১২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রুশ যুদ্ধবিমান এস্তোনিয়ার আকাশে, ন্যাটোর শক্তি পরীক্ষায় রাশিয়া ব্রিটিশ দম্পতি তালেবান হেফাজত থেকে মুক্ত পর্তুগাল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে রোববার নতুন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ঘোষণা করেছে, এখন থেকে কোম্পানিগুলোকে প্রতিটি এইচ-১বি কর্মী ভিসার জন্য বছরে ১ লাখ ডলার করে দিতে হবে। প্রযুক্তি খাতে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি বড় ধাক্কা হতে পারে। অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি এ বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন আইনি অভিবাসনেও নানা সীমাবদ্ধতা আরোপ করছে। এবার এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিকে নতুনভাবে সাজানোই হচ্ছে সবচেয়ে আলোচিত পদক্ষেপ। ট্রাম্পের বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস বলেছেন, “আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের প্রশিক্ষণ দিন। আমাদের চাকরি বিদেশিদের দেবেন না।” সমালোচনা ও সমর্থন প্রযুক্তি খাতের অনেক প্রতিষ্ঠান ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে বড় অঙ্কের অর্থ দিয়েছে, অথচ এই পদক্ষেপ নিয়ে তারা এখন সমস্যায় পড়তে পারে। সমালোচকদের দাবি, এই কর্মসূচির মাধ্যমে কোম্পানিগুলো কম মজুরিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ করে স্থানীয়দের বঞ্চিত করছে। অন্যদিকে সমর্থকরা, যেমন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক, মনে করেন এই ভিসা বিশ্বমানের দক্ষ কর্মী নিয়ে আসে, যা প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অপরিহার্য। মাস্ক নিজেও আগে এইচ-১বি ভিসাধারী ছিলেন। তথ্য ও পরিসংখ্যান সরকারি তথ্যে বলা হয়েছে, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ লাখে, যদিও এ সময় স্থানীয় এসটিইএম চাকরির প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৪৪.৫%। বিশ্ব প্রতিভা হারানোর ঝুঁকি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম মেনলো ভেঞ্চার্সের পার্টনার ডেভিড স্যাক্স সতর্ক করে বলেছেন, এত বেশি ফি দিলে বিশ্বের সেরা প্রতিভাবানরা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে নিরুৎসাহিত হবেন। এতে উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সক্ষমতা হ্রাস পাবে। এতে ছোট ও নতুন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ফি অনেক প্রতিষ্ঠানকে কাজ বিদেশে সরিয়ে নিতে বাধ্য করতে পারে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রকে পিছিয়ে দেবে। ভারত ও চীনের প্রভাব ২০২৪ সালে অনুমোদিত সব এইচ-১বি ভিসার মধ্যে ৭১% গিয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের কাছে। চীনের শেয়ার ছিল মাত্র ১১.৭%। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে অ্যামাজন ও তার ক্লাউড শাখা এডব্লিউএস একাই ১২ হাজারের বেশি এইচ-১বি অনুমোদন পেয়েছে। মাইক্রোসফট ও মেটাও ৫ হাজারের বেশি অনুমোদন পেয়েছে। বড় কোম্পানিগুলোর অবস্থান উইলবার রস দাবি করেছেন, বড় বড় কোম্পানিগুলো বছরে ১ লাখ ডলারের প্রস্তাবে সম্মত। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান ও ভারত-চীনের কূটনৈতিক মিশন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এরই মধ্যে মার্কিন শেয়ারবাজারে আইটি সেবাদাতা কগনিজ্যান্টের শেয়ার প্রায় ৫% এবং ভারতীয় আইটি কোম্পানি ইনফোসিস ও উইপ্রোর শেয়ার ২–৫% পর্যন্ত কমে গেছে। আইনগত প্রশ্ন ও নতুন পদক্ষেপ অভিবাসন নীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, কংগ্রেস শুধুমাত্র প্রশাসনিক খরচ মেটানোর জন্য ফি ধার্য করার অনুমতি দিয়েছে, তাই এভাবে বিশাল ফি আরোপের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বর্তমানে বছরে ৬৫ হাজার সাধারণ ও ২০ হাজার উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের জন্য এইচ-১বি ভিসা অনুমোদিত হয়। লটারিতে অংশ নিতে তুলনামূলক কম ফি লাগে, আর অনুমোদনের পর কয়েক হাজার ডলার খরচ হয়। সাধারণত তিন থেকে ছয় বছরের জন্য এই ভিসা অনুমোদিত হয়। এছাড়া, ট্রাম্প শুক্রবার আরেকটি নির্বাহী আদেশে ঘোষণা করেছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বসবাসের জন্য ১০ লাখ ডলার দিতে পারবেন, তাদের জন্য তৈরি হবে নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ ব্যবস্থা। নতুন নীতি প্রযুক্তি খাত, বিশেষ করে ভারত ও চীন থেকে আসা দক্ষ কর্মীদের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। স্বল্পমেয়াদে সরকার রাজস্ব পেতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র উদ্ভাবনী শক্তি হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ট্রাম্পের নতুন ভিসা নীতি: ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ভবিষ্যৎ ভাত না রুটি, কী খাওয়া উচিত? বাংলাদেশি শ্রমিকের ভাগ্য বদলাল আবুধাবি বিগ টিকিটে ফিলিস্তিন স্বীকৃতি নিয়ে বিশ্বশক্তির টানাপোড়েন হয়রানি ও বৈষম্যে বিপন্ন ব্যবসায়ীরা: অর্থনীতির মেরুদণ্ডে চাপ নেপালে ‘জেন জেড’ আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারীরা গুলি চালিয়েছে

নিহত ও নির্যাতিতদের স্মরণে গণজমায়েত

  • Sarakhon Report
  • ০১:২৩:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
  • 34

নিজস্ব প্রতিবেদক

“গত ১৬ বছরে হাজার হাজার গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, নির্বিচার জুলুম নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখল করা হয়েছে। নির্লজ্জ দলীয়করণ করে প্রশাসনকে শোষণ ও দুর্নীতির আঁখড়া বানানো হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষকে তাদের পেশা ও ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। জনগণ ভোট দিতে পারেনি বছরের পর বছর। নিজ গৃহ হতে উচ্ছেদ হয়ে দেশান্তরী হতে হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে। অন্যায়ভাবে নিজের ভিটা, বাড়ি হারিয়েছেন অগণিত মানুষ।

এর প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হতে হবে। জনগণ যেন বুঝতে পারে অন্যায় অত্যাচার করে কেউ শেষ পর্যন্ত পার পায়না, একদিন জনতার হাতে পাকড়াও হতে হয়”- আজ এবি পার্টি আয়োজিত ছাত্রগণজমায়েতে এসব কথা বলেন দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। গত ১৫ আগষ্ট বিকেল ৪ টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্বরে গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও নির্যাতিত ছাত্র-জনতার স্মরণে এই গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়।

এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় ও যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণজমায়েতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, বিএম নাজমুল হক, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য লে. কর্ণেল অব. দিদারুল আলম, লে. কর্ণেল অব. হেলাল উদ্দিন, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন ও সহকারী সদস্যসচিব ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে মেজর মিনার বলেন, আমরা বছরের পর পর আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়েছি, দেশের ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। বিজয়ের আনন্দে শহীদ ও আহতদের ভুলে গেলে চলবেনা। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে যারা জীবন দিয়েছে তাদের স্বপ্ন বাস্তবে রুপ না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চালাতে হবে।

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন; খুনী হাসিনা শুধু মানুষই হত্যা করেনি, সে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ বিভাগ, প্রশাসন সহ দেশের সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, আইন উপদেষ্টা মানবতাবিরোধী ট্রাইবুনালে হাসিনার বিচারের কথা বলেছেন। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলতে চাই, এই ট্রাইব্যুনাল নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে, আগে সেই বিতর্কের অবসান করুন, আইন সংশোধন করুন, অভিজ্ঞ প্রসিকিউশন টীম নিয়োগ দিন, মান সম্পন্ন বিচারক ও তদন্তকারী সংস্থা নিয়োগ দিয়ে বিচারের কার্যক্রম শুরু করুন। হাসিনার নিয়োগকৃত টীমের মাধ্যমে তার কোন বিচার হতে পারেনা।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন; ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থান ও ১৫ বছরের জুলুম-শোষনের প্রতিদিনের স্মৃতি আমরা লিখে রেখেছি। কারা কীভাবে এই জুলুমের নেতৃত্ব দিয়েছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে রক্তের হোলি খেলায় মেতেছেন কারও নাম ও অপকর্মের কথা বাদ যাবেনা। জনতার আদালতে প্রত্যেকের চেহারা ও আমলের খতিয়ান প্রকাশ করা হবে। যারা জীবন দিয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন সবাইকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হবে। এই বিপ্লব বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে নতুন করে চেনাবে। তিনি বলেন রাষ্ট্র সংস্কার ও মেরামতের পাশাপাশি গত ১৬ বছরের সকল গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, নির্বিচার জুলুম নির্যাতনের যেন বিচার হয় এবি পার্টি সেজন্য তৎপরতা ও সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।

ব্যারিষ্টার ফুয়াদ বলেন, বাংলার ইতিহাসে রাজা লক্ষ্মণ সেন রাজদরবার ফেলে পেছন দরজা দিয়ে পালিয়েছিলো। নতুন করে সেই ইতিহাসই দেখালো নারী হিটলার, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। এখন তার সকল সহোযোগিরাই পলাতক। আজ সারা দেশের ছাত্র-জনতা জেগে রয়েছে। আমরা যে ইনসাফের বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি, সেই ইনসাফের শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের ন্যায্য বিচারের আওতায় আনা হবে। আমরা হাসিনার মতো অন্যায্য কোন বিচার করবোনা। প্রত্যেককেই তার সঠিক প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

গণ জমায়েতে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সহকারী সদস্যসচিব এম আমজাদ খান, ব্যারিস্টার আব্বাস খান নোমান, যুবপার্টির আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, সহকারী সদস্যসচিব ড. শাহেদুল ইসলাম, মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, আহমেদ বারকাজ নাসির, উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রব জামিল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা ও পল্টন থানার আহবায়ক মুন্সি আব্দুল কাদের সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

রুশ যুদ্ধবিমান এস্তোনিয়ার আকাশে, ন্যাটোর শক্তি পরীক্ষায় রাশিয়া

নিহত ও নির্যাতিতদের স্মরণে গণজমায়েত

০১:২৩:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

“গত ১৬ বছরে হাজার হাজার গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, নির্বিচার জুলুম নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখল করা হয়েছে। নির্লজ্জ দলীয়করণ করে প্রশাসনকে শোষণ ও দুর্নীতির আঁখড়া বানানো হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষকে তাদের পেশা ও ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। জনগণ ভোট দিতে পারেনি বছরের পর বছর। নিজ গৃহ হতে উচ্ছেদ হয়ে দেশান্তরী হতে হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে। অন্যায়ভাবে নিজের ভিটা, বাড়ি হারিয়েছেন অগণিত মানুষ।

এর প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হতে হবে। জনগণ যেন বুঝতে পারে অন্যায় অত্যাচার করে কেউ শেষ পর্যন্ত পার পায়না, একদিন জনতার হাতে পাকড়াও হতে হয়”- আজ এবি পার্টি আয়োজিত ছাত্রগণজমায়েতে এসব কথা বলেন দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। গত ১৫ আগষ্ট বিকেল ৪ টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্বরে গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও নির্যাতিত ছাত্র-জনতার স্মরণে এই গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়।

এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় ও যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণজমায়েতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, বিএম নাজমুল হক, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য লে. কর্ণেল অব. দিদারুল আলম, লে. কর্ণেল অব. হেলাল উদ্দিন, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন ও সহকারী সদস্যসচিব ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে মেজর মিনার বলেন, আমরা বছরের পর পর আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়েছি, দেশের ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। বিজয়ের আনন্দে শহীদ ও আহতদের ভুলে গেলে চলবেনা। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে যারা জীবন দিয়েছে তাদের স্বপ্ন বাস্তবে রুপ না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চালাতে হবে।

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন; খুনী হাসিনা শুধু মানুষই হত্যা করেনি, সে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ বিভাগ, প্রশাসন সহ দেশের সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, আইন উপদেষ্টা মানবতাবিরোধী ট্রাইবুনালে হাসিনার বিচারের কথা বলেছেন। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলতে চাই, এই ট্রাইব্যুনাল নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে, আগে সেই বিতর্কের অবসান করুন, আইন সংশোধন করুন, অভিজ্ঞ প্রসিকিউশন টীম নিয়োগ দিন, মান সম্পন্ন বিচারক ও তদন্তকারী সংস্থা নিয়োগ দিয়ে বিচারের কার্যক্রম শুরু করুন। হাসিনার নিয়োগকৃত টীমের মাধ্যমে তার কোন বিচার হতে পারেনা।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন; ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থান ও ১৫ বছরের জুলুম-শোষনের প্রতিদিনের স্মৃতি আমরা লিখে রেখেছি। কারা কীভাবে এই জুলুমের নেতৃত্ব দিয়েছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে রক্তের হোলি খেলায় মেতেছেন কারও নাম ও অপকর্মের কথা বাদ যাবেনা। জনতার আদালতে প্রত্যেকের চেহারা ও আমলের খতিয়ান প্রকাশ করা হবে। যারা জীবন দিয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন সবাইকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হবে। এই বিপ্লব বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে নতুন করে চেনাবে। তিনি বলেন রাষ্ট্র সংস্কার ও মেরামতের পাশাপাশি গত ১৬ বছরের সকল গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, নির্বিচার জুলুম নির্যাতনের যেন বিচার হয় এবি পার্টি সেজন্য তৎপরতা ও সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।

ব্যারিষ্টার ফুয়াদ বলেন, বাংলার ইতিহাসে রাজা লক্ষ্মণ সেন রাজদরবার ফেলে পেছন দরজা দিয়ে পালিয়েছিলো। নতুন করে সেই ইতিহাসই দেখালো নারী হিটলার, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। এখন তার সকল সহোযোগিরাই পলাতক। আজ সারা দেশের ছাত্র-জনতা জেগে রয়েছে। আমরা যে ইনসাফের বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি, সেই ইনসাফের শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের ন্যায্য বিচারের আওতায় আনা হবে। আমরা হাসিনার মতো অন্যায্য কোন বিচার করবোনা। প্রত্যেককেই তার সঠিক প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

গণ জমায়েতে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সহকারী সদস্যসচিব এম আমজাদ খান, ব্যারিস্টার আব্বাস খান নোমান, যুবপার্টির আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, সহকারী সদস্যসচিব ড. শাহেদুল ইসলাম, মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, আহমেদ বারকাজ নাসির, উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রব জামিল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা ও পল্টন থানার আহবায়ক মুন্সি আব্দুল কাদের সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।