১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
প্রতিবেশীদের আস্থা বজায় রেখে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের সক্রিয় সম্পর্ক জরুরি পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩২) প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৩১) বিরল মাটির দখলে চীনের জয়যাত্রা ও পরিবেশের চড়া খেসারত বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়ার মধ্যেও কেন চীনের রেয়ার আর্থ আধিপত্য অটুট জৈবজ্বালানি বিধিমালা ও ভূরাজনৈতিক ঝাঁকুনিতে পাম ওয়েল বাজার কৃষকের স্ত্রীর পরিচয়ের ঊর্ধ্বে: লিঙ্গভিত্তিক পরিসর উন্মোচন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষিতে ব্যর্থতার অভিযোগ, আলোচকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪২) ট্রাম্পের শুল্ক চিঠি এশিয়াকে ১ আগস্টের মধ্যে চুক্তি করতে চাপ দিচ্ছে

ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

  • Sarakhon Report
  • ০৮:৪৭:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪
  • 21

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আজ মঙ্গলবার ভোররাতে এক ভিডিও বার্তায় এই চাওয়ার কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দিচ্ছেন তাঁরা। এ বিষয়ে ড. ইউনূসের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। তিনি ছাত্রজনতার আহ্বানে বাংলাদেশকে রক্ষায় এই গুরুদায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “আবু সাঈদদের রক্তে ভিজে এলো যে বিজয়”

‘মাগো ভাবনা কেন/আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে/ তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি/ তোমার ভয় নেই মা/ আমরা প্রতিবাদ করতে জানি। আমরা হারবো না/ তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়ব না/ আমরা পাঁজর দিয়ে দুর্গ ঘাটি গড়তে জানি/ তোমার ভয় নেই মা/ আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।’ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা আর হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গলায় ও সুরে গাওয়া দেশাত্মবোধক গানটি বাঙালিমাত্রেরই জানা। ১৯৬১ সালে প্রথম প্রচারিত হওয়া এই গানটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের দারুণ অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “যেভাবে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা”

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট—টানা প্রায় ১৫ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। গতকাল দুপুরে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে দেশ ছাড়েন তিনি। দেশী-বিদেশী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও দেশ ছেড়েছেন।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সারা দেশে সংঘর্ষ ও গুলিতে নিহত ১১২”

সোমবারও দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়েছে। এ ছাড়া দুপুরের পর বিক্ষুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সারা দেশে গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ও জনতার গণপিটুনিতে ১১২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ৪৯ জন ও বিভিন্ন জেলায় ৬৩ জন রয়েছেন। নিহতদের মধ্যে হবিগঞ্জে ৬, রাজশাহীতে ৬, কুষ্টিয়ায় ৭, চুয়াডাঙ্গায় ৪,  যশোরে ৮, মানিকগঞ্জে ২, শ্রীপুরে ৬, সাভারে ৯, বরিশালে ৩, কুমিল্লায় ২, লোহাগড়ায় ২, ঝিনাইদহে ৪, চাঁদপুরে ২, কয়রাতে ১ ও সুনামগঞ্জে ১ জন  রয়েছেন।

এদিকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে গতকাল দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর শনিরআখড়া, কাজলা, রায়েরবাগ, যাত্রাবাড়ী, শহীদ মিনার, চানখাঁরপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের ৪০ জনের লাশ ঢাকা মেডিকেলে ছিল। উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ৯ জনের লাশ ছিল।
একদফা দাবিকে ঘিরে গতকাল সকাল থেকেই রাজধানী জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।

ঢাকার প্রতিটি রাস্তা ছিল সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দখলে। নিজেদের দাবি আদায় ও অসহযোগ আন্দোলন পালনে সেই কারফিউ’র মধ্যেই গতকাল সকাল দশটার পর রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় জড়ো হতে শুরু করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফরম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও সাধারণ জনগণ। আন্দোলনকারীরা এসময় রাস্তায় একত্রিত হয়ে স্লোগান দিয়ে সামনে এগুতে শুরু করলে তাদেরকে লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আন্দোলনকারীরা এসময় দৌড়ে আশপাশের গলি ও রাস্তায় ঢুকে পড়ে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এসময় আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে একের পর এক গুলি ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সকাল থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে এলাকাটিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৭ জন নিহতসহ অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- যাত্রাবাড়ী এলাকায় রাসেল (২৮), সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন (২৪), তুলারাম কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান (২২), সাইফুল ইসলাম তন্ময় (২২), প্রবাসী আবু ইসহাক (৫২) ও আজমত মিয়া (৪০)। বাকি ২৭ বছর বয়সী এক যুবকের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে নিজেদের কর্মসূচি পালনে গতকাল সকাল দশটার দিকে শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু সদস্য। এসময় পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরাও পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। দু’পক্ষের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দিয়ে চানখাঁরপুল এলাকায় অবস্থান নেয়। ঘণ্টা তিনেক চলা সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। এসময় ঢামেকের নতুন বিল্ডিংয়ের সামনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যমুনা ব্যাংকের স্টাফ মানিক মিয়া (২৭) ও অজ্ঞাত এক যুবক (২৫)-এর মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আরও অনেকে।

 

প্রতিবেশীদের আস্থা বজায় রেখে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের সক্রিয় সম্পর্ক জরুরি

ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

০৮:৪৭:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আজ মঙ্গলবার ভোররাতে এক ভিডিও বার্তায় এই চাওয়ার কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দিচ্ছেন তাঁরা। এ বিষয়ে ড. ইউনূসের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। তিনি ছাত্রজনতার আহ্বানে বাংলাদেশকে রক্ষায় এই গুরুদায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “আবু সাঈদদের রক্তে ভিজে এলো যে বিজয়”

‘মাগো ভাবনা কেন/আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে/ তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি/ তোমার ভয় নেই মা/ আমরা প্রতিবাদ করতে জানি। আমরা হারবো না/ তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়ব না/ আমরা পাঁজর দিয়ে দুর্গ ঘাটি গড়তে জানি/ তোমার ভয় নেই মা/ আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।’ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা আর হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গলায় ও সুরে গাওয়া দেশাত্মবোধক গানটি বাঙালিমাত্রেরই জানা। ১৯৬১ সালে প্রথম প্রচারিত হওয়া এই গানটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের দারুণ অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “যেভাবে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা”

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট—টানা প্রায় ১৫ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। গতকাল দুপুরে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে দেশ ছাড়েন তিনি। দেশী-বিদেশী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও দেশ ছেড়েছেন।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সারা দেশে সংঘর্ষ ও গুলিতে নিহত ১১২”

সোমবারও দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়েছে। এ ছাড়া দুপুরের পর বিক্ষুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সারা দেশে গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ও জনতার গণপিটুনিতে ১১২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ৪৯ জন ও বিভিন্ন জেলায় ৬৩ জন রয়েছেন। নিহতদের মধ্যে হবিগঞ্জে ৬, রাজশাহীতে ৬, কুষ্টিয়ায় ৭, চুয়াডাঙ্গায় ৪,  যশোরে ৮, মানিকগঞ্জে ২, শ্রীপুরে ৬, সাভারে ৯, বরিশালে ৩, কুমিল্লায় ২, লোহাগড়ায় ২, ঝিনাইদহে ৪, চাঁদপুরে ২, কয়রাতে ১ ও সুনামগঞ্জে ১ জন  রয়েছেন।

এদিকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে গতকাল দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর শনিরআখড়া, কাজলা, রায়েরবাগ, যাত্রাবাড়ী, শহীদ মিনার, চানখাঁরপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের ৪০ জনের লাশ ঢাকা মেডিকেলে ছিল। উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ৯ জনের লাশ ছিল।
একদফা দাবিকে ঘিরে গতকাল সকাল থেকেই রাজধানী জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।

ঢাকার প্রতিটি রাস্তা ছিল সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দখলে। নিজেদের দাবি আদায় ও অসহযোগ আন্দোলন পালনে সেই কারফিউ’র মধ্যেই গতকাল সকাল দশটার পর রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় জড়ো হতে শুরু করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফরম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও সাধারণ জনগণ। আন্দোলনকারীরা এসময় রাস্তায় একত্রিত হয়ে স্লোগান দিয়ে সামনে এগুতে শুরু করলে তাদেরকে লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আন্দোলনকারীরা এসময় দৌড়ে আশপাশের গলি ও রাস্তায় ঢুকে পড়ে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এসময় আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে একের পর এক গুলি ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সকাল থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে এলাকাটিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৭ জন নিহতসহ অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- যাত্রাবাড়ী এলাকায় রাসেল (২৮), সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন (২৪), তুলারাম কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান (২২), সাইফুল ইসলাম তন্ময় (২২), প্রবাসী আবু ইসহাক (৫২) ও আজমত মিয়া (৪০)। বাকি ২৭ বছর বয়সী এক যুবকের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে নিজেদের কর্মসূচি পালনে গতকাল সকাল দশটার দিকে শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু সদস্য। এসময় পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরাও পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। দু’পক্ষের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দিয়ে চানখাঁরপুল এলাকায় অবস্থান নেয়। ঘণ্টা তিনেক চলা সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। এসময় ঢামেকের নতুন বিল্ডিংয়ের সামনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যমুনা ব্যাংকের স্টাফ মানিক মিয়া (২৭) ও অজ্ঞাত এক যুবক (২৫)-এর মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আরও অনেকে।