হয়েছিল। ফিলিপাইন বলছে, তারা তাদের বিরোধপূর্ণ জলে অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল উত্তেজনা হ্রাস করা যেহেতু বেইজিং ম্যানিলার সামুদ্রিক অঞ্চলের দাবী বরাবর উপেক্ষা করে আসছে।
এক লিখিত জবাবে মানালো পূনরাবৃত্তি করেন যে, ফিলিপাইনের কূটনৈতিক কৌশল জাতিসংঘের সামুদ্রিক কনভেনশন আইনের আওতায় আছে যা ২০১৬ সহযোগিতা এ্যাওয়ার্ড এর অন্তর্ভূক্ত। আটবছর আগে ফিলিপাইন ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ডিসিশন এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছিল কারন চায়নাকে তখন ফিলিপাইনের সামুদ্রিক এলাকায় বেআইনি কর্মকান্ড চালাতে দেখা গিয়েছিল।

মানালো বলেন, “কূটনৈতিক তৎপরতা আমাদেরকে যথেষ্ঠ কাজ করার সুযোগ দেবে। আমরা যখনই কথা বলা বন্ধ করবো তখনই আমরা কূটনীতিক হিসেবে ব্যর্থ হবো।”
সাম্প্রতিক মাসগুলিতে চায়না ওয়েস্ট ফিলিপাইনের কতিপয় ঘাঁটিতে তাদের নিয়মিত সরবরাহ কাজে বাধা দিয়েছে। ফলে দুদেশের মধ্যে সামুদ্রিক উত্তেজনা বেড়ে গিয়েছিল। এসব জায়গা সাধারনত ফিলিপাইনের এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
জুনের ১৭ তারিখে একজন চায়নিজ কোস্টগার্ড সদস্য ফিলিপাইনের একটি বোটে উঠে পড়ে এবং ছুঁড়ি ও ,চাকু ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। ফলে একজন ফিলিপাইনের একজন নৌসদস্য একটি আঙ্গুল হারায়।

এই বিষয়টিকে উল্লেখ করে মানালো বলেন এটি ছিল,“বেআইনি, শত্রুতা এবং অনৈতিক কাজ যা তাদের দিক থেকে সত্যিকারেইিএকটি উস্কানীমূলক কর্মকান্ড।” মানালো বলেন, “আমরা আমাদের পক্ষ থেকে চায়নিজ কর্তৃপক্ষের বিরদ্ধে দৃঢ় অভিযোগ ও উদ্বেগ জানিয়েছি।”
ফিলিপাইনের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারনে গত কয়েকবছরে সামুদ্রিক উত্তেজনা বেড়ে গেছে। একই ধরনের উত্তেজনা প্রেসিডেন্ট রডরিগোর দুতের্তের সময়ও ঘটেছিল কিন্তু তিনি চায়নার সাথে দ্বন্দ্বে যেতে চাননি কারন তার সরকার চায়নার কাছ থেকে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতওিয়ার উপরে জোর দিয়েছিলেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র সামুদিক অঞ্চলে চায়নার কর্মকান্ডে বিরক্ত হয়ে ওয়াশিংটনের দিকে ঝূঁকেছেন।
মানালো বলেন, ফিলিপাইন কূটনীতি এবং শান্তি বজায় রাখার জন্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
Sarakhon Report 



















