১২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নতুন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ঘোষণা করেছে, এখন থেকে কোম্পানিগুলোকে প্রতিটি এইচ-১বি কর্মী ভিসার জন্য বছরে ১ লাখ ডলার করে দিতে হবে। প্রযুক্তি খাতে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি বড় ধাক্কা হতে পারে। অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি এ বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন আইনি অভিবাসনেও নানা সীমাবদ্ধতা আরোপ করছে। এবার এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিকে নতুনভাবে সাজানোই হচ্ছে সবচেয়ে আলোচিত পদক্ষেপ। ট্রাম্পের বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস বলেছেন, “আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের প্রশিক্ষণ দিন। আমাদের চাকরি বিদেশিদের দেবেন না।” সমালোচনা ও সমর্থন প্রযুক্তি খাতের অনেক প্রতিষ্ঠান ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে বড় অঙ্কের অর্থ দিয়েছে, অথচ এই পদক্ষেপ নিয়ে তারা এখন সমস্যায় পড়তে পারে। সমালোচকদের দাবি, এই কর্মসূচির মাধ্যমে কোম্পানিগুলো কম মজুরিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ করে স্থানীয়দের বঞ্চিত করছে। অন্যদিকে সমর্থকরা, যেমন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক, মনে করেন এই ভিসা বিশ্বমানের দক্ষ কর্মী নিয়ে আসে, যা প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অপরিহার্য। মাস্ক নিজেও আগে এইচ-১বি ভিসাধারী ছিলেন। তথ্য ও পরিসংখ্যান সরকারি তথ্যে বলা হয়েছে, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ লাখে, যদিও এ সময় স্থানীয় এসটিইএম চাকরির প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৪৪.৫%। বিশ্ব প্রতিভা হারানোর ঝুঁকি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম মেনলো ভেঞ্চার্সের পার্টনার ডেভিড স্যাক্স সতর্ক করে বলেছেন, এত বেশি ফি দিলে বিশ্বের সেরা প্রতিভাবানরা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে নিরুৎসাহিত হবেন। এতে উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সক্ষমতা হ্রাস পাবে। এতে ছোট ও নতুন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ফি অনেক প্রতিষ্ঠানকে কাজ বিদেশে সরিয়ে নিতে বাধ্য করতে পারে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রকে পিছিয়ে দেবে। ভারত ও চীনের প্রভাব ২০২৪ সালে অনুমোদিত সব এইচ-১বি ভিসার মধ্যে ৭১% গিয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের কাছে। চীনের শেয়ার ছিল মাত্র ১১.৭%। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে অ্যামাজন ও তার ক্লাউড শাখা এডব্লিউএস একাই ১২ হাজারের বেশি এইচ-১বি অনুমোদন পেয়েছে। মাইক্রোসফট ও মেটাও ৫ হাজারের বেশি অনুমোদন পেয়েছে। বড় কোম্পানিগুলোর অবস্থান উইলবার রস দাবি করেছেন, বড় বড় কোম্পানিগুলো বছরে ১ লাখ ডলারের প্রস্তাবে সম্মত। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান ও ভারত-চীনের কূটনৈতিক মিশন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এরই মধ্যে মার্কিন শেয়ারবাজারে আইটি সেবাদাতা কগনিজ্যান্টের শেয়ার প্রায় ৫% এবং ভারতীয় আইটি কোম্পানি ইনফোসিস ও উইপ্রোর শেয়ার ২–৫% পর্যন্ত কমে গেছে। আইনগত প্রশ্ন ও নতুন পদক্ষেপ অভিবাসন নীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, কংগ্রেস শুধুমাত্র প্রশাসনিক খরচ মেটানোর জন্য ফি ধার্য করার অনুমতি দিয়েছে, তাই এভাবে বিশাল ফি আরোপের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বর্তমানে বছরে ৬৫ হাজার সাধারণ ও ২০ হাজার উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের জন্য এইচ-১বি ভিসা অনুমোদিত হয়। লটারিতে অংশ নিতে তুলনামূলক কম ফি লাগে, আর অনুমোদনের পর কয়েক হাজার ডলার খরচ হয়। সাধারণত তিন থেকে ছয় বছরের জন্য এই ভিসা অনুমোদিত হয়। এছাড়া, ট্রাম্প শুক্রবার আরেকটি নির্বাহী আদেশে ঘোষণা করেছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বসবাসের জন্য ১০ লাখ ডলার দিতে পারবেন, তাদের জন্য তৈরি হবে নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ ব্যবস্থা। নতুন নীতি প্রযুক্তি খাত, বিশেষ করে ভারত ও চীন থেকে আসা দক্ষ কর্মীদের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। স্বল্পমেয়াদে সরকার রাজস্ব পেতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র উদ্ভাবনী শক্তি হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ট্রাম্পের নতুন ভিসা নীতি: ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ভবিষ্যৎ ভাত না রুটি, কী খাওয়া উচিত? বাংলাদেশি শ্রমিকের ভাগ্য বদলাল আবুধাবি বিগ টিকিটে ফিলিস্তিন স্বীকৃতি নিয়ে বিশ্বশক্তির টানাপোড়েন হয়রানি ও বৈষম্যে বিপন্ন ব্যবসায়ীরা: অর্থনীতির মেরুদণ্ডে চাপ নেপালে ‘জেন জেড’ আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারীরা গুলি চালিয়েছে গর্ভবতী নারী ও সন্তানকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল ফরিদপুরে খুলনার দিঘলিয়ায় বিএনপি দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে ১৪৪ ধারা জারি বাংলাদেশে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের সব কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনবে অন্তর্বর্তী সরকার: যুক্তরাষ্ট্র

ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য চায় সব ইসলামি দল

  • Sarakhon Report
  • ১২:৩৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
  • 36

হারুন উর রশীদ স্বপন 

বাংলাদেশে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামি দল এবং সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। আর তাতে নেতৃত্বের আসনে থাকতে চায় জামায়াতে ইসলামী। আর এই উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন দল এবং সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।

২০ আগস্ট তারাকওমী ঘরানার ইসলামি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। রোববার বিকালে তারা বৈঠক করেছেন ফরায়েজি আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে। কয়েকজন জামায়াত নেতা জানান, তাদের এই বৈঠক অব্যাহত থাকবে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ইসলামি দলগুলোকে একটি ছাতার নিচে নিয়ে আসা। আর সেই ঐক্যের মধ্য দিয়ে ইসলামি রাষ্ট্র গড়ার দিকে এগিয়ে যাওয়া।

জামায়াত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০ আগস্টের মতবিনিময়ে অংশগ্রহণ করেন, মাওলানা মুফতি মহিউদ্দীন কাসেমী, মুফতি খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি রেজাউল করীম আবরার, মাওলানা আব্দুল মজিদ আতহাবী, মুফতি আজহারুল ইসলাম, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুফতি রাদেশ বিন নূর, মাওলানা মুনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা মুফতি আবুল কালাম, মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, মাওলানা আব্দুল মোমেন নাসেরী, মাওলানা আবুল কাশেম কাসেমী, ইসলামি বক্তা মাওলানা আলী হাসান উসামা প্রমুখ।

তাদের উদ্দেশে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “এখন থেকে আমরা সবাই একে অপরের জন্য। সবাই সিসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ থাকব, ইনশাআল্লাহ। অতীতের কোনো আচরণের জন্য আপনারা যদি সামান্য কষ্ট পেয়ে থাকেন, আল্লাহর ওয়াস্তে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। আশা করি, আপনারা আমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।”

ওই বৈঠকে উপস্থিত যারা ছিলেন তাদের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী ডয়চে ভেলেকে বলেন, “আমরা মনে করি বাংলাদেশের মানুষ চাইলে এখানে ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। বৈঠকে আমাদের ইসলামি দল ও সংগঠনগনগুলোর ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারা ব্যাপারে কথা হয়েছে।”

তার কথায়,” বাংলাদেশের মানুষ ইসলামি রাষ্ট্র চায়।এখানে ইসলামি বিপ্লব হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করতে চাই। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। তার জন্য এখানো প্রক্রিয়া শুরু হয়নি, তবে হবে।”

তার কথায়, “জামায়াতের আমির জেলে ছিলেন। আমরাও জেলে ছিলাম। তিনি আমাদের চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলেন। সেখানেই আমরা যার যার কথা বলেছি। এটা নিয়ে আরো আলোচনা হবে।”

খেলাফত মজলিসের নেতা মুনতাসীর আলী জানান, “আমরা মনে করি ইসলামি দলগুলোর,শক্তিগুলোর সবাই সবার কাছাকাছি থাকা দরকার। এখন আলাপ আলোচনা হচ্ছে। তারপরে আমরা রাজনৈতিক ঐক্যের দিকে যাবো। তবে তার নেতৃত্ব কেমন হবে কারা দেবে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়নি।”

ইসলামী বক্তা আলী হাসান ওসামার বক্তব্য দিয়ে ওই বৈঠক শুরু হয়। তিনি জানান, “জামায়াতের আমন্ত্রণে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে নানা জন নানা মত দিয়েছে। কেউ ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। কেউ বলেছেন জামায়াতের নেতৃত্বেই ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব। মূল যে কথা হয়েছে তা হলো আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের ওপর দমন পীড়ন নেমে এলে আমরা যেন এক সাথে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারি।”

আরো যারা ইসলামি দল রয়েছে তারাও মনে করে ইসলামি দলগুলোর ঐক্য প্রয়োজন। এরইমধ্যে ঐক্যের ডাক দেয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে ইসলামি দলগুলো একজোট হয়ে নির্বাচন করতে পারে কি না সেই চিন্তাও আছে। এজন্য বিভিন্ন ইসলামি রাজনৈতিক দলের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগও শুরু হয়েছে।

ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন,” ইসলামি দলগুলো তো বাংলাদেশে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এদেশের মানুষের মনোভাবও তাই।  এখন একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে সেই লক্ষ্যে ইসলামি দলগুলোর এক সঙ্গে কাজ করার। এটা নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা হচ্ছে। আশা করছি নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করব। আর প্রথম এটা নির্বাচনের জন্য বৃহত্তর ইসলামি জোট হতে পারে।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,” জামায়াতের সঙ্গে আমাদের আনুষ্ঠানিক আলোচনা এখনো হয়নি। তবে হবে।”

ডিডাব্লিউডটকম

নতুন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ঘোষণা করেছে, এখন থেকে কোম্পানিগুলোকে প্রতিটি এইচ-১বি কর্মী ভিসার জন্য বছরে ১ লাখ ডলার করে দিতে হবে। প্রযুক্তি খাতে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি বড় ধাক্কা হতে পারে। অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি এ বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন আইনি অভিবাসনেও নানা সীমাবদ্ধতা আরোপ করছে। এবার এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিকে নতুনভাবে সাজানোই হচ্ছে সবচেয়ে আলোচিত পদক্ষেপ। ট্রাম্পের বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস বলেছেন, “আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের প্রশিক্ষণ দিন। আমাদের চাকরি বিদেশিদের দেবেন না।” সমালোচনা ও সমর্থন প্রযুক্তি খাতের অনেক প্রতিষ্ঠান ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে বড় অঙ্কের অর্থ দিয়েছে, অথচ এই পদক্ষেপ নিয়ে তারা এখন সমস্যায় পড়তে পারে। সমালোচকদের দাবি, এই কর্মসূচির মাধ্যমে কোম্পানিগুলো কম মজুরিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ করে স্থানীয়দের বঞ্চিত করছে। অন্যদিকে সমর্থকরা, যেমন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক, মনে করেন এই ভিসা বিশ্বমানের দক্ষ কর্মী নিয়ে আসে, যা প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অপরিহার্য। মাস্ক নিজেও আগে এইচ-১বি ভিসাধারী ছিলেন। তথ্য ও পরিসংখ্যান সরকারি তথ্যে বলা হয়েছে, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ লাখে, যদিও এ সময় স্থানীয় এসটিইএম চাকরির প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৪৪.৫%। বিশ্ব প্রতিভা হারানোর ঝুঁকি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম মেনলো ভেঞ্চার্সের পার্টনার ডেভিড স্যাক্স সতর্ক করে বলেছেন, এত বেশি ফি দিলে বিশ্বের সেরা প্রতিভাবানরা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে নিরুৎসাহিত হবেন। এতে উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সক্ষমতা হ্রাস পাবে। এতে ছোট ও নতুন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ফি অনেক প্রতিষ্ঠানকে কাজ বিদেশে সরিয়ে নিতে বাধ্য করতে পারে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রকে পিছিয়ে দেবে। ভারত ও চীনের প্রভাব ২০২৪ সালে অনুমোদিত সব এইচ-১বি ভিসার মধ্যে ৭১% গিয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের কাছে। চীনের শেয়ার ছিল মাত্র ১১.৭%। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে অ্যামাজন ও তার ক্লাউড শাখা এডব্লিউএস একাই ১২ হাজারের বেশি এইচ-১বি অনুমোদন পেয়েছে। মাইক্রোসফট ও মেটাও ৫ হাজারের বেশি অনুমোদন পেয়েছে। বড় কোম্পানিগুলোর অবস্থান উইলবার রস দাবি করেছেন, বড় বড় কোম্পানিগুলো বছরে ১ লাখ ডলারের প্রস্তাবে সম্মত। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান ও ভারত-চীনের কূটনৈতিক মিশন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এরই মধ্যে মার্কিন শেয়ারবাজারে আইটি সেবাদাতা কগনিজ্যান্টের শেয়ার প্রায় ৫% এবং ভারতীয় আইটি কোম্পানি ইনফোসিস ও উইপ্রোর শেয়ার ২–৫% পর্যন্ত কমে গেছে। আইনগত প্রশ্ন ও নতুন পদক্ষেপ অভিবাসন নীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, কংগ্রেস শুধুমাত্র প্রশাসনিক খরচ মেটানোর জন্য ফি ধার্য করার অনুমতি দিয়েছে, তাই এভাবে বিশাল ফি আরোপের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বর্তমানে বছরে ৬৫ হাজার সাধারণ ও ২০ হাজার উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের জন্য এইচ-১বি ভিসা অনুমোদিত হয়। লটারিতে অংশ নিতে তুলনামূলক কম ফি লাগে, আর অনুমোদনের পর কয়েক হাজার ডলার খরচ হয়। সাধারণত তিন থেকে ছয় বছরের জন্য এই ভিসা অনুমোদিত হয়। এছাড়া, ট্রাম্প শুক্রবার আরেকটি নির্বাহী আদেশে ঘোষণা করেছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বসবাসের জন্য ১০ লাখ ডলার দিতে পারবেন, তাদের জন্য তৈরি হবে নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ ব্যবস্থা। নতুন নীতি প্রযুক্তি খাত, বিশেষ করে ভারত ও চীন থেকে আসা দক্ষ কর্মীদের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। স্বল্পমেয়াদে সরকার রাজস্ব পেতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র উদ্ভাবনী শক্তি হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য চায় সব ইসলামি দল

১২:৩৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

হারুন উর রশীদ স্বপন 

বাংলাদেশে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামি দল এবং সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। আর তাতে নেতৃত্বের আসনে থাকতে চায় জামায়াতে ইসলামী। আর এই উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন দল এবং সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।

২০ আগস্ট তারাকওমী ঘরানার ইসলামি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। রোববার বিকালে তারা বৈঠক করেছেন ফরায়েজি আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে। কয়েকজন জামায়াত নেতা জানান, তাদের এই বৈঠক অব্যাহত থাকবে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ইসলামি দলগুলোকে একটি ছাতার নিচে নিয়ে আসা। আর সেই ঐক্যের মধ্য দিয়ে ইসলামি রাষ্ট্র গড়ার দিকে এগিয়ে যাওয়া।

জামায়াত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০ আগস্টের মতবিনিময়ে অংশগ্রহণ করেন, মাওলানা মুফতি মহিউদ্দীন কাসেমী, মুফতি খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি রেজাউল করীম আবরার, মাওলানা আব্দুল মজিদ আতহাবী, মুফতি আজহারুল ইসলাম, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুফতি রাদেশ বিন নূর, মাওলানা মুনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা মুফতি আবুল কালাম, মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, মাওলানা আব্দুল মোমেন নাসেরী, মাওলানা আবুল কাশেম কাসেমী, ইসলামি বক্তা মাওলানা আলী হাসান উসামা প্রমুখ।

তাদের উদ্দেশে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “এখন থেকে আমরা সবাই একে অপরের জন্য। সবাই সিসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ থাকব, ইনশাআল্লাহ। অতীতের কোনো আচরণের জন্য আপনারা যদি সামান্য কষ্ট পেয়ে থাকেন, আল্লাহর ওয়াস্তে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। আশা করি, আপনারা আমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।”

ওই বৈঠকে উপস্থিত যারা ছিলেন তাদের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী ডয়চে ভেলেকে বলেন, “আমরা মনে করি বাংলাদেশের মানুষ চাইলে এখানে ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। বৈঠকে আমাদের ইসলামি দল ও সংগঠনগনগুলোর ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারা ব্যাপারে কথা হয়েছে।”

তার কথায়,” বাংলাদেশের মানুষ ইসলামি রাষ্ট্র চায়।এখানে ইসলামি বিপ্লব হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করতে চাই। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। তার জন্য এখানো প্রক্রিয়া শুরু হয়নি, তবে হবে।”

তার কথায়, “জামায়াতের আমির জেলে ছিলেন। আমরাও জেলে ছিলাম। তিনি আমাদের চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলেন। সেখানেই আমরা যার যার কথা বলেছি। এটা নিয়ে আরো আলোচনা হবে।”

খেলাফত মজলিসের নেতা মুনতাসীর আলী জানান, “আমরা মনে করি ইসলামি দলগুলোর,শক্তিগুলোর সবাই সবার কাছাকাছি থাকা দরকার। এখন আলাপ আলোচনা হচ্ছে। তারপরে আমরা রাজনৈতিক ঐক্যের দিকে যাবো। তবে তার নেতৃত্ব কেমন হবে কারা দেবে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়নি।”

ইসলামী বক্তা আলী হাসান ওসামার বক্তব্য দিয়ে ওই বৈঠক শুরু হয়। তিনি জানান, “জামায়াতের আমন্ত্রণে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে নানা জন নানা মত দিয়েছে। কেউ ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। কেউ বলেছেন জামায়াতের নেতৃত্বেই ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব। মূল যে কথা হয়েছে তা হলো আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের ওপর দমন পীড়ন নেমে এলে আমরা যেন এক সাথে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারি।”

আরো যারা ইসলামি দল রয়েছে তারাও মনে করে ইসলামি দলগুলোর ঐক্য প্রয়োজন। এরইমধ্যে ঐক্যের ডাক দেয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে ইসলামি দলগুলো একজোট হয়ে নির্বাচন করতে পারে কি না সেই চিন্তাও আছে। এজন্য বিভিন্ন ইসলামি রাজনৈতিক দলের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগও শুরু হয়েছে।

ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন,” ইসলামি দলগুলো তো বাংলাদেশে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এদেশের মানুষের মনোভাবও তাই।  এখন একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে সেই লক্ষ্যে ইসলামি দলগুলোর এক সঙ্গে কাজ করার। এটা নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা হচ্ছে। আশা করছি নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করব। আর প্রথম এটা নির্বাচনের জন্য বৃহত্তর ইসলামি জোট হতে পারে।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,” জামায়াতের সঙ্গে আমাদের আনুষ্ঠানিক আলোচনা এখনো হয়নি। তবে হবে।”

ডিডাব্লিউডটকম